প্রবন্ধ – হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – শ্রীপান্থ | প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Suggestion 2022। Class 10 Bengali Suggestion 2022

প্রবন্ধ – হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – শ্রীপান্থ | প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Suggestion 2022। Class 10 Bengali Suggestion 2022“ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik / WB Madhyamik / MP Exam Class 10 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WBBSE Madhyamik Exam / Madhyamik Class 10th / Class X / Madhyamik Pariksha) পরীক্ষায় এখান থেকে কিছু প্রশ্ন অবশ্যই থাকবে । সে কথা মাথায় রেখে Wbshiksha.com এর পক্ষ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের দের জন্য় মাধ্যমিক বাংলা – হারিয়ে যাওয়া কালি কলমশ্রীপান্থ অতি আবশ্যক কিছু প্রশ্নোত্তর এবং সাজেশন

প্রবন্ধ

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম

শ্রীপান্থ

প্রবন্ধ – হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – শ্রীপান্থ | প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Suggestion 2022। Class 10 Bengali Suggestion 2022
সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে – প্রশ্নের মান ১

১। এ কথায় বলে কালি কলম মন, লেখে ……….’— শূন্যস্থানে কী বসবে –

 (ক) দুইজন।

(খ) একজন। 

(গ) তিনজন 

(ঘ) পাঁচজন

উত্তর – (গ) তিনজন 

২। পালকের কলমকে ইংরেজিতে বলে – 

(ক) স্টাইলাস

(খ) কুইল। 

(গ) স্টেনাে 

(ঘ) পাইলট

উত্তর – (খ) কুইল। 

৩। ‘লাঠি তােমার দিন ফুরাইয়াছে’ কথাটি হল – 

(ক) শরৎচন্দ্রের। 

(খ) বঙ্কিমচন্দ্রের। 

(গ) রবীন্দ্রনাথের 

(ঘ) সত্যজিৎ রায়ের

উত্তর – (খ) বঙ্কিমচন্দ্রের। 

৪। পাইলট কোন দেশের কলম — 

(ক) রাশিয়া

(খ) চিন। 

(গ) জাপান 

(ঘ) নেপাল

উত্তর – (গ) জাপান 

৫। কলমের দুনিয়ায় সত্যিকারের বিপ্লব ঘটায় — 

(ক) ফাউন্টেন পেন 

(খ) পালকের কলম

(গ) বল পয়েন্ট পেন 

(ঘ) খাগের কলম 

উত্তর – (ক) ফাউন্টেন পেন 

৬। টাইপরাইটারের ধরে ধরে লিখেছেন যিনি –

(ক) বঙ্কিমচন্দ্র | 

(খ) অন্নদাশঙ্কর রায় । 

(গ) রবীন্দ্রনাথ। 

(ঘ) নিখিল সরকার | 

উত্তর – (খ) অন্নদাশঙ্কর রায় । 

৭। ফাউন্টেন পেনের আদি নাম ছিল – 

(ক) স্টাইলাস। | 

(খ) রিজার্ভার পেন 

(গ) খাগের কলম 

(ঘ) পালকের কলম

উত্তর – (খ) রিজার্ভার পেন 

৮। ওর কাছে ক-অক্ষর গােমাংস; কার কাছে – 

(ক) অক্ষরজ্ঞানহীনের কাছে 

(খ) শিক্ষকের কাছে। 

(গ) ছাত্রদের কাছে।

(ঘ) লেখকের কাছে।

উত্তর – (ক) অক্ষরজ্ঞানহীনের কাছে 

প্রবন্ধ – হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – শ্রীপান্থ | প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Suggestion 2022। Class 10 Bengali Suggestion 2022

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী – প্রশ্নের মান ১

১। ওস্তাদ কলমবাজদের কী বলা হয় ? 

উত্তর – ওস্তাদ কলমবাজদের বলা হত ‘ক্যালিগ্রাফিস্ট’। 

২। খাগের কলম বর্তমানে কখন কোথায় দেখা যায় ? 

উত্তর – খাগের কলম বর্তমানে দেখা যায় সরস্বতী পূজার সময়।। 

৩। কোনাে ব্যক্তিকে কী দেখে দার্শনিক বলে মনে করা হত ? 

উত্তর – যে ব্যক্তি কানে কলম রেখে দুনিয়া খুঁজে বেড়ান, লেখকের মতে তাকে। দার্শনিক মনে করা হত। 

৪। ‘বাবু কুইল ড্রাইভার’ কাদের বলা হত ? 

উত্তর – বাঙালি লিপিকুশলীদের লর্ড কার্জন বলতেন ‘বাবু কুইল ড্রাইভার।

 ৫। ‘চন্ডী পড়েন কালীঘাটে’— কাদের সম্পর্কে বলা হত ? 

উত্তর – বিদ্যাহীন ব্যক্তিকে আগেকার দিনে ব্যঙ্গ করে বলা হত – কালির অক্ষর নাইকো পেটে / চন্ডী পড়েন কালিঘাটে। 

৬। ‘তা লেখককে নেশাগ্রস্ত করে’—কী লেখককে নেশাগ্রস্ত করে ? 

উত্তর – নিবের কলম লেখককে নেশাগ্রস্ত করে বলে প্রাবন্ধিক জানিয়েছেন।

৭।  বাংলায় একটা কথা চালু ছিল’—কী কথা ?

উত্তর – বাংলায় প্রচলিত কথাটি হল – কালি নেই কলম নেই বলে আমি মুনশি। 

 ৮। জুলিয়াস সিজার কী দিয়ে লিখতেন ? 

উত্তর – জুলিয়াস সিজার ব্রঞ্জের শলাকা দিয়ে লিখতেন, যার নাম ছিল স্টাইলাস।

প্রবন্ধ – হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – শ্রীপান্থ | প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Suggestion 2022। Class 10 Bengali Suggestion 2022

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর প্রশ্নের মান – ৫

 ১। ফাউন্টেন পেন’ বাংলায় কী নামে পরিচিত? নামটি কার দেওয়া বলে মনে হয়? ফাউন্টেন পেনের জন্ম ইতিহাস লেখাে। 

উত্তর – লেখক শ্রীপান্থের ‘হারিয়ে যাওয়া কালিকলম’ প্রবন্ধ সূত্রে জানা যায়, ফাউন্টেন পেন বাংলায় ‘ঝরণা কলম’ নামে পরিচিত।

প্রাবন্ধিক মনে করেন ‘ঝরণা কলম’ নামটি রবীন্দ্রনাথের দেওয়া হতে পারে।

ফাউন্টেন পেনের একটি জন্ম ইতিহাস আছে, যা অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী । লইস অ্যাডসন ওযাটাবম্যান এব স্রষ্টা। ওটাবম্যান ছিলেন একজন ব্যবসায়ী

তৎকালীন সময়ে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মতাে তিনিও দোয়াত কলম নিয়ে কাজে বের হতেন। এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে এমনই দোয়াত কলম নিয়ে চুক্তিপত্রে সই করতে গিয়েছিলেন। দলিল কিছুটা লেখা হয়েছে এমন সময়ে দোয়াত উপুর হয়ে কাগজের উপর পড়ে গেছে। তিনি কালির সন্ধানে বেরিয়ে পড়লেন, এ এসে শােনেন ইতিমধ্যে অন্য একজন তৎপর ব্যবসায়ী সইসাবুদ করে চুক্তিপত্র পাকা করে চলে গেছেন। কালির জন্য এই সমস্যা, এত বড়াে ক্ষতি তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাই মনে মনে এর বিহিত ব্যবস্থার জন্য উদ্যোগী হয়ে। পড়েন। তিনি অফুরন্ত কালির ফোয়ারা খুলে দিতে সক্ষম হন, এভাবেই জন্ম নেয় ফাউন্টেন পেন।

২। ‘এই ছিল তাঁদের ব্যবস্থাপত্র।’ – কী, কাদের ব্যবস্থাপত্র ছিল? এ বিষয়ে লেখকের সময়কালে কী ব্যবস্থা ছিল? অথবা, আমরা কালি তৈরি করতাম নিজেরাই। – পূর্বে কীভাবে কালি তৈরি হত? লেখকেরা কীভাবে কালি তৈরি করতেন? 

উত্তর – নিখিল সরকার ওরফে শ্রীপান্থ কালি তৈরির ব্যবস্থাপত্রের কথা বলেছেন। প্রাচীনেরা কালি তৈরি প্রসঙ্গে বলতেন, তিল ত্রিফলা সিমুল ছালা / ছাগ দুগ্ধে করি মেলা / লৌহপাত্রে লােহায় ঘসি / ছিড়ে পত্র না ছাড়ে মসি’ – অর্থাৎ তিল, আমলকি, হরিতকি, বহেড়া ও শিমুলছাল একত্রে বেটে ছাগদুগ্ধ মেশাতে হবে, লােহার পাত্রে রেখে লােহা দিয়ে পিষতে হবে এতে যে কালি তৈরি হবে তা কাগজ ছিড়ে গেলেও কালি উঠবে না।

লেখকের সময়কালে কালি তৈরির ব্যবস্থা অবশ্য একটু অন্যরকম ছিল। লেখক ছিলেন গ্রামের ছেলে সুতরাং রান্না হত কাঠের উনুনে। তাতে কড়াইয়ের তলায় বেশ কালি জমত। লাউপাতা দিয়ে সেই কালি ঘষে তুলে একটা পাথরের কাটিতে রাখা জলে গুলে নিতে হত। আবার অনেকে আরও ভালাে করতে ওই কালাে জলে হরিতকি ঘষত। কখনও আতপ চাল ভেজে পুড়িয়ে লাল টকটকে করে সেই জলে ছ্যাকা দেওয়া হত। অল্প জল থাকার কারণে অনেক সময় তা উগবগ করে ফুটত। তারপর ন্যাকড়ায় ছেকে মাটির দোয়াতে রাখা হত।

৩। ‘আশ্চর্য, সবই আজ অবলুপ্তির পথে।” – কোন জিনিস আজ অবলুপ্তির পথে? এই অবলুপ্তির কারণ কী? এ বিষয়ে লেখকের মতামত কী? 

উওর – নানাধরণের ফাউন্টেন পেন, কালি, দোয়াত, কলমদানি – এ সবই আজ অবলুপ্তির পথে। কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার এই অবলপ্তির কারণ।

লেখক এতে বিপন্ন বােধ করেন।

কলমের দ্বারা নিজের হাতে লেখাটা লেখকের কাছে প্রীতিকর। কিন্তু বিজ্ঞানের চরম উন্নতিতে লেখালেখির কাজকে অতি সহজসাধ্য ও উপযােগী করতে কম্পিউটারের ব্যবহার আজ সর্বত্র। তাই লেখক নস্টালজিক হয়ে পড়েন। কলমের অবলুপ্তির কথা ভেবে। তিনি আরও চিন্তিত এই কারণে যে হাতে লেখা হয়তাে চিরতরে মুছে যাবে, কী হবে ক্যালিগ্রাফিস্টদের অস্তিত্ব? এ সকল । ভাবনায় লেখক বিপন্নবােধ করেন।

৪। কলমের দুনিয়ায় যা সত্যিকারের বিপ্লব ঘটায় তা ফাউন্টেন পেন’ ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারক কে ? এই পেনের পূর্ব নাম কী ছিল ? এই পেনের বাংলা নাম কী ? এই পেন কীভাবে বিপ্লব ঘটিয়েছিল তা লেখাে। 

উত্তর – শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে উদ্ধৃতাংশটির অবতারণা করা হয়েছে।

কলমের দুনিয়ায় সাড়া জাগানাে ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারক হলেন লুইস অ্যাডসন ওয়াটার ম্যান।

  •  ফাউন্টেন পেনের পূর্বনাম ছিল রিজার্ভার পেন।
  •   ফাউন্টেন পেনের বাংলা নাম ঝরণা কলম।

আলােচ্য রচনায় লেখক কলমের নানা বিবর্তনের কথা আলােচনা করতে গিয়ে জানিয়েছেন, কলমের দুনিয়ায় সত্যিকারের বিপ্লব ঘটায় ফাউন্টেন পেন। তিনি বলেছেন, ফাউন্টেন পেন আবিষ্কারের আগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকমের কলম প্রচলিত ছিল। যেমন— বাঁশের কঞ্জি নির্মিত কলম, খাগের কলম, পশুর হাড়ের কলম, পাখির পালকের কলম, ব্রোঞ্জের কলম বা স্টাইলাস, তুলির কলম প্রভৃতি। তবে এই কলমগুলি কালিতে নিব ডুবিয়ে লিখতে হত যা ছিল অত্যন্ত সমস্যাজনক।

পরবর্তীকালে সৃষ্ট কলমের দুনিয়ায় যুগান্ত সৃষ্টিকারী ফাউন্টেন পেনের পূর্বনাম ছিল রিজার্ভার পেন। এই পেনটিকে উন্নত করে ফাউন্টেন পেন তৈরী করলেন ওয়াটারম্যান। তখন দেশ বিদেশের নানা সংস্থা নানা মুলেন। ফাউন্টেন পেন উৎপাদন করতে শুরু করে। ফলে কালিতে নিব ডুবিয়ে লেখার সেই সমস্যা আর থাকে না । বাজারেও বিভিন্ন মুল্যের নানা ফাউন্টেন পেনের আমদানি ঘটতে থাকে। যেমন – পাইলট পার্কার, শেফার্ড, ওয়াটারম্যান, পেনগুলির নিব ও হান্ডেলও ছিল নানাবিধ এবং মজবুত।

শৌখিন ও ধনী ব্যক্তিদের জন্য কোনাে কোনাে কলমের নিবে হীরে বসানাে থাকত, আবার কোনাে কোনাে প্লাটিনাম, সােনা ইত্যাদি দিয়ে মুড়ে আকর্ষণীয় করে তােলা হত। অফিস কাছারিতে চাহিদামতাে নানাবিধ ফাউন্টেন পেন ব্যবহৃত হতে লাগল। লেখক নিজেও ফাউন্টেন পেন ব্যবহার করতে শুরু করেন। লেখকের মতে এভাবেই ফাউন্টেন পেন সকলের হৃদয় জয় করে কলমের দুনিয়ায় বিপ্লব ঘটিয়েছিল।

৫। কলমকে বলা হয় তলােয়ারের চেয়েও শক্তিধর। আলােচ্য রচনা অবলম্বনে উদ্ধৃতাংশটির যথার্থতা আলােচনা কর। 

উত্তর –  প্রখ্যাত সাংবাদিক লেখক শ্রীপান্থ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে কলমের ব্যবহারের আলােচনা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন কলম তলােয়ারের চেয়েও বেশি শক্তিধর। এরকম একটি কথা প্রাচীন কাল থেকেই প্রচলিত ছিল। ‘অসির চেয়ে মসি বড়াে’। আলােচ্য রচনায় তিনি ওই মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন।

লেখকের মতে, কলম যে তলােয়ারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী তা মানুষের সামাজিক ইতিহাসে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। যুগে যুগে দেখা গেছে সমাজে যখন অত্যাচার, সন্ত্রাস, যুদ্ধের নির্মমতা নেমে এসেছে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ তখনই কলমকে হাতে তুলে নিয়েছে। সেই কলমে রচিত প্রতিবাদী রচনাই মানুষকে প্রতিবাদী ও সংঘবদ্ধ করে তুলেছে। এই কলমই মানবতার ওপর তলােয়ারের আঘাতের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং সামাজিক বিপ্লব ঘটিয়েছে। এ প্রসঙ্গেই লেখক উল্লেখ করেছেন বর্তমান সময়ে কলমের বিবর্তন হিসেবে বিজ্ঞানের সর্বশ্রেষ্ঠ কম্পিউটারের আবির্ভাব ঘটেছে। তা সত্ত্বেও বহু লেখক, সাহিত্যিক কলমকেই তাঁদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে চলেছেন। যা দেখে লেখক মনে আনন্দ পেয়েছেন। তিনি মনে করেন কলমের শক্তি কখনাে নষ্ট হতে পারে না, তাই তার ব্যবহার আজও স্তব্ধ হয়ে যায় নি।

ব্যঞ্জনাগত দিক থেকে কলম যে তলােয়ারের থেকেও শক্তিধর একথা স্বীকার করার পাশাপাশি আক্ষরিক অর্থেও যে কলম শক্তিশালী আরও একটি দৃষ্টান্ত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন – এই কলমের নিবের আঘাতে অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ‘ডমরুচরিত’ ও ‘কঙ্কাবতী’র লেখক ত্রৈলােক্যনাথ মুখােপাধ্যায় মারা গিয়েছিলেন। তাই আলােচ্য রচনা অবলম্বনে বলা যায় ব্যঞ্জনাগত ও আক্ষরিক দিক থেকে কলম তলােয়ারের থেকেও শক্তিধর।

৬। “কালি, কলম, মন লেখে তিনজন”কিন্তু কলম কোথায়”—লেখকের এ ধরনের মন্তব্যের কারণ কী? অংশটির তাৎপর্য লেখ। 

উত্তর:- 

মন্তব্যের কারণ:- হারিয়ে যাওয়া কালি কলম শীর্ষক প্রবন্ধে শ্রীপান্থ ছদ্মনামে লেখক নিখিল সরকার কালি কলমের অতীতের ছবি এবং বিবর্তনের পথ ধরে বর্তমানে তার অবস্থানের চমৎকার একটি দলিল পেশ করেছেন। আলােচ্য অংশে প্রচলিত বাংলা প্রবাদ বাক্যকে প্রারম্ভিক ব্যবহার করেছেন প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে।

লেখক একজন চাকুরিজীবী। তিনি যেখানে কাজ করেন সেটা একটা লেখালেখির অফিস। প্রাবন্ধিকের ভাষায় সবাই এখানে লেখক কিন্তু লেখকের চোখে ধরা পড়েছে অন্য ছবি। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি অফিসে কলম ব্যবহার করেন। বাকিরা সবাই কাজ করেন কম্পিউটারে। ফলে তাদের কলমের প্রয়ােজন নেই। এই বৈপরিত্যের কারণে লেখক আলােচ্য মন্তব্যটি করেন। তাৎপর্য:- সাহিত্য হল সৃষ্টি ও নির্মাণ। সাহিত্যিকের মনের কথা যখন শব্দ বন্ধে প্রকাশ পায় তখন তা সাহিত্য হয়ে ওঠে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন নীরব কবি বলে কিছু হয় না। অর্থাৎ ভাব ও কল্পনাকে রূপ দিতে হয়। এর আবশ্যিক উপাদান হল—কালি, কলম ও মন যা একটি লেখার নির্মাণকে শিল্পে পরিণত করেন। এ প্রসঙ্গে লেখক বলেছেন—কালি, কলম মন লেখে তিনজন।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

1 thought on “প্রবন্ধ – হারিয়ে যাওয়া কালি কলম – শ্রীপান্থ | প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Suggestion 2022। Class 10 Bengali Suggestion 2022”

  1. কথায় বলে কালি কলম মর লেখে তিনজন যুক্তিটি ব্যাখ্যা করো ?

    Reply

Leave a Comment