মাইটোসিস কাকে বলে ?মাইটোসিস কোশ বিভাজনের প্রফেজ ও মেটাফেজ দশার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখাে।

প্রশ্ন: মাইটোসিস কাকে বলে ?মাইটোসিস কোশ বিভাজনের প্রফেজ ও মেটাফেজ দশার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখাে।

উত্তর:  যে ধারাবাহিক পদ্ধতির সাহায্যে কোনাে দেহ মাতৃকোশের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম একবার বিভাজিত হয়ে সমআকৃতি ও সমগুণসম্পন্ন এবং সমান সংখ্যক ক্রোমােজোমযুক্ত দুটি অপত্য কোশ সৃষ্টি করে তাকে মাইটোসিস বলে।

প্রফেজ দশার বৈশিষ্ট্য :

1. নিউক্লিও জালিকা থেকে উৎপন্ন ক্রোমাটিন সূত্রগুলি জল ত্যাগ করে (জল বিয়ােজন) স্পষ্ট হতে থাকে।

2. ক্রোমােটিডগুলি কুণ্ডলীকৃত হয়ে ছােটো ও মােটা হয় এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমােজোম সৃষ্টি করে।

3. নিউক্লিওলাস ক্রমশ ছােটো হতে হতে এই দশার শেষের দিকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়।

4. নিউক্লিওপর্দা বিলুপ্ত হয়। 

5. প্রাণীকোশের ক্ষেত্রে সেন্ট্রোজোম বিভক্ত হয়ে নিউক্লিয়াসের দুই মেরুতে অবস্থান করে।

মেটাফেজ দশার বৈশিষ্ট্য : 

1. নিউক্লিওপৰ্দা ও নিউক্লিওলাস সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়।

2. ক্রোমােজোমগুলি বিষুব অঞ্চলে বা নিরক্ষীয় তলে অবস্থান করে। 

3. বেতন্তুু গঠিত হয়। অবিচ্ছিন্ন বেমতন্তুু উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত। ক্রোমােজোমীয় তন্তুু উত্তর বা দক্ষিণ মেরু এবং ক্রোমােজোমের সেন্ট্রোমিয়ারের সঙ্গে যুক্ত থাকে।4.  উদ্ভিদকোশে মাইক্রোটিবিউলস বেতন্তু গঠন করে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment