বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা বলতে কী বােঝ? বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা থেকে কী কী সুবিধা পাওয়া যায়?

বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা বলতে কী বােঝ? বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা থেকে কী কী সুবিধা পাওয়া যায়? 2+3    Class 10 | Geography | 5 Marks

উত্তর:-

বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা : যে পরিকল্পনার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে বা ঊর্ধ্বপ্রবাহে নদীর ওপর আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে সমগ্র নদী উপত্যকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলসেচ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, জলপথে পরিবহণ, মাছ চাষ, পানীয় জল সরবরাহ প্রভৃতি বহুবিধ উদ্দেশ্য সাধিত হয় এবং নদী উপত্যকা অঞ্চলের সার্বিক কল্যাণ রূপায়িত হয়, তাকে বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা বলে। যেমন—ভারতে দামােদর, শতদ্রু, মহানদী, কৃষ্ণা, গােদাবরী প্রভৃতি নদীর ওপর বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা রূপায়িত হয়েছে।

বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনার সুবিধা :  বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা থেকে নানা রকমের সুবিধা পাওয়া যায় —

1. বন্যা নিয়ন্ত্রণ: বন্যার হাত থেকে কোনাে অঞ্চলকে বাঁচানাে বা বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

2. জলসেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন: জলাধারে সঞ্চিত জলকে ব্যবহার করে সারাবছর খালের সাহায্যে জলসেচ করা যায়। 

3. জলবিদ্যুৎ উৎপাদন: জলাধারের জলকে ব্যবহার করে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।

4. পানীয় জল সরবরাহ: জলাধারের জলকে পরিস্রুত করে পানীয় হিসেবে ব্যবহার করা যায়। 

5. ভূমিক্ষয় নিয়ন্ত্রণ: নদীতে বাঁধ দিলে জলের গতিবেগ কমে যায় বলে ভূমিক্ষয় কম হয়। 

6. সেতু স্থাপন: নদীর আড়াআড়ি বাঁধ নির্মাণ করা হয় বলে ওই বাঁধগুলি সেতুর কাজ করে। 

7. মাছ চাষ: জলাশয়গুলিতে সারাবছর স্থায়ীভাবে জল থাকায় এখানে মাছ চাষ করা যায়। 

৪. পর্যটন কেন্দ্র গঠন: ওইসব জলাধারের কাছকাছি অঞ্চলে পর্যটন কেন্দ্রও গড়ে ওঠে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment