প্রিয় শিক্ষার্থীরা, এখানে ক্লাস ৫-এর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর কবিতার প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হলো। আশা করি সবার উপকারে আসবে।
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর কবিতার প্রশ্ন উত্তর | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:
১.১ কোন কোন বাংলা মাসে সাধারণত বৃষ্টি হয়?
উত্তরঃ আষাঢ়-শ্রাবন এই দুই বাংলা মাসে সাধারণত বৃষ্টি হয়।
১.২ মেঘলা দিনে আকাশ ও তোমার চারপাশের প্রকৃতি কেমন রূপ ধারণ করে?
উত্তরঃ মেঘলা দিনে আকাশে মেঘ জমে। দিনের আলোয় অন্ধকার নেমে আসে। সূর্য অদৃশ্য হয়ে পড়ে। প্রকৃতি চারিদিকে নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে। আকাশ থেকে নেমে আসে বৃষ্টি।
১.৩ বৃষ্টির সঙ্গে জড়িয়ে আছে- তোমার জীবনে মনে রাখার মতো এমন কোনো ঘটনার কথা লেখো।
উত্তরঃ চারিদিকে মেঘ যখন অন্ধকার হয়ে আসতো তখন আমি বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকতাম। বৃষ্টি আসলে আমি বৃষ্টির মধ্যে মন ভরে স্নান করতাম। জমে যাওয়া জলে খেলা করতাম। বৃষ্টিতে এদিক ওদিক ঘুরাঘুরি করতাম।
১.৪ পুকুরে, টিনের চালে, গাছের পাতায় বৃষ্টি পড়ার শব্দগুলো কেমন হয় লেখো।
উত্তরঃ পুকুরে বৃষ্টি পড়ার শব্দ ঝুপঝুপ, টুপটাপ। গাছের পাতায় বৃষ্টি পড়ার শব্দ টপটপ। টিনের চালে বৃষ্টি পড়ার শব্দ টিপটিপ, ঝমঝম।
২. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও:

উত্তরঃ

৩. বেমানান শব্দের তলায় দাগ দাও:
৩.১ সূর্য, মেঘ, বৃষ্টি, আকাশ, বাড়ি
উত্তরঃ সূর্য, মেঘ, বৃষ্টি, আকাশ, বাড়ি
৩.২ ডোবে ডোবে, লোভে লোভে, পলে পলে, দেশে দেশে, টাপুর টুপুর
উত্তরঃ ডোবে ডোবে, লোভে লোভে, পলে পলে, দেশে দেশে, টাপুর টুপুর
৩.৩ গাছপালা, মেঘ, হাওয়া, বাদল, মানিক
উত্তরঃ গাছপালা, মেঘ, হাওয়া, বাদল, মানিক
৩.৪ মা, খোকা, দৌরাত্ম্য, হাসিমুখ, শিবঠাকুর
উত্তরঃ মা, খোকা, দৌরাত্ম্য, হাসিমুখ, শিবঠাকুর
৩.৫ মেঘের খেলা, লুকোচুরি, টাপুর টুপুর, নদী, সুয়োরানি
উত্তরঃ মেঘের খেলা, লুকোচুরি, টাপুর টুপুর, নদী, সুয়োরানি
৪. বিপরীতার্থক শব্দ কবিতা থেকে বেছে নিয়ে লেখো :
রাত, বার্ধক্য, খরা, পুরোনো, শান্ত
উত্তরঃ রাত – দিন, বার্ধক্য – শৈশব, খরা – বন্যা, পুরোনো – নতুন, শান্ত – দামাল
৫. বিশেষ্য ও বিশেষণ খুঁজে নিয়ে লেখো :
একশো মানিক, দুরন্ত ছেলে, বাদলা হাওয়া, গুরুগুরু বুক, ঝাপসা গাছপালা
উত্তরঃ
বিশেষ্য | বিশেষণ |
মানিক | একশো |
ছেলে | দুরন্ত |
হাওয়া | বাদলা |
বুক | গুরুগুরু |
গাছপালা | ঝাপসা |
৬. ক্রিয়ার তলায় দাগ দাও :
৬.১ কাঁসর ঘণ্টা বাজল ঠঙ ঠঙ।
উত্তরঃ কাঁসর ঘণ্টা বাজল ঠঙ ঠঙ।
৬.২ কত খেলা পড়ে মনে।
উত্তরঃ কত খেলা পড়ে মনে।
৬.৩ শুনেছিলেম গান।
উত্তরঃ শুনেছিলেম গান।
৬.৪ বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর।
উত্তরঃ বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর।
৬.৫ বাইরেতে মেঘ ডেকে ওঠে।
উত্তরঃ বাইরেতে মেঘ ডেকে ওঠে।
৭. ‘সৃষ্টি’ এমন ‘ষ্ট’ রয়েছে এরকম পাঁচটি শব্দ লেখো :
উত্তরঃ দৃষ্টি, স্পষ্ট, বৃষ্টি, মিষ্টি, সৃষ্টি।
৮. নীচের শব্দগুলোয় দুটো করে শব্দ লুকিয়ে আছে, আলাদা করে লেখো :
গাছপালা, ছেলেবেলা, হাসিমুখ, লেখাজোকা
উত্তরঃ গাছপালা = গাছ + পালা
ছেলেবেলা = ছেলে + বেলা
হাসিমুখ = হাসি + মুখ
লেখাজোকা = লেখা + জোকা
৯. সাজিয়ে লেখো :
লে ছে বে লা, রি কো চু লু
উত্তরঃ লে ছে বে লা = ছেলেবেলা
রি কো চু লু = লুকোচুরি
১০. শূন্যস্থান পূরণ করো :
১০.১ আকাশ ঘিরে ________ জুটেছে।
উত্তরঃ আকাশ ঘিরে মেঘ জুটেছে।
১০.২ বাদল ________ মনে পড়ে।
উত্তরঃ বাদল হাওয়ায় মনে পড়ে।
১০.৩ মনে পড়ে ________ আলো।
উত্তরঃ মনে পড়ে ঘরটি আলো।
১০.৪ ঘরেতে ________ ছেলে।
উত্তরঃ ঘরেতে দুরন্ত ছেলে।
১০.৫ বাইরে কেবল ________ শব্দ।
উত্তরঃ বাইরে কেবল জলের শব্দ।
১১.১ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
১১.২ কোন বইয়ের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তরঃ ‘Song Offerings’ বইয়ের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পান।
১১.৩ ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতাটি তাঁর কোন কবিতার বই থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তরঃ ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতাটি তাঁর ‘শিশু’ নামক কবিতার বই থেকে নেওয়া হয়েছে।
১২. মাঠে বা নদীতে বৃষ্টি পড়ছে এমন একটি ছবি আঁকো ও রং করো।
উত্তরঃ

১৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:
১৩.১ বৃষ্টির দিনে কবির মনে কোন গান ভেসে আসে?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতায় বৃষ্টির দিনে কবির মনে মায়ের মুখে শোনা ছেলেবেলার গান ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ নদের এল বান’ ভেসে আসে।
১৩.২ বৃষ্টির নদীতে এপার এবং ওপারের যে বর্ণনা কবি দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতায় বৃষ্টির নদীতে এপার এবং ওপারের যে বর্ণনা কবি দিয়েছেন তাতে কবির মনে হয়েছে যেন এপারে মেঘের মাথায় একশো মানিক জ্বলে উঠেছে এবং ওপারের গাছপালা বৃষ্টির জলে ঝাপসা হয়ে গেছে।
১৩.৩ ‘সেদিনও কি এমনিতরে / মেঘের ঘটাখানা’- কোন দিনের কথা বলা হয়েছে? সেদিনের প্রকৃতির বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতায় নেওয়া উদ্ধৃতিটিতে শিবঠাকুরের বিয়ের দিনের কথা বলা হয়েছে। সেদিন আকাশে ছিল মেঘের ঘনঘটা। সেদিন থেকে থেকে মেঘে বিদ্যুতের চমকানি দেখা যাচ্ছিল।
১৩.৪ মেঘের খেলা কবির মনে কোন্ কোন্ স্মৃতি বয়ে আনে ?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতায় মেঘের খেলা কবির মনে যে স্মৃতিগুলো বয়ে আনে – ঘরের কোণে মিটি মিটি আলো, ঘরের কোণে লুকোচুড়ি খেলা, মেঘের গুরুগুরু শব্দে ভয় পাওয়া, ঘরে আলো করা মায়ের মুখ, অভিমানী কঙ্কাবতীর ব্যথা, তার মায়ের কাছে শোনা রূপকথার গল্প, দেয়ালের চারিদিকে কালো কালো ছায়া এসবই। এছারাও কবির মনে ভেসে আসে ছেলেবেলার সেই বৃষ্টি গানের কথা “বৃষ্টি পড়ে টাপুর টাপুর নদেয় এল বান!”
আরো পড়ুন
গল্পবুড়ো কবিতার প্রশ্ন উত্তর | সুনির্মল বসু | Golpo Buro Kobita Question Answer | Class 5 | Wbbse
বুনো হাঁস প্রশ্ন উত্তর | লীলা মজুমদার | Buno Has Class 5 Question Answer | Wbbse
দারোগাবাবু এবং হাবু কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Daroga Babu Ebong Habu Question Answer | Class 5 | Wbbse
এতোয়া মুন্ডার কাহিনী প্রশ্ন উত্তর | Etoya Mundar Kahini Question Answer | Class 5 | Wbbse
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।