পাগলা গণেশ প্রশ্ন উত্তর | শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় | Pagla Ganesh Class 7 Question Answer | Wbbse

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এই আর্টিকেলে আমরা Class 7 এর পাগলা গণেশ প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি। তোমাদের সপ্তম শ্রেনীর পাঠ্যবইতে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর লেখা পাগলা গণেশ গল্প রয়েছে। গল্পের শেষে যে সব প্রশ্নপত্র গুলি রয়েছে তার সমাধান আমরা এখানে করে দিলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

পাগলা গণেশ

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়


১.১ ‘পাগলা গণেশ’ একটি (বিজ্ঞান/ কল্পবিজ্ঞান/ রূপকথা ) – বিষয়ক গল্প।
উত্তরঃ
‘পাগলা গণেশ’ একটি কল্পবিজ্ঞান – বিষয়ক গল্প।

১.২ ‘অবজার্ভেটরি’– র বাংলা প্রতিশব্দ (পরীক্ষাগার / গবেষণাগার/ নিরীক্ষণাগার)।
উত্তরঃ
‘অবজার্ভেটরি’– র বাংলা প্রতিশব্দ নিরীক্ষণাগার

১.৩ সভ্যসমাজ থেকে দূরে পালিয়ে গিয়ে গণেশ (হিমালয়ের গিরিগুহায় / গভীর জঙ্গলে / মহাকাশে ) আশ্রয় নিয়েছিলেন।
উত্তরঃ
সভ্যসমাজ থেকে দূরে পালিয়ে গিয়ে গণেশ হিমালয়ের গিরিগুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।

১.৪ গল্পের তথ্য অনুসারে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কার হয়েছিল (৩৫৮৯ / ৩৪৩৯/ ৩৫০০) সালে।
উত্তরঃ
গল্পের তথ্য অনুসারে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কার হয়েছিল ৩৪৩৯ সালে।

২.১ “সালটা ৩৫৮৯”– এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে কোন্ কোন্ নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা গল্পে বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত ‘পাগলা গনেশ’ গল্পে ৩৫৮৯ সালের মধ্যে পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণ প্রতিরোধকারী মলম, ডান্ডাওয়ালা ঝাটার মত ডাইনিদের বাহন, নারদের ঢেঁকির মতো, কার্পেটের মতো বিভিন্ন ধরনের উড়ান যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছে। এমনকী সূর্যের আরও দুটি গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। 

২.২ “ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না” – “অনাবশ্যক ভাবাবেগ” বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? তাকে সত্যিই তোমার ‘অনাবশ্যক’ বলে মনে হয় কি?
উত্তরঃ
অনাবশ্যক ভাবাবেগ বলতে কবিতা, গান, ছবি আঁকা, কথাসাহিত্য, নাটক, সিনেমা প্রভৃতিকে বোঝানো হয়েছে। গল্প অনুযায়ী বিজ্ঞানের যুগে বিজ্ঞান ছাড়া আর কোন চর্চাই অনাবশ্যক। তাই এগুলিকে অনাবশ্যক ভাবাবেগ বলা হয়েছে।

না এগুলি একদমই অনাবশ্যক নয়। শুধুমাত্র বিজ্ঞান চর্চাই যে আমাদের একমাত্র শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা এনে দিতে পারে তা নয় আমাদের সামাজিকভাবে সংবেদনশীল ও সৃষ্টিশীল করে তোলে কবিতা, গান, ছবি আঁকা প্রভৃতি। তা ছাড়া কেউ যদি নিজের ইচ্ছায় এগুলো নিয়ে এগোতে চায় তাকেও প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তাই এগুলি অনাবশ্যক ভাবাবেগ নয়।

২.৩ “চর্চার অভাবে মানুষের মনে আর ওসবের উদ্রেক হয় না”- মানুষের মন থেকে কোন কোন অনুভূতিগুলো হারিয়ে গেছে?
উত্তরঃ
কেবলমাত্র বিজ্ঞান নিয়ে মেতে থাকা মানুষের মন থেকে চর্চার অভাবে দয়া, মায়া, করুণা, ভালোবাসা প্রভৃতি অনুভূতি গুলো হারিয়ে গেছে। মানুষের মনে আর এসবের উদ্রেক হয় না।

২.৪ “ব্যতিক্রম অবশ্য এক আধজন আছে” – ব্যতিক্রমী মানুষটি কে? কীভাবে তিনি ‘ব্যতিক্রম’ হয়ে উঠেছিলেন?
উত্তরঃ গল্পে ব্যতিক্রমী মানুষটি হলেন পাগলা গণেশ।

৩৫৮৯ সালে যেখানে ঘরে ঘরে কেবলমাত্র বিজ্ঞানের চর্চা চারিদিকে নানান ধরনের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ধুম। অথচ এরই মাঝে একমাত্র পাগলা গণেশ বিজ্ঞান চর্চায় হস্তক্ষেপ না করে আশ্রয় নিয়েছেন হিমালয়ের গিরিগুহায়। কবিতা লিখেছেন, গানের চর্চা করেছেন, পাহাড়ের গায়ে বাটালি দিয়ে পাথর কেটে ছবি এঁকেছেন এই সমস্ত কর্মকাণ্ডই এখনকার মানুষদের কাছে নিতান্ত অপ্রয়োজনীয়। তবু গণেশ তার চেষ্টা থামায়নি। এভাবেই তিনি হয়ে উঠেছেন ব্যতিক্রমী।

২.৫ “ও মশাই, এমন বিকট শব্দ করছেন কেন?” – কার উদ্দেশ্যে কারা একথা বলেছিল? কোন কাজকে তারা ‘বিকট শব্দ’ মনে করেছিল?
উত্তরঃ
লাসা থেকে ইসলামাবাদ যাওয়ার পথে দুটো পাখাওয়ালা লোক গণেশের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছিল।

গণেশের গান গাওয়াকে তারা বিকট শব্দ মনে করেছিল।

২.৬ “গণেশ তাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে” — গণেশ কাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে? তাঁর এই ভুলে যাওয়ার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়?
উত্তরঃ
গণেশ তার তিন ছেলে এক মেয়ের মুখশ্রী ভুলে গেছে।

ভুলে যাওয়ার কারণ মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কারের ফলে তার তিন ছেলের বয়স যথাক্রমে একশো চুয়াত্তর, একশো একাত্তর, একশো আটষট্টি ও মেয়ের বয়স একশো ছেষট্টি। তারা কেও গত একশো বছরে বাবার কাছে আসেনি। তাই গণেশ তাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে।

২.৭ “গণেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন করে বলল” – কে, কী বলেছিল? তার এভাবে তাঁকে সম্মান জানানোর কারণটি কী?
উত্তরঃ
একজন পুলিশম্যান গণেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন জানিয়ে বলেছিল, এককালে গণেশ যখন কলকাতার সায়েন্স কলেজে মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স পড়াতেন তখন পুলিশম্যান লোকটি গণেশের ছাত্র ছিল।

শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা বসতই তিনি সম্মান জানিয়েছিলেন।

২.৮ “ আমি পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি”– বক্তা কীভাবে পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল? তার প্রয়াস শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছিল কি?
উত্তরঃ
গণেশ কবিতা লিখে, গান গেয়ে, ছবি এঁকে পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল।

শেষ পর্যন্ত গণেশ সফল হয়েছিল কারণ, গণেশের প্রচেষ্টায় অবশেষে বিজ্ঞান নিয়ে মেতে থাকা মানুষ গান গাইতে শুরু করে, কবিতা মকসো করে, হিজিবিজি ছবি আঁকে।

২.১ “লোকটা অসহায়ভাবে মাথা নেড়ে বলল”- এখানে কার কথা বলা হয়েছে? সে কী বলল? তার অসহায়ভাবে মাথা নাড়ার কারণ কী?
উত্তরঃ
এখানে পুলিশম্যানের কথা বলা হয়েছে।

সে বলল “কিছু বুঝতে পারছি না স্যার”।

তার অসহায়ভাবে মাথা নাড়ার কারণ সে পায়ের কাছে পড়ে থাকা গণেশের কবিতা লেখা একটি কাগজের টুকরো নিয়ে পড়ে কিন্তু কিছু বুঝতে পারে না।

২.১০ “তিনজন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে রইল”— এই তিনজন কারা? তাদের মুগ্ধতার কারণ কী? ‘পাগলা গণেশ’ গল্পের মুখ্য চরিত্র গণেশকে তোমার কেমন লাগল?
উত্তরঃ
এই তিনজন ছিল পুলিশম্যান, তার স্ত্রী ও মা।

তারা তিনজন গণেশের কবিতা ও গান শুনে এবং গণেশের আঁকা ছবি দেখে মন্ত্রমুগ্ধের মতো বসে রইল।

উত্তরঃ

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত পাগলা গণেশ গল্পে মুখ্য চরিত্র গণেশ এক অভিনব ব্যক্তিত্ব।

ব্যতিক্রমী – সমগ্র গল্পে গণেশ এক ব্যতিক্রমী চরিত্র।  কল্প বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে রচিত গল্পে সকলে বিজ্ঞান নিয়ে মেতে থাকলেও গণেশ সে পথে হাঁটেনি। কবিতা, গান, ছবি আঁকা চর্চার মাধ্যমে সে হয়ে উঠেছে ব্যতিক্রমী।

লক্ষ্য স্থির – অন্য সকলে গণেশের বিজ্ঞানের বিপরীতমুখী কর্মকান্ড নিয়ে তাকে ঠাট্টা তামাশা করলেও সে লক্ষ্যে স্থির থেকে সাহিত্য, গান, ছবি আঁকার চর্চা করে গেছে।

সফলতা অর্জন – গণেশ চরিত্র তীব্র প্রতিকূলতার সত্বেও লক্ষ্যে অবিচল থেকে কবিতা, গান, ছবি আঁকার চর্চা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে পৃথিবীকে বাঁচিয়েছিল।

সর্বোপরি বলা যায় গণেশ চরিত্রের মাধ্যমে লেখক বুঝিয়েছেন দয়া, মায়া, করুণা, ভালবাসাহীন শুধুমাত্র বিজ্ঞানের উপর ভর করে সমাজ চলে না। সৃষ্টিশীল, অনুভূতিপরায়ণ মানুষের ও পৃথিবীতে প্রয়োজন আছে। এ কারণেই গণেশ চরিত্রটি ব্যতিক্রম হয়েও হয়ে উঠেছে অসাধারণ।

৪.১ ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না।
উত্তরঃ
ওসব অপ্রয়োজনীয় ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না।

৪.২ কেউ ঠাট্টা বিদ্রুপ করল না।
উত্তরঃ কেউ ইয়ার্কি তামাশা করল না।

৪.৩ দুনিয়াটা বেঁচে যাবে।
উত্তরঃ পৃথিবীটা বেঁচে যাবে।

৪.৪ মহাসচিব তাঁর বিমান থেকে নামলেন গণেশের ডেরায়
উত্তরঃ মহাসচিব তাঁর আকাশযান থেকে নামলেন গণেশের বাসস্থানে

৪.৫ গণেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন জানিয়ে বলল।
উত্তরঃ গণেশকে সসম্মানে অভিবাদন জানিয়ে বলল।

৪.৬ লোকে গান গাইতে লেগেছে, কবিতা মকসো করছে।
উত্তরঃ লোকে গান গাইতে লেগেছে, কবিতা অভ্যাস করছে।

৪.৭ হিমালয় যে খুব নির্জন জায়গা, তা নয়।
উত্তরঃ হিমালয় যে খুব জনহীন জায়গা, তা নয়।

৪.৮ ধুর মশাই, এ যে বিটকেল শব্দ।
উত্তরঃ ধুর মশাই, এ যে বিকট শব্দ।

মহান যে সচিব, প্রতিরোধ করে যে, গতিবেগ আছে যার, মৃত্যুকে জয় করেছে যে, অন্ত নেই যার।

উত্তরঃ

মহান যে সচিব – মহাসচিব
প্রতিরোধ করে যে – প্রতিরোধকারী
গতিবেগ আছে যার – গতিশীল
মৃত্যুকে জয় করেছে যে – মৃত্যুঞ্জয়
অন্ত নেই যার – অনন্ত

মাধ্যাকর্ষণ, আবিষ্কার, মৃত্যুঞ্জয়, অনাবশ্যক, গবেষণা, অন্তরীক্ষ, গণেশ, হিমালয়, নির্জন গবেষণাগার, পরীক্ষা।

উত্তরঃ

মাধ্যাকর্ষণ = মাধ্য + আকর্ষণ
আবিষ্কার = আবিঃ + কার
মৃত্যুঞ্জয় = মৃত্যুম্‌ + জয়
অনাবশ্যক = অন + আবশ্যক
গবেষণা = গো + এষণা
অন্তরীক্ষ = অন্তঃ + ইক্ষ
গণেশ = গণ + ঈশ
হিমালয় = হিম + আলয়
নির্জন = নিঃ + জন
গবেষণাগার = গো + এষণা + আগার
পরীক্ষা = পরি + ঈক্ষা

কৃত্রিম, পৃথিবী, আন্দোলন।

উত্তরঃ কৃত্রিম = নকল
পৃথিবী = জগৎ
আন্দোলন = বিদ্রোহ

কৃত্রিম, মেদুর, সুকুমার, যান্ত্রিক, ফিরোজা, মন্ত্রমুগ্ধ।

উত্তরঃ কৃত্রিম উপগ্রহ = কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে আমরা আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাই।
মেদুর আকাশ = মেঘ মেদুর আকাশে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকায়।
সুকুমার শরীর = শিশুটির সুকুমার শরীর ধুলোয় লুটোপুটি খাচ্ছে।
যান্ত্রিক গোলযোগ = যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ট্রেন ছাড়তে দেরি হল।
ফিরোজা রং = ফিরোজা রং আমার খুব প্রিয়।
মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতা = অনিক মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতা হয়ে গান শুনতে লাগল।

আরো পড়ুন

বঙ্গভূমির প্রতি কবিতার প্রশ্ন উত্তর | মাইকেল মধুসূদন দত্ত | Bongobhumir Proti Question Answer | Class 7 | Wbbse

ছন্দে শুধু কান রাখো কবিতার প্রশ্ন উত্তর | অজিত দত্ত | Chonde Sudhu Kan Rakho Question Answer | Class 7 | Wbbse

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

2 thoughts on “পাগলা গণেশ প্রশ্ন উত্তর | শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় | Pagla Ganesh Class 7 Question Answer | Wbbse”

  1. Very nice very well explained questions but from the next time try to give answers from the inner meanings not only just the lines from the stories and describe the question inner meaning..Thanks

    Reply

Leave a Comment