গ্রিনহাউস প্রভাব ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্বউষ্ণায়ন কমানাের সম্ভাব্য উপায়গুলি আলােচনা করাে

গ্রিনহাউস প্রভাব ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্বউষ্ণায়ন কমানাের সম্ভাব্য উপায়গুলি আলােচনা করাে।
অথবা, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করতে কী কী উপায় অবলম্বন করা উচিত? Class 10 | Physical Science | পরিবেশের জন্য ভাবনা

উত্তর:- সমগ্র বিশ্ব জুড়ে উষ্ণতা বৃদ্ধির হার প্রশমিত করার জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করা জরুরি। এর ফলে একদিকে যেমন গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির নির্গমন হ্রাস পাবে তথা গ্রিনহাউস প্রভাবের মাত্রা কমবে তেমনি অন্যদিকে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধির মাত্রাও (বিশ্বউষ্ণায়ন) নিয়ন্ত্রিত হবে। এই উপায়গুলি নিম্নরূপ

(1) জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস: কাঠ, কয়লা, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার যথাসম্ভব কমিয়ে বায়ুমণ্ডলে CO2 এর অতিরিক্ত জোগান কমাতে হবে।

(2) বনসৃজনে উৎসাহদান: চোরাই কাঠ কাটা বন্ধ করতে হবে, বনভূমিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে এবং বনসৃজন করতে হবে। এর ফলে পরিবেশে CO2 এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত হবে।

(3) অপ্রচলিত শক্তি-উৎসের ব্যবহার বৃদ্ধি: সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জোয়ার-ভাটার শক্তি ইত্যাদি অপ্রচলিত শক্তি উৎসের ব্যবহার বাড়াতে হবে। এর ফলে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি কম পরিমাণে মিশবে।

(4) ফ্রেয়ন উৎপাদন ও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা: ফ্রেয়ন বা ক্লোরােফ্লুরােকার্বন (CFC) -এর উৎপাদন ও ব্যবহার ধাপে ধাপে বন্ধ করতে হবে। 

(6) জৈব আবর্জনার প্রক্রিয়াকরণ: জৈব আবর্জনার পচনে মিথেন গ্যাস মুক্ত হয়। তাই এই আবর্জনার সঠিক প্রক্রিয়াকরণ করা দরকার যাতে পরিবেশে মিথেন গ্যাস অনিয়ন্ত্রিত মাত্রায় না মেশে।

(6) নাইট্রোজেন-ঘটিত সারের ব্যবহার কমানাে: কৃষিজমিতে নাইট্রোজেন-ঘটিত সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে হবে। এর ফলে বায়ুতে নাইট্রোজেনের বিভিন্ন অক্সাইডগুলি কম মাত্রায় মিশবে।

(7) জনসচেতনতা বৃদ্ধি: গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির নির্গমন কমানোর উদ্দেশ্যে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। এর ফলে বিশ্বউষ্ণায়নের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হবে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment