ভারতকে বৈচিত্র্যময় জলবায়ুর দেশ বলে কেন? Class 10 | Geography | 3 Marks‘
উত্তর:
ভারতকে বৈচিত্র্যময় জলবায়ুর দেশ বলার কারণ: ভারত মৌসুমি জলবায়ুর দেশ হলেও আয়তনে সুবিশাল বলে দেশের বিভিন্ন অংশে জলবায়ুর বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়, যেমন—
1) উষ্ণতার বৈচিত্র্য: ভারতের সর্বত্র উষ্ণতা এক রকম নয়। দেশের উপকূলভাগে মাঝারি ও সমভাবাপন্ন উষ্ণতা বিরাজ করলেও মধ্য ও উত্তর ভারতে শীত ও গ্রীষ্মের মধ্যে উষ্ণতার পার্থক্য খুবই বেশি অর্থাৎ চরমভাবাপন্ন জলবায়ু বিরাজ করে। আবার, গ্রীষ্মকালে যেমন রাজস্থানের থর মরুভূমিতে উষ্ণতা বেড়ে 50 °সে হয়ে যায়, তেমন লাডাকে শীতকালে তাপমাত্রা কমে গিয়ে – 45 °সে পর্যন্ত হয়। স্থানভেদে উষ্ণতার বিরাট পার্থক্য বৈচিত্র্যময় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য।
২) উষ্ণতার প্রসরে বৈচিত্র্য: যেখানে দক্ষিণ ভারতে বার্ষিক উষ্ণতার প্রসর 4-6° সে, সেখানে উত্তর ভারতে উষ্ণতার প্রসর প্রায় 20°-25°সে।।
৩) বৃষ্টিপাতের বৈচিত্র্য: মেঘালয় মালভূমির দক্ষিণ ঢালে যেমন অতিবর্ষণে পৃথিবীর সর্বাধিক বর্ষণসিক্ত অঞ্চল তৈরি হয়েছে, তেমন। ভারতের উত্তর-পশ্চিমে রাজস্থানের পশ্চিমভাগে বৃষ্টিপাতের। স্বল্পতার জন্য মরুভূমি সৃষ্টি হয়েছে।
৪) বায়ুপ্রবাহে বৈচিত্র্য : ভারতে সাধারণভাবে শীতকালে উত্তর-পূর্ব এবং বর্ষাকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হলেও ভারতের বিভিন্ন অংশে অনেক স্থানীয় এবং আকস্মিক বায়ুও প্রবাহিত হয়। যেমন— গ্রীষ্মে লু, আঁধি, আবৃষ্টি, কালবৈশাখী, শরতে আশ্বিনের ঝড়, শীতে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ভারতের জলবায়ুকে বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে।
৫) ঋতুবৈচিত্র্য: শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরৎ—এই চারটি ঋতু চক্রাকারে। আবর্তিত হয়ে ভারতের জলবায়ুকে বৈচিত্র্যময় করেছে।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।