আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্য লেখাে। Mark 4 | Class 10
উত্তর:-
ভূমিকা : আধুনিক ইতিহাসচর্চা হল প্রচলিত ইতিহাসচর্চা থেকে উত্তরণ। রাজার যুদ্ধজয়, দেশশাসন, রাজস্ব আদায় ও সাংবিধানিক কাজকর্মের ইতিহাসই ছিল প্রচলিত ইতিহাসচর্চার মূল বিষয়।
আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্য : বিশ শতকের গােড়া থেকে এই ধরনের ইতিহাসচর্চায় সমাজ ও অর্থনীতির অন্য বিষয়গুলিও যুক্ত হতে শুরু করে এবং নতুন ধরনের ইতিহাসচর্চা শুরু হয়; যেমন—
১) আধুনিক ইতিহাসচর্চা : আধুনিক ইতিহাসচর্চার বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি হল—যুক্তিবাদী, আপেক্ষিকতাবাদী, দৃষ্টবাদী, মার্কসবাদী, প্রত্যক্ষবাদী দৃষ্টিভঙ্গি। এ ছাড়াও রয়েছে অ্যানাল গােষ্ঠীর মতবাদ, জাতীয়তাবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, নিম্নবর্গীয় মতবাদ এবং সামগ্রিক সমাজ বিশ্লেষণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি।
২) নীচুতলার ইতিহাস : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইংল্যান্ডের কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও মার্কসবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী ইউরােপের ঐতিহাসিকগণ (ক্রিস্টোফার হিল, এরিক হবসবম, প্যাট্রিক জয়েস, এডওয়ার্ড থম্পসন প্রমুখ।) সমাজের নীচুতলা থেকে ইতিহাস রচনায় সচেষ্ট হন।
৩) নতুন সামাজিক ইতিহাস : ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে। ইউরােপ ও আমেরিকায় ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি। ও তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন, জাতি-বর্ণ ও জাতিবিদ্বেষ, হিংসা। ও সম্প্রীতিসহ সমগ্র সমাজের ইতিহাস রচনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া। হয় যা নতুন সামাজিক ইতিহাস নামে পরিচিত। |
এই ইতিহাসচর্চায় যুক্ত গবেষকরা হলেন—ইউজিন জেনােভিস, হারবার্ট গুটম্যান, রণজিৎ গুহ, জ্ঞানেন্দ্র পাণ্ডে, পার্থ চ্যাটার্জী, শাহিদ আমিন, সুমিত সরকার, গৌতম ভদ্র, দীপেশ চক্রবর্তী।
গুরুত্ব : ইতিহাসচর্চার উপকরণে অনেক নতুন সংযােজন ঘটেছে কারণ, সমস্ত কিছুর মাধ্যমেই সমাজ প্রতিফলিত হয়। তবে নতুন ইতিহাসকে সর্বজনগ্রাহ্য করে তুলতে হলে, সংগৃহীত তথ্যগুলিকে মিউজিয়াম, লেখ্যাগার, গ্রন্থাগারে রক্ষিত মৌলিক আকরের সঙ্গে হাতেকলমে যাচাই করে নিতে হয়।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।