Class 5 Class 5 Bengali ফণীমনসা ও বনের পরি প্রশ্ন উত্তর | বীরু চট্টোপাধ্যায় | Fonimonosa o Boner Pori Question Answer | Class 5 | Wbbse

ফণীমনসা ও বনের পরি প্রশ্ন উত্তর | বীরু চট্টোপাধ্যায় | Fonimonosa o Boner Pori Question Answer | Class 5 | Wbbse

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, এখানে ক্লাস ৫-এর বীরু চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ফণীমনসা ও বনের পরি প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হলো।

ফণীমনসা ও বনের পরি

বীরু চট্টোপাধ্যায়


১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

১.১ ফণীমনসা তুমি দেখেছ? কোথায় দেখেছ?
উত্তর :
হ্যাঁ আমি ফণীমনসা দেখেছি। স্কুলে যাবার পথে রাস্তার ধারে ফণীমনসা দেখেছি।

১.২ আর কোন কোন গাছ তুমি দেখেছ যাদের কাঁটা আছে?
উত্তর :
আর কুল, খেজুর, গোলাপ, বেল প্রভৃতি গাছ আমি দেখেছি যাদের কাঁটা আছে।

১.৩ গাছের কাঁটা কীভাবে তাকে বাঁচায়?
উত্তর :
গাছের কাঁটা তাকে অন্য প্রাণীদের হাত থেকে রক্ষা করে।

১.৪ পরির গল্প তুমি কোথায় পড়েছ?
উত্তর :
পরির গল্প আমি ‘ঠাকুমার ঝুলি’ বইতে পড়েছি।

১.৫ সোনার মতো দামি আর কোন ধাতুর কথা তুমি জানো ?
উত্তর :
সোনার মতো দামি ধাতুর নাম হল প্ল্যাটিনাম।

২. নীচের এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :

উত্তর :

ল ত কা ডা দ ডাকাতদল । ন ণী ফ সা ম ফণীমনসা  

রি বি চ্ছি তি কি বিতিকিচ্ছিরি কং পা শা ল পালংশাক

৩. এলোমেলো শব্দগুলিকে সাজিয়ে ঠিক বাক্যটি লেখো :

৩.১ বলো চাও কীরকম তুমি পাতা।
উত্তর :
কীরকম পাতা চাও তুমি বলো।

৩.২ হয়েছে তো সুবুদ্ধি তোমার এই।
উত্তর :
এই তো সুবুদ্ধি হয়েছে তোমার।

৩.৩ না আর পাতা চাই সোনার।
উত্তর :
সোনার পাতা আর চাই না।

৪. নীচের শব্দগুলোর একই অর্থ বোঝায় এমন শব্দ নাটকে ছড়িয়ে আছে। নাটক থেকে খুঁজে নিয়ে যে শব্দটি, নীচের যে শব্দটির সঙ্গে মানায়- লেখো :

উত্তর :

বিশ্রী বিতিকিচ্ছিরি , অনেক অজস্র , অবস্থা হাল

বল্লম বর্শা , ভাগ্য বরাত , গর্ব দেমাক

হঠাৎ সহসা , ভীষণ ভয়ানক , প্রতিজ্ঞা পণ

সমস্ত বেবাক , আবদার বায়নাক্কা , শরীর অঙ্গ

তবে তাই হোক তথাস্তু , কঙ্কালসার হাড়-জিরজিরে

৫. নীচের বাক্যগুলির দাগ-দেওয়া প্রতিটি অংশই কোনো না কোনো আওয়াজ বোঝায়। এমন অনেক শব্দ নাটকে ছড়িয়ে আছে। খুঁজে বের করে লেখো (দুটি করে দেওয়া হলো) :

ছাগল কচকচ করে পাতা খেল।

পত পত পত ওড়াই পাতা।

উত্তর : মট মট মট ভাঙ্গি মাথা
শোঁ – শোঁ – হু – হু – মট – মট – ঝন – ঝন

৬. মুখে বললে, নীচের দাগ-দেওয়া শব্দগুলো কীভাবে বলবে, লেখো :

উত্তর :

তোমায় স্মরি তোমাকে স্মরণ করি ।

করুণা করি বাঁচাও করুণা করে বাঁচাও ।

৭. দাগ-দেওয়া অংশে সমার্থক শব্দ বসিয়ে নীচের বাক্যগুলি আবার লেখো। শব্দঝুড়ির সাহায্য নিতে পারো।

৭.১ আহা-হা ব্যথায় মরি।
উত্তর :
আহা-হা যন্ত্রণায় মরি।

৭.২ শুরু হলো কচি গাছের অঝোর কান্না ।
উত্তর :
আরম্ভ হলো চারাগাছ অবিরাম কান্না ।

৭.৩ ডাকাতেরা আমার কী হাল করে রেখে গেছে।
উত্তর :
ডাকাতেরা আমার কী অবস্থা করে রেখে গেছে।

৭.৪ আকাশ দিয়ে ধেয়ে এল দুর্দান্ত ঝড়।
উত্তর :
গগন দিয়ে ধেয়ে এল প্রবল ঝড়।

অবিরাম, অবস্থা, গগন, যন্ত্ৰণা,
চারাগাছ, প্রবল, আরম্ভ

৮. নীচের বাক্যগুলিতে দাগ-দেওয়া অংশগুলি আর কীভাবে লিখতে পারো ? বাক্য যদি বদলে যায়, বদলেই লেখো। শব্দঝুড়ি থেকে সাহায্য নিতে পারো।

৮.১ মন তার রি রি করে ওঠে
উত্তর :
মন তার হিংসায় জ্বলে ওঠে।

৮.২ ছোট্ট গাছটির এবার দেমাকে যেন মাটিতে পা পড়ে না
উত্তর :
ছোট্ট গাছটির এবার গর্বে বুক ভরে ওঠে

৮.৩ জিবে জল ঝরছে তোরে পেয়ে গো ।
উত্তর :
লোভ জাগছে তোরে পেয়ে গো ।

৮.৪ ঘাট হয়েছে কানে ধরি ।
উত্তর :
মাফ করে দাও কানে ধরি ।

গর্বে বুক ভরে ওঠে,
লোভ জাগছে, মাফ করে দাও,
হিংসায় জ্বলে ওঠে।

৯. কাচ-ফাচ আর চাই না। —
এই বাক্যে পর পর দুটো শব্দ বসেছে, যেখানে দ্বিতীয় শব্দটির তেমন কোনো মানে নেই। আরো একটা শব্দ তোমার জন্য দেওয়া হলো, কাপড়-চোপড় । এরকম শব্দ তুমি আর কটা লিখতে পারো, লেখো।
উত্তর : জামা-টামা, খাবার-দাবার, জল-টল, বই-টই, হাত-টাত প্রভৃতি ।

১০. ছাগল খেয়ে ফেলেছিল কচি কচি পালং পাতা।
দাগ দেওয়া অংশে একটা শব্দ পরপর দু বার ব্যবহৃত হয়েই একটার জায়গায় আনেকগুলো পাতা বোঝাচ্ছে। এইরকম আর কটা শব্দ পরপর দুবার ব্যবহার করে একের জায়গায় অনেক বোঝাতে পারবে? নাটকে এমন কটি শব্দ খুঁজে পাও, তাও দেখো।
উত্তর : কেঁদে কেঁদে, ছিঁড়ে ছিঁড়ে, খেয়ে খেয়ে , গুঁড়ো গুঁড়ো প্রভৃতি ।

১১. নীচের শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দগুলি নাটকেই আছে। শব্দগুলি খুঁজে বার করো। সেই সকল শব্দ দিয়ে বাক্য রচনা করো :

উত্তর :

দুবুদ্ধি (সুবুদ্ধি) – অনিকের সুবুদ্ধি হওয়ায় এখন আর মারামারি করে না ।
দুঃখ (সুখ) – সারাজীবন সুখ থাকে না।
অসন্তুষ্ট ( সন্তুষ্ট) – সাধু বাবা সন্তুষ্ট হয়ে চয়নকে আশীর্বাদ করলেন।
অল্প (বেশি) – ভালো রান্না হলে রাতুল বেশি ভাত খায়।
অসুন্দর (সুন্দর) গোলাপ ফুল খুব সুন্দর।
বুড়ো (জোয়ান) – জোয়ান ছেলেরা গায়ের জোরে দড়ি টানতে লাগলো।

১২. ‘মৃদুমন্দ বাতাস’শব্দটির মানে ‘হালকা হাওয়া’ আর ‘মন্দ’কথাটা সাধারণত আমরা ব্যবহার করি ‘খারাপ’/ ‘ভালো নয়’অৰ্থে । দু’টো অর্থেই দু’টো বাক্য লেখো :

উত্তর :

মন্দ— (মৃদু) মন্দ মধুর বাতাস বয়ে।

মন্দ— (খারাপ) রাম মন্দ ছেলে নয়।

১৩. নীচের শব্দগুলি দিয়ে বাক্য লেখো :

উত্তর :

ওলটপালট — ঝড়ে গ্রামের ঘড়বাড়িগুলি ওলটপালট হয়ে গেছে।

দুর্দান্ত — দুর্দান্ত গতিতে ছুটে চলেছে অশোক।

ঝিকিমিকি — ঝিকিমিকি জ্যোৎস্নার আলোয় গাছগুলো নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছে।

স্বচক্ষে — আমি কবি গুরুকে স্বচক্ষে দেখিনি।

দুর্দশা — দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে দুর্দশা শুরু হয় গরিব মানুষের।

১৪. কোনটি কী ধরনের বাক্য লেখো :

১৪.১ আ ! কি শান্তি !
উত্তর :
বিস্ময়সূচক বাক্য।

১৪.২ পাতা পালটাতে চাও ?
উত্তর :
প্রশ্নবোধক বাক্য।

১৪.৩ সোনার পাতা আর চাই না ।
উত্তর :
নেতিবাচক বাক্য।

১৪.৪ বেশ তাই হোক ! তথাস্তু !
উত্তর :
আবেগসূচক বাক্য।

১৪.৫ এবার তুমি আমায় কাচের পাতা দাও ।
উত্তর :
অনুজ্ঞাসূচক বাক্য।

১৫. ছোটো ছোটো বাক্যে ভেঙে লেখো :

১৫.১ কাচের পাতার ওপর সূর্যের কিরণ পড়ে রামধনু রং ঝিকিমিকি খেতে লাগল।
উত্তর :
কাঁচের পাতার ওপর সূর্যের কিরণ পড়ল। তার ফলে রামধনু রং ঝিকিমিকি খেতে লাগল।

১৫.২ পরি অদৃশ্য হতেই ফণীমনসার গা ভরে দেখা দিল কচি নরম পাতা।
উত্তর :
পরি অদৃশ্য হয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গেই ফণীমনসার গা ভরে দেখা দিল কচি নরম পাতা ।

১৫.৩ ডাকাতরা সব সোনার পাতা ছিঁড়ে নিয়ে পোঁটলা বেঁধে ওকে একেবারে ন্যাড়া করে রেখে গেল।
উত্তর :
ডাকাতরা সব সোনার পাতা ছিঁড়ে নিল । পাতাগুলিকে পোঁটলায় বাঁধলো । গাছটাকে একেবারে ন্যাড়া করে রেখে গেল ।

১৫.৪ ভয়ানক ঝড়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফণীমনসা গাছের সমস্ত পাতা ছড়িয়ে পড়ে গেল।
উত্তর :
ভয়ানক ঝড় এল । তার ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফনিমনসা গাছের সমস্ত পাতা ছড়িয়ে পড়ে গেল ।

১৬. পাশাপাশি ছোটো ছোটো বাক্যগুলি যোগ করে একটি বাক্য তৈরি করো :

১৬.১ একসময় ঝড় থামল। আর শুরু হল বাচ্চা গাছের অঝোর কান্না ।
উত্তর :
একসময় ঝড় থেমে গেলে শুরু হল বাচ্চা গাছের অঝোর কান্না।

১৬.২ এমন সময়ে সে পথ দিয়ে যাচ্ছিল বনের পরি। ওর কান্না শুনে থমকে দাঁড়াল সে।
উত্তর :
এমন সময়ে বনের পরি সে পথ দিয়ে যেতে গিয়ে ওর কান্না শুনে থমকে দাঁড়াল।

১৬.৩ গভীর বন। তার ভেতরে ছোট্ট একটি ফণীমনসা গাছ । গাছটির মনে কিন্তু এক ফোঁটাও শান্তি নেই ।
উত্তর :
গভীর বনের ভিতরে থাকা ছোট্ট একটি ফণীমনসা গাছের মনে কিন্তু এক ফোঁটাও শান্তি নেই।

১৬.৪ ছোট্ট গাছটির এবার দেমাকে যেন মাটিতে পা পড়ে না। মৃদুমন্দ বাতাসে হেলতে দুলতে লাগল সে মজা করে।
উত্তর :
ছোট্ট গাছটি দেমাকে মাটিতে পা না ফেলে মৃদুমন্দ বাতাসে মজা করে হেলতে দুলতে লাগল ।

১৭. আরো বিশেষণ যোগ করতে পারো? একটা তোমার জন্যে করা রইল :

উত্তর :

কচি নরম সবুজ পাতা

কাঁটাওয়ালা ধারালো পাতাযুক্ত ছোট্ট গাছ

লিকলিকে রোগা ন্যাড়া চেহারা

শক্তিশালী ভয়ংকর জোয়ান ডাকাত

ফুটফুটে সুন্দর ছোট্ট মেয়ে

১৮. পাশে যে ভাবে বলা আছে, সেই অনুযায়ী নীচের বাক্যগুলি বদলে আবার লেখো :

১৮.১ আকাশ দিয়ে ধেয়ে এল দুর্দান্ত ঝড়। (ঝড় আগামীকাল এলে কী লিখবে?)
উত্তর :
আগামীকাল আকাশ দিয়ে ধেয়ে আসবে দুর্দান্ত ঝড়।

১৮.২ বলতে দেরি আছে কিন্তু নিতে দেরি নেই। (কথাগুলো গতকাল হয়েছে বলতে হলে যেভাবে লিখবে)
উত্তর :
বলতে দেরি হয়েছিল কিন্তু নিতে দেরি হয়নি।

১৮.৩ সে-পথ দিয়ে যাচ্ছিল বনের পরি। (কথাগুলো এখনই বলা হচ্ছে, এমন হলে কী লিখবে ?)
উত্তর :
সে-পথ দিয়ে যাচ্ছে বনের পরি।

১৯. একটি বাক্যে উত্তর দাও :

১৯.১ ছোট্ট ফণীমনসা গাছের মনে শান্তি ছিল না কেন?
উত্তর :
 বীরু চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে ছোট্ট ফণীমনসা গাছের মনে শান্তি ছিল না। কারণ তার আশেপাশের গাছেদের সুন্দর পাতা আর তার পাতাগুলি ছুঁচলো ও কাঁটাযুক্ত ছিল।

১৯.২ ফণীমনসা গাছের আশেপাশের গাছগুলোর পাতা কেমন ছিল ?
উত্তর :
বীরু চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে ফণীমনসা গাছের আশেপাশের গাছেদের পাতা ছিল সুন্দর।

১৯.৩ ফণীমনসা বারে বারে পাতাগুলো পালটে দেওয়ার আবেদন কার কাছে করছিল?
উত্তর :
বীরু চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে ফণীমনসা বারে বারে পাতাগুলো পালটে দেওয়ার আবেদন করছিল বনের পরির কাছে।

১৯.৪ প্রথমবারের আবেদনে ফণীমনসার গাছ জুড়ে কেমন পাতা হয়েছিল ?
উত্তর :
বীরু চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে প্রথমবারের আবেদনে ফণীমনসার গাছ জুড়ে ঝলমলে সোনার পাতা হয়েছিল।

১৯.৫ সে সব পাতা ফণীমনসা হারালো কী করে?
উত্তর :
বীরু চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে ফণীমনসার সোনার পাতাগুলো ডাকাতদলের চোখে পড়ায় তারা সেগুলো ছিঁড়ে পোঁটলায় বেঁধে নিয়ে যায়। এভাবেই ফণীমনসা সোনার পাতা হারায়।

১৯.৬ ডাকাতদলকে দেখতে কেমন?
উত্তর :
বীরু চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে ডাকাতদলকে দেখতে জোয়ান, কানে জবাফুল গোঁজা এবং বাবরিওয়ালা।

১৯.৭ ঝড় এলে ফণীমনসা গাছের কাচের পাতার কী অবস্থা হলো?
উত্তর :
বীরু চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে ঝড় এলে ফণীমনসা গাছের কাচের সমস্ত পাতা ধাক্কা খেয়ে খেয়ে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে গেল।

১৯.৮ ছোট্ট ফণীমনসা গাছের দেমাকে মাটিতে পা পড়ছিল না কেন।
উত্তর :
বীরু চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে বনের পরির আশীর্বাদে ফণীমনসা গাছের সুন্দর সবুজ কচি পালং শাকের মতো পাতা হওয়ায় দেমাকে তার মাটিতে পা পড়ছিল না।

১৯.৯ সেই দেমাক তার ভেঙে গেল কীভাবে?
উত্তর :
বীরু চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে একটা ছাগল এসে ফণীমনসা গাছের কচি সবুজ পালং শাকের মতো পাতাগুলি কচকচ করে খেয়ে ফেলায় তার দেমাক ভেঙে গেল।

১৯.১০ শেষ পর্যন্ত ফণীমনসা কেমন পাতা চাইল নিজের জন্য?
উত্তর :
বীরু চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে শেষ পর্যন্ত ফণীমনসা তার সেই আগের কাঁটাভরা ছুঁচলো পাতা চাইল নিজের জন্য।

২০. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

২০.১ ‘বাচ্চা গাছটি তো মহা খুশি। আনন্দে ডগমগ’।— এত আনন্দ কখন হলো বাচ্চা গাছের ?
উত্তর :
বীরু চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে গভীর বনে ছোট্ট ফণীমনসা গাছের মনে এক ফোঁটাও শান্তি ছিল না। কারণ, আশেপাশের গাছেদের সুন্দর পাতা আর তার ছুঁচোলো বিশ্রী পাতা। একারণে মনের দুঃখে সে কাঁদতে থাকে। তার কান্না দেখে বনের পরি আশীর্বাদ দিয়ে যায় এবং ফণীমনসার কাঁটাভরা পাতা মিলিয়ে সেখানে গজিয়ে ওঠে অজস্র ঝলমলে সোনার পাতা। সোনার পাতা গজানোয় বাচ্চা গাছটি মহা খুশি ও আনন্দে ডগমগ হয়ে ওঠে।

২০.২ ফণীমনসা গাছ কাচের পাতায় ভরে ওঠবার পরে তার চেহারাটি কেমন হয়েছিল ?
উত্তর :
বীরু চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ফণীমনসা ও বনের পরি’ নাটকে বনের পরির আশীর্বাদে কাচের পাতায় ভরে ওঠার পর ঝলমলিয়ে উঠল ফণীমনসা গাছের সারা অঙ্গ। সেই কাচের পাতার ওপর সূর্যের কিরণ পড়ে রামধনু রং ঝিকিমিকি খেতে লাগল। মৃদুমন্দ বাতাসের দোলা লেগে সুমধুর টুং-টাং শব্দ হতে লাগল।

২০.৩ মৃদু বাতাসে মনের আনন্দে দুলছে ফণীমনসা, এমন সময় ছাগল এসে উপস্থিত হওয়ায় কী ঘটল?
উত্তর :
 বীরু চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ফণীমনসা ও বনের পরি নাটকে মৃদু বাতাসে মনের আনন্দে দুলছে ফণীমনসা। এমন সময় ছাগল এসে উপস্থিত হয় এবং পাতাগুলি দেখে ছাগলের লোভ হয়। ফণীমনসার পালং শাকের মতো কচি পাতাগুলো কচকচ করে খেয়ে ছাগল চলে যায়।

২০.৪ ছোট্ট গাছটি সত্যিই কি খুব শিক্ষা পেল বলে মনে হচ্ছে তোমার? কেমন সে শিক্ষা ?
উত্তর :
বীরু চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ফণীমনসা ও বনের পরি নাটকেছোট্ট গাছটি সত্যিই খুব শিক্ষা পেয়েছিল। যতবার সে অন্যের রূপ দেখে নিজেকে বদলানোর চেষ্টা করেছে ততবারই সে বিপদে পড়েছে। নিজের রূপে থাকাকালীন সে কোনোরকম সমস্যায় পড়েনি।

👉নিজের যা কিছু আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা উচিত। অন্যকে দেখে লোভ বা হিংসা করে তার মতো হবার চেষ্টা করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হয়। এই শিক্ষা পেয়েছিল ছোট্ট ফণীমনসা গাছটি।

২১. বিদ্যালয়ের কোনো অনুষ্ঠানে নাটকটির অভিনয় করো। (শ্রেণিকক্ষে শ্রুতি-অভিনয়ও করতে পারো)
উত্তর :
নিজে কর ।

আরো পড়ুন

গল্পবুড়ো কবিতার প্রশ্ন উত্তর | সুনির্মল বসু | Golpo Buro Kobita Question Answer | Class 5 | Wbbse

বুনো হাঁস প্রশ্ন উত্তর | লীলা মজুমদার | Buno Has Class 5 Question Answer | Wbbse

দারোগাবাবু এবং হাবু কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Daroga Babu Ebong Habu Question Answer | Class 5 | Wbbse

এতোয়া মুন্ডার কাহিনী প্রশ্ন উত্তর | Etoya Mundar Kahini Question Answer | Class 5 | Wbbse

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment