মিলের অন্বয়ী পদ্ধতি আলােচনা করাে। Class 12 | Philosophy (মিলের পরিক্ষণমূলক পদ্ধতি) 8 Marks
উত্তর:-
অন্বয়ী পদ্ধতির সংজ্ঞা
তর্কবিজ্ঞানী মিল (Mill) অন্বয়ী পদ্ধতির সূত্রটিকে যেভাবে উপস্থাপিত করেছেন, তা হল ‘আলােচ্য কোনাে অনুসন্ধানমূলক ঘটনার দুই বা ততােধিক দৃষ্টান্তে যদি অন্য একটি ব্যাপার সর্বদাই উপস্থিত থাকে, তাহলে বুঝতে হবে যে, ওই ব্যাপারটি বিচার্য ঘটনার কারণ বা কার্য বলে বিবেচিত।
আকার:
পূর্ববর্তী ঘটনা (কারণ) | অনুবর্তী ঘটনা (কাৰ্য) |
ABCD | abcd |
ABDE | abde |
AFMP | afmp |
∴ A হল a-এর কারণ, অথবা a হল A-এর কার্য৷
দৃষ্টান্ত:
পূর্ববর্তী ঘটনা (কারণ) | অনুবর্তী ঘটনা (কার্য) |
মশার কামড় + পচাজল + দুর্গন্ধ | ম্যালেরিয়া জ্বর + সর্দি + ঝিমুনি |
মশার কামড় + পরিষ্কার জল + স্যাতসেতে আবহাওয়া | ম্যালেরিয়া জ্বর + মাথাধরা + অনৎসাহ |
মশার কামড় + গরম আবহাওয়া + কীটনাশক স্প্রে | ম্যালেরিয়া জ্বর + কাশি + সর্দি |
∴ মশার কামড়ই হল ম্যালেরিয়া জ্বরের কারণ।
সুবিধা:
i. অন্বয়ী পদ্ধতি মূলত একটি পর্যবেক্ষণমূলক পদ্ধতি। সেজন্য দাবি করা যায় যে, এই পদ্ধতির ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণের সুবিধাগুলিও বর্তমান। অবশ্য এই পদ্ধতিকে পর্যবেক্ষণমূলক পদ্ধতি বলা হলেও, পরীক্ষণের সাহায্যও এই পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়। তবে ব্যাপকভাবে কার্যকারণ সম্পক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতির প্রয়ােগের জন্য আমরা ব্যাপকভাবে পর্যবেক্ষণের ওপরই নির্ভর করি৷ আরও বলা যায়, যে সমস্ত ক্ষেত্রে পরীক্ষাকে প্রয়ােগ করা সম্ভব নয়, সেই সমস্ত ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিটিকে প্রয়ােগ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায় যে, বন্যা, মহামারি, ভূমিকম্প, গ্রহণ প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয় করতে গেলে, একমাত্র নির্ভরযােগ্য পদ্ধতিই হল অন্বয়ী পদ্ধতি।
ii. তর্কবিদ মিল (Mill) অন্বয়ী পদ্ধতিকে একটি আবিষ্কারের পদ্ধতি হিসেবে অভিহিত করেছেন, প্রমাণের পদ্ধতি হিসেবে নয়। স্বাভাবিকভাবেই এই পদ্ধতি কার্যকারণ সম্বন্ধকে প্রমাণ করতে না পারলেও, অবান্তর বিষয় বা ঘটনাগুলিকে অপসারণ করে, একটি সম্ভাব্য কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয়ে সাহায্য করে।
অসুবিধা:
i. প্রকৃতিগত দোষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হল বহুকারণবাদের সম্ভাবনা। অনেক সময় দেখা যায় যে, বহুকারণের সম্ভাবনার ফলে অন্বয়ী পদ্ধতি দ্বারা প্রাপ্ত সিদ্ধান্তটি ব্যর্থ বা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। বহুকারণবাদের সম্ভাবনাটি অন্বয়ী পদ্ধতির গঠন প্রকৃতির মধ্যেই নিহিত। সেকারণেই একে অন্বয়ী পদ্ধতির প্রকৃতিগত দোষরূপে অভিহিত করা হয়। এরুপ প্রকৃতিগত দোষ থেকে মুক্ত হওয়া সহজ নয়।
ii. অন্বয়ী পদ্ধতির ক্ষেত্রে আমরা যে সমস্ত দৃষ্টান্ত সংগ্রহ করি, তা পর্যবেক্ষণের সাহায্যে সংগৃহীত। আমরা এটাও জানি যে, পর্যবেক্ষণের মধ্যে কিছু সীমাবদ্ধতা অবশ্যই আছে। তাই অন্বয়ী পদ্ধতি অনিবার্যভাবেই কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। কারণ, পর্যবেক্ষণের সীমাবদ্ধতার ফলে আমরা কারণ হিসেবে যে সমস্ত পূর্ববর্তী ঘটনাসমূহকে সংগ্রহ করি, তার মধ্যে প্রকৃত কারণটি উপস্থিত নাও থাকতে পারে। প্রকৃত কারণটিকে তাই আমরা অনেক সময় অপর্যবেক্ষণ করে থাকি। এর ফলে কার্যকারণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্যটিই ব্যাহত হয়ে পড়ে।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।
thanks
Aiii tai koto number thakba
8 no
ভালো হয়েছে কিন্তুু শেষে মূল্যায়ন দিলে আরও ভাল হতো
8marks