Class 11 Class 11 Bengali রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্তার ভূত’ ছােটোগল্প অবলম্বনে ভূতগ্রস্ত দেশবাসী এবং বিদেশিদের ঘােরানাে ঘানির তুলনামূলক আলােচনা করাে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্তার ভূত’ ছােটোগল্প অবলম্বনে ভূতগ্রস্ত দেশবাসী এবং বিদেশিদের ঘােরানাে ঘানির তুলনামূলক আলােচনা করাে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্তার ভূত’ ছােটোগল্প অবলম্বনে ভূতগ্রস্ত দেশবাসী এবং বিদেশিদের ঘােরানাে ঘানির তুলনামূলক আলােচনা করাে। 

উত্তর:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কর্তার ভূত’ রচনায় লেখক ভূতগ্রস্ত দেশের অধিবাসীদের ঘানি ঘােরানাের সঙ্গে বিদেশিদের ঘানি ঘােরানাের তুলনামূলক আলােচনা করেছেন। প্রথমে ভূতশাসিত ভূতুড়ে জেলখানার বর্ণনা দিতে গিয়ে লেখক বলেছেন যে, ভূতনিয়ন্ত্রিত দেশরূপ কারাগারে দেশবাসী অবিরত ঘানি ঘুরিয়েও এমন এক ছটাক তেলও উৎপন্ন করতে পারে না, যার বাজারমূল্য আছে। অন্যদিকে, পৃথিবীর অন্য দেশগুলিকে ভূতে পায়নি বলে সেসব দেশে ঘানি থেকে কেবল তেলই বের হয়। ভূতগ্রস্ত দেশবাসীর ঘানি ঘােরানাের ফলে তাদের তেজ বা প্রাণশক্তি বেরিয়ে যায়। সেই শক্তি বের হয়ে যাওয়ার ফলে দেশবাসী নেতিয়ে পড়ে। এই পেষণযন্ত্রে পেষণকারীর তেজই শুধু বেরিয়ে যায় না, তার রক্তও নিংড়ে বের করা হয়। এই রক্ত ভূতের খুলিতে ঢালার তরল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে ভূততন্ত্রকে সচল রাখে। অন্যদিকে, বিদেশের ঘানি থেকে নির্গত তেল যেমন সেই দেশের রথচক্রকে সচল রাখে, তেমনি সেইসব দেশের মানুষজনকে সচল, সজীব এবং জাগ্রত রাখে। দেশবাসীর ঘানি ঘােরানাের অর্থাৎ ধর্মতন্ত্র-নির্দেশিত শ্রমের ফলে অন্ন-বস্ত্র বাসস্থানের কোনাে সুরাহা হয় না। পৃথিবীর অন্য দেশগুলি এই ধর্মতন্ত্রের মােহজালে আচ্ছন্ন হয়ে নেই।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!