প্রাকৃতিক পরিবেশ কাকে বলে? শিশুর জীবন বিকাশে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভূমিকা আলোচনা করো?

প্রাকৃতিক পরিবেশ কাকে বলে? শিশুর জীবন বিকাশে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভূমিকা আলোচনা করো ?

উত্তর:- প্রকৃতি আপন নিয়মে পৃথিবীর প্রতিটি জীবের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য যে উপাদান গুলি তৈরি করেছে, সেই উপাদানগুলির সমবায়কে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলে। প্রাকৃতিক পরিবেশ সজীব এবং নির্জীব উভয় প্রকারের হতে পারে বা উভয় প্রকার উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত হয়। 

সজীব উপাদান হলো- উদ্ভিদ ও মানুষ সহ অন্যান্য প্রাণীরা। অন্যদিকে নির্জীব উপাদান হলো-জল, আলো, বায়ু, মাটি, তাপমাত্রা, ঘরবাড়ি, পাহাড়-পর্বত,রাস্তাঘাট ।

শিশুর জীবন বিকাশে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভূমিকা:

শিশুর জীবন বিকাশে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভূমিকা হল –

১) দৈহিক বিকাশ:- প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষের জীবন ধারার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে জৈবিক চাহিদা পূরণ করার মধ্য দিয়ে দৈহিক বিকাশে সাহায্য করে।

২) মানসিক বিকাশ:-প্রাকৃতিক পরিবেশে শিশুর জ্ঞানেন্দ্রিয় সক্রিয় হয়ে ওঠে ফলে তাঁর মানসিক ও বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটে।

৩) সৌন্দর্যবোধের বিকাশ:-প্রাকৃতিক রূপ, রস ,গন্ধ ও সৌন্দর্য শিশুর মনে সৌন্দর্যবোধের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।

৪) শৃঙ্খলা বোধের বিকাশ:-প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ হয় বিভিন্ন প্রাকৃতিক নিয়মাবলী দ্বারা, যা লঙ্খিত হলে সৃষ্টি বিপর্যস্ত হয়। এই কঠোর নিয়মাবলী শিশুর মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ জাগিয়ে তোলে।

৫) প্রাক্ষোভিক বিকাশ:-প্রাকৃতিক পরিবেশ শিশুর মধ্যে রাগ,ভয়,আনন্দ, স্নেহ ভালোবাসা প্রভৃতি প্রক্ষোভের বিকাশে প্রভাবিত করে।

৬) সৃজনশীলতা বিকাশ:-প্রাকৃতিক পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান যেমন-মাটি,জল, পাথর,কাঠ,পাতা, ফুল,ইত্যাদিকে ব্যবহারের মাধ্যমে শিশুর সৃজনশীলতার  বিকাশ ঘটে।

৭) কৌতূহলের বিকাশ:-প্রাকৃতিক পরিবেশের বিভিন্ন অজানা বিষয় ঘটনা জানতে চাওয়ার প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিশুর কৌতূহলের বিকাশ ঘটে।

৮) প্রত্যক্ষ ধারণার বিকাশ:-উন্মুক্ত আকাশ উদার প্রান্তর গাছপালা নদনদী প্রভৃতি সবকিছুই শিশু প্রকৃতিতে প্রত্যক্ষ করে। এর ফলে শিশুর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ধারণা জন্মায়।

৯) অভিজ্ঞতার বিকাশ:-প্রকৃতির পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি দেখে শিশুর অভিজ্ঞতা সঞ্চারিত হয়।” ঋতু সম্পর্কে”- জ্ঞান”।

১০) সামাজিক বিকাশ:- প্রাকৃতিক পরিবেশের মানুষ একত্রে বসবাস করে। তাদের মধ্যে শিয়া প্রাকৃতিক সম্পাদিত হয়। দলগত ভাবে বসবাস করতে করতে ব্যক্তির মধ্যে সহযোগিতা সহমর্মিতা সহানুভূতি প্রভৃতি গুণের বিকাশ ঘটে। এগুলিই হল শিশুর সামাজিক বিকাশ।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment