মানুষের গমনে সচল বা সাইনােভিয়াল অস্থিসন্ধি এবং কঙ্কাল পেশীর ভূমিকা লেখাে। 

প্রশ্ন: মানুষের গমনে সচল বা সাইনােভিয়াল অস্থিসন্ধি এবং কঙ্কাল পেশীর ভূমিকা লেখাে। 

উত্তর: 

সচল বা সাইনােভিয়াল অস্থিসন্ধি : দুই বা ততােধিক অস্থির সংযােগস্থলকে অস্থিসন্ধি বলে। যে অস্থিসন্ধি বিচলন করতে পারে তাকে সচল অস্থিসন্ধি বা সাইনােভিয়াল অস্থিসন্ধি বলে। এই অস্থিসন্ধি সাইনােভিয়াল পর্দা দ্বারা আবৃত এবং এই অস্থিসন্ধিতে একটি তরল থাকে যা সাইনােভিয়াল তরল নামে পরিচিত। ইহা অস্থিকে ঘর্ষন জনিত আঘাত রােধ করে। 

উদাহরণ মানুষের দেহে সচল অস্থিসন্ধি হলাে :

কবজা সন্ধি : ইহা হাঁটু ও কনুইতে থাকে। এইপ্রকার সন্ধি কবজার মতাে একদিকে সঞ্চালিত হয়। বিপরীতদিকে সঞ্চালিত হতে পারে না।

বল ও সকেট সন্ধি : ইহা কাধে, কোমরে প্রভৃতি স্থানে থাকে। একটি অস্থির গােলাকার বলের মতাে অংশ অন্য অস্থির কাপের মতাে অংশে যুক্ত থাকে। এইপ্রকার সন্ধি বিভিন্ন দিকে সালিত হয়।

কঙ্কালপেশী ইহা বিভিন্ন প্রকারের হয় –

ফ্লেক্সর পেশী : অস্থি ভাজ হতে সাহায্য করে। 

যেমন : বাইসেপস। 

এক্সটেনশন পেশী : ভাঁজ করা অস্তিকে দুরে সরাতে সাহায্য করে। 

যেমন : ট্রাইসেপস পেশি। 

অ্যাবডাকশন পেশী : এই পেশি অঙ্গকে দেহ থেকে দুরে যেতে সাহায্য করে। 

যেমন : গ্লুটিয়াস মিডিয়াম পেশী। 

অ্যাডাকশন পেশী : এই পেশী অঙ্গকে দেহের কাছে আসতে সাহায্য করে। 

যেমন : অ্যাডাক্টর ম্যাগনাস পাক দেহের কাছে নিয়ে আসে। 

রােটেশন : অস্থির আবর্তনে সাহায্য করে। 

যেমন : পায়রিফরমিস।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

1 thought on “মানুষের গমনে সচল বা সাইনােভিয়াল অস্থিসন্ধি এবং কঙ্কাল পেশীর ভূমিকা লেখাে। ”

Leave a Comment