শিক্ষার্থীর আচরণগত সমস্যার প্রতিকারে শিক্ষকের ভূমিকা আলােচনা করো। Class 12 | Education (ভিন্ন ধরনের সক্ষমতার শিশুদের শিক্ষা) 4 Marks
উত্তর:-
শিক্ষার্থীর আচরণগত সমস্যার প্রতিকারে শিক্ষকের ভূমিকা
সাধারণত নির্দিষ্ট বয়সে শিশু প্রথাগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং নতুন সামাজিক পরিবেশের সম্মুখীন হয়। শিশুর নতুন ধরনের অভিযােজন শুরু হয়, যার ফলে বিভিন্ন কারণে সমস্যামূলক আচরণ দেখা দিতে পারে। এই জন্য শিক্ষার্থীর সমস্যামূলক আচরণ প্রতিরােধ ও প্রতিকারে শিক্ষকের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নীচে শিক্ষকের ভূমিকাগুলি উল্লেখ করা হল—
[1] আচরণ মনস্তত্ব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন : সাধারণ সমস্যামূলক আচরণ নির্দিষ্টকরণ এবং সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীদের আচরগ মনস্তত্ব সম্পর্কে শিক্ষককে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তিনি অবশ্যই শিক্ষার্থীদের শুভানুধ্যায়ী হবেন এবং শিক্ষাদানকালে নিষ্ঠাবান হবেন | শিক্ষার্থীদের জীবনদর্শন গঠনে তাকে উদ্যোগী হতে হবে | শ্রেণিকক্ষে পঠনপাঠনের অনুকূল আবহাওয়া সৃষ্টি করার কৌশলগুলি সম্পর্কে শিক্ষক অবহিত হবেন।
[2] বক্তব্য প্রকাশে শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা : শিক্ষার্থীদের বক্তব্য প্রকাশের। স্বাধীনতা দিতে হবে। তারা যাতে নির্ভয়ে সব কথা বলতে পারে, সেই আবহাওয়া সৃষ্টি করতে হবে।
[3] শ্রেণিকক্ষে মানবিক সম্পর্ক গঠন: মানবিক সম্পর্ক গঠনের ওপর আলাদা ক্লাস’ করা যেতে পারে। এই ক্লাসে মানবিক সম্পর্ক সম্পর্কিত তাত্ত্বিক আলােচনা হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলির চরিত্র, সমাধানের পদ্যা ইত্যাদির ওপর আলােচনা করা হবে।
[4] নীতি ও যৌন শিক্ষা ; বয়ঃসন্ধিক্ষণের অধিকাংশ সমস্যাই নৈতিকতা ও যৌনতা সম্পর্কিত অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। এগুলি সুস্থ মানসিক স্বাস্থ্যের অন্তরায়। তাই নৈতিক শিক্ষা ও যৌন শিক্ষা এই বয়সের শিক্ষার্থীদের জন্য। বিশেষ জরুরি।
[5] শিল্প ও সাহিত্য সৃষ্টি: শিল্প ও সাহিত্য সৃষ্টির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হতে পারে সেজন্য শিক্ষক শিক্ষার্থীদের শিল্প ও সাহিত্য সৃষ্টিতে উৎসাহ দেবেন।
[6] জীবনশৈলী শিক্ষার ব্যবস্থা : জীবনশৈলী শিক্ষা হল সেই ধরনের গুণাবলি বা দক্ষতা অর্জন, যা সুষ্ঠু অভিযােজন এবং ইতিবাচক আচরণেরজন্য প্রয়ােজন। প্রাত্যহিক জীবনের চাহিদা এবং ঢালো ওকে সার্থকভাবে মােকাবিলা করার জন্য জীবনশৈলী শিক্ষা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্ব স্বাক্ষ্য সংস্থা সুস্থ মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য দশটি গুণের কথা উদ্বেগ করেছে, যা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিকাশে সচেষ্ট হবে। এই পাবারগুলি। হল—সিদ্ধান্তগ্রহণ, সমস্যাসমাধান, সৃজনশীল চিন্তন, সমালোচনামূলক চিন্তা, কার্যকরী যােগাযােগ, পারস্পরিক সম্পর্কচ্ছপিন, আত্মিসচেতনতা, সহানুভুতি (empathy), ক্ষোভিক ভারসাম্য এবং মানসিক চাপের সঙ্গে মােকাবিলা।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।