খোকনের প্রথম ছবি প্রশ্ন উত্তর | বনফুল | Khokoner Prothom Chobi Question Answer | Class 7 | Wbbse

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এই আর্টিকেলে আমরা Class 7 এর খোকনের প্রথম ছবি প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এসেছি। তোমাদের সপ্তম শ্রেনীর পাঠ্যবইতে বনফুলের লেখা খোকনের প্রথম ছবি গল্প রয়েছে। গল্পের শেষের হাতে কলমে প্রশ্নগুলির সমাধান আমরা এখানে করে দিলাম। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

খোকনের প্রথম ছবি

বনফুল


হাতে কলমে প্রশ্ন উত্তর

শিল্পী, নগর, ঐরাবত, উজ্জ্বলতা, অনুকরণ।

উত্তর:
শিল্পী – চিত্রকর
নগর – শহর
ঐরাবত – হাতি
উজ্জ্বলতা – দীপ্তি
অনুকরণ – নকল

প্রকৃতি, গাছ, কল্পনা, ফুল, দীপ্তি।

উত্তর:
প্রকৃতি – প্রাকৃতিক
গাছ – গেছো
কল্পনা – কাল্পনিক
ফুল – ফুলেল
দীপ্তি – দীপ্ত

৩.১ প্রকৃতি থেকে ছবি আঁকো।
উত্তর: কর্ম কারকে শূন্য বিভক্তি

৩.২ তোমার ছবি কই ?
উত্তর: সম্বন্ধ পদে র বিভক্তি

৩.৩ একদিন তিনি খোকনদের বাড়িতে এলেন।
উত্তর:  অধিকরণ কারকে তে বিভক্তি

৩.৪ ড্রইং খাতার একটা পাতা কালো রঙে ভরে গেল।
উত্তর: করণ কারকে এ বিভক্তি

৪.১ ‘ড্রইং শিখতে লাগল খোকন’– খোকন কোথায় ড্রইং শিখত? আর প্রথমদিকে কী কী আঁকত ? 

উত্তর: আলোচ্য অংশটি লেখক বনফুলের লেখা খোকনের প্রথম ছবি গল্পাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে । খোকন যে স্কুলে পড়তো সেখানে ড্রয়িং শেখানো হতো সেই স্কুলেই খোকন ড্রইং শিখত।

প্রথমদিকে টুল, টেবিল, চেয়ার, কলসি, কাপ এমনকি গরুর ছবিও আঁকত খোকন ।

৪.২ ‘একদিন তো মেঘের ছবি আঁকতে গিয়ে বেকুব হয়ে গেল খোকন’— ‘বেকুব’ শব্দটির অর্থ কী? মেঘের ছবি আঁকতে গিয়ে খোকন বেকুব হয়ে গিয়েছিল কেন?

উত্তর: আলোচ্য অংশটি বনফুলের লেখা ‘খোকনের প্রথম ছবি’ গল্প থেকে গৃহীত হয়েছে। বেকুব শব্দটির অর্থ হল বোকা ।

একদিন খোকন দেখলো আকাশে একটা মেঘ হাতির মতো আকার নিয়েছে। অবিকল একটি হাতি যেন পিছনের দু পায়ে ভর করে শুড় তুলে আছে । খোকন ছবিটি এঁকে ফেলল। আঁকার পর আকাশের দিকে তাকিয়ে মিলিয়ে নিতে গিয়ে দেখল হাতি নেই। হাতিটা ইতিমধ্যে একটি কুমিরের আকার নিয়েছে । এবং সেই প্রকাণ্ড কুমিরটি যেন শুয়ে আছে। এসব দেখে খোখন বেকুব হয়ে গেল ৷

৪.৩ ‘এগুলো সব নকল করা ছবি।’ কে কাকে এই কথা বলেছেন? ‘নকল করা ছবি’ বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন?

উত্তর: আলোচ্য অংশ টি বনফুল রচিত ‘খোকনের প্রথম ছবি’ গল্প থেকে গৃহীত হয়েছে। লক্ষ্ণৌ থেকে আসা খোকনের বাবার একজন চিত্রকর বন্ধু এ কথা বলেছিলেন খোকনকে ।

নকল করা ছবি বলতে নিজের ভাবনা থেকে যে ছবি তৈরি নয়, যা কোন কিছু দেখে হুবহু আঁকা সেই ধরনের ছবিকে বোঝানো হয়েছে। এতদিন ধরে খোকন যা এঁকেছে তা খোকনের নিজের ভাবনার ফসল নয়। কেবল প্রাকৃতিক নানা বস্তু বা মূর্তির যথাযথ অনুকরণ। সেগুলিকে তাই নকল করা ছবি বলা হয়েছে।

৫.১ সে যখন খুব ছোটো কাগজের উপর রঙিন পেনসিল দিয়ে হিজিবিজি কাটত।
উত্তর:
তখন সে খুব ছোট ছিল। কাগজের ওপর রঙিন পেনসিল দিয়ে তখন সে হিজিবিজি কাটত।

৫.২ পুলের ছবিটা দেখেও খুব প্রশংসা করলেন মাস্টারমশাই।
উত্তর:
পুলের ছবিটা মাস্টার মশাই দেখলেন । সেটা দেখেও তিনি খুব প্রশংসা করলেন ।

৫.৩ সূর্যের যে ছবিটা এঁকেছে সেটা তো সূর্যের মতো নয়।
উত্তর:
সূর্যের ছবিটা এঁকেছে। সেটা তো সূর্যের মতো নয়

৫.৪ একদিন তো মেঘের ছবি আঁকতে গিয়ে বেকুব হয়ে গেল খোকন ।
উত্তর:
একদিন মেঘের ছবি আঁকলো খোকন। সেটা আঁকতে গিয়ে বেকুব হয়ে গেল সে ।

৫.৫ খোকন একদিন নিজের ঘরে চোখ বুজে বসে রইল।
উত্তর:
খোকন একদিন নিজের ঘরে বসে ছিল। তখন সে চোখ বুজে ছিল।

৬.১ খোকন বড়ো হয়েছে। ক্লাস টেন-এ পড়ে।
উত্তর:
খোকন বড় হয়ে ক্লাস টেনে পড়ে ৷

৬.২ খোকনের বাবার একজন বন্ধু বিখ্যাত চিত্রকর। তিনি লক্ষ্ণৌ শহরে থাকেন।
উত্তর:
খোকনের বাবার একজন বিখ্যাত চিত্রকর বন্ধু লক্ষ্ণৌ শহরে থাকেন।

৬.৩ নিজের আঁকা ছবি? তা কী করে আঁকব ?
উত্তর:
নিজের আঁকা ছবি কি করে আঁকব?

৬.৪ চোখ বুজে বসে কল্পনা করো। কল্পনায় যা দেখবে সেটাই এঁকে ফেলো।
উত্তর:
চোখ বুজে বসে কল্পনা করে যা দেখবে সেটাই এঁকে ফেলবে।

৬.৫ তারপর হঠাৎ দেখতে পেল ওই কালোর ভেতরেই একটা মুখ রয়েছে। চোখও আছে।
উত্তর:
তারপর হঠাৎ দেখতে পেল ওই কালোর ভেতরেই একটা মুখ ও চোখ রয়েছে।

উত্তর: ক্লাস, স্কুল, টেবিল, ড্রয়িং, পুল, ফটো, ক্যামেরা, কপি, কাপ, মাস্টার ।

উত্তর: প্রকৃতি থেকে কিনা সে কথা জিজ্ঞেস করল খোকন ।

উত্তর: লক্ষ্ণৌ শহরটি ভারতের উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত । সেখানকার একটি বিখ্যাত স্থাপত্য হল ভুলভুলাইয়া ।

উত্তর: খোকনের স্কুলের ড্রইংয়ের মাস্টারমশাই খোকনকে প্রকৃতি থেকে ছবি আঁকতে বলেছিলেন। তার চারপাশে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক বস্তুকে খোকন যেন অনবরত এঁকে চলে এই ছিল তাঁর ইচ্ছে। বাড়ির সামনেই ছিল চমৎকার একটি ইউক্যালিপটাস গাছ সেটার ছবি আঁকতে বলেছিলেন মাস্টার মশাই । এটাই ছিল খোকনের প্রকৃতি চিত্র। এরপর মাস্টার মশাই খোকনকে বলেছিলেন তার বাড়ির ছাদ থেকে দেখতে পাওয়া পুলের ছবি আঁকতে। সেই ছবিটি আঁকার পর মাস্টারমশাই খোকনকে আরো উৎসাহ দিয়ে বলেছিলেন চারপাশে যা দেখবে এঁকে ফেলবে। খোকনের মাস্টারমশাই এইভাবেই খোকনকে প্রকৃতি দেখতে শিখিয়েছিলেন।

উত্তর: প্রকৃতির দৃশ্যের বদল যে অহরহ হয় তা খোকন বুঝেছিল মেঘের ছবি আঁকতে গিয়ে। প্রথমে মেঘটা ছিল হাতির মতো দেখতে। সেটা আঁকার পর ছবিটা মেলাতে গিয়ে খোকন দেখল সেটা আর হাতি নেই, সেটা হয়ে গেছে শুয়ে থাকা একটা প্রকাণ্ড কুমিরের মতো। হাতির . ছবিটা কুমির হয়ে গেছে এই বদল খোকনকে কে বুঝিয়ে দিয়েছিল।

উত্তর: আলোচ্য অংশটি লেখক বনফুলের লেখা ‘খোকনের প্রথম ছবি’ গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। বাবার চিত্রকর বন্ধু যখন খোকনের ড্রইং খাতা দেখে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তোমার নিজের আঁকা ছবি কই? সেই কথা শুনে সে অবাক হয়ে গিয়েছিল। ভাবতে বসেছিল এরকম ছবি কি করে আঁকা সম্ভব । ড্রয়িং খাতার ছবি তো সে নিজেই এঁকেছে এটি হলো তার প্রথম অবাক হওয়া।

পরে খোকন আবার অবাক হয় চোখ বুজে কল্পনার পর নিজের আঁকা অন্ধকারের ছবি দেখে। এটি ছিল তার সত্যিকারের নিজস্ব কল্পনা প্রসূত ছবি। নিজের প্রথম সৃষ্টির দিকে অবাক হয়ে চেয়েছিল খোকন । 

উত্তর: আলোচ্য অংশটি বনফুলের লেখা ‘খোকনের প্রথম ছবি’ গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নে উল্লেখিত চিত্রকর হলেন খোকনের বাবার বন্ধু তিনি খোকন দের বাড়িতে এসেছিলেন লক্ষ্ণৌ শহর থেকে ।

চলে যাওয়ার আগে বাবার চিত্রকর বন্ধু খোকনকে বলেছিলেন যে প্রকৃতিকে পর্যবেক্ষণ করে আঁকা ছবিগুলির সঙ্গে ফটোগ্রাফির কোনই তফাৎ নেই। তা মোটেও খোকনের নিজের আঁকা ছবি নয়, নকল করা ছবি। চোখ বুজে কল্পনা করতে হবে এবং ওই কল্পনায় সে যা দেখবে সেটাই এঁকে ফেলতে হবে। এভাবেই খোকনের পক্ষে মৌলিক ছবি আঁকা সম্ভব হবে ।

উত্তর: উদ্ধৃতাংশটি বনফুলের লেখা ‘খোকনের প্রথম ছবি’ গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। বাবার চিত্রকর বন্ধু চলে যাওয়ার পর তাঁর পরামর্শ মত খোকন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরামর্শ অনুযায়ী খোকন নিজের ঘরে চোখ বুজে বসে চুপ করে নানা জিনিস কল্পনা করতে শুরু করল। কিন্তু অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই যখন সে দেখতে পেল না তখন সে অন্ধকারেরই ছবি আঁকার সিদ্ধান্ত নিল ।

প্রথমে খোকন কিছুই বুঝতে না পেরে অন্ধকারের ছবিটির দিকে একদৃষ্টে চেয়েছিল। পরে সেই কালোর ভেতর থেকেই খোকন দেখতে পেল একটি মুখ ও অদ্ভুত হাসিমাখা চোখ l

উত্তর: খোকনের প্রথম ছবি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গেলে চোখ বুজে কল্পনার পর তার আঁকা অন্ধকারের ছবিটিকেই স্বীকৃতি দিতে হবে। কারণ এই ছবি কোন কিছুর অনুকরণ নয়, এই ছবিটা ছিল খোকনের একেবারে নিজস্ব কল্পনা থেকে আঁকা ছবি ।

উত্তর:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – কমলাকান্ত
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – ভানু সিংহ
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – অনিলা দেবী
বিমল ঘোষ – মৌমাছি
রাজশেখর বসু – পরশুরাম।

উত্তর: নিজে কর l

উত্তর: খোকনের ড্রইংয়ের মাস্টারমশাই খোকনকে বলেছিলেন প্রকৃতি থেকে ছবি আঁকতে। আর তার বাবার চিত্রকর বন্ধু শিখিয়েছিলেন নিজের কল্পনা থেকে ছবি আঁকতে।

এই দুই ধরনের মধ্যে দ্বিতীয় পদ্ধতিটি আমার পছন্দের কারণ প্রথম পদ্ধতিটিতে আছে কেবল অন্ধ অনুকরণ, শিল্পীর নিজস্বতা সেখানে প্ৰকাশ পায় না । দ্বিতীয় পদ্ধতিটিতে রয়েছে শিল্পীর কল্পনাবৃত্তির পরিচয়

আরো পড়ুন

গল্পবুড়ো কবিতার প্রশ্ন উত্তর | সুনির্মল বসু | Golpo Buro Kobita Question Answer | Class 5 | Wbbse

বুনো হাঁস প্রশ্ন উত্তর | লীলা মজুমদার | Buno Has Class 5 Question Answer | Wbbse

দারোগাবাবু এবং হাবু কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Daroga Babu Ebong Habu Question Answer | Class 5 | Wbbse

এতোয়া মুন্ডার কাহিনী প্রশ্ন উত্তর | Etoya Mundar Kahini Question Answer | Class 5 | Wbbse

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment