রশিদ আলি দিবস-এর প্রকৃতি ও তাৎপর্য কী ছিল? 

রশিদ আলি দিবস-এর প্রকৃতি ও তাৎপর্য কী ছিল?   4 Marks/Class 10

উত্তর:- আজাদ হিন্দ ফৌজের বিচারে ব্রিটিশ সরকার আজাদ হিন্দ বাহিনীর ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদকে সাত বছরের জন্য কারাদণ্ড দেয় (ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৬)। এর প্রতিবাদে —

১. গণ প্রতিবাদ : ১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় গণপ্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়। কলকাতায় আবদুর রশিদের মুক্তির দাবিতে ছাত্ররা বিশাল মিছিল বার করে। এই মিছিলে কংগ্রেস মুসলিম লিগ, কমিউনিস্ট ও খালসা দলের পতাকা পাশাপাশি উড়তে থাকে। 

২. শ্রমিকদের যােগদান : ছাত্রদের এই মিছিলে শ্রমজীবী মানুষরাও যােগ দেন। পুলিশ এই শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর লাঠি ও গুলি চালালে বিক্ষোভকারীরা সরকারি সম্পত্তিতে অগ্নিসংযােগ করে। রশিদ আলির মুক্তির দাবিতে কলকাতা ও শিল্পাঞ্চলগুলিতে শ্রমিক ধর্মঘট পালিত হয়। 

৩. জনসভা : ১২ ফেব্রুয়ারি ওয়েলিংটন স্কোয়ারে পালন করা। হয় রশিদ আলি দিবস’। এইদিন জনসভায় একই মঞ্চে বক্তৃতা দেন গান্ধিবাদী নেতা সতীশচন্দ্র দাশগুপ্ত, কমিউনিস্ট নেতা সােমনাথ লাহিড়ী এবং মুসলিম নেতা হােসেন শহীদ সুরাবর্দি।

গুরুত্ব : রশিদ আলি দিবসের বেশ কিছু গুরুত্ব ছিল, যেমন—
প্রথমত, আজাদ হিন্দ বাহিনীর ক্যাপ্টেন এটা ছিল আলির প্রতি অন্যায় বিচারের বিরুদ্ধে একটি সফল প্রতিবাদ।
দ্বিতীয়ত, এই আন্দোলনে ছিল মুসলিম লিগ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।
তৃতীয়ত, এই আন্দোলনে মুসলিম জনতার পাশাপাশি হিন্দু জনগণ, ছাত্র, শ্রমিকদের যােগদানের ফলে সাম্প্রদায়িকতার গণ্ডি ছাড়িয়ে জাতীয় আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!