প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আমরা এখানে শঙ্খ ঘোষ এর লেখা আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার MCQ প্রশ্ন উত্তর গুলো নিয়ে এসেছি। গল্প থেকে গুরুত্বপূর্ণ 50 টির ও বেশী MCQ প্রশ্ন উত্তর এখানে তুলে ধরা হল। আশা করি এগুলি ভালো ভাবে পড়লে তোমাদের পরীক্ষায় অনেক সুবিধা হবে।
আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি
শঙ্খ ঘোষ
আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার MCQ প্রশ্ন উত্তর
১. শঙ্খ ঘোষের প্রকৃত নাম কী?
উত্তর : চিত্তপ্রিয় ঘোষ ৷
২. “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” কবিতাটির কবি কে?
উত্তর : শঙ্খ ঘোষ।
৩. শঙ্খ ঘোষ কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ৬ ফেব্রুয়ারি।
৪. সাহিত্যের কোন কোন শাখায় শঙ্খ ঘোষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন?
উত্তর : কবিতা এবং প্রবন্ধ রচনায়।
৫. শঙ্খ ঘোষের প্রথম কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
উত্তর : দিনগুলি রাতগুলি (১৯৫৬) ৷
৬. কবি শঙ্খ ঘোষের জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর : চাঁদপুরে (বর্তমান বাংলাদেশ) ৷
৭. শঙ্খ ঘোষ কত খ্রিস্টাব্দে নরসিংহ দাস পুরস্কার লাভ করেন
উত্তর : মূর্খ বড়ো সামাজিক নয় কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে নরসিংহ দাস পুরস্কার লাভ করেন।
৮. শঙ্খ ঘোষ রচিত অন্যতম প্রবন্ধ গ্রন্থ গুলির নাম লেখো।
উত্তর : কালের মাত্রা ও রবীন্দ্র নাটক ছন্দময় জীবন প্রভৃতি।
৯. কোন কাব্যগ্রন্থের জন্য শঙ্খ ঘোষ রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত হন?
উত্তর : ধুম লেগেছে হৃদকমলে কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত হন।
১০. কোন গ্রন্থ অনুবাদের জন্য কবি শঙ্খ ঘোষ সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তর : “রক্তকল্যাণ”।
১১. কোন কাব্যগ্রন্থের জন্য কবি শঙ্খ ঘোষ সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তর : বাবরের প্রার্থনা কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন।
১২. আমাদের আলোচ্য “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর : জলই পাষান হয়ে আছে (২০০১-২০০৩ রচনা কাল)।
১৩. কবি শঙ্খ ঘোষ কত খ্রিস্টাব্দে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেশিকোত্তম পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তর : ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে।
১৪. কবি শঙ্খ ঘোষের ছদ্মনাম কী?
উত্তর : কুন্তক।
১৫. জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যটির প্রকাশকাল কত ?
উত্তর : ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে।
১৬. কবিতায় “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” – বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন।
উত্তর : দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হাতে হাত রেখে একতাবদ্ধ ভাবে থাকা বুঝিয়েছেন।
১৭. “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” – এই বাক্যটি কবিতায় কতবার ব্যবহার করা হয়েছে?
উত্তর : ২ বার।
১৮. কবিতায় বর্ণিত আমাদের বাঁয়ে কী আছে বলে কবি জানিয়েছেন?
উত্তর : গিরিখাদ।
১৯. কবিতায় বর্ণিত আমাদের ডানপাশে কী আছে বলে কবি জানিয়েছেন?
উত্তর : ধ্বস।
২০. বোমারু শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : বোমা নিক্ষেপকারী।
২১. মাথার উপরে কী আছে?
উত্তর : বোমারু।
২২. হিমানী শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : বরফ।
২৩. আমাদের পায়ে পায়ে কী আছে?
উত্তর : হিমানীর বাঁধ।
২৪. “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” – কবিতায় আমাদের বলতে কবি কাদের কথা বলেছেন?
উত্তর : খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের কথা বলেছেন।
২৫. “আমাদের পথ নেই কোনো” – কবি কেন এ কথা বলেছেন ?
উত্তর : সাধারণ মানুষের অসহায়তা এবং তাদের প্রতিকূল জীবনযাত্রাকে বোঝাতেই কবি আলোচ্য অংশটির অবতারণা করেছেন।
২৬. কুন্তক ছদ্মনামে লেখা কবির রচনাগুলির নাম লেখো।
উত্তর : শব্দ নিয়ে খেলা, কথা নিয়ে খেলা প্রভৃতি।
২৭. “আমাদের ঘর গেছে উড়ে” – উক্তিটি বলার কারণ কী?
উত্তর : সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার আস্তানাটুকু পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে গেছে এমন করুন অবস্থা বোঝাতেই কবি আলোচ্য উক্তিটি ব্যক্ত করেছেন।
২৮. শব শব্দের অর্থ কী
উত্তর : মৃতদেহ।
২৯. আমাদের শিশুদের শব কোথায় ছড়িয়ে রয়েছে?
উত্তর : কাছে দূরে।
৩০. “আমরাও তবে এইভাবে / এ মুহূর্তে মরে যাব না কি?” – এ কথা বলার কারণ কী?
উত্তর : চারিদিকের প্রতিকূলতা এবং বিপদ সংকুল পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে কবি নিজেদের অস্তিত্ব সম্পর্কেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
৩১. “আমাদের পথ নেই আর” – এ প্রসঙ্গে কবি কী করতে বলেছেন?
উত্তর : বেঁধে বেঁধে থাকতে বলেছেন।
৩২. “আমাদের শিশুদের শব / ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে!”- লাইনটির মধ্যে দিয়ে কোন বিষয়টি ধরা পড়েছে?
উত্তর : হিংসা, প্রতিকূলতা ,অস্থিরতা, দাঙ্গা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিবেশেটি ধরা পড়েছে।
৩৩. “আমাদের পথ নেই আর” – কবি এমন বলেছেন কেন?
উত্তর : সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি কবি শঙ্খ ঘোষ নিজের চোখে সাধারণ মানুষের অসহায়তার রূপটি দেখেছেন। চারিদিকে যুদ্ধ, দাঙ্গা, হাহাকার, অত্যাচার, প্রতিকূলতা, শিশুদের মৃতদেহ এর মধ্যে নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য একতাবদ্ধ ভাবে বেঁচে থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই। এটা বোঝাতেই কবি আলোচ্য উক্তিটির অবতারণা করেছেন।
৩৪. বেঁধে বেঁধে থাকা বলতে কী বোঝো?
উত্তর : সঙ্ঘবদ্ধ বা একতাবদ্ধ ভাবে থাকা।
৩৫. “আমাদের ইতিহাস নেই”- একথা বলার কারণ কী?
উত্তর : কবি শঙ্খ ঘোষ সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি । সাধারণ মানুষের কথা কখনো ইতিহাসে স্থান পায় না কিংবা সেই ইতিহাস জনগণের সামনে প্রকাশিত হয় না। তাই কবি এ কথা বলেছেন।
৩৬. আলোচ্য কবিতায় আমাদের কী নেই বলে কবি জানিয়েছেন?
উত্তর : ইতিহাস নেই।
৩৭. “আমরা ফিরেছি দোরে দোরে” ” – দোরে দোরে ফেরার তাৎপর্য কী?
উত্তর : রক্তক্ষয়ী হিংসা, বিপন্নতা, অস্থিরতা, সামাজিক বিভেদ এবং রাজনৈতিক অবক্ষয়ের মধ্যে সাধারণ মানুষ তাদের দুর্দশাগ্রস্ত ভিখারীর দশা ঘোচাতেই দোঁরে দোরে ঘুরেছেন।
৩৮. আলোচ্য কবিতায় কবি কোথায় ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন?
উত্তর : দোরে দোরে।
৩৯. “পৃথিবী হয়তো গেছে মরে” – এমন আশঙ্কার কারণ কী?
উত্তর : কবি যে পৃথিবীর কথা বলেছেন সেখানে সাধারণ মানুষ গৃহহীন তাদের ইতিহাস নেই নিরন্ন দিশাহীন বিপন্ন এবং বিধ্বস্ত। পৃথিবী এই সমস্ত দারিদ্রক্লিষ্ট মানুষের জীবনের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ বলেই কবি উক্ত আশঙ্কাটি প্রকাশ করেছেন।
৪০. “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” কবিতা অনুসারে সাধারণ মানুষের ইতিহাসের পরিচয় দাও।
উত্তর : সাধারণ মানুষের কোনো ইতিহাস নেই এবং সাধারণ মানুষের কথা ইতিহাসে স্থানও পায় না । যাদের কথা ইতিহাসের পাতায় স্থান পায় তারা হলেন ক্ষমতাবান এবং তথাকথিত বিত্তশালী মানুষ। কবিতায় বর্ণিত সাধারণ মানুষের যে ইতিহাস তা হল চোখ মুখ ঢাকা।
৪১. “আমাদের কথা কে বা জানে” – কবির এমন বলার কারণ কী?
উত্তর : ব্যক্তিস্বার্থের এই পৃথিবীতে সকলেই নিজের স্বার্থের কথা ভাবতে গিয়ে সাধারণ মানুষের কথা কেউ ভাবে না। তাই কবি আলোচ্য উক্তিটি ব্যক্ত করেছেন।
৪২. আমাদের চোখমুখ ঢাকা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : মুখশাবৃত।
৪৩. “তবু তো কজন আছি বাকি” – এমন বলার কারণ কী?
উত্তর : রাজনৈতিক অস্থিরতা, দাঙ্গা, সামাজিক অবক্ষয়, হিংসা, বিপন্নতার মাঝেও এমন কিছু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ আজও অবশিষ্ট আছেন যাদের হাতে হাত রেখে বেঁচে থাকা যায়। তাই কবি উক্তিটি করেছেন।
৪৪. “তবু তো কজন আছি বাকি” – কজন বলতে কাদের কথা বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের কথা বোঝানো হয়েছে।
৪৫. “আমাদের মাথায় বোমারু” – বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আকস্মিক হানাতে জনজীবন বিপর্যস্ত- এখানে তারই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
৪৬. “পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ” – বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : জীবনে চলার পথে প্রতিটি পদক্ষেপেই যে বিপদ রয়েছে এ কথা বোঝাতেই কবি আলোচ্য অংশের অবতারণা করেছেন।
৪৭. “আমাদের বাঁয়ে গিরিখাদ” – “গিরিখাদ” শব্দটির ব্যবহারের তাৎপর্য লেখো।
উত্তর : গিরিখাদ মূলত দুই পর্বতের মাঝে সৃষ্টি হয়। আলোচ্য কবিতীয় গিরিখাদ শব্দটি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে কবি মূলত বিপদসংকুল পরিস্থিতিকে বোঝাতে চেয়েছেন।
আরো পড়ুন
বহুরূপী গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর | Bohurupi MCQ Question Answer
জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর MCQ | Gyanchakshu Golpo MCQ Question Answer
পথের দাবী গল্পের প্রশ্ন উত্তর MCQ | Pother Dabi MCQ Question Answer
অদল বদল গল্পের প্রশ্ন উত্তর MCQ | Adol Bodol MCQ Question Answer
মাধ্যমিক বাংলা MCQ সাজেশন ২০২৬ | Madhyamik Bengali MCQ Suggestion 2026 | Wbbse
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।