নিষেক কাকে বলে ? সপুষ্পক উদ্ভিদের নিষেক পদ্ধতি এবং নতুন উদ্ভিদ গঠন সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

প্রশ্ন: নিষেক কাকে বলে ? সপুষ্পক উদ্ভিদের নিষেক পদ্ধতি এবং নতুন উদ্ভিদ গঠন সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

উত্তর:  যে পদ্ধতিতে পুংগ্যামেট এবং স্ত্রীগ্যামেট স্থায়ীভাবে মিলিত হয়ে ডিপ্লয়েড (2n) কোশ জাইগােট গঠন করে নতুন জীব সৃষ্টি করে, তাকে নিষেক (Fertilization) বলে।

সপঙ্কক উদ্ভিদের নিষেক পদ্ধতি :

1. পরাগযােগ : ফুলের পুংকেশরে পরাগধানী থেকে পরাগরেণু (n) উৎপন্ন হয় এবং বাহক দ্বারা বা বাহক ছাড়া একই ফুলের বা অন্য ফুলের স্ত্রীস্তবকের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয়।

2. পরাগরেণুর অঙ্কুরােদগম এবং পুংগ্যামেট সৃষ্টি : গর্ভমুণ্ড থেকে রস শােষণ করে পরাগরেণু স্ফীত হয় এবং অন্তস্তক থেকে একটি নল সৃষ্টি করে। একে পরাগরেণুর অঙ্কুরােদগম বলে। পরাগনালির মধ্যে নিউক্লিয়াস বিভাজিত হয়ে একটি নালিকা নিউক্লিয়াস এবং একটি জনন নিউক্লিয়াস গঠন করে। জনন নিউক্লিয়াসটি বিভাজিত হয়ে দু’টি পুংগ্যামেট গঠন করে। 

স্ত্রীগ্যামেট সৃষ্টি : ফুলের ডিম্বাশয়ে এক বা একাধিক ডিম্বক থাকে। ডিম্বকে রেণু মাতৃকোশ থেকে চারটি স্ত্রীরেণু বা মেগাস্পাের গঠিত হয়। তিনটি স্ত্রীরেণু নষ্ট হয় এবং একটি সক্রিয় স্ত্রীরেণু ভ্ৰণস্থলী গঠন করে এবং পরপর চার বার বিভাজিত হয়ে আটটি নিউক্লিয়াস গঠন করে। এর মধ্যে একটি ডিম্বাণু বা স্ত্রীগ্যামেট থাকে। 

নিষেক : পরাগনালিকা ভুণস্থলীতে প্রবেশ করলে পুংগ্যামেট দুটির একটি ভ্ৰূণস্থলীতে উৎপন্ন ডিম্বাণুর (n) সঙ্গে মিলিত হয়ে জাইগােট (2n) গঠন করে এবং অপর পুংগ্যামেটটি নির্ণীত নিউক্লিয়াসের সঙ্গে মিলিত হয়ে সস্য নিউক্লিয়াস (3n) গঠন করে। জাইগােট থেকে পরে ভূণ গঠিত হয় এবং সস নিউক্লিয়াস থেকে সস্য গঠিত হয়।

ভুণ, ফল ও বীজ গঠন : ডিপ্লয়েড জাইগােট মাইটোসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়ে ভ্রণ গঠন করে। ডিম্বকটি বীজে পরিণত হয় এবং ডিম্বাশয় পরিণত হয়ে ফল গঠন করে।

অপত্য উদ্ভিদ গঠন : বীজের মধ্যে অবস্থিত ভ্ৰূণ অনুকূল পরিবেশে অর্থাৎ আলাে উষ্ণুতা, অক্সিজেনের উপস্থিতিতে অঙ্কুরােদগম ঘটে এবং নতুন অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি করে। এর জ্বণমূল অংশ থেকে মূল এবং ভ্রণ মুকুল অংশ থেকে কাণ্ড গঠিত হয়।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment