প্রমাণ করাে যে, দুটি যুক্তিবাক্যই নঞর্থক হলে, তা থেকে কোনাে বৈধ সিদ্ধান্ত পাওয়া সম্ভব নয়। অথবা, দুটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে তা থেকে কোনাে সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় না। Class 12 | Philosophy ( নিরপেক্ষ ন্যায় ) ৮ Marks
উত্তর:-
প্রমাণ — দুটি আশ্রয়বক্য নঞর্থক হলে তা থেকে কোনাে সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় না
ন্যায়ের পঞ্চম নিয়মে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দুটি যুক্তিবাক্যই যদি নঞর্থক বচন হয়, তাহলে তা থেকে কোনাে বৈধ সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় না। অর্থাৎ দুটি যুক্তিবাক্য নঞর্থক হওয়া সত্ত্বেও যদি কোনাে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাহলে তা অবৈধ বা দোষযুক্ত রূপে গণ্য হয় | আর এরূপ দোষকে বলা হয়— দুটি নঞর্থক যুক্তিবাক্য বা আশ্রয়বাক্যজনিত দোষ।
এরুপ দোষের হেতু বা কারণ: নঞর্থক বচন হল সেই বচন যেখানে বিধেয়। পদটি উদ্দেশ্য পদ সম্পর্কে কোনাে কিছুকে অস্বীকার করে। আর বিধেয় পদটি যদি উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনাে কিছুকে অস্বীকার করে, তাহলে এটা প্রমাণিত হয় যে, নঞর্থক বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদের মধ্যে কোনাে। সম্বন্ধই থাপিত হয় না। এর ফলে দেখা যায় যে, দুটি যুক্তিবাক্যেই তথা প্রধান। ও অপ্রধান যুক্তিবাক্যে উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের মধ্যে কোনাে সম্পর্ক থাকে না। প্রধান যুক্তিবাক্যে থাকে সাধপদ এবং হেতুপদ। সেকারণেই প্রধান যুক্তিবাক্যে সাধ্যপদ ও হেতুপদের মধ্যে কোনাে সম্বন্ধ স্থাপিত হতে পারে। না। আবার অপ্রধান যুক্তিবাক্যে থাকে পক্ষপদ ও হেতুপদ এবং সেজন্যই এই দুটি পদের মধ্যেও কোনাে সম্বন্ধ নির্ণয় করা যায় না। এর ফলে দাবি করা সংগত যে, দুটি যুক্তিবাক্যই যদি নঞর্থকরূপে গণ্য হয়, তাহলে হেতুপদের সঙ্গে সাধ্যপদের ও পক্ষপদের কোনাে সম্বন্ধই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। আর হেতুপদ নিজেই যদি সাধ্য ও পক্ষ পদের সঙ্গে সম্বন্ধহীন হয়, তাহলে তার পক্ষে সিদ্ধান্তে পক্ষ ও সাধ্য পদের মধ্যে কোনাে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা। আদৌ সম্ভব নয়। সুতরাং প্রমাণ করা যায় যে, দুটি যুক্তিবাক্যই যদি নঞর্থক হয়, তাহলে তা থেকে কোনাে বৈধ সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় না। পক্ষান্তরে তাই বলা যায় যে, দুটি যুক্তিবাক্যের একটি নঞর্থক হলে অপরটি অবশ্যই সদর্থক হবে।
উদাহরণর সাহায্যে প্রমানের যথার্থতা : পক্ষান্তরে তাই বলা যায় যে, দুটি যুক্তিবাক্যর একটি নঞর্থক হলে অপরটি অবশ্যই সদর্থক হবে।
উদাহরণ | নায় যুক্তি: সক্রেটিস নন প্লেটো (E)প্লেটো অন অ্যারিস্টটল (E) অ্যারিস্টটল নন সক্রেটিস্ (E) ন্যায় যুক্তির আকার:কোনাে P নর M (E)কোনাে M নয় S (E) : কোনাে S নয় P (E), |
ব্যাখ্যা | এই দুটি উদাহরণের ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, যুক্তিবাক্যগুলি উভয়েই নর্থক| এর ফলে এই সমস্ত ক্ষেত্রে হেতুপদের দ্বারা সাধ্যপদের ও পক্ষপদের সব প্রতিষ্ঠা করা যায় না| স্বাভাবিকভাবেই তাই। সিদ্ধান্তে পাসদের সাধ্যপদের সম্বটিও প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। সে কারণেই এরূপ ন্যায় যুক্তিগুলি কখনােই বৈধরূপে গণ্য নয়। এই ধরনের ন্যায় অনুমানগুলি তাই সবসময়ই দোষযুক্ত| এই ধরনের দোষকেই বলা হয় দুটি নর্থক যুক্তিবাক্যজনিত দোষ | সুতরাং প্রমাণিত হয় যে, দুটি নর্থক যুক্তিবাক্য থেকে কোনাে বৈধ সিদ্ধান্ত নিকাশিত হতে পারে না। |
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।