কীভাবে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টিপাত হয় ? অথবা, সীমান্ত বৃষ্টি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখাে।

কীভাবে নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টিপাত হয় ? অথবা, সীমান্ত বৃষ্টি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখাে। Class 10 | Geography | 5 Marks

উত্তর: নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টি বা সীমান্ত বৃষ্টি সৃষ্টির পদ্ধতিঃ

নাতিশীতোষ্ণ অঞলে যখন দুটি বিপরীতমুখী ও ভিন্নধর্মী বায়ু মিলিত হয়, সেখানে ওই দুই বায়ুর উষ্ণতা ও আর্দ্রতার পার্থক্য হয় বলে উভয়ের মিলনস্থলের বা সংঘর্ষস্থলের বায়ুমণ্ডলে গােলযােগ সৃষ্টি হয় এবং তার ফলে সেখানে যে ঘূর্ণবাতের উৎপত্তি ঘটে, তাকেই নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণত বলে। যেমন—উত্তর গােলার্ধের নাতিশীতোষ্ণ অঞলে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে শীতল ও শুষ্ক মেরু বায়ু এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে উষ্ণ ও আর্দ্র পশ্চিমা বায়ু যখন পরস্পর মুখােমুখি এগিয়ে এসে মিলিত হয়, কখন উভয়ের মিলনস্থলে বা সংঘর্ষস্থলে দুটি আলাদা সীমান্তের উৎপত্তি হয়। উষ্ণ বায়ু যেখানে শীতল বায়ুর মধ্যে বক্রাকারে প্রবেশ করে, সেই । সীমানাকে উষ্ণ সীমান্ত বলে। উষ্ণ বায়ুর পিছনে যেখানে শীতল বায়ু এসে । ধাক্কা দেয়, সেই সীমানাকে শীতল সীমান্ত বলে।

১) উষ্ণ সীমান্তে বৃষ্টিপাত: উষ্ণ সীমান্ত অঞলে উয় বায়ু শীতল মেরু বায়ুর ওপরে উঠে যায় এবং শীতল ও ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। 

২) শীতল সীমান্তে বৃষ্টিপাত: শীতল সীমান্তে শীতল বায়ু উয় বায়ুকে পিছন থেকে ঠেলে দেয়। ফলে উয় বায়ু ওপরে উঠে শীতল হয়ে মেঘ তৈরি করে ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাত ঘটায়।

উদাহরণ: ইউরােপের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতকালে নাতিশীতােয় ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টিপাত সৃষ্টি হয়।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment