দশম শ্রেনী (মাধ্যমিক) Class 10 Life Science বিভিন্ন প্রকার অঙ্গজ জনন পদ্ধতি সংক্ষেপে আলােচনা করাে।

বিভিন্ন প্রকার অঙ্গজ জনন পদ্ধতি সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

প্রশ্ন: বিভিন্ন প্রকার অঙ্গজ জনন পদ্ধতি সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

উত্তর:  অঙ্গজ জনন দু’রকমের হয় – 1. প্রাকৃতিক ও 2. কৃত্রিম 

প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন :

মূল : মিষ্টি আলুর রসালাে মুলে অস্থানিক মুকুল উৎপন্ন হয় যা পরে নতুন উদ্ভিদ উৎপন্ন করে। 

উদাহরণ : মিষ্টি আলু।

কাণ্ড : কচুরিপানার কাণ্ড মাটির সঙ্গে অনুভূমিকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং নতুন পর্ব সৃষ্টি করে। এই পর্ব থেকে পাতা ও মূল উৎপন্ন হয়। মূল দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়।

পাতা : পাথরকুচির পত্রকিনার থেকে অস্থানিক মুকুল সৃষ্টি হয়। এই মুকুল বৃদ্ধি পেয়ে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করে।

কৃত্রিম অঙ্গজ জনন :

শাখাকলম : কিছু উদ্ভিদের মূল, কাণ্ড বা পাতা কেটে নিয়ে অন্য স্থানে মাটিতে রােপণ করলে এবং উপযুক্ত পরিবেশে তার থেকে নতুন উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়। এই পদ্ধতিতে গােলাপ, সজনা, আম ইত্যাদি উদ্ভিদের শাখাকলম তৈরি হয়।

জোড়াকলম : এক্ষেত্রে একটি উদ্ভিদের শাখার সঙ্গে অন্য একটি একই প্রজাতির কম উন্নত উদ্ভিদের শাখা জুড়ে দেওয়া হয়। জোড়াকলমের অনুন্নত উদ্ভিদ যা মাটিতে আবদ্ধ থাকে তাকে স্টক বলে এবং উন্নত উদ্ভিদ যার জোড়া লাগানাে হয় তাকে সিয়ন বলে। দু’টি উদ্ভিদের শাখার ক্যাম্বিয়াম (জাইলেম ও প্লোয়েম) সংযুক্ত হলে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়। উদাহরণ – আম, জাম ইত্যাদিতে দেখা যায়।

মাইক্রোপ্রােপাগেশন বা অণুবিস্তারণ : যে পদ্ধতিতে উদ্ভিদের কোশ বা কলা বা অঙ্গ প্রভৃতির ক্ষুদ্রতম অংশ পালন বা কষর্ণ করে অল্প সময়ে একই রকমের উদ্ভিদের বংশবিস্তার ঘটানাে হয় তাকে অণুবিস্তারণ বা মাইক্রোপ্রােপাগেশন বলে।

              মাইক্রোপ্রােপাগেশনের মাধ্যমে উন্নত বৈশিষ্ট্যযুক্ত ও রােগমুক্ত অসংখ্য উদ্ভিদ অল্প সময়ে সৃষ্টি করা যায়।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!