বিকাশ বা পরিস্ফুরণ কী ? মানববিকাশের দশাগুলি সংক্ষেপে লেখাে। 

প্রশ্ন: বিকাশ বা পরিস্ফুরণ কী ? মানববিকাশের দশাগুলি সংক্ষেপে লেখাে। 

উত্তর: যে পদ্ধতিতে এককোশী জাইগােট কোশ বিভাজনের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্র গঠন করে একটি বহুকোশী জীবদেহ গঠন করে তাকে বিকাশ বলে।

মানববিকাশের বিভিন্ন দশা : মানববিকাশের পাঁচটি দশা নীচে আলােচনা করা। হলাে

সদ্যোজাত : ভ্রূণের প্রসব থেকে একবছর বয়স পর্যন্ত সময়কে সদ্যেজাত (Newborn) বলে। এই দশায় বৃদ্ধির হার দ্রুত হয়। শিশু মায়ের মুখ, শব্দ, আলাে প্রভৃতি চিনতে পারে।

শৈশব দশা : 3 বছর থেকে 10 বছর পর্যন্ত সময়কালকে শৈশব দশা বলে। এই দশায় শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি সম্পন্ন হয়। কথা বলতে শেখে, খেলাধুলার প্রতি আকৃষ্ট হয়। বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি বাড়ে। 

বয়ঃসন্ধি বা কৈশাের দশা : 1 থেকে 19 বছর পর্যন্ত সময়কালকে বয়ঃসন্ধিকাল বা কৈশাের দশা বলে। এইসময় ছেলেদের দাড়িগোঁফ বেরনাে শুরু হয়। জননগ্রন্থি (শুক্রাশয়) ও জনন অঙ্গ পরিণতি লাভ করে। মেয়েদের স্তনগ্রন্থি, স্ত্রী জননগ্রন্থি (ডিম্বাশয়) ও স্ত্রীজনন অঙ্গ পরিণতি লাভ করে প্রজননে সক্ষম হয় এবং বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে।

পরিণত দশা : 20 বছর থেকে 60 বছর পর্যন্ত সময়কালকে পরিণত দশা বলে। এইসময়ে বিচার করার ক্ষমতা, নিজস্ব মতামত প্রকাশ, বিভিন্ন প্রকার সমাজিক কাজে অংশগ্রহণ ইত্যাদি দেখা যায়। জননগ্রন্থি সম্পূর্ণভাবে সক্রিয় থাকে। এই দশার শেষের দিকে বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। ব্যক্তি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।

বার্ধক্য দশা : 60 বছর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময়কালকে বার্ধক্য দশা বলে। এই দশাতে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়, শ্রবণক্ষমতা কমে, ত্বক কুঁচকে যায়, অস্থি ভঙ্গুর হয়। এই দশায় স্মরণশক্তি কমে যায়। হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, বৃক্ক ইত্যাদি অঙ্গের কার্যক্ষমতা কমে যায়। এই দশাতে রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা কমে যায়।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment