জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর, Gyan Chokkhu Class 10 Question Answer, মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2023। মাধ্যমিক ফাইনাল পরীক্ষা ২০২৩ এ যাতে তোমরা ভালো ফল লাভ করতে পারো, সেই জন্য আমরা এখানে বাংলা প্রথম অধ্যায় জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর (ছোট বড় সব) নিয়ে এসেছি।
জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর | Gyan Chokkhu Class 10 Question Answer | মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2023
জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর, Gyan Chokkhu Class 10 Question Answer – এখানে আমরা মাধ্যমিক বাংলা প্রথম অধ্যায় জ্ঞানচক্ষু গল্পের ছোট বড় সব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর নিয়ে সাজেশন প্রকাশ করেছি। এই সাজেশন তোমরা ভালোভাবে অধ্যয়ন করলে পরীক্ষায় অনেক প্রশ্নই এখান থেকে কমন পেয়ে যাবে। অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দ্বারা এই সাজেশনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এই পোস্টে শুধুমাত্র প্রথম অধ্যায় থেকে সাজেশন দেওয়া হয়েছে। বাকি অধ্যায়গুলি থেকে সাজেশন পেতে এই লিঙ্কে ক্লিক করো।
মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2023
জ্ঞানচক্ষু
আশাপূর্ণা দেবী
বহু নির্বাচনী, অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
বহু নির্বাচনী – ১ নম্বরের প্রশ্নোত্তরগুলি দেখে নেওয়া যাক –
১. “তারপর ধমক খায়”—তপন ধমক খেয়েছিল—
(ক) পড়া বাদ দিয়ে গল্প করার জন্য
(খ) হােম টাস্ক না করার জন্য
(গ) লুকিয়ে গল্প লেখার জন্য
(ঘ) নিজের লেখা গল্প না পড়ে বােবার মতাে বসে থাকার জন্য
উত্তর – (ঘ) নিজের লেখা গল্প না পড়ে বােবার মতাে বসে থাকার জন্য
২. তপন তার প্রথম গল্পটি লিখেছিল—
(ক) রাতের বেলা
(খ) সকাল বেলা
(গ) দুপুর বেলা
(ঘ) বিকেল বেলা
উত্তর- (গ) দুপুর বেলা
৩. ‘সে সব বই নাকি ছাপাও হয়’–‘সেই সব বই’ বলতে যার লেখা বইয়ের কথা বলা হয়েছে—
(ক) তপনের মেজকাকুর।
(খ) তপনের নিজের
(গ) তপনের নতুন মেসােমশাইয়ের
(ঘ) সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সম্পাদকের
উত্তর- (গ) তপনের নতুন মেসােমশাইয়ের
৪. তপনের মামাবাড়িতে ‘দেদার ঘটাপটা করে’ অনুষ্ঠিত হয়েছিল—
(ক) তপনের জন্মদিন।
(খ) তপনের ছােট মাসির বিয়ে
(গ) তপনের গল্প প্রকাশের অনুষ্ঠান
(ঘ) তপনের ছােট মামার বিয়ে
উত্তর- (খ) তপনের ছােট মাসির বিয়ে
৫. আরে ব্যাস, এত কখনাে খাওয়া যায়’ বক্তা —
(ক) তপন
(খ) তপনের নতুন মেসােমশাই
(গ) তপনের বাবা
(ঘ) তপনের ছােটো মাসি
উত্তর- (খ) তপনের নতুন মেসােমশাই
৬. ‘ছােট মামাদের মতােই তপনের নতুন মেসােমশাই—
(ক) গল্প লেখেন।
(খ) কলেজে ছাত্র পড়ান।
(গ) খবরের কাগজের সব কথা নিয়ে গল্প ও তর্ক করেন
(ঘ) দিবানিদ্রায় মগ্ন থাকেন।
উত্তর- (গ) খবরের কাগজের সব কথা নিয়ে গল্প ও তর্ক করেন
৭. তপনের হাত আছে’ মেলােমশাই কথাটি বলেছেন—
(ক) দিবানিদ্রা থেকে উঠে
(খ) সন্ধ্যের আড্ডায়।
(গ) বিকেলে চায়ের টেবিলে।
(ঘ) তপনদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে
উত্তর- (গ) বিকেলে চায়ের টেবিলে।
৮. ওমা এ তাে বেশ লিখেছিস রে’—কথাটি ছােটোমাসি বলেছিলেন—
(ক) যাত্রার ভঙ্গিতে
(খ) পিঠ চাপড়ানাে সুরে
(গ) সন্দেহের সুরে
(ঘ) আনন্দে বিহ্বল হয়ে
উত্তর- (খ) পিঠ চাপড়ানাে সুরে
৯. তপন লজ্জা ভেঙে পড়তে যায়’ কী ?
(ক) সংবাদপত্র
(খ) নিজের লেখা কবিতা।
(গ) নিজের লেখা গল্প।
(ঘ) পত্রিকার সূচিপত্র
উত্তর- (গ) নিজের লেখা গল্প।
১০. তপনের মাথায় ঢােকে না’—তপনের মাথায় ঢােকেনি—
(ক) সে কী পড়ছে।
(খ) সে কী দেখছে।
(গ) সে কী করছে।
(ঘ) সে কী বলছে
উত্তর- (ক) সে কী পড়ছে।
১১. নিজের লেখাকে তপন বলেছে—
(ক) শ্রেষ্ঠ লেখা
(খ) জহুরির হাতে লেখা
(গ) কাচা লেখা
(ঘ) পাকা লেখা
উত্তর- (গ) কাচা লেখা
১২. তপন বইটা ফেলে রেখে চলে যায়’—বইটা ফেলে সে কোথায় যায়?
(ক) তিনতলার সিঁড়িতে
(খ) ছােটো মাসির কাছে।
(গ) ছাতে (ছাদে)
(ঘ) পড়ার ঘরে
উত্তর- (গ) ছাতে (ছাদে)
১৩. মামার বাড়ি এলে সব কিছুই’ কার কাছে তপনের সব কিছুই?
(ক) দিদার কাছে।
(খ) ছােটো মামার কাছে।
(গ) ছােটো মাসির কাছে।
(ঘ) মামির কাছে।
উত্তর- (গ) ছােটো মাসির কাছে।
১৪. তবু লিখেছে। লুকিয়ে লিখছে’—এভাবে লেখার কারণ—
(ক) ভয়
(খ) লজ্জা
(গ) ভালােবাসা
(ঘ) নেশা।
উত্তর- (ঘ) নেশা।
১৫. তপন মামা বাড়িতে এসেছিল—
(ক) পুজোর ছুটি কাটাতে
(খ) গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে
(গ) ছােটো মাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে
(ঘ) লেখক মেসােকে দেখতে
উত্তর- (গ) ছােটো মাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে
১৬. “সন্ধ্যাতারা” পত্রিকায় প্রকাশিত তপনের লেখা গল্পের নাম—
(ক) প্রথম অভিজ্ঞতা
(খ) ভরতির দিন।
(গ) প্রথম দিন
(ঘ) স্কুলের প্রথম দিন
উত্তর- (গ) প্রথম দিন
১৭. ছছাটো মাসির সঙ্গে তপনের বয়সের ব্যবধান প্রায় —
(ক) বছর আটেক
(খ) বছর দশেক
(গ) বছর পাঁচেক
(ঘ) বছর সাতেক।
উত্তর- (ক) বছর আটেক
১৮. ‘যেন নেশায় পেয়েছে’–এক্ষেত্রে ‘নেশাটি’ হল—
(ক) গল্প লেখা
(খ) খেলাধুলাে করা
(গ) হােমটাস্ক করা।
(ঘ) বেড়াতে যাওয়া
উত্তর- (ক) গল্প লেখা
১৯. তপনের নতুন মেসসা প্রবলভাবে গল্প করেন—
(ক) পত্রিকার বিষয় নিয়ে
(খ) সিনেমার বিষয় নিয়ে
(গ) খবরের কাগজের কথা নিয়ে
(ঘ) দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে
উত্তর- (গ) খবরের কাগজের কথা নিয়ে
২০. ‘এ দেশের কিছু হবে না বলে তপনের মেসাে চলে যান
(ক) যাত্রা দেখতে
(খ) গল্প লিখতে
(গ) দিবানিদ্রা দিতে
(ঘ) সিনেমা দেখতে
উত্তর- (ঘ) সিনেমা দেখতে
২১. ছাতে উঠে তপন চোখ মােছে—
(ক) রুমাল বের করে।
(খ) গেঞ্জির তলা উল্টে
(গ) শার্টের তলা উল্টে
(ঘ) দুই হাত দিয়ে
উত্তর- (গ) শার্টের তলা উল্টে
২২. তপনের নতুন মেসােমশাইয়ের পেশা ছিল—
(ক) লেখক
(খ) গল্পকার
(গ) স্কুল শিক্ষক
(ঘ) কলেজের প্রফেসর
উত্তর- (ঘ) কলেজের প্রফেসর
২৩. তপন মনে মনে পুলকিত হয়েছিল।
(ক) মাসির হইচইয়ে
(খ) মায়ের আদরে
(গ) লেখক মেসাের প্রশংসায়
(ঘ) পত্রিকাতে নিজের গল্প দেখে
উত্তর- (ক) মাসির হইচইয়ে
২৪. ছােটো মাসি ডিম ভাজার সঙ্গে খেয়েছিলেন—
(ক) চা
(খ) কফি
(গ) পাউরুটি
(ঘ) মিষ্টি
উত্তর- (ক) চা
২৫. তপনের চিরকালের বন্ধু —
(ক) মা।
(খ) মেজ কাকু
(গ) বড়ােমাসি
(ঘ) ছােটোমাসি
উত্তর- (ঘ) ছােটোমাসি
২৬. বাড়ির সকলের ঠাট্টা-তামাশার মধ্যে তপন গল্প লিখছিল—
(ক) একটি
(খ) দু-তিনটি
(গ) তিন-চারটি
(ঘ) বেশ কয়েকটি
উত্তর- (খ) দু-তিনটি
২৭. তপন তার লেখা গল্পের কথাটি সর্বপ্রথম কাকে জানিয়েছিল ?
(ক) পত্রিকার সম্পাদককে
(খ) লেখক মেসােকে
(গ) মা-কে।
(ঘ) ছােটোমাসিকে
উত্তর- (ঘ) ছােটোমাসিকে
২৮. “মাসি বলে, ‘মেসাের উপযুক্ত কাজ হবে সেটা”—উপযুক্ত কাজটি হল—
(ক) তপনের গল্প প্রকাশ করা
(খ) তপনের গল্প কারেকশন করা
(গ) তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়া।
(ঘ) তপনকে গল্প লিখে দেওয়া
উত্তর- (গ) তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়া।
২৯. শুধু এইটাই জানা ছিল না’—তপনের অজানা বিষয়টি হল—
(ক) মানুষই গল্প লিখতে পারে
(খ) তার নতুন মেসােমশাই একজন লেখক
(গ) তার গল্প পত্রিকায় ছাপা হয়েছে
(ঘ) লেখকরা আকাশ থেকে পড়া জীব নয়।
উত্তর- (ক) মানুষই গল্প লিখতে পারে
৩০. যার জন্যে হাঁ করে আছে তপন?’-তপন কীসের জন্য হাঁ করেছিল ?
(ক) পত্রিকা দেখার জন্য।
(খ) স্বরচিত গল্পটি আঁটোসাঁটো ছাপার অক্ষরে দেখার জন্য
(গ) লেখক মেসােকে দেখার জন্য
(ঘ) পত্রিকার সূচিপত্র দেখার জন্য
উত্তর- (ঘ) পত্রিকার সূচিপত্র দেখার জন্য
৩১. মেসাের মুখে করুণার ছাপ দেখে তপন —
(ক) আহ্লাদে গলে পড়ে
(খ) আহ্লাদে কাদো কাদো হয়ে যায়।
(গ) উত্তেজনায় গল্প লিখতে থাকে
(ঘ) আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে ওঠে
উত্তর- (খ) আহ্লাদে কাদো কাদো হয়ে যায়।
৩২. তপন দুপুরবেলা গল্প লিখতে কোথায় গিয়েছিল?
(ক) চিলেকোঠায়
(খ) তিনতলার সিঁড়িতে
(গ) ছাদে।
(ঘ) তিনতলার ঘরে
উত্তর- (খ) তিনতলার সিঁড়িতে
৩৩. তপনের মাথায় ঢােকে না—
(ক) একজন সাধারণ মানুষ কী করে লেখক হতে পারে।
(খ) তার গল্পটা কী করে বদলে গেল।
(গ) সে কী পড়ছে।
(ঘ) দীর্ঘদিন কেটে গেলেও কেন তার গল্প প্রকাশিত হয়নি
উত্তর- (গ) সে কী পড়ছে।
৩৪. তপনের পদবি হল –
(ক) রায়।
(খ) সেন
(গ) বিশ্বাস
(ঘ) দত্ত।
উত্তর- (ক) রায়।
৩৫. নিজের লেখা গল্পটি পড়ে তপনকে শােনাতে বলেন—
(ক) মা।
(খ) ছােটো মাসি
(গ) সম্পাদক
(ঘ) মেসােমশাই
উত্তর- (ক) মা।
৩৬. তপনের মেলােমশাই কোন পত্রিকার সম্পাদককে চিনতেন?/তপনের মেলােমশাই কোন পত্রিকায় তপনের লেখা ছাপানাের কথা বলেছিলেন?
(ক) কিশাের ভারতী
(খ) শুকতারা
(গ) সন্ধ্যাতারা
(ঘ) আনন্দমেলা
উত্তর- (গ) সন্ধ্যাতারা
৩৭. “ছুটি ফুরিয়ে এসেছে”—কীসের ছুটি?
(ক) গ্রীষ্মের
(খ) পুজোর
(গ) বড়ােদিনের
(ঘ) নববর্ষের
উত্তর- (ক) গ্রীষ্মের
৩৮. তপন বইটা ফেলে রেখে চলে যায়’—এখানে বইটা’ বলতে বােঝানাে হয়েছে—
(ক) পাঠ্য বই
(খ) “সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা।
(গ) গল্পের বই
(ঘ) মেসাের লেখা কবিতার বই
উত্তর- (খ) “সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা।
৩৯. কিন্তু কে শােনে তার কথা ?’—এখানে তার’ বলতে বােঝানাে হয়েছে—
(ক) তপনকে
(খ) তপনের মাকে
(গ) ছােটো মাসিকে
(ঘ) মেসােকে
উত্তর- (ক) তপনকে
৪০. এ দেশের কিছু হবে না’—একথা বলেন—
(ক) পত্রিকার সম্পাদক
(খ) তপন।
(গ) তপনের বাবা।
(ঘ) নতুন মেসাে।
উত্তর- (ঘ) নতুন মেসাে।
৪১. তপনের হাত আছে’—এখানে হাত আছে’ বলতে বােঝানাে হয়েছে—
(ক) মারামারি করার স্বভাব ।
(খ) ভাষার দখল
(গ) চুরির স্বভাব।
(ঘ) হস্তশিল্পে নিপুণতা।
উত্তর- (খ) ভাষার দখল
৪২. বিয়ের পর মুরুব্বি মুরুব্বি’ হয়েছে—
(ক) তপনের ছােটো পিসি।
(খ) তপনের ছােটো মামা ।
(গ) তপনের ছােটো মাসি।
(ঘ) তপনের ছােটো কাকু।
উত্তর- (গ) তপনের ছােটো মাসি।
৪৩. আর একবার রব ওঠে’—কীসের রব?
(ক) তপন চমৎকার লিখেছে।
(খ) তপন লেখা টুকলিফাই করেছে।
(গ) তপন বড়াে সাহিত্যিক হবে ।
(ঘ) মেসাে তপনের গল্পটি ছাপিয়ে দিয়েছে।
উত্তর- (ঘ) মেসাে তপনের গল্পটি ছাপিয়ে দিয়েছে।
৪৪. ‘তােমার গল্প তাে দিব্যি হয়েছে’—কথাটা শুনে তপন প্রথমে ভেবেছিল—
(ক) প্রশংসা।
(খ) মিথ্যে কথা
(গ) ঠাট্টা ।
(ঘ) বিদ্রুপ।
উত্তর- (গ) ঠাট্টা ।
৪৫. ‘এত কাছ থেকে কখনাে দেখেনি তপন’—কাকে?
(ক) পত্রিকার সম্পাদককে
(খ) প্রতারককে
(গ) লেখককে
(ঘ) নায়ককে
উত্তর- (গ) লেখককে
৪৬. রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই’–এখানে জহুরি’ বলা হয়েছে—
(ক) তপনের নতুন মেসােকে
(খ) তপনের বাবাকে ।
(গ) পত্রিকার সম্পাদককে
(ঘ) তপনের লেখা গল্পটকে
উত্তর- (ক) তপনের নতুন মেসােকে
অতি সংক্ষিপ্ত – ১ নম্বরের প্রশ্নোত্তরগুলি দেখে নেওয়া যাক –
১. তপনকে যেন আর কখনাে শুনতে না হয়’—তখন কোন্ কথাটি শুনে ছিল?
উত্তর : মেসােমশাই কারেকশন’ করে তপনের গল্প ছাপানাের দরুন বাড়ির সকলের কাছ থেকে তপনকে শুনতে হয়েছিল “অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে।
২. সেই সুযােগে দেখতে পাচ্ছে তপন’—তপন কী দেখতে পেয়েছিল ?
উত্তর : কলেজে গ্রীষ্মের ছুটি চলার দরুন লেখক মেসােমশাই কিছুদিন শ্বশুরবাড়িতে রয়ে গিয়েছিলেন। সেই সুযােগে তপন দেখতে পেয়েছিল—“লেখক মানে কোনাে আকাশ থেকে পড়া জীব নয়, তাদের মতােই সাধারণ মানুষ।
৩. মেসাে তেমনি করুণার মূর্তিতে বলেন’—মেসসা কী বলেছিলেন?
উত্তর : মেসাে করুণার মূর্তিতে বলেছিলেন, তিনি তপনের গল্প পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন। কারণ সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সম্পাদককে তিনি গল্প ছাপানাের অনুরােধ করলে, সম্পাদক ‘না’ করতে পারবেন না।
৪. সারা বাড়িতে শােরগােল পড়ে যায়’—শােরগােলের কারণ কী?
উত্তর : তপনের লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে দেখে, তপনদের সারা বাড়িতে শােরগােল পড়ে যায়।
৫. জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের লেখক মেলােমশাইয়ের অহংকার বােধের পরিচয় মেলে এমন একটি দৃষ্টান্ত দাও।
উত্তর : নিজের অহংকার জাহির করে, মেসােমশাই বলেছিলেন—তিনি সুপারিশ করলে সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সম্পাদক কোনাে গল্প ছাপাতে ‘না’ করতে পারবেন না।
৬. এবিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের’-কোন্ বিষয়ের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : কিশাের তপনের ভাবনায় লেখকেরা ছিল ভিনগ্রহের প্রাণী। কিন্তু লেখকেরা যে তার বাবা, ছােটোমামা বা মেজ কাকুর মতাে সাধারণ মানুষ হতে পারে—এ বিষয়ে তপনের মনে সন্দেহ ছিল।
৭. এইসব মালমশলা নিয়ে বসে’—মালমশলাগুলি কী কী?
উত্তর : লেখক মেসাের মতে, তপনের সমবয়সিরা গল্প লিখতে বসলেই রাজা-রানি, খুন-জখম-অ্যাক্সিডেন্ট অথবা অনাহারে মৃত্যু-র মতাে চিরাচরিত বিষয়গুলিকেই নিজের গল্পের মালমশলা হিসেবে গ্রহণ করে।
৮. আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম’—কী চেষ্টা করার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : তপনের মেজোকাকু বলেছিলেন, তার কোনাে লেখক মেসাে থাকলে তিনিও গল্প লেখার চেষ্টা করতেন।
৯. ‘বিয়ে বাড়িতেও যেটি মা না আনিয়ে ছাড়েননি’—কী না আনিয়ে ছাড়েননি?
উত্তর :‘হােমটাস্কের’ খাতা তপনের মা বিয়ে বাড়িতেও না আনিয়ে ছাড়েননি।
১০. মেসাে অবশ্য মৃদু মৃদু হাসেন’—মেসাের হাসির কারণ কী?
উত্তর : বাড়ির সদস্যদের সামনে সুকৌশলে নিজের মহত্ব জাহির করার জন্য মেসােমশাই মৃদু মৃদু হেসে জানিয়েছিলেন যে, তপনের গল্পটা তিনি কারেকশন করে পত্রিকাতে ছাপিয়েছেন।
১১. সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না’—কে কোন্ আহ্লাদ খুঁজে পায়নি?
উত্তর : স্বরচিত গল্প প্রকাশিত হলে, সৃষ্টিসুখজনিত যে ভয়ঙ্কর আহ্লাদ হওয়ার কথা, সেই আহ্লাদ তপন খুঁজে পায়নি।
১২. এর মধ্যে তপন কোথা?’—এ কথা বলার কারণ কী?
উত্তর :পত্রিকায় প্রকাশিত স্বরচিত গল্পটি পড়তে গিয়ে, তপন দেখে গল্পের প্রতিটি লাইনই তার অচেনা। গােটা গল্পে কোথাও তার নিজস্বতাটুকু নেই। তাই এ কথা বলা হয়েছে।
১৩. তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই’—তপনের মতে সবচেয়ে দুঃখের ঘটনাটি কী?
উত্তর : তপনের মতে, স্বরচিত গল্প পড়তে বসে অন্যের লাইন পড়ার মতাে দুঃখের এবং অপমানের ঘটনা আর কিছু নেই।
১৪. আজ আর অন্য কথা নেই’—সেদিন শুধু কোন্ কথা আলােচিত হয়েছিল ?
উত্তর : তপনদের বাড়িতে সেই দিন শুধু তপনের গল্পের কথা আর নতুন মেসাের মহত্বের কথা আলােচিত হয়েছিল।
১৫. ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে’—কোন কথা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছিল?
উত্তর : পত্রিকায় তপনের গল্প প্রকাশের সংবাদের পাশাপাশি, এ কথাটাই ক্রমশ ছড়িয়ে। পড়ে যে, তপনের মেসােমশাই গল্পটিকে কারেকশন’ করে ছাপিয়েছে।
১৬. ‘গল্প জিনিসটা যে কি সেটা জানতে তাে বাকি নেই’?—তপন কীভাবে এটি জেনেছিল ?
উত্তর : শৈশব থেকেই রাশি রাশি গল্প শুনে আর গাদা গাদা বই পড়ার দরুন, গল্প জিনিসটা যে কী, সেটা তপনের জানতে বাকি ছিল না।
১৭. ‘এদিকে বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গেছে’—বাড়িতে তপনের কী কী নাম হয়েছিল?
উত্তর : লেখক মেসােকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে গল্প লেখার দরুন, বাড়ির সকলের কাছে তপনের নাম হয়ে গিয়েছিল কবি-সাহিত্যিক ও কথাশিল্পী।
১৮. ‘গভীরভাবে সংকল্প করে তপন’—তপন এর সংকল্পটি কী ?
উত্তর : দুঃখের মুহূর্তে তপন সংকল্প করেছিল যে—ভবিষ্যতে গল্প ছাপাতে হলে, সে নিজে পত্রিকার অফিসে গিয়ে লেখা দিয়ে আসবে।
১৯. ‘তা ঘটেছে, সত্যিই ঘটছে’—কী ঘটেছে?
উত্তর : তপনের লেখা গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার ঘটনাটি সত্যিই ঘটেছে।
২০. ‘যেন নেশায় পেয়েছে’—কাকে কীসের নেশায় পেয়েছে?
উত্তর : তপনকে গল্প লেখার নেশায় পেয়েছে।
২১. তপন প্রথমটা ভাবে ঠাট্টা’—কোন কথাকে সে প্রথমে ঠাট্টা ভেবেছিল ?
উত্তর : নতুন মেসােমশাই তপনের গল্পের প্রশংসা করে সেটিকে পত্রিকায় ছাপানাের প্রস্তাব দিলে, তপন এটা প্রথমে ঠাট্টা ভেবেছিল।
২২. তপন আর পড়তে পারে না’/‘বােবার মতাে বসে থাকে—তপনের এমন আচরণের কারণ কী?
উত্তর : স্বরচিত গল্প পাঠ করতে গিয়ে তপন যখন দেখে ‘কারেকশন’-এর নাম করে মেসাে তার গল্পটাকেই সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন, তখন অভিমানে ও দুঃখে হতবাক তপন বােবার মতাে বসে থাকে।
২৩. তপনের নতুন মেসােমশাই কেন শ্বশুড়বাড়িতে কিছুদিন রয়ে গিয়েছিলেন?
উত্তর : তপনের নতুন মেসােমশাই কলেজের প্রফেসর। গ্রীষ্মের ছুটিতে কলেজ বন্ধ থাকার কারণে, তিনি শ্বশুরবাড়িতে কিছু দিন রয়ে গিয়েছিলেন।
২৪. নতুন বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির ছেলে-কে খুশি করতে মেসােমশাই কী করেছিলেন?
উত্তর : নতুন বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির ছেলে অর্থাৎ তপনকে খুশি করতে মেলােমশাই তপনের স্বরচিত গল্পটিকে পত্রিকায় ছাপানাের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
২৫. বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা—কোন্ কথাটি চায়ের টেবিলে উঠেছিল?
উত্তর : নতুন মেসােমশাই তপনের গল্পটির প্রশংসা করেছেন এবং তা পত্রিকায় ছাপানাের প্রস্তাব দিয়েছেন—এই কথাটি বিকেলে চায়ের টেবিলে উঠেছিল।
২৬. বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের’—কেন বুকের রক্ত ছলকে উঠেছিল ?
উত্তর : মাসি-মেসােকে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা হাতে বাড়িতে আসতে দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে উঠেছিল।
২৭. “শুধু এইটাই জানা ছিল না”—কার কী জানা ছিল না?/ “নতুন মেসােকে দেখে জানল সেটা”—তপন কী জেনেছিল?
উত্তর : গল্প লেখা এতই সহজ যে সাধারণ মানুষও লিখতে পারে—একথা তপনের জানা ছিল না। নতুন মেসােকে দেখে একথাটি তপন জেনেছিল।
২৮. “তাই জানত না”-কে কী জানত না?
উত্তর : জলজ্যান্ত একজন লেখককেও অত্যন্ত কাছ থেকে দেখা যায়, একথা তপন জানত না।
২৯. “সূচিপত্রেও নাম রয়েছে”—সেখানে কী লেখা ছিল?
উত্তর : সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সূচিপত্রে লেখা ছিল—প্রথম দিন’ (গল্প) শ্ৰীতপন কুমার রায়।
৩০. তপনেরই বা লেখক হতে বাধা কী?—তপনের লেখক হতে বাধা নেই কেন ?
উত্তর : নতুন মেসােকে দেখার পর তপন বুঝতে পেরেছিল যে—লেখকেরা কোনাে আকাশ থেকে পড়া জীব নয়। তার মতােই নিছক মানুষ। তাই লেখক হতে তপনের নিজেরও কোনাে বাধা নেই।
৩১. ‘মেসসার উপযুক্ত কাজ হবে সেটা’–বক্তা কোন্ কাজের কথা বলেছেন?
উত্তর : ছােটো মাসির মতে বােনপাে তপনের গল্পটি পত্রিকায় ছাপানাের ব্যবস্থা করে দেওয়াই হবে মেসাে হিসেবে তার স্বামীর উপযুক্ত কাজ।
৩২. ‘সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না”—তপনের আহ্লাদিত না হতে পারার কারণ কী?
উত্তর : তপনের স্বরচিত গল্পটি পড়ে সবাই তাকে বাহবা দেওয়ার বদলে নতুন মেসাের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে পড়ে। তাই স্বরচিত গল্প প্রকাশিত হওয়ার সৃষ্টি সুখজনিত আহ্বাদে তপন আহ্লাদিত হতে পারেনি।
৩৩. আজ তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন’-বক্তার কাছে কোন্ দিনটি সবচেয়ে দুঃখের ?
উত্তর : ছােটো মাসি ও মেসােমশাই যেদিন একটি সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা হাতে নিয়ে তপনদের বাড়িতে এসেছিলেন, সেই দিনটিই তপনের জীবনের সবচেয়ে দুঃখের হয়ে ওঠে।
৩৪. বিয়ের পর ছােটো মাসির মধ্যে, তপন কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করেছিল?
উত্তর : বিয়ের পর তপনের ছােটো মাসি একটু মুরুব্বি মুরুব্বি হয়ে উঠেছিল।
৩৫. তপনের লেখা গল্প পড়ে ছােটো মেসাে কী বলেছিলেন?
উত্তর : তপনের লেখা গল্পটি পড়ে ছােটো মেসাে প্রশংসা করে বলেন—“তােমার গল্প যে। দিব্যি হয়েছে। একটু কারেকশান’ করে ইয়ে করে দিলে ছাপতে দেওয়া চলে।”
৩৬. তপন কোন বিষয় নিয়ে তার প্রথম গল্পটি লিখেছিল বা তপনের লেখা প্রথম দিন’ গল্পটির বিষয় কী?
উত্তর : স্কুলে ভর্তির প্রথম দিনের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা নিয়েই তপন তার প্রথম গল্পটি লিখেছিল।
সংক্ষিপ্ত – ৩ নম্বরের প্রশ্নোত্তরগুলি দেখে নেওয়া যাক –
১. রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই’-রত্ন’ ও ‘জহুরি’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে? এই মন্তব্যের প্রসঙ্গটি লেখাে। উক্তিটির অর্থ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ব্যাখ্যা করাে।
অথবা, মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয়’—তপন কেন মাসির হইচইতে পুলকিত হয়েছিল ?
উত্তর :
উৎস : প্রথিতযশা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে প্রদত্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
গল্পে ‘রত্ন’ বলতে তপনের লেখা গল্প এবং ‘জহুরি’ বলতে তপনের লেখক মেসােকে বােঝানাে হয়েছে।
মাসি তপনের লেখা গল্পটি লেখক-স্বামীকে পড়ানাের উদ্দেশ্যে ঘরের দিকে রওনা দিলে, লাজুক তপন না-আ-আ করে প্রবল আপত্তি জানায়। মুখে আপত্তি জানালেও, মাসির এই আচরণে তপন মনে মনে পুলকিত হয়েছিল। কারণ তপন জানত, জহুরি যেমন এক ঝলক দেখলেই প্রকৃত রত্ন চিনে নিতে পারেন; ঠিক তেমনই তপনের স্বরচিত গল্পটির প্রকৃত মূল্য দিলে একমাত্র তার লেখক মেসােই দিতে পারবেন। তাই পুলকিত তপনের মনে আলােচ্য প্রবাদ বাক্যটির উদয় হয়েছিল।
২. এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের’—সন্দেহের বিষয়টি কী? কীভাবে তপনের সন্দেহ দূর হয়েছিল?
১+২
অথবা, ‘লেখকমানে কোনাে আকাশ থেকে পড়া জীবনয়’—কার মধ্যে কখন এই অনুভূতি জেগেছিল?
অথবা, নতুন মেসােকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল। তপনের’-তপনের জ্ঞানচক্ষু কীভাবে খুলেছিল?
(শিখন সেতু) অথবা একেবারে নিছক মানুষ কাকে নিছক মানুষ বলা হয়েছে? কেন বলা হয়েছে?
উত্তর :
উৎস : প্রথিতযশা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে প্রদত্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
কিশাের তপনের ভাবনায় লেখকেরা ছিল ভিনগ্রহের প্রাণী। কিন্তু লেখকরাও যে তার বাবা, ছােটো মামা বা মেজো কাকুর মতােই সাধারণ মানুষ হতে পারে—এ বিষয়ে তপনের মনে সন্দেহ ছিল।
নতুন মেসাের সংস্পর্শে এসে তপনের ভুল ভেঙে যায়, তার জ্ঞানচক্ষুর উন্মেষ ঘটে। তপন দেখতে পায়—তার বাবা, ছােটো মামা বা মেজো কাকুর দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সঙ্গে লেখক মেসাের জীবনযাত্রার কোনাে পার্থক্য নেই। তিনিও আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতােই দাড়ি কামান, সিগারেট খান, সিনেমা দেখতে যান, ঘুরতে যান, খবরের কাগজে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে তর্ক করেন। অর্থাৎ, একজন নিছক সাংসারিক মানুষের সঙ্গে তার লেখক মেসাের কোনাে পার্থক্য নেই।
৩. পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে’?—তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ কী? অলৌকিক ঘটনাটি বিবৃত করাে। ৩
অথবা, এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা’—এমন সময় বলতে কখন? কী সেই ঘটনা?
অথবা, সারা বাড়িতে শােরগােল পড়ে যায়’—সারা বাড়িতে কেন শােরগােল পড়েছিল?
অথবা, বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের’—তপনের এমন অবস্থার কারণ কী?
উত্তর :
উৎস : প্রথিতযশা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে প্রদত্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
প্রসঙ্গ : তপনের লেখা গল্পটি পত্রিকায় ছাপানাের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেসােমশাই সেটি নিয়ে চলে যান। ছাপার অক্ষরে স্বরচিত গল্পটি দেখার আশায় তপন অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কোনাে সংবাদ আসে না। বিষন্ন তপন ধীরে ধীরে গল্পটি সম্পর্কে সব আশা ছেড়ে দেয়।
ঘটনার বর্ণনা : এমন সময় তপনের মাসি ও মেসাে হাতে করে সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা নিয়ে তপনদের বাড়িতে হাজির হন। উত্তেজনায় তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে। পত্রিকা দেখেই সে অনুমান করে যে, এই পত্রিকাতেই তার লেখা গল্পটি ছাপা হয়েছে। নিজের লেখা গল্প বাংলার হাজার হাজার ছেলে-মেয়ের হাতে ঘুরবে—এমন অলৌকিক ঘটনা কি সত্যিই ঘটেছে, এটা ভেবেই সম্ভব অসম্ভবের দোলাচলে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে তপন।
রচনাধর্মী – ৫ নম্বরের প্রশ্নোত্তরগুলি দেখে নেওয়া যাক –
১. তপনের মনে হয় আজ তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন’—কোন দিন? কেন তপনের কাছে দিনটি দুঃখের ? কেন তপনের একথা মনে হয়েছিল?
অথবা, ‘গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় ’– কোন্ আহ্বাদের কথা বলা হয়েছে? কেন তপন তা খুঁজে পায়নি?
অথবা, “সারা বাড়িতে শােরগােল পড়ে যায়’—কী কারণে সারা বাড়িতে শশারগােল পড়েছিল ? এই শােরগােলের পরিণতি কী হয়েছিল?
অথবা, তপন যেন কোথায় হারিয়ে যায় এইসব কথার মধ্যে’—তপন কোন সব কথার মধ্যে হারিয়ে গিয়েছিল? কথাগুলাে শুনে তপনের কী উপলদ্ধি হয়েছিল ?
অথবা, একটু আধটু কারেকশন’ করতে হয়েছে অবশ্য—কোন্ প্রসঙ্গে এই মন্তব্য? সারা বাড়িতে একথার প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল?
অথবা, তপন আর পড়তে পারে না। বাবার মতাে বসে থাকে—তপনের এরকম অবস্থার কারণ কী?
অথবা পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে’?—কোন ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে? এই ঘটনা শেষ পর্যন্ত তপনের কাছে কীভাবে নিরানন্দের ঘটনায় পরিণত হয়েছিল?
অথবা এর প্রত্যেকটি লাইন তাে নতুন আনকোরা, তপনের অপরিচিত’—তপন কে? এর’ বলতে কীসের কথা বলা হয়েছে? তপনের এমন অভিজ্ঞতার কারণ কী?
উত্তর :
উৎস ও প্রথিতযশা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে প্রদত্ত অংশটি গৃহীত হয়েছে।
ঘটনাপ্রবাহ : তপনের লেখা গল্প ছােটো মেসাের বদান্যতায় ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপা হয়। সেই গল্প সংখ্যাটি নিয়ে মাসি-মেসাে তপনদের বাড়িতে হাজির হলে, তপনদের সারা বাড়িতে শােরগােল পড়ে যায়। পত্রিকা হাতে নিয়ে সকলেই তপনকে বাহবা দিতে থাকেন। ঠিক সেই সময়ে, মৃদু হেসে মেসােমশাই জানান-কাচা হাতের এই লেখাটিকে তিনি সামান্য কারেকশন’ করে পত্রিকাতে প্রকাশ করেছেন।
লেখক মেসাে কারেকশন’ করে তপনের গল্পটি ছাপিয়েছেন—এই কথাটি মুহূর্তের মধ্যেই সারা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। ফলস্বরূপ, বাড়ির সকলে তপনের কৃতিত্বকে লঘু করে নানান তির্যক মন্তব্য করতে থাকেন।
(ক) বাবার মতামত : তপনের বাবার মতে, মেসাের মুন্সিয়ানায় তপনের গল্পটি ছাপা হওয়ার যােগ্যতা লাভ করেছে। তা নইলে ফট করে একটা লিখল, আর ছাপা হল।
(খ) মেজো কাকুর আক্ষেপ : তপনের মেজো কাকু উপহাস মিশ্রিত আক্ষেপের সুরে বলেন—তা ওরকম একটি লেখক মােসাে থাকা মন্দ নয়। আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম।
(গ) বাড়ির সকলের মতামত : তপনের প্রশংসার বদলে, বাড়ির সকলে নতুন মেসাের মহত্ত্বের গুণগান গাইতে থাকেন। বাড়ির সকলের মতে—নতুন মেসাে পত্রিকার অফিসে নিজে গিয়ে লেখাটি না দিলে, সম্পাদক গল্পটিকে কড়ে আঙ্গুল দিয়েও ছুঁতেন না।
কারেকশান’-এর নাম করে, নতুন মেসাে তপনের সম্পূর্ণ গল্পটিকে বদলে দিয়েছিলেন। মেসাের এই মহত্ব রাহগ্রস্ত করেছিল তপনের মৌলিক সৃষ্টিকে। বাড়ির সকলের মুখে মেসাের কৃতিত্বের উচ্চকিত প্রশংসায় তীব্র আত্মদহন সৃষ্টি হয় তপনের মধ্যে। তা ছাড়া, স্বরচিত গল্প পড়তে গিয়ে অন্যের লেখা লাইন পড়তে পড়তে তার আত্মমর্যাদাবােধ প্রবলভাবে ধাক্কা খায়। তাই বাড়ির সকলের উপহাসের আর বক্রোক্তির মধ্যেই হারিয়ে যায় তপনের প্রথম গল্প প্রকাশিত হওয়ার আহ্লাদ।
২. জ্ঞানচক্ষু’ গল্প অবলম্বনে তপন চরিত্রটি আলােচনা করাে।
উত্তর :
প্রাক্কথন : হাতের রং-তুলির সঙ্গে মনের মাধুরী মিশিয়ে চিত্রকরেরা ছবি আঁকেন, ঠিক তেমনই হৃদয়ের ক্যানভাসে কল্পনার রং মিশিয়ে সাহিত্যিকরাও সৃষ্টি করেন চরিত্র। তার মুখে দেন ভাষা, চোখে দেন স্বপ্ন, বুকে দেন আশা।
জীবনশিল্পী আশাপূর্ণা দেবী এভাবেই তার জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের তপন চরিত্রটিকে সৃষ্টি করেছেন। সমগ্র গল্পে তপনের চরিত্রটির যে দিকগুলি উন্মােচিত হয়েছে সেগুলি হল—
(ক) কল্পনাপ্রবণ : তপন ছিল কল্পনাবিলাসী। সেই কারণেই তার কল্পনায় লেখকেরা হলেন—আকাশ থেকে পড়া জীব।
(খ) আবেগ চঞল : তপন অতিরিক্ত আবেগ চঞ্চল। তাই গল্প লেখা শেষ হওয়ার পর কালবিলম্ব না করে, চল তপন দ্রুতগতিতে ছাদ থেকে নীচে নেমে এসে স্বরচিত গল্পটি মাসিকে দেখায়।
(গ) সাহিত্যপ্রেমী : সাহিত্যের প্রতি তপনের আকর্ষণ ছিল দুর্নিবার। এজন্যেই ছেলেবেলা থেকেই গল্প শুনতে আর গল্পের বই পড়তে সে ভালােবাসত।
(ঘ) উৎসাহী : গল্প লেখা নিয়ে বাড়ির সকলে উপহাস করলেও, তপনের উৎসাহে ভাটা পড়েনি। লেখার নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে তপন আপন উৎসাহে গল্প লিখে গিয়েছে।
(ঙ) আত্মমর্যাদাবােধ : তপনের আত্মমর্যাদাবােধ ছিল প্রবল। তাই তাে মেসাের হাতে নিজের সৃষ্টিকে রাহুগ্রস্ত হতে দেখে, স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় তার ভিতরে শুরু হয় আত্মদহন।
(চ) দৃঢ় প্রতিজ্ঞ : গল্পের শেষে চরম দুঃখের মুহূর্তেও ভেঙে না পড়ে, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তপন নিজের উদ্যোগেই গল্প প্রকাশের প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করে।
শেষ কথা : তপন চরিত্রের মধ্যে কোনাে দাতা নেই, আছে সরলতা। এই সরলতাই বেদনার আগুনে দগ্ধ হয়ে, যশপ্রার্থী তপনের জ্ঞানচক্ষু উন্মীলিত করে তাকে বাস্তববােধ সম্পন্ন করে তুলেছিল।
বাকি সাজেশন গুলোর লিঙ্ক
অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Asukhi Ekjon Kobita Question Answer | মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2023
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।