ভারতের জলপথের শ্রেণিবিভাগ করাে। Class 10 | Geography | 3 Marks‘
উত্তর:-
ভারতের জলপথের শ্রেণিবিভাগ: ভারতের জলপথকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়—
1. অভ্যন্তরীণ জলপথ: ভারতে প্রধানত নদনদী, খালপথ এবং হ্রদ ও উপহ্রদ নিয়ে অভ্যন্তরীণ জলপথ গড়ে উঠেছে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় 14500 কিমি। এর মধ্যে প্রায় 5200 কিমি নদীপথ এবং 4000 কিমি খালপথে নৌচলাচল করে। তবে ছােটো বড়াে নৌকো সব জলপথেই চলাচল করে। অভ্যন্তরীণ জলপথগুলি হল —
[i] নদীপথ: ভারতের অভ্যন্তরীণ জলপথে নদনদীর ভূমিকা খুব বেশি। [a] গঙ্গা: মােহানা থেকে উত্তরপ্রদেশের কানপুর পর্যন্ত গঙ্গা নদী নৌপরিবহণযােগ্য। তবে মােহানা থেকে পাটনা পর্যন্ত স্টিমার চালানাে যায়। [b] ব্ৰত্মপুত্র: এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জলপথ। [c] অন্যান্য: মহানদী, গােদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী নদীগুলির সমভূমি প্রবাহ জলপথ হিসেবে ব্যবহূত হয়। গােয়ার জুয়ারি নদী ও মান্ডভি নদী দুটি নাব্য। এই দুটি নদীও জলপথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
[ii] খালপথ: হরিদ্বার ও কানপুরের মধ্যে গঙ্গা নদীর খাল, কৃষ্ণা ও কাবেরী নদীর মধ্যে বাকিংহাম খাল, ওডিশা ও কেরলের উপকুলীয় খাল, সুন্দরবনের ইস্টার্ন ও সার্কুলার খাল বিখ্যাত।
[iii] হ্রদ ও উপহ্রদ: ভারতের বড়াে বড়াে হ্রদ ও উপহ্রদগুলি জলপথরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন— কেরলের বিভিন্ন উপহ্রদ বা কয়াল, ওডিশার চিলকা, অন্ত্রপ্রদেশের কোলেরু, তামিলনাড়ুর পুলিকট প্রভৃতি হ্রদ।
2. সামুদ্রিক জলপথ: উপকূলীয় ও সামুদ্রিক জলপথ এই জলপথের মধ্যে পড়ে। মূলত উপকূলীয় সুরক্ষা এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য এই জলপথের গুরুত্ব খুব বেশি।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।