সহপরিবর্তন পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যগুলি কী?

সহপরিবর্তন পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যগুলি কী? Class 12 | Philosophy (মিলের পরিক্ষণমূলক পদ্ধতি) 8 Marks

উত্তর:-

সপরিবর্তন পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য 

সহপরিবর্তন পদ্ধতির সংজ্ঞাটিকে বিশ্লেষণ করলে তার কতকগুলি নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে। সহপরিবর্তন পদ্ধতির এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলিকে নীচে উল্লেখ করা হল 

[1] তৃতীয় অপসারণের সুত্রের ওপর প্রতিষ্ঠিত: সহপরিবর্তন পদ্ধতির প্রথম ও প্রধান বৈশিষ্ট্য হল যে, এই পদ্ধতিটি তৃতীয় অপসারণের সূত্রের ওপর প্রতিষ্ঠিত। কারণ, তৃতীয় অপসারণের সুত্রে ঘটনা দুটির মধ্যে হ্রাসবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতেই কার্যকারণের মধ্যে সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বলা হয়েছে। 

[2] যে-কোনাে ধরনের পরিবর্তন স্বীকৃত: সহপরিবর্তন পদ্ধতির ক্ষেত্রে ঘটনা দুটির মধ্যে যে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে, তা একমুখী পরিবর্তন হতে পারে, আবার তা বিপরীতমুখী পরিবর্তনও হতে পারে। অর্থাৎ, যে-কোনাে ধরনের পরিবর্তনই এখানে গ্রাহ্য হতে পারে। 

[3] পরিমাণগত পরিবর্তনের একমাত্র পদ্ধতি: সহপরিবর্তন পদ্ধতি হল এমনই এক পদ্ধতি যেখানে শুধুমাত্র কারণ ও কার্যের পরিমাণগত পরিবর্তনের বিষয়টিকে মেনে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আর অন্য কোনাে পদ্ধতির ক্ষেত্রেই পরিমাণগত পরিবর্তনের বিষয়টিকে মেনে নেওয়া হয়নি। 

[4] ব্যাপক সংখ্যক দৃষ্টান্ত বিবেচনার অন্তর্ভুক্ত: সহপরিবর্তন পদ্ধতির ক্ষেত্রে পরিমাণগত বিষয়টিকে মেনে নেওয়া হয়েছে বলেই, আমরা প্রচুর সংখ্যক দৃষ্টান্তকে আমাদের বিবেচনার অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। বিভিন্ন রকম পরিবর্তনের বিষয়টিকে বােঝানাের জন্য দৃষ্টান্তের সংখ্যাও তাই ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।

[5] পর্যবেক্ষণের ব্যাপকতা: পর্যবেক্ষণের ব্যাপকতাকে সহপরিবর্তন পদ্ধতির অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্যরূপে উল্লেখ করা হয়। কারণ, এখানে আমরা ব্যাপক পর্যবেক্ষণলব্ধ ঘটনাগুলির সঙ্গে পরিমাণের হেরফের করে সেগুলিকে আরও ব্যাপকরূপে উপস্থাপিত করতে পারি। 

[6] বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের একমাত্র উপযুক্ত পদ্ধতি: বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে সহপরিবর্তন পদ্ধতিই একমাত্র উপযুক্ত পদ্ধতি হিসেবে গণ্য। কারণ, বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের জন্য প্রয়ােজন হল স্থায়ী কার্যকারণ সম্বন্ধের জ্ঞান। স্থায়ী কার্যকারণ সম্বন্ধের বিষয়কে কখনােই অপসারণ করা যায় না। কিন্তু তার হ্রাসবৃদ্ধি ঘটানাে যেতেই পারে। 

[7] অন্বয়ী পদ্ধতি ও ব্যতিরেকী পদ্ধতির রুপান্তর: সহপরিবর্তন পদ্ধতিটি দুটি মৌল পদ্ধতির (fundamental methods) রূপান্তর হিসেবে গণ্য। কারণ, এরূপ পদ্ধতিটি ক্ষেত্রবিশেষে অন্বয়ী পদ্ধতির রূপান্তর হিসেবে, আবার ক্ষেত্রবিশেষে ব্যতিরেকী পদ্ধতির রুপান্তর হিসেবে গণ্য।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment