উত্তর-পূর্ব ভারতের পার্বত্য অঞ্চল বা পূর্বাচলের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। Class 10 | Geography | 5 Marks
উত্তর:-
উত্তর-পূর্ব ভারতের পার্বত্য অঞ্চল বা পূর্বাচল:
অবস্থান: ভারতের উত্তর-পূর্ব দিকে পূর্ব হিমালয়ের অনুচ্চ পর্বতশ্রেণি এবং উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ দিকে প্রসারিত হিমালয়ের বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন শাখা-পর্বতশ্রেণি ও পাহাড় নিয়ে গঠিত অঞ্চলকে উত্তর-পূর্ব ভারতের পার্বত্য অঞ্চল বা পূর্বাচল বলা হয়। অরুণাচল প্রদেশের দক্ষিণাংশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং অসমের কাছাড় জেলা জুড়ে বিস্তৃত এই পার্বত্য অঞ্চল পশ্চিমে মেঘালয় মালভূমির সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে।
ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য: 1. অরুণাচল প্রদেশের পাটকই ও মিশমি পাহাড় উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত। মিশমির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ দাফাবুম (4578মি) পূর্বাচল তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের পার্বত্য অঞ্চলেরও সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গ। 2. পাটকই পাহাড় আরও দক্ষিণে নাগাল্যান্ডের মধ্যে প্রসারিত বরাইল পাহাড়ের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। বরাইল পাহাড় আরও পূর্বদিকে প্রসারিত হয়ে কোহিমা পাহাড় এবং নাগা পাহাড়ের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। কোহিমা পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল জাপাভাে (2995 মি) এবং নাগা পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সারামতি (3926 মি)। বরাইল পাহাড়ের একটি

অংশ অসমের কাছাড় হয়ে মেঘালয় মালভূমির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। মেঘালয় মালভূমির উল্লেখযােগ্য অংশ হল—গারাে, খাসি ও জয়ন্তিয়া পাহাড়। 3. নাগাল্যান্ডের দক্ষিণ দিকে পাহাড়গুলির উচ্চতা ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে। মণিপুরে এই ধরনের অনুচ্চ পাহাড় শ্রেণির মাঝে একটি সুন্দর উপত্যকার সৃষ্টি হয়েছে। এর নাম ইম্ফল উপত্যকা। এর মাঝখানে রয়েছে লােকটাক হ্রদ। 4. মণিপুরের অনুচ্চ পাহাড়গুলি অবশেষে মিজোরামে লুসাই বা মিজো পাহাড়ের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। লুসাই পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ফাংপুই (2157 মি)। 5. ত্রিপুরায় লুসাই পাহাড়ের সঙ্গে সমান্তরালভাবে অবস্থিত ছয়টি প্রায় সমান্তরাল পাহাড়শ্রেণি (স্থানীয় নাম টাং’) দেখা যায়। এগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ হল জাম্পুইটাং। জাম্পুইটাং-এর বেতলিংসিব (960 মি) ত্রিপুরার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। উত্তর-পূর্বের পার্বত্য অংশ আরাকান ইয়ােমা পর্বতশ্রেণির অংশ হিসেবে আরও দক্ষিণে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল হয়ে মায়ানমারে প্রবেশ করেছে।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।