“ তিনি ঈষৎ ক্ষুণ্ণ হইলেন । – কে, কার প্রতি ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন ? তাঁর ক্ষুণ্ণ হওয়ার কারণ কী? 

উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ছুটি’ গল্প থেকে প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। মায়ের অপত্য স্নেহের টানকে সহজেই উপেক্ষা করে বিশ্বম্ভরবাবুর সাথে কলকাতায় যাওয়ার জন্য ফটিকের অতি আগ্রহ দেখে তার বিধবা মা মনে মনে ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন।

বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ফটিকের দুরন্তপনা দুরন্ত গতিতে বেড়েই চলেছিল। উত্তরোত্তর মায়ের অবাধ্য হয়ে ওঠা ফটিককে তাই বিশ্বম্ভরবাবু কলকাতায় নিজের কাছে রেখে পড়াশোনা করানোর প্রস্তাব দেন। ফটিক ও তার মা উভয়ের কাছে এই প্রস্তাব ছিল হাতে স্বর্গ পাওয়ার মতো। ফটিক ভেবেছিল, কলকাতায় মামার আদর আর স্নেহে সবসময় খেলে বেড়াবে, মায়ের বকুনির হাত থেকে মুক্তি পাবে, খেলার নতুন সাথী ও নানা উপাদান পাবে। তাই কলকাতায় যাওয়ার কথা শুনে ফটিক আনন্দে আত্মহারা—উৎসাহে তাহার রাত্রে নিদ্রা হয় না।’ 

ফটিকের এই অত্যুৎসাহ তার মায়ের মনকে ক্ষুণ্ণ করেছিল। বিশ্বম্ভরবাবুর প্রস্তাবে ফটিকের মা নিশ্চিত ভেবেছিলেন যে, দাদার অভিভাবকত্বে পিতৃহীন ফটিক কলকাতার স্কুলে পড়াশোনা করে প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠবে এবং নিরীহ মাখনের জীবনটাও নিরাপদে কাটবে। সন্তানের প্রতি মায়ের স্বাভাবিক স্নেহ-প্রীতি বজায় থাকায় মা এটাও ভেবেছিলেন, ফটিক হয়তো তাঁকে ছেড়ে যেতে কুণ্ঠাবোধ করবে কিংবা গাঁয়ের সঙ্গীসাথীদের ছাড়া কলকাতায় যেতে আগ্রহ দেখাবে না। কিন্তু মায়ের এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হওয়ায় মাতৃমমতার স্নেহার্দ্র কোমলতা তাকে ক্ষুণ্ণ করেছিল। 

Read Also

‘বিধবা এ প্রস্তাবে সহজেই সম্মত হইলেন ।—বিধবার কাছে কে, কী প্রস্তাব করেছিলেন? তিনি তাতে সম্মত হয়েছিলেন কেন?

‘কিন্তু অন্যান্য পার্থিব গৌরবের ন্যায় ইহার আনুষঙ্গিক যে বিপদের সম্ভাবনাও আছে, তাহা তাহার কিম্বা আর-কাহারও মনে উদয় হয় নাই । — রচনার নামোল্লেখ-সহ উদ্ধৃতাংশের প্রসঙ্গ নির্দেশ করো। উক্তিটি ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দাও ।

এই অকাল-তত্ত্বজ্ঞানী, মানব সকলপ্রকার ক্রীড়ার অসারতা সম্বন্ধে নীরবে চিন্তা করিতে লাগিল । — বক্তা কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন? উক্তিটির অর্থ লেখো

পূর্বাপেক্ষা আর-একটা ভালো খেলা মাথায় উদয় হইয়াছে — পূর্বের খেলাটি কী ছিল? এখনকার খেলাটিই-বা কী এবং তার পরিণতি কী হয়েছিল ?

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment