জ্ঞানার্জনের শিক্ষা এবং কর্মের জন্য শিক্ষার বাস্তবিকীকরণে বিদ্যালয়ের কর্মসুচি আলােচনা করাে। 

জ্ঞানার্জনের শিক্ষা এবং কর্মের জন্য শিক্ষার বাস্তবিকীকরণে বিদ্যালয়ের কর্মসুচি আলােচনা করাে।      Class 12 | Education (শিক্ষাবিজ্ঞান) | 4 Marks

উত্তর:-

জ্ঞানার্জনের শিক্ষা ও কর্মের জন্য শিক্ষার বাস্তবিকীকরণে বিদ্যালয়ের কর্মসূচি : ডেলরস্ কমিশন প্রস্তাবিত জীবনব্যাপী শিক্ষার স্তম্ভ বা উদ্দেশ্যগুলি পরস্পর নির্ভরশীল। এই উদ্দেশ্যগুলিকে মেনেই বিদ্যালয়ের পাঠক্রমিক ও সহপাঠক্রমিক কর্মসূচিগুলি নির্ধারিত হয়। জ্ঞানার্জনের শিক্ষা এবং বিদ্যালয়ের কর্মসূচি জ্ঞানার্জনের শিক্ষার জন্য প্রয়ােজনীয় বিদ্যালয়ের কর্মসূচিগুলি সম্পর্কে নীচে আলােচনা করা হল— 

[1] সাধারণ শিক্ষা ও সীতি বিষয়ে জ্ঞানের সমন্বয়সাধন : সাধারণ শিক্ষা ব্যক্তিকে জীবনব্যাপী অভিযােজনে সাহায্য করবে, দৈনন্দিন সাধারণ সমস্যাসমাধানে সক্ষম করে তুলবে এবং জ্ঞানের যে-কোনাে শাখায় বিচরণ করতে সাহায্য করবে। অন্যদিকে, সীমিত বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান শিক্ষার্থীকে বিষয় সম্পর্কিত গভীর অনুসন্ধানে উদ্বুদ্ধ করবে এবং জ্ঞানের প্রসার ঘটাবে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে যে পারস্পরিক সম্পর্ক আছে শিক্ষার্থীকে তা অনুসন্ধানে সাহায্য করবে।

[2] জ্ঞানের মৌলিক উপাদানগুলির অনুশীলন : জ্ঞানের মৌলিক উপাদানগুলি, যেমন-স্মৃতি, মনঃসংযােগ এবং ক্ষমতার অনুশীলনের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে জীবনব্যাপী জ্ঞানার্জনের শিক্ষার জন্য প্রয়ােজনীয় এই মানসিক প্রক্রিয়াগুলি সাবলীলতা ও উৎকর্ষের সঙ্গে কাজ করবে। স্মৃতির কৌশলগুলি সম্পর্কে শিক্ষাথীদের অবহিত করতে হবে। মনঃসংযােগের ক্ষমতা সন্ধির জন্য ধ্যান, যােগ ইত্যাদিকে বিদ্যালয়ের কর্মসূচির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। চিন্তনক্ষমতা অনুশীলনের জন্য সমস্যামূলক পদ্ধতি, আবিষ্কারমুলক পদ্ধতি এবং আরােহ ও অবরােহ পদ্ধতি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে সমস্যাসমাধানে সচেষ্ট হয়, তাদের সেদিকে উৎসাহিত করতে হবে। এই সমস্যাসমাধানে তারা যাতে আরােহী ও অবরােহী চিন্তনের আশ্রয় নেয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। 

[3] কৌতহল বৃদ্ধি : শিক্ষার্থীদের কৌতূহলকে জ্ঞানার্জনের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে, যাতে জ্ঞানার্জনের ইচ্ছা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। 

কর্মের জন্য শিক্ষা এবং বিদ্যালয়ের কর্মসূচি : কর্মের শিক্ষা সংক্রান্ত বিদ্যালয়ের কর্মসূচিগুলি নীচে আলােচনা করা হল— 

[1] কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক কর্মসুচি : পাঠক্রমিক ও সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির মধ্যে এমন কাজ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যা কর্মশিক্ষা ও কর্মদক্ষতা বিকাশে সাহায্য করে। 

[2] প্রবণতা ও কর্মভিত্তিক কর্মসুচি : শিক্ষাথীরা যাতে তাদের প্রবণতা ও আগ্রহ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কর্মভিত্তিক কাজ করতে পারে, সেই সুযােগ তৈরি করতে হবে। 

[3] তাত্ত্বিক শিক্ষা ও কর্মশিক্ষার সমন্বয়সাধন: তাত্ত্বিক শিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা যাতে সমান গুরুত্ব পায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। 

[4] ব্যাবহারিক প্রয়ােজনভিত্তিক কর্মসুচি: শিক্ষাথীদের এমন সব কাজ করতে উৎসাহ দিতে হবে ব্যাবহারিক জীবনে যার মূল্য আছে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment