ভারতের জনবণ্টন অঞ্চলগুলির বিবরণ দাও Class 10 | Geography (ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ) | 5 Marks
উত্তর:-
ভারতের জনবণ্টন অঞ্চলসমূহ
প্রধানত ভূপ্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, নদনদীর প্রবাহপথ, উর্বর মৃত্তিকা ও অনুকূল জলবায়ু ভারতের জনবণ্টনকে প্রভাবিত করে থাকে। জনবণ্টনের ভিত্তিতে ভারতকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করা যায়, এগুলি হল
1. উত্তর ভারতের নদীবিধৌত সমভূমি অঞ্চল: সিন্ধু-গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদী অববাহিকা ভারতের সর্বাপেক্ষা জনবহুল অঞ্চল। সমতল ভূপ্রকৃতি, উর্বর পলিমাটি, নিত্যবহ নদী, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ও পরিমিত উষ্ণতা এই অঞ্চলে কৃষি, শিল্প, নগরায়ণ ঘটাতে এবং ঘন জনবসতি গড়ে ওঠার অন্যতম কারণ বলে বিবেচিত হয়। ভারতের প্রধান জনবহুল রাজ্যগুলিও এই অঞ্চলে অবস্থিত। যেমন—উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ প্রভৃতি।
2. পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমি: উর্বর মৃত্তিকা সমন্বিত এই সমভূমি অঞ্চলে কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য ও যােগাযােগ ব্যবস্থার প্রভূত বিকাশ ঘটেছে। তাই পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল ভারতের দ্বিতীয় প্রধান জনবহুল অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। পশ্চিমের চেয়ে পূর্ব উপকূলীয় সমভূমির জনঘনত্ব অনেক বেশি। এই দুই উপকূল অঞ্চলে মুম্বাই, চেন্নাই, বিশাখাপত্তনম, কোচি-সহ বহু বন্দর ও নগর গড়ে উঠেছে।
3. দাক্ষিণাত্যের মালভূমি অঞ্চল: প্রধানত খনিজ সমৃদ্ধ এই অঞ্চলটির কোনাে কোনাে অংশ কৃষিতেও উন্নত (বিশেষত লাভা মালভূমি) হওয়ায় যথেষ্ট জনবহুল। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে তাই মধ্যম ধরনের জনঘনত্ব দেখা যায়।
4. পার্বত্য, মরু ও অরণ্যময় অঞ্চল: হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল, পূর্বাচল, মেঘালয় মালভূমি, রাজস্থানের মরুভূমি, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও ওড়িশার অরণ্যময় অঞ্চলের জনঘনত্ব যথেষ্ট কম। বন্ধুর ভূপ্রকৃতি, অনুর্বর মৃত্তিকা, বৃষ্টির আধিক্য বা স্বল্পতা, উদ্ভিদ বিরলতা কিংবা অরণ্যময়তার ফলে এই অঞ্চলগুলি খুবই জনবিরল। জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।