‘শীতের ওঢ়নী পিয়া গীরিষির বা।/বরিষার ছত্র পিয়া দরিয়ার না।।—উপমাগুলির ব্যবহার কী অর্থে হয়েছে? উদ্ধৃতাংশে পদকর্তা কীভাবে রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা বর্ণনা করেছেন তা ব্যক্ত করো। MARK 2 + 3 = 5 | Class 11 Bengali | ভাব সম্মিলন
উত্তর :
বিরহাকাতরা শ্রীরাধিকা তাঁর প্রিয় শ্রীকৃষ্ণ যে তাঁর কাছে কতটা অপরিহার্য, তা বোঝাতে গিয়ে শীতের আচ্ছাদন, গ্রীষ্মের বাতাস, বর্ষার ছাতা ও অকুল সমুদ্রের তরণির মতো উপমাগুলি ব্যবহার করেছেন।
→ মৈথিলি কোকিল বিদ্যাপতির ‘ভাব সম্মিলন’ শীর্ষক পাঠ্য পদটিতে আমরা দেখি কৃয় ব্রজধাম ত্যাগ করলে শ্রীরাধিকার বিরহজ্বালা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। পাপ সুধাকর অর্থাৎ চাঁদ তাঁর কামবেগ বা মিলনেচ্ছাকে আরও বহুগুণে বৃদ্ধি করেছিল। এমতাবস্থায় শ্রীরাধিকা কৃয়ের সঙ্গে স্বপ্নে মিলিত হন এবং পিয়ামুখ দরশনে যারপরনাই সুখ অনুভব করেন। পেয়ে হারানোর ভয় থেকে শ্রীরাধিকার মুখে শোনা যায়, আঁচলভরা মহামূল্যবান রত্নরাজি দিলেও তিনি তাঁর প্রিয়কে দূরে পাঠাবেন না। শুধু তাই নয় তিনি কৃষ্ণনির্ভরতার কথা বলতে গিয়ে বলেছেন—কৃষ্ণ তাঁর অর্থাৎ রাধার বর্ষার ছাতার মতো সর্বপ্রকার বর্ষণ রোধ করেন; কিংবা নদী পার হতে নৌকা যেমন অনিবার্য তেমনি ভবসমুদ্র পার হওয়ার তরণি স্বরূপ অনিবার্য শ্রীকৃষ্ণ পদচ্ছায়া । এ ছাড়া শীতকালে ওঢ়নী বা চাদর যেমন অনিবার্য, গ্রীষ্মকালের বাতাস যেমন প্রাণদায়ক—রাধার কাছেও কৃষ্ণ তদনুরূপ অনিবার্য।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।