শিকার দিক ও শিক্ষকের অবস্থান সম্পর্কে ইউনেস্কোর বক্তব্য লেখাে।

শিকার দিক ও শিক্ষকের অবস্থান সম্পকে ইউনেস্কোর বক্তব্য লেখাে।   Class 12 | Education (শিক্ষাবিজ্ঞান) | 4 Marks

উত্তর:-

শিক্ষার দিক এবং শিক্ষকের অবজ্ঞান সম্পর্কে ইউনেস্কোর বক্তব্য : সমাজে শিক্ষকের স্থান সম্পর্কে বহু সমালােচনা হয়েছে এবং শিক্ষকতা আদৌ একটি পেশা কি না তা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে ইউনেস্কো এবং এর অধীনস্থ সংস্থাগুলি এ বিষয়ে বহুপূর্বেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 1966 সালে অক্টোবরে ইউনেস্কো আয়ােজিত শিক্ষকের অবস্থানের ওপর এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে (স্পেশাল ইনটার-গভর্নমেন্টাল কনফারেন্স) নিম্নলিখিত প্রস্তাবসমূহ গৃহীত হয়— 

[1] শিক্ষক এবং শিক্ষার অগ্রগতি: শিক্ষার অগ্রগতি প্রধানত নির্ভর করে শিক্ষকগণের যােগ্যতা, ক্ষমতা এবং শিক্ষাদান সম্পর্কিত বিজ্ঞানের দক্ষতার ওপর। 

[2] স্বতন্ত্র পেশা হিসেবে শিক্ষকতা: শিক্ষকতাকে একটি স্বতন্ত্র পেশা হিসেবে গণ্য করতে হবে৷ 

[3] শিক্ষক সংগঠন এবং শিক্ষকতা পেশা : কার্যকরী শিখনের জন্য অনুকূল পরিবেশ গঠনের ক্ষেত্রে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষক যাতে তার পেশার প্রতি মনােনিবেশ করতে পারেন এবং শিক্ষার অগ্রগতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন, সেজন্য শিক্ষক সংগঠনগুলি নীতি নির্ধারণ করবেন।

পরবর্তী পর্যায়ে (1996 সালে) ইউনেস্কো আয়ােজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে (Strengthening of the Role of the Teacher in Changing World নামে পরিচিত) শিক্ষার বিশ্বায়ন এবং নতুন চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে শিখনের সহায়ক হিসেবে শিক্ষকগণকে নতুন ভূমিকা গ্রহণের প্রস্তাব উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল— 

[1] প্রাবৃত্তি এবং বৃতিকালীন শিক্ষক-শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্ব : শিক্ষক-শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাকৃবৃত্তি শিক্ষা এবং বৃত্তিকালীন শিক্ষাকে একই ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা৷ বৃত্তিকালীন শিক্ষার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে বিষয়ের পান্ডিত্য অর্জন করা, দলগতভাবে কাজ করা, পেশাকে আরও শক্তিশালী করা, নতুন চিন্তা এবং পরীক্ষা করা, মানবাধিকার, শান্তি এবং গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা স্থাপন করা। 

[2] বৃত্তিকালীন শিক্ষা শিক্ষকদের অধিকার : বৃত্তিকালীন শিক্ষা শিক্ষাবিদগণের নিকট অধিকার এবং কর্তব্য বলে বিবেচিত হবে। 

[3] বৃত্তিকালীন শিক্ষায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষাব্যবস্থাপক, তত্ত্বাবধায়ক ইত্যাদির বিশেষ ভূমিকা  : যেসব শিক্ষাবিদ শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, তত্ত্বাবধান এবং শিক্ষায় মূল্যায়নের সঙ্গে যুক্ত আছেন, বৃত্তিকালীন শিক্ষায় তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। বৃত্তিকালীন শিক্ষাগ্রহণের পর এইসব ব্যক্তি কেবল প্রশাসনিক এবং তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকা পালন করবেন না; তারা শিক্ষাবিজ্ঞান সম্পর্কিত নির্দেশদান, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণদান প্রভৃতি কাজও করবেন। আমাদের দেশের 1986 সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে এই বিষয়ে বিশেষভাবে আলােকপাত করা হয়েছে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment