Class 7 Class 7 Bengali দেবতাত্মা হিমালয় প্রশ্ন উত্তর | প্রবোধকুমার সান্যাল | Debatatma Himalaya Question Answer | Class 7 | WB Board

দেবতাত্মা হিমালয় প্রশ্ন উত্তর | প্রবোধকুমার সান্যাল | Debatatma Himalaya Question Answer | Class 7 | WB Board

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, এই আর্টিকেলে আমরা প্রবোধকুমার সান্যালের লেখা দেবতাত্মা হিমালয় প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। গল্পের শেষে থাকা হাতে-কলমে অংশের প্রশ্নগুলির উত্তর এখানে সহজ সরল ভাষায় লিখে দেওয়া হয়েছে, যাতে তোমরা সহজেই বুঝতে পারো। এই উত্তরগুলি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল পাবে।

দেবতাত্মা হিমালয়

প্রবোধকুমার সান্যাল


১.১ লামারা রাজকীয় সম্বর্ধনা জানিয়েছিলেন রাজপুত্র (তিষ্য রক্ষিত / শান্ত রক্ষিত / কুমার রক্ষিত )-কে।
উত্তর:
লামারা রাজকীয় সম্বর্ধনা জানিয়েছিলেন রাজপুত্র শান্ত রক্ষিত কে।

১.২ তিব্বতীদের প্রধান ব্যবসা (পশম / রেশম / তাঁতবস্ত্র)-এর।
উত্তর: তিব্বতীদের প্রধান ব্যবসা পশম -এর।

১.৩ কালিম্পঙের ল্যান্ডমার্ক (বড়ো মন্দির / বড়ো মসজিদ / বড়ো গির্জা)।
উত্তর: কালিম্পঙের ল্যান্ডমার্ক বড়ো গির্জা

১.৪ রবীন্দ্রনাথের হাতে লেখক তুলে দিয়েছিলেন (অমৃতবাজার পত্রিকা / যুগান্তর / আনন্দবাজার পত্রিকা)-র ‘রবীন্দ্র জয়ন্তী সংখ্যা’।
উত্তর: রবীন্দ্রনাথের হাতে লেখক তুলে দিয়েছিলেন যুগান্তর -র ‘রবীন্দ্র জয়ন্তী সংখ্যা’।

১.৫ নবরচিত একটি কবিতা রেডিওতে আবৃত্তি করতে রবীন্দ্রনাথের সময় লেগেছিল (আধ ঘণ্টা / পঁয়তাল্লিশ মিনিট / পনেরো মিনিট)।
উত্তর: নবরচিত একটি কবিতা রেডিওতে আবৃত্তি করতে রবীন্দ্রনাথের সময় লেগেছিল পনেরো মিনিট

উত্তর:

২.১ কলকাতা থেকে তৎক্ষণাৎ জবাব এল- ‘ও.কে।’ 7
২.২ কবি তাঁর ঘরের আসনে বসে টেলিফোনে কবিতা পাঠ করবেন। 4
২.৩ ২৫ বৈশাখের সন্ধ্যায় জন্মদিন উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ দেশবাসীর উদ্দেশে একটি কবিতা পাঠ করবেন। 1
২.৪ প্রস্তুতির সময়ে নরম মখমল বসানো চেয়ারে বসে কয়েকবার ডাকলুম, হ্যালো ক্যালকাটা… হ্যালো…..? 6
২.৫ সেজন্য পাহাড়ে পাহাড়ে টেলিফোনের খুঁটি বসানো এবং তার খাটানো হলো কদিন ধরে। 3
২.৬ বেতার কর্তৃপক্ষ কবির কণ্ঠস্বরটি ধরে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে প্রচার করবেন, তাই এই ব্যবস্থা। 5
২.৭ কবির জন্মদিনের কবিতাপাঠের জন্য কলকাতা-কালিম্পঙের মধ্যে টেলিফোনের বন্দোবস্ত হলো। 2

উত্তর:

৩.১ শরৎচন্দ্র দাসের ভ্রমণের বিবরণ থেকেই প্রথম তিব্বতের কথা জানা যায়।
উত্তর: শরৎচন্দ্র দাসের ভ্রমণবৃত্তান্ত থেকেই প্রথম তিব্বতের কথা জানা যায়।

৩.২ এই পথে তিনজন বিশ্ববিখ্যাত বাঙালি তিব্বতে গিয়েছিলেন।
উত্তর: এই পথে তিনজন জগৎপ্রসিদ্ধ বাঙালি তিব্বতে গিয়েছিলেন।

৩.৩ সবার অগোচরে আত্মগোপনের জন্য অন্যরকম পোশাক পরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র একদিন কলকাতা ছেড়ে গিয়েছিলেন।
উত্তর: সবার অগোচরে ছদ্মবেশে নেতাজি সুভাষচন্দ্র একদিন কলকাতা ছেড়ে গিয়েছিলেন।

৩.৪ ভুল মানুষমাত্রেরই হতে পারে, তবে নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ার সাহসও থাকা উচিত।
উত্তর: ভুল মানুষমাত্রেরই হতে পারে, তবে স্বীকারোক্তি সাহসও থাকা উচিত।

৩.৫ যাদের ওপর পরিচালনার ভার, এ-কাজের জন্য আগে তাদের দাবি ত্যাগের প্রমাণপত্র প্রয়োজন।
উত্তর: কর্তৃপক্ষ, এ-কাজের জন্য আগে তাদের ছাড়পত্র প্রয়োজন।

৩.৬ যাঁরা নিজের নামেই বিখ্যাত, ভারতের সেই বরণীয় মানুষদেরই সম্মাননার আয়োজন হয়েছে এই সভায়।
উত্তর: স্বনামধন্য, ভারত-বরেণ্য মানুষদেরই সম্বর্ধনার আয়োজন হয়েছে এই সভায়।

উত্তর:

৪.১ ডাক্তার গৃহিণীর ডাইনিং হলে প্রাতরাশ সারা হলো।
উত্তর: ডাক্তার গৃহিণীর খাবার ঘরে প্রাতরাশ সারা হলো।

৪.২ অত বড়ো এপিক পৃথিবীর কোনো কালের কোনো সাহিত্যে নেই।
উত্তর: অত বড়ো মহাকাব্য পৃথিবীর কোনো কালের কোনো সাহিত্যে নেই।

৪.৩ কালিম্পঙে টেলিফোন ছিল না।
উত্তর: কালিম্পঙে দূরভাষ ছিল না।

৪.৪ বেতার-কর্তৃপক্ষ তাঁর কণ্ঠস্বর সঙ্গে সঙ্গে ব্রডকাস্ট করবেন।
উত্তর: বেতার-কর্তৃপক্ষ তাঁর কণ্ঠস্বর সঙ্গে সঙ্গে সম্প্রচার করবেন।

৪.৬ একটা বুঝি বেল বাজল।
উত্তর: একটা বুঝি ঘণ্টা বাজল।

৪.৭ গির্জাটা হলো কালিম্পঙের ল্যান্ডমার্ক।
উত্তর: গির্জাটা হলো কালিম্পঙের পথনির্দেশক চিহ্ন

মেঘময়, ভীষণ, মায়াচ্ছন্ন, সূক্ষ্ম, দীপ্ত, অগম্য, বিপুল, ঝুপসি

উত্তর:

মেঘময় = মেঘময় আকাশ
► মেঘময় আকাশে আলোর দেখা পাওয়া মুশকিল।

ভীষণ = ভীষণ রোদ
► ভীষণ রোদ উঠেছে আজ।

মায়াচ্ছন্ন = মায়াচ্ছন্ন চোখ
► মায়াচ্ছন্ন চোখে তাকিয়ে আছে মেয়েটি।

সূক্ষ্ম = সূক্ষ্ম হাত
► সূক্ষ্ম হাতের কাজে ফুটিয়ে তুলছে দৃশ্য।

দীপ্ত = দীপ্ত অগ্নি
► দীপ্ত অগ্নির দিকে এগিয়ে চলেছে ছেলেটি।

অগম্য = অগম্য স্থান
► অগম্য স্থানে বুঝে শুনে যাওয়া উচিত।

বিপুল = বিপুল জল
► চারিদিকে বিপুল জল।

ঝুপসি = ঝুপসি ঘর
► ঝুপসি ঘরে বসে দিদা আমাদের গল্প শোনাচ্ছিলেন।

কণ্ঠস্বর, স্বপ্নলোক, ব্যক্তিত্ব, আশঙ্কা, ইতিবৃত্ত, কীর্তি, রেখাচিত্র, দিগ্বলয়

উত্তর:

কণ্ঠস্বর = গম্ভীর কণ্ঠস্বর
► গম্ভীর কণ্ঠস্বরে নরেশবাবু ডাকলেন

স্বপ্নলোক = রঙিন স্বপ্নলোক
► রঙিন স্বপ্নলোকের সাথে বাস্তবের মিল নেই।

ব্যক্তিত্ব = দৃঢ় ব্যক্তিত্ব
► সুবল দৃঢ় ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ

আশঙ্কা = খারাপ আশঙ্কা
► যতটা খারাপ আশঙ্কা করেছিলাম ততটা নয়।

ইতিবৃত্ত = সমস্ত ইতিবৃত্ত
► বাংলা সাহিত্যের সমস্ত ইতিবৃত্ত জানা প্রয়োজন।

কীর্তি = মহৎ কীর্তি
► নেতাজী মহৎ কীর্তির পরিচয় দিয়েছেন।

রেখাচিত্র = অস্পষ্ট রেখাচিত্র
► অস্পষ্ট রেখাচিত্র ধরে এগোতে হবে।

দিগ্বলয় = সরলরৈখিক দিগ্বলয়
► সন্ধ্যায় প্রান্তরের শেষে সরলরৈখিক দিগ্বলয় ঝাপসা হয়ে আসে।

৭.১ শীতের হাওয়া ছিল কনকনে
উত্তর:
দাগ-দেওয়া শব্দটি ধন্যাত্মক অব্যয়।
► কনকনে – ছেলেটি কনকনে ঠান্ডায় মোটা জামাকাপড় গায়ে দিয়েছে।

৭.২ ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েই চলেছে।
উত্তর:
দাগ-দেওয়া শব্দটি ধন্যাত্মক অব্যয়।
► ঝিরঝিরে – মেঘলা দিনে সকাল থেকেই ঝিরঝিরে বৃষ্টি পড়ছে।

৭.৩ পায়ের নীচে কালিম্পঙ থরথর করতে লাগল কিনা আর মনে রইল না।
উত্তর:
দাগ-দেওয়া শব্দটি ধন্যাত্মক অব্যয়।
► থরথর – চোরটি পুলিশের ভয়ে থরথর করে কাঁপছে।

৮.১ পৃথিবীর উচ্চতম শিখর তিনি।
উত্তর:
উচ্চতম – বহুর মধ্যে তুলনা।
► পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট।

৮.২ এর চেয়ে মহত্তর উদ্যোগ আর দেখিনি।
উত্তর:
মহত্তর – দুয়ের মধ্যে তুলনা।
► শ্যামল অপেক্ষা কমল মহত্তর ব্যক্তি।

৮.৩ বাংলার এই পথই সর্বশ্রেষ্ঠ।
উত্তর:
সর্বশ্রেষ্ঠ – বহুর মধ্যে তুলনা।
► আকবরকে মুঘল সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা বলা হয়।

৮.৪ পাশের গলিটি সংকীর্ণতর হয়ে এসেছে।
উত্তর:
সংকীর্ণতর – দুয়ের মধ্যে তুলনা।
► পাড়াগ্রামের গলিগুলো অপেক্ষা চণ্ডীপুরের গলিগুলো বেশি সংকীর্ণতর।

৮.৫ অল্প আয়োজনে শুরু হলো দীর্ঘতম যাত্রা।
উত্তর:
দীর্ঘতম – বহুর মধ্যে তুলনা।
► চীনের গ্র্যান্ড ক্যানেল হলো বিশ্বের দীর্ঘতম কৃত্রিম খাল।

৯.১ গ্যাংটক থেকে নাথুলা গিরিসংকট হলো মাত্র ছাব্বিশ মাইল।
উত্তর:
ছাব্বিশ – সংখ্যাবাচক শব্দ।

৯.২ তিনি তেরো বছর সেখানে বাস করেছিলেন।
উত্তর:
তেরো – সংখ্যাবাচক শব্দ।

৯.৩ দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন আধুনিক ভারতের কুলগুরু রাজা রামমোহন রায়।
উত্তর:
দ্বিতীয় – পূরণবাচক শব্দ।

৯.৪ শরৎচন্দ্র দাস গিয়েছিলেন উনিশ শতকের শেষ ভাগে।
উত্তর:
উনিশ – সংখ্যাবাচক শব্দ।

৯.৫ অষ্টম শতাব্দীতে রাজপুত্র তিব্বতে যান।
উত্তর:
অষ্টম – পূরণবাচক শব্দ।

৯.৬ বিমানে গেলে কলকাতা থেকে দিল্লি পৌঁছতে লাগে সাড়ে তিন ঘন্টা, সেই গতিতে গেলে লাসা পৌঁছতে ঘণ্টা তিনেক লাগে কি?
উত্তর:
সাড়ে তিন ঘন্টা – সংখ্যাবাচক শব্দ, তিনেক – অনির্দেশক সংখ্যাবাচক শব্দ।

৯.৭ একটু আধটু দেখে বেড়াতেই ঘণ্টাখানেক সময় লাগল।
উত্তর:
ঘণ্টাখানেক – অনির্দেশক সংখ্যাবাচক শব্দ।

৯.৮ মনে পড়ে সেই ২৫ বৈশাখের অপরাহ্ন।
উত্তর:
২৫ – সংখ্যাবাচক শব্দ।

৯.৯ যেখানে বছর চৌদ্দ আগে একটি রাত্রি বাস করে গিয়েছিলাম।
উত্তর:
চৌদ্দ, একটি – সংখ্যাবাচক শব্দ।

৯.১০ কবি মাত্র পনেরো মিনিটকাল তাঁর কবিতা পাঠ করবেন।
উত্তর:
পনেরো – সংখ্যাবাচক শব্দ।

প্রণাম, অনুরোধ, পৃথিবী, উদ্বোধন, পূজা, উদ্বেগ, পুলক, আশঙ্কা।

উত্তর: প্রণাম – প্রণম্য, অনুরোধ – অনুরুদ্ধ, পৃথিবী – পার্থিব, উদ্বোধন – উদ্বোধনী, পূজা – পূজ্য, উদ্বেগ – উদ্বিগ্ন, পুলক – পুলকিত, আশঙ্কা – আশঙ্কিত।

বৈদান্তিক, নবরচিত, অভিজাত, উচ্ছ্বসিত, প্রসিদ্ধ, প্রচলিত, প্রচুর, প্রধান।

উত্তর: বৈদান্তিক – বেদান্ত, নবরচিত – নবরচনা, অভিজাত – আভিজাত্য, উচ্ছ্বসিত – উচ্ছ্বাস, প্রসিদ্ধ – প্রসিদ্ধি, প্রচলিত – প্রচলন, প্রচুর – প্রাচুর্য, প্রধান – প্রাধান্য।

শশাঙ্ক, হিমালয়, সর্বাপেক্ষা, অন্যান্য, রক্তিমাভা, যুগান্তর, মায়াচ্ছন্ন, অপরাহ্ন, সর্বাধিক, রথীন্দ্র, নৃপেন্দ্র, স্বীকারোক্তি, শয়ান, সম্বর্ধনা, উন্নতি, অপরিচ্ছন্ন, দিগ্বলয়, উদ্বোধন, উচ্ছ্বসিত।

উত্তর: শশাঙ্ক = শশ + অঙ্ক, হিমালয় = হিম + আলয়, সর্বাপেক্ষা = সর্ব + অপেক্ষা, অন্যান্য = অন্য + অন্য, রক্তিমাভা = রক্তিম + আভা, যুগান্তর = যুগ + অন্তর, মায়াচ্ছন্ন = মায়া + আচ্ছন্ন, অপরাহ্ন = অপর + অহ্ন, সর্বাধিক = সর্ব + অধিক, রথীন্দ্র = রথী + ইন্দ্র, নৃপেন্দ্র = নৃপ + ইন্দ্র, স্বীকারোক্তি = স্বীকার + উক্তি, শয়ান = শে + আন, সম্বর্ধনা = সম্ + বর্ধনা, উন্নতি = উৎ + নতি, অপরিচ্ছন্ন = পরি + ছন্ন, দিগ্বলয় = দিক্ + বলয়, উদ্বোধন = উৎ + বোধন, উচ্ছ্বসিত = উৎ + শ্বসিত।

জগৎপ্রসিদ্ধ, গিরিসংকট, কুলগুরু, ঠাকুরবাড়ি, ভ্রমণবৃত্তান্ত, রাজপুত্র, ছদ্মবেশ, কুঠিবাড়ি, অর্থব্যয়, নবরচিত, মহাকবি, ভারতবরেণ্য, স্বনামখ্যাত, স্বপ্নলোক, জন্মদিন।

উত্তর: জগৎপ্রসিদ্ধ = জগৎ + প্রসিদ্ধ (জগতে প্রসিদ্ধ এমন)।
গিরিসংকট = গিরি + সংকট (গিরির সংকট)।
কুলগুরু = কুল + গুরু (কুলের গুরু)।
ঠাকুরবাড়ি = ঠাকুর + বাড়ি (ঠাকুরের বাড়ি যেটা)।
ভ্রমণবৃত্তান্ত = ভ্রমণ + বৃত্তান্ত (ভ্রমণ-এর বৃত্তান্ত)।
রাজপুত্র = রাজা + পুত্র (রাজার পুত্র)।
ছদ্মবেশ = ছদ্ম + বেশ (ছদ্ম যে বেশ)।
কুঠিবাড়ি = কুঠি + বাড়ি (কুঠির বাড়ি)।
অর্থব্যয় = অর্থ + ব্যয় (অর্থের ব্যয়)।
নবরচিত = নব + রচিত (নতুন রচিত হয়েছে এমন)।
মহাকবি = মহান + কবি (মহৎ যে কবি)।
ভারতবরেণ্য = ভারত + বরেণ্য (ভারতে বরেণ্য বা ভারতের সম্মানীয় যিনি)।
স্বনামখ্যাত = স্বনাম + খ্যাত (সু নামে খ্যাত যিনি)।
স্বপ্নলোক = স্বপ্ন + লোক (স্বপ্নের লোক)।
জন্মদিন = জন্ম + দিন (জন্মের বিশেষ দিনটি)।

১৪.১ তিব্বতবাসীরা তাঁর মূর্তিকে আজও বোধিসত্ত্ব নামে পূজা করে।
উত্তর:
তিব্বতবাসীরা – কর্তৃকারকে ‘রা’ বিভক্তি, মূর্তিকে – কর্মকারকে ‘কে’ বিভক্তি।

১৪.২ তিনি ছদ্মবেশে গিয়েছিলেন তিব্বতে।
উত্তর: ছদ্মবেশে – করণকারকে ‘এ’ বিভক্তি।

১৪.৩ কবি তাঁর ঘরের আসনে বসে টেলিফোনে কবিতা পাঠ করবেন।
উত্তর: ঘরের আসনে – অধিকরণকারকে ‘এ’ বিভক্তি, টেলিফোনে – করণকারকে ‘এ’ বিভক্তি।

১৪.৪ কবি সেদিন আমাকে বাগে পেয়েছিলেন।
উত্তর: আমাকে – কর্মকারকে ‘কে’ বিভক্তি।

১৪.৫ শরৎ দাসের ভ্রমণবৃত্তান্ত থেকেই তিনি সর্বাধিক সাহায্য লাভ করেছিলেন।
উত্তর: ভ্রমণবৃত্তান্ত – অপাদান কারক ‘থেকে’ অনুসর্গ।

১৫.১ প্রাচীন পথ ধরে কোন তিনজন প্রসিদ্ধ বাঙালি অতীতে তিব্বতে গিয়েছিলেন?
উত্তর: লেখক প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ গল্পে জানা যায় অতীতে তিব্বতে গিয়েছিলেন যে তিনজন প্রসিদ্ধ বাঙালি তারা হলেন – অতিশ দীপঙ্কর, রাজা রামমোহন রায় ও শরৎচন্দ্র দাস।

১৫.২ কোন প্রাচীন পথের রেখা ধরে তাঁরা গিয়েছিলেন?
উত্তর:
লেখক প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ গল্পে জানা যায় কালিম্পঙের উপর দিয়ে চলেছে রেনক রোড তিব্বতের দিকে – এই প্রাচীন পথের রেখা ধরে তাঁরা গিয়েছিলেন।

১৫.৩ এখনকার পর্যটকরা এই প্রাচীন পথটি পরিহার করেন কেন?
উত্তর:
প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ গল্পে প্রাচীন পথ রেনক রোড এখনকার পর্যটকরা পরিহার করেন কারণ, এ পথে দুর্যোগ বেশি, দুঃসাধ্যও বটে।

১৫.৪ কোন দুই বিখ্যাত বাঙালি তিব্বতে গিয়ে বোধিসত্ত্ব উপাধি লাভ করেছিলেন?
উত্তর:
প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ গল্পে জানা যায় অতিশ দীপঙ্কর ও যশোরের রাজপুত্র শান্ত রক্ষিত এই দুই বিখ্যাত বাঙালি তিব্বতে গিয়ে বোধিসত্ত্ব উপাধি লাভ করেছিলেন।

১৫.৫ ছদ্মাবেশে কে গিয়েছিলেন তিব্বতে?
উত্তর:
প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ গল্পে জানা যায় শরৎচন্দ্র দাস ছদ্মবেশে তিব্বতে গিয়েছিলেন।

১৫.৬ স্যার ফ্রান্সিস ইয়াংহাসব্যান্ডকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল তিব্বত-বিষয়ক কোন বইটি?
উত্তর:
প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ গল্পে জানা যায় তিব্বত-বিষয়ক শরৎচন্দ্র দাসের ভ্রমণবৃত্তান্ত বইটি স্যার ফ্রান্সিস ইয়াংহাসব্যান্ডকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল।

১৫.৭ কালিম্পঙের কোথায় পড়াশুনো করে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ও ইংরেজ অনাথ ছেলেমেয়েরা?
উত্তর:
প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ গল্পে জানা যায় কালিম্পং এর গ্রেহামস হোমে এংলো ইন্ডিয়ান ও ইংরেজ অনাথ ছেলেমেয়েরা পড়াশুনো করে।

১৫.৮ গৌরীপুর প্রাসাদে কারা ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গী?
উত্তর:
প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ গল্পে জানা যায় গৌরীপুর প্রাসাদে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গী ছিলেন এটর্নী হীরেন দত্ত, রথীন্দ্রনাথ, প্রতিমা দেবী, অনিল চন্দ, মৈত্রেয়ী আর চিত্রিতা।

১৫.৯ লেখকের অনুরোধে কোন পত্রিকার জন্য অনেকবার লেখা দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
উত্তর:
প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ গল্পে জানা যায় লেখকের অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ ‘যুগান্তর’ পত্রিকার জন্য অনেকবার লেখা দিয়েছিলেন।

১৫.১০ ২৫ বৈশাখের সেই বিশেষ দিনটি যে ছিল শুক্লপক্ষ, লেখা থেকে সেকথা জানতে পারো কেমন করে?
উত্তর:
প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ গল্পে ‘জ্যোৎস্না ছিল সেইদিন বাইরে।’ এই লাইনটির সূত্র ধরেই বলা যেতে পারে যে ২৫ বৈশাখের সেই বিশেষ দিনটি ছিল শুক্লপক্ষ।

১৬.১ কীভাবে গেলে পৌঁছনো যায় কালিম্পঙের গ্রেহামস হোম-এ? এই হোমটির বিশিষ্টতা কী?
উত্তর:
প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ পাঠ্য অনুযায়ী কালিম্পঙের ল্যান্ডমার্ক হলো বড়ো গির্জা এবং তার পাশ থেকে চলে গেছে চড়াই-পথ। এই পথের এদিকে ওদিকে অনেক ঘুরে উঁচুতে গ্রেহামস হোম। এই হোমটির বৈশিষ্ট্য হলো যে এখানে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান এবং সাহেব সুবার অভিভাবকহীন ছেলেমেয়েরা পড়াশুনো করে মানুষ হয়। সমগ্র পাহাড় নিয়ে এ এক বিরাট কীর্তি। পরিচালনা ব্যবস্থা সমস্ত খাঁটি সাহেব-মেমদের হাতে।

১৬.২ ২৫ বৈশাখের ‘যুগান্তর’ পত্রিকার প্রথম পাতায় শিল্পীর আঁকা যে বিশেষ রেখাচিত্রটি প্রকাশ পেয়েছিল, তার বিষয় কী ছিল? রবীন্দ্র-জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে ছবির এই বিষয়টি তোমার যথার্থ মনে হয় কিনা, লেখো।
উত্তর:
প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ পাঠ্য অনুযায়ী ‘যুগান্তর’ পত্রিকার প্রথম পাতায় শিল্পীর আঁকা যে বিশেষ রেখাচিত্রটি প্রকাশ পেয়েছিল তার বিষয় ছিল গ্রাম, নগর, দেশ, মহাদেশ এবং দিগ্বলয়ে ছাড়িয়ে কবির মাথা উঠেছিল ধবলাধার গৌরীশৃঙ্গের মতো, হিমালয়ের চেয়ে যেন তিনি বড়ো। পৃথিবীর উচ্চতম শিখর তিনি। রবীন্দ্র-জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে ছবির এই বিষয়টি আমার যথার্থ মনে হয়েছে। কারণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারত তথা বিশ্ববাসীর হৃদয় জয় করেছেন এবং তাঁর সৃষ্টি মানুষকে সমৃদ্ধ করেছে। তিনি ছিলেন বিশ্বের গর্ব।

১৬.৩ ‘কাজটি দুরূহ, অনেকদিন সময় লাগবে’- কোন কাজটি সম্পন্ন করবার ইচ্ছে লেখককে জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ? কেন সে-কাজ করার ইচ্ছে হয়েছিল তাঁর? কার সাহায্য প্রত্যাশা করেছিলেন ওই কাজে ?
উত্তর:
প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ গদ্যে জানা যায় রবীন্দ্রনাথ এখানে যে কাজটি সম্পন্ন করবার ইচ্ছে লেখককে জানিয়েছিলেন তা হল সমগ্র মহাভারতকে তিনি নিজের হাতে লিখতে চান। সে-কাজ করার ইচ্ছে হিসেবে তিনি জানান মহাভারতের মতো এত বড় এপিক বা মহাকাব্য পৃথিবীর কোন কালের কোন সাহিত্যেই নেই। তিনি ওই কাজে হীরেনবাবুর সাহায্য প্রত্যাশা করেছিলেন।

১৬.৪ ‘এ ছাড়া আর ঠাকুরবাড়ি কোথায় হে?”- কোন প্রসঙ্গে এই পরিহাস রবীন্দ্রনাথের ?
উত্তর:
প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ গদ্যে লেখক যখন রবীন্দ্রনাথকে জানান যে তিনি ঠাকুরবাড়িতে এসে উঠেছেন তখনই কবিগুরু লেখককে উদ্দেশ্য করে এই কথাটি বলেন। কবির মন ছিলো সরস এবং কৌতুকপ্রবণ মন। কবিগুরু যখন বুঝতে পারেন লেখক সেখানকার একটি পান্থশালা ঠাকুরবাড়িতে উঠেছে তখন কবির রসিক মন সচেতন হয়ে ওঠে ও তিনি লেখককে বোঝাতে চান তিনি নিজেই তো ঠাকুর এবং তার আবাসন অর্থাৎ, গৌরীপুর প্রাসাদটিই হল ঠাকুরবাড়ি অর্থাৎ সেই বাড়িটি ছাড়া এখানে আর অন্য কোন ঠাকুর বাড়ি থাকতেই পারে না।

১৬.৫ ‘কবি সেদিন আমাকে বাগে পেয়েছিলেন।” ‘বাগে পেয়েছিলেন’— এই বিশিষ্ট ক্রিয়াপদটির অর্থ কী? তাঁকে কবির ‘বাগে পাওয়া’র কী পরিচয় রয়েছে লেখকের সেদিনের বিবরণে?
উত্তর:
‘বাগে পেয়েছিলেন’ — এই বিশিষ্ট ক্রিয়াপদটির অর্থটি হল ‘আয়ত্তে পাওয়া’ বা ‘হাতের কাছে পাওয়া’। লেখক প্রবোধকুমার সান্যাল জানিয়েছেন, সেদিন দু-চারটি কথার পরেই কবির পরিহাসপূর্ণ সরস বাক্যবাণ ছুটতে লেগেছিল আর সেই বাক্যবাণে বারবার বিদ্ধ হচ্ছিলেন লেখক এবং তার আশেপাশে হাসির রোল উঠেছিল। কবির লেখককে “বাগে পাওয়া”র এই পরিচয় পাওয়া যায় লেখকের সেদিনের বিবরণে।

১৬.৬ ‘কালিম্পঙে টেলিফোন ছিল না, এই উপলক্ষে তার প্রথম উদ্বোধন’– কোন বিশেষ উপলক্ষে, কীভাবে এই উদ্বোধন সম্পন্ন হলো?
উত্তর:
প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ গদ্যে জানা যায় সেইদিনকার সেই ২৫ বৈশাখের সন্ধ্যায় তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে একটি নবরচিত কবিতা বেতারযোগে পাঠ করবেন, সেজন্য কলকাতার বেতারকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ কলকাতা – কালিম্পঙের মধ্যে টেলিফোনের বন্দোবস্ত করেছিলেন। কালিম্পঙে টেলিফোন ছিল না, এই উপলক্ষে তার ‘প্রথম উদ্বোধন।’ গদ্যাংশের এই অংশ থেকে প্রদত্ত প্রশ্নটি করা হয়েছে এবং এখানে ‘দেবতাত্মা হিমালয়’– এর লেখক প্রবোধকুমার সান্যাল কালিম্পঙে টেলিফোনের আবির্ভাব কীভাবে হয় তা বর্ণনা করেছেন।

১৬.৭ ‘কিন্তু নৃপেন্দ্রবাবুর ফরমাশ শুনতেই হলো’- নৃপেন্দ্রবাবু কে? কী ছিল তাঁর ফরমাশ ? কীভাবে তা শুনেছিলেন লেখক ?
উত্তর:
প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ গদ্যে নৃপেন্দ্রবাবুর পুরো নাম নৃপেন্দ্র মজুমদার। তিনি হলেন একজন বেতার বিশেষজ্ঞ। তিনি লেখক প্রবোধকুমার সান্যালকে রবীন্দ্রনাথের বসার চেয়ারে বসে সূক্ষ্ম যন্ত্রে মুখ রেখে কলকাতাকে একবার ‘হ্যালো’ বলে ডাকার জন্য ফরমাশ করেছিলেন। লেখক প্রথমে বিশ্বকবির নধর মখমল বসানো চেয়ারে বসতে খানিকটা সংকোচবোধ করলেও শেষপর্যন্ত নৃপেন্দ্রবাবুর ফরমাশ পালন করতে গিয়ে, তিনি ওই চেয়ারে বসেছিলেন এবং সূক্ষ্ম যন্ত্রের সামনে ডেকেছিলেন, ‘হ্যালো, ক্যালকাটা … হ্যালো….?”

১৬.৮ জন্মদিনে কবির স্বকণ্ঠে বেতার-সম্প্রচারিত কবিতা শোনাবার মুহূর্তটি কীভাবে ধরা দিয়েছিল তাঁর শ্রোতাদের চেতনায় ?
উত্তর:
প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ গদ্যে জানা যায় বোধহয় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা কিংবা আটটা একটা বুঝি বেল বাজলো। কবি উঠে গিয়ে বসলেন যন্ত্রের সামনে। শব্দ যাতে না ঢোকে তাই ঘরের কাঁচের দরজা বন্ধ করে বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন লেখক এবং আরও কয়েকজন। তাদের পাশেই রয়েছে রেডিয়ো যন্ত্র – কলকাতা ঘুরে কবির কণ্ঠ ফিরে আসবে এই যন্ত্রে। সেটা ছিলো তাদের একটা রোমাঞ্চ পুলক। কবি মাত্র পনেরো মিনিটকাল তাঁর কবিতা পাঠ করবেন। একটি আলোর নিশানা পেয়ে কবির দীর্ঘ দীপ্ত কণ্ঠের মূর্ছনা উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠলো নবরচিত কবিতায় – ‘আজ মম জন্মদিন। সদ্যই প্রাণের প্রান্তপথে ডুব দিয়ে উঠেছে সে বিলুপ্তির অন্ধকার হ’তে মরণের ছাড়পত্র নিয়ে।’ বাইরে কবির স্বকণ্ঠে বেতার সম্প্রচারিত কবিতা শুনতে শুনতে লেখক এবং তাঁর সঙ্গীদের কারোরই মনে থাকল না তাঁদের পায়ের নীচে কালিম্পং থরথর করে কা

উত্তর: প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ গদ্যে জানা যায় বক্তা কালিম্পঙ থেকে তিব্বত যাওয়ার রাস্তায় জিপে করে যাওয়ার সময় সেই রাস্তার অতীত স্মরণ করেছেন। বক্তা গ্যাংটক থেকে নাথুলা গিরিসঙ্কট হয়ে তিব্বত যাওয়ার রাস্তা ধরেছিলেন। এই পথ দিয়ে বাংলার তিনজন প্রসিদ্ধ মানুষ তিব্বতে গিয়েছিলেন। তারা হলেন ঢাকার বিক্রমপুরের সন্তান অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান, আধুনিক ভারতের রাজা রামমোহন রায় এবং তৃতীয় ব্যক্তি হলেন শরৎচন্দ্র দাস যিনি ছদ্মবেশে তিব্বত গিয়েছিলেন।

এছাড়াও আর একজন অতীশ দীপঙ্করের আগে তিব্বতে গিয়েছিলেন তিনি হলেন যশোরের রাজপুত্র শান্ত রক্ষিত। যশোরের রাজপুত্র শান্ত রক্ষিত তিব্বতে গিয়ে আচার্য বোধিসত্ত্ব উপাধি লাভ করেন। তিনি অতীশ দীপঙ্করের আগে তিব্বতে গিয়েছিলেন অষ্টাদশ শতাব্দীতে। তিব্বতের লামারা তাকে রাজকীয় সম্বর্ধনা জানায়। কিন্তু অতীশ দীপঙ্করের যে বিপুল কীর্তির কথা আমরা জানি শান্তরক্ষিত সম্বন্ধে তত তথ্য পাওয়া যায় না।

এরপর তিব্বতে যান বাংলার চিরদিনের গর্ব ঢাকার বিক্রমপুরের ছেলে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান আজ থেকে প্রায় ৯০০ বছরেরও বেশি আগে। তিনি ভারতের তদানীন্তন শ্রেষ্ঠ ঋষি ছিলেন। তিনি তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মের নির্মল স্বরূপকে প্রচার করেছিলেন। ১৩ বছর সেখানে বাস করেন এবং লাসার নিকটে তার মৃত্যু ঘটে। গৌতম বুদ্ধের পরেই তার মূর্তিকে আজও বোধিসত্ত্ব নামে পুজো করে। ভারতের আধুনিক যুগের কুলগুরু রাজা রামমোহন রায় তিব্বতে গিয়েছিলেন। তবে প্রদত্ত গল্পে তার তিব্বতে যাওয়ার আনুপূর্বিক ইতিবৃত্ত কিছু জানা যায় না।

আর একজন প্রসিদ্ধ বাঙালি হলেন শরৎচন্দ্র দাস যিনি তিব্বতে গিয়েছিলেন ছদ্মবেশে। তিনি উনিশ শতকের শেষভাগে তিব্বতে গিয়েছিলেন। তার কাছে আধুনিক ভারতবর্ষ ঋণী। কারণ তার ভ্রমণ বৃত্তান্ত শুনে একালে আমরা তিব্বতের বিষয়ে জানতে পারি। বিংশ শতাব্দীর প্রথমে স্যার ফ্রান্সিস ইয়াংহাসবেন্ড যখন তিব্বত জয় করতে যান, তিনিও শরৎ দাসের ভ্রমণবৃত্তান্ত থেকেই সর্বাধিক সাহায্য লাভ করেছিলেন। এটি স্যার ফ্রান্সিসের স্বীকারোক্তি।

উত্তর: প্রবোধকুমার সান্যাল রচিত ‘দেবতাত্মা হিমালয়’ গদ্যে জানা যায় রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন উপলক্ষে অনেক খ্যাতনামা মানুষই কালিম্পঙের ঠাকুরবাড়িতে জমায়েত করেছিল। ২৫ শে বৈশাখের সন্ধ্যেবেলায় তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তার জন্মদিন উপলক্ষে একটি নবরচিত কবিতা বেতার যোগে পাঠ করবেন। সেই জন্য কলকাতার বেতার কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ কলকাতা থেকে কালিম্পং এর মধ্যে টেলিফোনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। কালিম্পংয়ে টেলিফোন ছিল না, রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন উপলক্ষে তার প্রথম উদ্বোধন। টেলিফোনের লাইন লাগানোর জন্য পাহাড়ে পাহাড়ে টেলিফোনের ঘটি বসানো এবং তার খাটানো হয়েছিল তার কিছুদিন আগে থেকেই।

টেলিফোনে কবিতা পাঠ করবেন কবি এবং বেতার কর্তৃপক্ষ তার কন্ঠস্বরটি ধরে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্রডকাস্ট করবেন। এর জন্য কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এসেছিলেন। যার মধ্যে স্বনামধন্য নৃপেন্দ্র মজুমদার ছিলেন। মহাকবি মাঝে মাঝে ভীষণ গলা ঝাড়া দিয়ে উঠে, তাই অনেকের আশঙ্কা ছিল কবিতা পাঠকালে সেই আওয়াজটির দাপটে সূক্ষ্ম যন্ত্র বিদীর্ণ হয়ে যেতে পারে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য বক্তাই প্রথম কালিংপং থেকে টেলিফোনে – হ্যালো কলকাতা হ্যালো বলেছিলেন। সন্ধ্যে সাতটার সময় কবিগুরুর বেতার সম্প্রচার শুরু হয়। সবাই বাইরে রেডিও যন্ত্রের সামনে বসেছিল, যখন কবিগুরুর কণ্ঠে সেই যন্ত্রে আসবে তার শোনার রোমাঞ্চ নিয়ে। কবি ১৫ মিনিট তার কবিতা পাঠ করেন। একটি আলোর সংকেত পেয়ে কবিতার দীর্ঘ দীপ্ত কন্ঠে বলে উঠেন- “আজ মম জন্মদিন। সদ্যই প্রাণের প্রান্ত পথে / ডুব দিয়ে উঠেছে সে বিলুপ্তির অন্ধকার হতে / মরণের ছাড়পত্র নিয়ে”। কবিগুরুর মায়াময় গলা শুনে সবাই মারার জন্য স্বপ্নলোকে হারিয়ে গিয়েছিল। এইভাবে কবির স্মরণীয় জন্মদিন কালিম্পং এর পাহাড়ের মাঝে উদযাপিত হয়েছিল।

উত্তর: লেখক প্রবোধকুমার সান্যাল একজন ঔপন্যাসিক এবং ভ্রমণকাহিনী রচয়িতা। তার রচনা ‘দেবতাত্মা হিমালয়’-এ ভারতের একটি শহর কালিম্পং এর ইতিবৃত্ত প্রখর হয়ে উঠেছে। তাঁর রচনার পড়ে আমিও শহরটিকে নতুন করে চিনতে পারলাম। প্রাচীনকালে এই শহরের রাস্তা দিয়েই ভারত বরেণ্য বাঙালিরা তিব্বতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান, রাজা রামমোহন রায় এবং শরৎচন্দ্র দাস।

তবে শুধু ইতিহাসেই নয়, ভূগোলের পাতায়ও কালিম্পং এর নাম পাওয়া যায়। সমগ্র উত্তর ভারতের মধ্যে কালিংপং থেকে তিব্বত সর্বাপেক্ষা নিকটতম। গ্যাংটক থেকে নাথুলা গিরিসঙ্কট হলো মাত্র ২৬ মাইল। কাশ্মীরের পূর্ব প্রান্তে ভারত তিব্বত বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র ছিল। কালিম্পং এর যে পথে চলে গিয়েছে উত্তরে সেখানে অসংখ্য পশমের ঘাঁটি আছে। এটাই তিব্বতীদের প্রধান ব্যবসা।

তবে কালিম্পং এর ইতিহাস এবং ভৌগলিক ইতিবৃত্তকে ছাপিয়ে গিয়েছে তার অবস্থানিক গুরুত্ব। এই শহর থেকেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে একটি কবিতার বেতার পাঠ করেছিলেন। সেই উপলক্ষে বহু স্বনামধন্য মানুষ এই শহরের বুকে জমায়েত করেছিল এবং এই উপলক্ষে কালিম্পং এর প্রথম টেলিফোন লাইন আসে। কালিংপং পাহাড়ে ঘেরা শহর হওয়ায় তার সৌন্দর্য আকর্ষণীয়। আমার গল্পটি পড়ে ভ্রমণ কাহিনীর ওপর আকর্ষণ আরো বৃদ্ধি পেল।

আরো পড়ুন

ছন্দে শুধু কান রাখো কবিতার প্রশ্ন উত্তর | অজিত দত্ত | Chonde Sudhu Kan Rakho Question Answer

বঙ্গভূমির প্রতি কবিতার প্রশ্ন উত্তর | মাইকেল মধুসূদন দত্ত | Bongobhumir Proti Question Answer

পাগলা গণেশ প্রশ্ন উত্তর | শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় | Pagla Ganesh Class 7 Question Answer

একুশের কবিতা প্রশ্ন উত্তর | আশরাফ সিদ্দিকী | Ekusher Kobita Question Answer

আত্মকথা রামকিঙ্কর বেইজ প্রশ্ন উত্তর | Attokotha Class 7 Question Answer

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment