শিক্ষাবিজ্ঞানে প্রযুক্তি এবং শিক্ষাবিজ্ঞানের প্রযুক্তির মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করাে

শিক্ষাবিজ্ঞানে প্রযুক্তি এবং শিক্ষাবিজ্ঞানের প্রযুক্তির মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করাে। শিক্ষাপ্রযুক্তির উদ্দেশ্যাবলি আলােচনা করাে। Class 12 | Education (শিক্ষায় প্রযুক্তির ভূমিকা) | 4 Marks

উত্তর:-

শিক্ষাবিজ্ঞানে প্রযুক্তি এবং শিক্ষাবিজ্ঞানের প্রযুক্তির মধ্যে পার্থক্য 

‘শিক্ষাবিজ্ঞানে প্রযুক্তি’ হল শিক্ষা প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন বৈদ্যুতিন উপকরণ ব্যবহার করা, যেমন- কম্পিউটার, টিভি, রেডিয়াে, ওভার হেড প্রােজেক্টার ইত্যাদি। ‘শিক্ষাবিজ্ঞানের প্রযুক্তি’ হল শিখন ও শিক্ষনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার। পরিকল্পিত শিক্ষা, শিক্ষণ মডেল, শিক্ষার তন্ত্রভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি শিক্ষাবিজ্ঞানের প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্ত। 

শিক্ষাপ্রযুক্তির উদ্দেশ্যাবলি

শিক্ষাপ্রযুক্তির উদ্দেশ্যাবলিকে দু-ভাগে ভাগ করা যেতে পারে— ম্যাক্রো ঘরের উদ্দেশ্যাবলি এবং মাইক্রো স্তরের উদ্দেশ্যাবলি।

1) ম্যাক্রো স্তরের উদ্দেশ্যাবলি: ম্যাক্রোস্তরীয় উদ্দেশ্যাবলি বলতে বোঝায় শিক্ষার ব্যাপক লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষাপ্রযুক্তির ভূমিকা। এইগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল– 

i) জনসমষ্টির শিক্ষার চাহিদা এবং আশা-আকাঙ্ক্ষা নির্দিষ্ট করা। 
ii. শিক্ষার লক্ষ্য, কৌশল এবং কাঠামাে স্থির করা। 
iii. উপযুক্ত পাঠক্রম প্রণয়ন করা। 
iv. শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে মানুষ, উপকরণ, সম্পদ এবং কৌশল নির্ধারণ করা। 
v. শিক্ষা-শিক্ষণ প্রক্রিয়ার উন্নতিকরণে শিক্ষা মডেল তৈরি করা। 
vi. পরিবেশের বাধাগুলিকে চিহ্নিত করে, তার প্রতিকারের জন্য প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। 

[2] মাইক্রো স্তরের উদ্দেশ্যাবলি: মাইক্রো স্তরের উদ্দেশ্যাবলি বলতে বােঝায় শ্রেণিকক্ষভিত্তিক উদ্দেশ্যাবলি। এর মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল— 

i. শিক্ষার্থীদের চাহিদা এবং বৈশিষ্ট্যাবলিকে নির্দিষ্ট করে তার বিশ্লেষণ করা। 
ii. শ্রেণিকক্ষে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য স্থির করা এবং আচরণের ভিত্তিতে ব্যক্ত করা। 
iii. পাঠদানের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করে তাকে উপযুক্তভাবে বিন্যস্ত করা। 
iv. সহজলভ্য শিক্ষা-শিখন উপকরণ এবং সম্পদকে চিহ্নিত করা৷

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment