নিরক্ষরতার অর্থ কী? নিরক্ষরতা দূরীকরণে গৃহীত কর্মসূচীগুলি সংক্ষেপে আলােচনা কর

নিরক্ষরতার অর্থ কী? নিরক্ষরতা দূরীকরণে গৃহীত কর্মসূচীগুলি সংক্ষেপে আলােচনা কর Class 12 | Sociology (সাম্প্রতিক কালের সামাজিক বিচার্য বিষয়) 3+5=8 Marks

উত্তর : নিরক্ষরতা সম্পর্কে ধারনালাভের আগে সাক্ষর সম্পর্কে ধারণা করা দরকার। কারণ সাক্ষরতাহীন । অবস্থাই সাধারণভাবে নিরক্ষরতা হিসাবে পরিগণিত হয়। সাধারনভাবে বলা যায়, যে ব্যক্তি কোন ভাষা। পড়তে ও লিখতে পারে সে সাক্ষর।

ভারতে আদম শুমারী অনুযায়ী সাক্ষরতার ধারণা : ভারতের আদমসুমারি কমিশন ২০০১ সালের । লােকগণনার নির্দেশাবলী অনুযায়ী, সাত এবং তার অধিক বয়সী কোন ব্যক্তি যদি কোন একটি ভাষায় সামর্থ্যের। সঙ্গে পড়তে এবং লিখতে সক্ষম হন, তাহলে তিনি সাক্ষর হিসাবে পরিগণিত হবে। কেবলমাত্র সই করতে । পারার সামর্থ্য সাক্ষরতা নয়। আবার কেবলমাত্র পড়তে পারলে, কিন্তু লিখতে না পারলে তা সাক্ষরতা হিসাবে। গণ্য হবে না।

সত্যেন মৈত্রর সংজ্ঞা : সাক্ষরতা বিশেষজ্ঞ সত্যেন মিত্র ভারতের বাস্তব অভিজ্ঞতার পরিপেক্ষিতে। সাক্ষরতার যে সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছেন তা অনুসারে চতুর্থ শ্রেণীর পড়া, লেখা ও অঙ্ক কষার মান ব্যবহারিক। সাক্ষরতার মান হিসাবে পরিগণিত হতে পারে। এই ন্যূনতম মানের নীচেও অক্ষর-জ্ঞানযুক্ত মানষ আছেন।

লােকগণনার সংজ্ঞা অনুযায়ী এই শ্রেণীর ব্যক্তি সাক্ষর বলে গণ্য হতে পারেন। কিন্তু ব্যবহারিক ক্ষেত্রে তারা নিরক্ষরতার সামিল। ব্যবহারের অভাবে তাদের অর্জিত সীমিত সাক্ষরতার জ্ঞান অচিরেই বিস্মৃত হয়ে যায় এবং তারা পুনরায় নিরক্ষর হয়ে পড়েন।

ইউনেস্কো প্রদত্ত অর্থ: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো (UNESCO) সাক্ষরতার ব্যাপারে যে মান নির্ধারণ করেছেন তা অনুসারে যে ব্যক্তি নিজের প্রাত্যহিক জীবনের উপর একটি সংক্ষিপ্ত ও সহজ বক্তব্য বুঝেসুঝে পড়তে ও লিখতে পারে সেই ব্যক্তি সাক্ষর হিসাবে গণ্য হবে। ব্যক্তিমানুষ তার সাক্ষরতাকে প্রাত্যহিক জীবনের কাজেকর্মে ব্যবহারে সক্ষম হবে; সাক্ষরতাকে জীবনযাত্রার মানােন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রয়ােগ করতে পারবে। সাক্ষরতার এই ধারণাব্যবহারিক সাক্ষরতা (functional literacy) নামে পরিচিত। 

নিরক্ষরতা দূরীকরণ সম্পর্কিত কর্মসূচিসমূহ

নিরক্ষরতা ভারতের জনজীবনের অভিশাপস্বরূপ। দেশ ও দেশবাসীর উপর এর বহু ও বিভিন্ন প্রভাব-প্রতিক্রিয়া উপলব্ধি করা যায়। নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে বিবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এই সমস্ত কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে আলােচনা করা হল—

‘বয়স্ক শিক্ষা কর্মসূচি’ (Adult Education Programme) : বয়স্ক শিক্ষা সম্পর্কিত ধারণার পরিবর্তন ও বিকাশ ঘটেছে বারে বারে। ১৯৪৭ সাল অবধি ‘বুনিয়াদি শিক্ষা’ (basic education)-ই বয়স্ক শিক্ষার মূল বিষয় হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। মূলত নৈশ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে এই কর্মসূচি কার্যকর করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে পাঠক্রমের মেয়াদ ছিল দু’বছর। এই পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত ছিল পঠন, লিখন, গণিত শিক্ষা (three R’s), গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক কাহিনীসমূহ, এবং স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যবিধি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কিত প্রাথমিক শিক্ষা। সন্ধ্যাবেলা দু-তিন ঘণ্টা ধরে পাঠদানের প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। ১৯৩৮-১৯৩৯ সালে বিভিন্ন প্রাদেশিক সরকার কর্তৃক সংগঠিত প্রাদেশিক গণ-স্বাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত হয়। হিসাব করে দেখা হয়েছিল যে, ১৯৩৮ সাল থেকে ১৯৪২ সালের মধ্যে প্রায় ১.৩৮ কোটি মানুষ সাক্ষর হয়েছিল। | 

পরবর্তী কালে স্বাধীন ভারতে ১৯৪৯ সাল থকে ১৯৬৬ সালের মধ্যে ‘পৌর সাক্ষরতা’ (civic literacy)-র ধারণাটির ব্যবহার শুধু হয়। এই ধারণাটি জীবনমুখী দৃষ্টিভঙ্গির উপর প্রতিষ্ঠিত। সামাজিক শিক্ষার মাধ্যমে এর বাস্তবায়নের উদ্যোগ-আয়ােজন শুরু হয়। ১৯৫২ সালে ধারণাটির অল্পবিস্তর সংস্কার সাধিত হয়। এই সময় ‘পৌর সাক্ষরতার ধারণাটিকে ‘সমষ্টি উন্নয়ন পরিকল্পনা’ (Community Development Project)-র সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। প্রথম দুটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময় ভারতব্যাপী এর বাস্তবায়নের ব্যাপারে উদ্যোগ-আয়ােজন গ্রহণ করা হয়। পরিসংখ্যানের পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয় যে প্রথম পরিকল্পনাকালে সাক্ষর হয় প্রায় পঁয়ত্রিশ লক্ষ নিরক্ষর এবং দ্বিতীয় পরিকল্পনাকালে প্রায় চল্লিশ লক্ষ নিরক্ষর।

তারও পরে ১৯৬৭ সালের মধ্যে ব্যবহারিক সাক্ষরতা’ (functional literacy)-র ধারণাটি প্রাধান্য পায়। ব্যবহারিক সাক্ষরতা কর্মসূচিতে কৃষকের শিক্ষা ও শ্রমিক বিদ্যাপীঠের উপর জোর দেওয়া হয়। ব্যবহারিক সাক্ষরতা শিক্ষার্থীর পেশাগত বিষয়াদির সঙ্গে সংযুক্ত। এই সাক্ষরতা উন্নয়নের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। ১৯৬৮ সালে ব্যবহরিক সাক্ষরতাকে কার্যকর করা হয়। শুরুতে মাত্র তিনটি জেলায় চালু করা হয়। তারপর পরের দশকে ব্যবহারিক সাক্ষরতার ব্যাপক বাস্তবায়ন পরিচালিত হয়। ১৯৭৭ সালের মধ্যে ৩৯৭টি জেলার মধ্যে ১৪৪টি জেলাকে এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হয়। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাকালে প্রায় তিরিশ লক্ষ কৃষক ব্যবহারিক সাক্ষরতার ক্লাসে অংশগ্রহণ করে। 

অতঃপর ১৯৭৮ সাল থেকে ‘উন্নয়নমূলক সাক্ষরতা (developmental literacy)-র ধারণাটি গৃহীত হয়। সামাজিক পরিবর্তনের দৃষ্টিভঙ্গির উপর এই ধারণাটি প্রতিষ্ঠিত। সামগ্রিক শিক্ষা অভিযান’ (TLC-Total Literacy Campaign)-এর মাধ্যমে এই ধারণাটির বাস্তবায়নের উপর জোর দেওয়া হয়। উন্নয়নমূলক সাক্ষরতার ধারণার আবির্ভাব ঘটে বিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশকে। সাক্ষরতার এই ধারণা অনুযায়ী সাক্ষরতা কেবলমাত্র পড়া, লেখা ও অঙ্ক শেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এ হল মানুষের মুক্তি এবং তার পরিপূর্ণ বিকাশ। সরকার ১৯৭৮ সালে জাতীয় বয়স্কশিক্ষা কর্মসূচি’ (NAEPNational Adult Education Programme) প্রণয়ন করে।

জাতীয় বয়স্ক শিক্ষা কর্মসূচি (NAEP-National Adult Education Programme): সকল নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষর করে তােলা ও শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৭৮ সালের ২রা অক্টোবর তারিখে। ‘জাতীয় বয়স্ক শিক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়। বিশেষত পনেরাে থেকে পঁয়ত্রিশ বছর বয়স্কদের এই কর্মসূচিতে যােগদান করার ব্যাপারে উদ্যোগ-আয়ােজন গ্রহণ করা হয়। | জাতীয় বয়স্ক শিক্ষা কর্মসূচির মধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত। এগুলি হল ঃ (ক) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার জনসংখ্যাকে সাক্ষরতার দক্ষতা প্রদান; (খ) তাদের ব্যবহারিক বিকাশসাধন, (গ) বয়স্ক নাগরিকদের সাক্ষর করে সামাজিক ক্রিয়াকাণ্ডের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদের মধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং স্বনির্ভরতার মানসিকতা গড়ে তােলা; এবং (ঘ) সরকারের বিভিন্ন নীতিসমূহ সম্পর্কে তাদের মধ্যে সচেতনতার সৃষ্টি। ভারতের নিরক্ষর জনগােষ্ঠীসমূহের মধ্যে মহিলা, তফসিলি জাতি ও উপজাতিসমূহ এবং সমাজের অন্যান্য দুর্বল অংশসমূহের আধিক্য অনস্বীকার্য। বিশেষত এদের মধ্যেই শিক্ষা ও সাক্ষতার প্রসারের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়।

জাতীয় শিক্ষা নীতি (National Policy on Education) : ১৯৮৬ সালে পার্লামেন্ট শিক্ষা সম্পর্কিত জাতীয় নীতি অনুমােদন করে। শিক্ষাবিষয়ক এই জাতীয় নীতির মধ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণ সম্পর্কিত বিবিধ কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত। শিক্ষা সম্পর্কিত জাতীয় নীতিতে প্রস্তাব করা হয় যে, পনেরাে থেকে পঁয়ত্রিশ বছর বয়স্ক ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বয়স্কশিক্ষা (adult education) এবং প্রবহমান শিক্ষা (continuing education)। কার্যকর করা হবে

গ্রামীণ ব্যবহারিক সাক্ষরতা কর্মসূচি’ (RFLPRural Functional Literacy Programme): ‘গ্রামীণ ব্যবহারিক সাক্ষরতা কর্মসূচি’ ১৯৮৬ সালের মে মাসে প্রথম চালু হয়। এই কর্মসূচির সম্পূর্ণ খরচ। কেন্দ্রীয় সরকার বহন করে। অঙ্গরাজ্যসমূহ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহ এই কর্মসূচিকে কার্যকর করে। এই কর্মসূচিকে কার্যকর করার কাজে ‘জাতীয় সমাজ সেবা প্রকল্প (NSS-National Social Service) এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী ছাত্রছাত্রীদের সংযুক্ত করা হয়। প্রত্যেকে একজনকে শিক্ষিত করবে’ (Each One Teach One)—এই নীতির ভিত্তিতে প্রকল্পটি পরিচালিত হয়।

১৯৮৬ সালের মে মাসে মাত্র দু’লক্ষ স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে এই কর্মসূচির যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯০ সালের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে সাড়ে চার লক্ষে দাঁড়ায় এবং চার লক্ষ কুড়ি হাজার শিক্ষার্থীকে এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হয়।

জাতীয় সাক্ষরতা মিশন (NLM-National Literacy Mission) : জাতীয় শিক্ষানীতির নির্দেশক্রমে জাতীয় সাক্ষরতা মিশন ১৯৮৮ সালের মে মাসে চালু করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল ১৯৯৫ সালের মধ্যে পনেরাে থেকে পঁয়ত্রিশ বছর বয়স্কদের মধ্যে অন্তত ৮০ মিলিয়ন মানুষকে ব্যবহারিক সাক্ষরতায়। (Functional literacy) সাক্ষরিত করে তােলা। বস্তুত এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল ১৯৯৫ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষকে সাক্ষরতার আওতায় নিয়ে আসা।

বলা হয় যে, সাক্ষরােত্তর (PL-Post-literacy) এবং প্রবহমান শিক্ষা (CE-Continuino Education)-র পর্যায়ক্রমিক ব্যবস্থাদির মাধ্যমে সামগ্রিক সাক্ষরতা অভিযান চলতে থাকবে এবং শক্তিশালী হবে। জাতীয় সাক্ষরতা মিশন’ সাক্ষরতা প্রদানের মাধ্যমে নিরক্ষর মানুষের মধ্যে সচেতনতা সষ্টি করতে চায় এবং তাদের ক্ষমতার আঙিনায় নিয়ে আসতে চায়।

ভারত সরকারের আরও পরিকল্পনা

১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বিশেষভাবে জনসংখ্যাবহুল নটি দেশের এক শীর্ষ সম্মেলন ভারতে অনুষ্ঠিত নয়। পৃথিবীর মােট নিরক্ষর মানুষের সত্তর শতাংশ এই নটি দেশেই বর্তমান। এই সম্মেলনে জোর দেওয়া হয় যাতে বিংশ শতাব্দীর শেষে এই দেশগুলিতে “সকলের জন্য শিক্ষা (EFA-En.. All)-কে সুনিশ্চিত করা যায়। প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্বের কথা বিশেষভাবে বলা হয় এই সম্মেলনে। 

১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে কোপেনহেগেন শহরে সংশ্লিষ্ট নটি দেশের প্রতিনিধিদের এক শীর্ষ সলে অনুষ্ঠিত হয়। সকলের জন্য শিক্ষা’ —এই নামে শীর্ষ সম্মেলনটি চিহ্নিত। এই সম্মেলনে ভারত সরকা মানবসম্পদ মন্ত্রক শিক্ষাক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতির জন্য পরিকল্পিত কর্মসূচিগুলির কথা বলেন। শিক্ষাক্ষেত্রে ত সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। এইগুলি হল : 

1. বিংশ শতাব্দীর সমাপ্তির মধ্যেই ছ’বছর থেকে চৌদ্দ বছর বয়সের সকলে স্কুলে যাওয়ার এত শিক্ষা লাভের সুযােগ পাবে। 

2. প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা এবং শিক্ষকের সংখ্যা উল্লেখযােগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হবে। 

3. গ্রামাঞ্চলে প্রত্যেক গ্রামের নাগালের মধ্যেই স্কুল গড়ে তােলা হবে 

4. প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন করার সঙ্গে সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষাকে বৃত্তিমূলক এবং উচ্চতর শিক্ষাকে যুক্তিগ্রাহ্য করে তােলা হবে। 

5. মাঝপথে যারা লেখাপড়া ছেড়ে দেয় তাদের সমস্যার মােকাবিলার জন্য মুক্ত বিদ্যালয় ব্যবস্থা গড়ে তােলা হবে। 

6. বয়স্ক শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় ১৯৯৭ সালের মধ্যে একশ’ মিলিয়ন মানুষকে নিয়ে আসা হবে। শিক্ষাখাতে সরকারি ব্যয়ের পরিমাণ উল্লেখযােগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই মােট জাতীয় আয়ের ছয় শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করা হবে। বর্তমানে মােট জাতীয় আয়ের ৩.৭ শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করা হয়। 

7. শিক্ষার বিস্তারে বেসরকারি সংস্থাসমূহের (NGO-Non Government Organisations) এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগকে উৎসাহিত করা হবে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment