স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশন কবে গঠিত হয়? ওই কমিশনের সদস্য কারা ছিলেন? ওই কমিশন নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের উদ্দেশ্যে যেসব উপায় অবলম্বন করেছিল তা উল্লেখ করাে।

স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশন কবে গঠিত হয়? ওই কমিশনের সদস্য কারা ছিলেন? ওই কমিশন নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের উদ্দেশ্যে যেসব উপায় অবলম্বন করেছিল তা উল্লেখ করাে। Class 12 | Education | 8 Marks

উত্তর:

স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশন গঠন

স্বাধীন ভারতে প্রথম শিক্ষা কমিশন তথা রাধাকৃয়ণ কমিশন 1948 খ্রিস্টাব্দের 5 নভেম্বর গঠিত হয়।

কমিশনের সদস্য

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের মােট সদস্যসংখ্যা ছিল 101 এঁরা হলেন — 

ভারতীয় সদস্যড. সর্বপল্লি রাধাকৃয়ণ (সভাপতি)
ড. নির্মল কুমার সিদ্ধান্ত (সদস্য সম্পাদক)
ড. তারা চাদ
ড. জাকির হােসেনড.
লক্ষ্মণস্বামী মুদালিয়রড.
মেঘনাদ সাহাড.
কমল নারায়ণ বহল
বিদেশি সদস্যড. জেমস এম ডাফড.
আর্থার ই মরগ্যান
ড. টি গার্ট 

কমিশনের কর্ম-পরিচালন নীতি বা পন্থা

রাধাকৃষ্ণণ কমিশন নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের উদ্দেশ্যে যেসব উপায় অবলম্বন করেছিল, সেগুলি হল— 

[1] প্রশ্নপত্র রচনা ও প্রেরণ : কমিশন দায়িত্বগ্রহণের পর তথ্যসংগ্রহের উদ্দেশ্যে ব্যাপক মাত্রায় প্রশ্নগুচ্ছ (questionnaire) প্রস্তুত করে। এরপর, নির্ধারিত সময়ের আগেই উত্তরদানের অনুরােধ জানিয়ে ওই প্রশ্নগুচ্ছ দেশের প্রতিটি রাজ্যে পাঠানাে হয়। প্রশ্নগুচ্ছ যাদের কাছে পাঠানাের ব্যবস্থা হয়, তারা হলেন—i. প্রতিটি রাজ্য সরকারের বিধানমণ্ডলীর সভ্য, ii. প্রতিটি রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, iii. প্রতিটি রাজ্যের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, iv. দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, V. প্রতিটি রাজ্য সরকারের শিক্ষা অধিকর্তা, vi. দেশের প্রতিটি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, vii. দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান।

[2] সংখ্যাতত্ত্ব বিভাগের সঙ্গে সংযােগসাধন : প্রশ্নগুচ্ছের উত্তর সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন বিভাগে পত্রালাপের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাশিবিজ্ঞান বা সংখ্যাতত্ত্ব বিভাগ এবং স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউটের সঙ্গে সংযােগসাধনের ব্যবস্থা করা হয়। এই সংযােগসাধনের মূল উদ্দেশ্য ছিল তথ্যসংগ্রহ এবং তথ্য বিশ্লেষণে প্রয়ােজনীয় সাহায্যগ্রহণ |

[3] মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় সমীক্ষা : পত্রের মাধ্যমে প্রশ্নগুচ্ছ পাঠিয়ে তথ্যসংগ্রহের পর কমিশনের সভ্যরা দেশের বিভিন্ন মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হয়ে সমীক্ষা চালানাের ব্যবস্থা করেন। এর ফলে মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন অবস্থা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা লাভের সুযােগ ঘটে। 

[4] তথ্য বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন পেশ : কমিশন পরােক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে সংগৃহীত তথ্যগুলি পর্যালােচনা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করে | 1949 খ্রিস্টাব্দে কমিশন সেই প্রতিবেদনটি সরকারের নিকট পেশ করে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment