মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
তৃতীয় শ্রেণি
বাংলা (প্রথম ভাষা)
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ ‘গাঁয়ের লোক হাঁপ ছেড়ে বাঁচল।’ কখন গাঁয়ের লোক হাঁপ ছেড়ে বাঁচল ?
উত্তর: গৌরী ধর্মপালের লেখা ‘সোনা’ গল্পে সরকারের লোকেরা যেদিন পাততারি গুটিয়ে, তাবু উঠিয়ে চলে গেল, তখন গাঁয়ের লোক হাপ ছেড়ে বাঁচলো ।
১.২ ‘জীবনভর’ শব্দের অর্থ কী ? শব্দটি ব্যবহার করে একটি বাক্য রচনা করো।
উত্তর: জীবনভর শব্দের অর্থ হল সারা জীবন । জীবনভর আমি সত্য কথা বলতে চাই ।
১.৩ ‘এবার কী মনে করে?’ – এই প্রশ্নের উত্তরে শ্রোতা কী বলেছিলেন ?
উত্তর: জীবন সর্দার এর লেখা “নদীর তীরে একা” গল্পে উক্ত বক্তব্যটির পরে লেখক সোজাসুজি বলেছিলেন তখন ছিল শুকনো কাল । দামোদরের তখন অন্য রূপ ছিল এবং তার তীর ধরে সবজি ফসল ছিল দেখার মতো । আর এখন তিনি জল ভরা নদী দেখতে এসেছেন ।
১.৪ ‘আমি তবে একশোটা দাঁড় আঁটি,
পাল তুলে দিই চারটে পাঁচটা ছটা-‘ – কেন কথক এমনটি করতে চায় ?
উত্তর: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা “নৌকাযাত্রা” কবিতায় কথক একটিবার সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে নৌকায় পাল তুলে পাড়ি দিতে চান তাই কবি এ কথা বলেছেন ।
১.৫ ‘সেক্সটান্ট’ – এর কাজ কী ?
উত্তর: সেক্সটান্ট যন্ত্রের সাহায্যে সূর্য ও অন্যান্য নক্ষত্রের কৌণিক উচ্চতা মাপা হয় ।
১.৬ ‘পর্যটন’ কবিতায় মহেশ দাসের গন্তব্য কোথায় ?
উত্তর: কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা পর্যটন কবিতায় মহেশ দাসের গন্তব্য হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সকো প্রদেশের রাজধানী শহর অর্থাৎ সান্টা ফে ।
১.৭ ‘এমনকি বুড়ো লোকের উপকারেও আসত গাছেরা।’ – গাছেরা কীভাবে বুড়ো লোকের উপকারে আসত ?
উত্তর: প্রচলিত গল্প “গাছেরা কেন চলাফেরা করে না” গল্পতে বুড়ো লোকেরা গাছের ডালে বসে যেত । তারপর সেই যে স্থানে যেতে চায়, তাকে সেই স্থানে পৌঁছে দিত ।
১.৮ ‘শানুর বাবাই বলছিল কথাটা।’ – কথাটি কী ?
উত্তর: কার্তিক ঘোষের লেখা “জুঁই ফুলের রুমাল” গল্পে শানুর বাবা বলেছিলেন যে মল্লিক বাবুদের বাগানে আর গাছপালা এবং পুকুর থাকবে না সেখানে আকাশ ছোঁয়া বাড়ি তৈরি হবে ।
১.৯ ‘তালগাছ কেবলই তাদের ডাকে’ – তালগাছ কাদের ডাকে ?
উত্তর: অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা “সাথি” গল্পে শরতের মেঘ আর বলাকাদের তাল গাছ পাতা নাড়িয়ে ডাকে ।
২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
২.১ ‘সংস্কৃতের দিদিমণি নাম রেখেছেন নদীমাতৃকা।’ – কেন তিনি এমন নাম রেখেছেন ?
উত্তর: গৌরী ধর্মপাল এর লেখা “সোনা” গল্পে সোনা যেখানেই থাকুক নদীকে কেউ নোংরা করলে বাঘিনীর মতো ছুটে আসে । সোনা বড় হয়ে নদীকে পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করে । সবার মধ্যে প্রচার করে কেউ যাতে নদীকে নোংরা না করে । পাঠশালার সংস্কৃতের দিদিমণি তাই সোনার নাম রাখেন নদীমাতৃকা অর্থাৎ নদী যে মেয়ের মা ।
২.২ ‘ভালো তো নয় বাঁকা / সোজা সহজ পথের থেকে।’ – কথাটির তাৎপর্য কী ?
উত্তর: শক্তি চট্টোপাধ্যায় লেখা নদী কবিতায় কবি নদীর চলার সঙ্গে নিজের জীবনের চলার তুলনা করেছেন । নদী কখনো একইরকম ভাবে সারাটা পথ সোজা ভাবে চলে না । তার গতিপথ আঁকাবাঁকা । কবি বলেছেন যে নদী যদি সোজা পথে চলে তাহলে তিনি ও নদীর সঙ্গে সারাজীবন সোজাভাবে পথ চলতে পারতেন । কারণ পথের মানুষজন কবিকে সোজা পথে চলার পরামর্শ দেয় । তাদের মতে সোজা ও সহজ পথই জীবনের সেরা পথ । তার থেকে বিচ্যুত হওয়া একদমই ভালো নয় ।
২.৩ ‘মনু আমার কথা শুনে হেসে ফেলল।’ – কোন্ কথায় মনু হেসেছে ?
উত্তর: জীবন সর্দার এর লেখা “নদীর তীরে একা” গল্পের লেখক যখন মনু মাঝি কে বলেছিলেন – “দামোদরের চড়ে ওই যে আসানসোল থেকে আদ্রা যাবার লাইনে দামোদরের ওপর দামোদর ইস্টিশন সেখানে । নদী খুব চওড়া বটে, তবে জল নেই । তার চড়ায় চখা দেখেছি, কাদাখোঁচা দেখেছি । মেছো বক দেখেছি ।” এই কথা শুনে মনু মাঝি হেসে ফেলে ছিলেন ।
২.৪ ‘গল্প বলব তোমার কোলে এসে।’ – কথক কোন্ গল্প শোনাতে চায় ?
উত্তর: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা “নৌকাযাত্রা” কবিতায় শ্যামা আর আশু কে সঙ্গে করে নিয়ে সাত সমুদ্র তেরো নদীর পাড়ে পাড়ি দিতে চান তাড়াতাড়ি নতুন রাজার দেশে । ভোরবেলা নৌকা ছেড়ে ভীরপূর্নির ঘাট, তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে তারা চলে যাবে । সন্ধ্যাবেলায় তারা যখন ফিরে আসবে তখন মায়ের কোলে বসে এই বেড়ানোর গল্প সে বলবে ।
২.৫ ‘তখন পৃথিবী ছিল অনেক সবুজ, অনেক সুন্দর।’ – সেই সময়ের কথা ‘গাছেরা কেন চলাফেরা করেনা’ গল্পে কীভাবে ফুটে উঠেছে?
উত্তর: প্রচলিত গল্প “গাছেরা কেন চলাফেরা করে না” গল্পে প্রাচীনকালে গাছেরাও মানুষ ও অন্যান্য জীব জন্তুদের মত চলাফেরা করতে পারত । তখন পৃথিবী এখনকার থেকে অনেক বেশি সুন্দর ছিল । গাছ ও মানুষ একে অন্যের উপকারী বন্ধু ছিল । এছাড়া যানবাহন না থাকায় মানুষকে হেঁটে হেঁটে দূর-দূরান্ত যেতে হতো । তাদের মালপত্র গাছের ডালে ঝুলিয়ে দিলে গাছেরা সেগুলি বয়ে নিয়ে যেত । আবার বুড়ো লোকেদেরও গাছের ডালে বসিয়ে গন্তব্যস্থলে নিয়ে যেত ।
২.৬ ‘একা একা থাকতে নেই’ গল্পে বর্ষার রাতে কী ঘটেছিল ?
উত্তর: প্রচলিত গল্প “একা একা থাকতে নেই” এই গল্পে বর্ষার রাতে হঠাৎ দমকা হাওয়া দিয়ে পাহাড়ি ঝড় শুরু হয়েছিল । সেই হাওয়ার দাপটে সব ওলট পালট হয়ে গিয়েছিল । মাঠের গাছপালা কাপতে শুরু করেছিল বর্ষার রাতে এইগুলি হয়েছিল ।
২.৭ ‘আঃ ! আজ কী আরাম !’ – ‘আরাম’ কবিতায় শিশুটি ‘আরাম’ বোধ করে কেন ?
উত্তর: শঙ্খ ঘোষের লেখা “আরাম” কবিতায় পাখির ডাকে ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠে একটি শিশু দেখে তার দুপাশে বাবা-মা শুয়ে রয়েছে । পাশের ঘরে তার দিদি অসারে ঘুমাচ্ছে আর এই ঘরে পুতুল গুলি টুংটাং শব্দে নেচে উঠছে । একদিকে মুসলমানদের আজান আর অন্যদিকে রাম সীতার গান চলছে । তাই শিশুটির খুব আরাম বোধ হচ্ছে ।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৩.১ বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ কী কী ?
উত্তর :- বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ হল এগারটি । সেগুলি হল অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ ।
৩.২ ‘দ্বিস্বর’ কাদের বলা হয়?
উত্তর: যে ধ্বনির মধ্যে দুটি স্বরধ্বনি থাকে তাকে দ্বিস্বর বলে । যেমন – ঔ = ও + উ
৩.৩ বর্ণবিশ্লেষণ করো –
৩.৩.১ আকাঙ্ক্ষা,
৩.৩.২ বিদ্যাসাগর,
৩.৩.৩ স্বাধীনতা,
উত্তর:
৩.৩.১ আকাঙ্ক্ষা = আ + ক + আ + ঙ + খ+ আ
৩.৩.২ বিদ্যাসাগর = ব + ই + দ + য + আ + স + আ + গ + অ + র + অ
৩.৩.৩ স্বাধীনতা = স + ব + আ + ধ + ঈ + ন + অ + ত + আ
৩.৪ নীচের শব্দগুলো কী কী বর্ণ দিয়ে তৈরি ?
৩.৪.১ অসাবধানি,
৩.৪.২ বিপর্যস্ত,
৩.৪.৩ অবস্থান,
৩.৪.৪ সমুদ্র।
উত্তরঃ
৩.৪.১ অসাবধানি = অ, স, আ, ব, অ, ধ, আ, ন, ই
৩.৪.২ বিপর্যস্ত = ব, ই, প, অ, র, য, অ, স, ত, অ
৩.৪.৩ অবস্থান = অ, ব, অ, স, থ, আ, ন, অ
৩.৪.৪ সমুদ্র = স, অ, ম, উ, দ, র, অ
Class 3 বাংলা (BENGALI) Part 7 (October) Model Activity Task
Class 3 All Subject Part 7 (October) Model Activity Task
Class 3 Math (গণিত) Model Activity Task Part 6 (September)
Class 3 ENGLISH (ইংরেজি) Model Activity Task Part 6 (September)
Class 3 Poribesh (আমাদের পরিবেশ) Model Activity Task Part 6 (September)
Class 3 Health and Physical Education (স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা) Model Activity Task Part 6 (September)
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।