Class 10 ABTA Test Paper 2026 Solution ABTA Test Paper 2026 Class 10 History Page 35 Solution | ABTA টেস্ট পেপার ২০২৬ ইতিহাস পেজ 35 সমাধান

ABTA Test Paper 2026 Class 10 History Page 35 Solution | ABTA টেস্ট পেপার ২০২৬ ইতিহাস পেজ 35 সমাধান

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, এখানে আমরা ABTA Test Paper 2026 Class 10 History Page 35 Solution নিয়ে এসেছি। তোমরা যারা ২০২৬ এ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই সমাধানটি তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে অনেকটাই সহায়তা করবে।

HISTORY

PAGE : 35


বিভাগ-‘ক’

১। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : ১×২০=২০

১.১ “আলম আরা” চলচ্চিত্রটির পরিচালক ছিলেন— (ক) অমর চৌধুরী (খ) জ্যোতিষ ব্যানার্জি (গ) মৃণাল সেন (ঘ) আরদেশির ইরানি।
উত্তর: (ঘ) আরদেশির ইরানি।

১.২ “বঙ্গদর্শনের যুগ” বলা হয়- (ক) ১৮৬০-এর দশককে (খ) ১৮৭০-এর দশককে (গ) ১৮৮০-এর দশককে (ঘ) ১৮৯০-এর দশককে।
উত্তর: (খ) ১৮৭০-এর দশককে।

১.৩ ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটির প্রথম সম্পাদক ছিলেন- (ক) রাধাকান্ত দেব (খ) ডেভিড হেয়ার (গ) বিদ্যাসাগর (ঘ) গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কার।
উত্তর: (ক) রাধাকান্ত দেব

১.৪ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের “প্রথম মুসলিম স্নাতক” হন- (ক) রহিম খান (খ) রহমত আলি (গ) মির্জা দেলওয়ার হোসেন (ঘ) ফজল আলি।
উত্তর: (গ) মির্জা দেলওয়ার হোসেন।

১.৫ কেশবচন্দ্র সেন “আদি ব্রাহ্মসমাজ” থেকে বিতাড়িত হন- (ক) ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে (খ) ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে (গ) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে (ঘ) ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর: (ক) ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে।

১.৬ “সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ” প্রথম শুরু হয়েছিল – (ক) ঢাকায় (খ) পাবনায় (গ) মেদিনীপুরে (ঘ) ছোটোনাগপুরে।
উত্তর: (ক) ঢাকায়।

১.৭ “জমি আল্লাহ্”র দান বলেছিলেন- (ক) তিতুমির (খ) গোলাম মাসুম (গ) শরিয়ত উল্লাহ (ঘ) দুদু মিঞা।
উত্তর: গ) শরিয়ত উল্লাহ।

১.৮ ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় জাতীয় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন— (ক) উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (খ) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (গ) দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় (ঘ) রামতনু লাহিড়ী।
উত্তর: (খ) সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।

১.৯. “ভারতমাতা” চিত্রটির নামকরণ করেন— (ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (খ) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (গ) গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর (ঘ) ভগিনী নিবেদিতা।
উত্তর: (ঘ) ভগিনী নিবেদিতা।

১.১০ “মেজর হিউসন” নামক এক সেনাকর্তাকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন— (ক) তাঁতিয়া টোপি (খ) নানা সাহেব (গ) মঙ্গল পাণ্ডে (ঘ) কুনওয়ার সিং।
উত্তর: (গ) মঙ্গল পাণ্ডে।

১.১১ “বাল্যবিবাহ” পুস্তকটির রচয়িতা ছিলেন – (ক) বিদ্যাসাগর (খ) রামসুন্দর বসাক (গ) মদনমোহন তর্কালঙ্কার (ঘ) রামরাম বসু।
উত্তর: (ক) বিদ্যাসাগর।

১.১২ বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন– (ক) অরবিন্দ ঘোষ (খ) তারকনাথ পালিত (গ) সতীশচন্দ্র মুখার্জি (ঘ) প্রথমনাথ বসু।
উত্তর: (ঘ) প্রথমনাথ বসু।

১.১৩ “নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস” প্রতিষ্ঠা হয়েছিল— (ক) ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে (খ) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে (গ) ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে (ঘ) ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর: (খ) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে।

১.১৪ “ইয়াকুব হাসান” নেতৃত্ব দেন– (ক) একা আন্দোলনে (খ) মোপলা বিদ্রোহে (গ) রম্পা বিদ্রোহে (ঘ) বারদৌলি সত্যাগ্রহে।
উত্তর: (খ) মোপলা বিদ্রোহে।

১.১৫ “ভারতের শ্রমিক আন্দোলনের জনক” বলা হয়— (ক) মেঘাজি লোখান্ডেকে (খ) দ্বারকানাথ গাঙ্গুলিকে (গ) সিঙ্গারাভেলু চেট্টিয়ারকে (ঘ) বি পি ওয়াদিয়াকে।
উত্তর: (ক) মেঘাজি লোখান্ডেকে।

১.১৬ “মাদাম কামা” তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন- (ক) লন্ডনে (খ) প্যারিসে (গ) স্টুটগার্টে (ঘ) বার্লিনে।
উত্তর: (গ) স্টুটগার্টে।

১.১৭ ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় গোপনে রেডিও কেন্দ্র গড়ে তুলে গান্ধীজির “করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে”-র আদর্শ প্রচার করেন- (ক) অরুণা আসফ আলি (খ) সুচেতা কৃপালনী (গ) ঊষা মেহতা (ঘ) লীলা রায়।
উত্তর: (গ) ঊষা মেহতা।

১.১৮ “সত্যশোধক সমাজ” প্রতিষ্ঠা করেন – (ক) জ্যোতিবা ফুলে (খ) গান্ধীজি (গ) বি আর আম্বেদকর (ঘ) শ্রীনারায়ণ গুরু।
উত্তর: (ক) জ্যোতিবা ফুলে।

১.১৯ “প্রান্তিক মানব” স্মৃতিকথাটির রচয়িতা- (ক) প্রফুল্ল চক্রবর্তী (খ) সুফিয়া কামাল (গ) খুশবন্ত সিং (ঘ) জ্যোতিময়ী দেবী।
উত্তর: (ক) প্রফুল্ল চক্রবর্তী।

১.২০ সিকিম ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়— (ক) ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে (খ) ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে (গ) ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে (ঘ) ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে।
উত্তর: (ঘ) ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে।

বিভাগ-‘খ’

২। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্তত ১টি করে, মোট ১৬টি প্রশ্নের উত্তর দাও) :  ১×১৬=১৬

উপবিভাগ ২.১ একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১×8=8

২.১.১) “ওস্তাদ” নামে কে পরিচিত ছিলেন?
উত্তর:
আলাউদ্দিন খাঁ “ওস্তাদ” নামে পরিচিত ছিলেন।

২.১.২) “বিশ্বভারতী” বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্যের নাম কি?
উত্তর:
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্যের নাম ছিলেন রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

২.১.৩) “গণবাণী” পত্রিকার সম্পাদকের নাম লেখো।
উত্তর:
“গণবাণী” পত্রিকার সম্পাদকের নাম ছিল মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ।

২.১.৪) “সিডিউলড কাস্ট ফেডারেশন” কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর:
ডঃ ভীমরাও রামজি আম্বেদকর “সিডিউলড কাস্ট ফেডারেশন” প্রতিষ্ঠা করেন।

উপবিভাগ ২.২ .ঠিক বা ভুল নির্ণয় করো : ১×8=8

২.২.১) যামিনী রায় পোশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস চর্চার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর:
ভুল।

২.২.২) রবার্ট মে চুঁচুড়ায় একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
উত্তর:
ঠিক।

২.২.৩) ভারত সভার মুখপত্র ছিলেন “দি বেঙ্গলি” পত্রিকা।
উত্তর:
ঠিক।

২.২.৪) “দলিত” কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন জ্যোতিবা ফুলে।
উত্তর:
ঠিক।

উপবিভাগ ২.৩ এর ‘ক’ স্তম্ভের সাথে ‘খ’ স্তম্ভের সঠিক মিলটি নিচে দেওয়া হলো:

উত্তর:

‘ক’ স্তম্ভ‘খ’ স্তম্ভ
২.৩.১) কিশোরীচাঁদ মিত্র(২) সুহৃদ সভা
২.৩.২) গৌরী দেবী(৩) চিপকো আন্দোলন
২.৩.৩) উইলিয়াম অ্যাডাম(৪) ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি
২.৩.৪) এন জি রঙ্গ(১) সারা ভারত কিষান কংগ্রেস

উপবিভাগ : ২.৪ প্রদত্ত ভারতবর্ষের রেখামানচিত্রে নিম্নলিখিত স্থানগুলি চিহ্নিত করো ও নামাঙ্কিত করো : ১×8=8

(২.৪.১) মুন্ডা বিদ্রোহের (১৮৯৯-১৯০০) এলাকা। (২.৪.২) মহাবিদ্রোহের অন্যতম কেন্দ্ৰ মীরাট। (২.৪.৩) দেশীয় রাজ্য জুনাগড়। (২.৪.৪) ভাষার ভিত্তিতে গঠিত রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ।

উপবিভাগ ২.৫: বিবৃতিগুলির সঙ্গে সঠিক ব্যাখ্যা নির্বাচন

(২.৫.১) বিবৃতি: সাঁওতাল বিদ্রোহকে মহাবিদ্রোহের অগ্রদূত বলা হয়।
ব্যাখ্যা-১: মহাবিদ্রোহে সাঁওতালরা ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে।
ব্যাখ্যা-২: মহাবিদ্রোহের আগে এটি ছিল তাৎপর্যপূর্ণ বিদ্রোহ।
ব্যাখ্যা-৩: সাঁওতাল বিদ্রোহ না হলে মহাবিদ্রোহ হত না।
উত্তর: সঠিক ব্যাখ্যা: ব্যাখ্যা-২: মহাবিদ্রোহের আগে এটি ছিল তাৎপর্যপূর্ণ বিদ্রোহ।

(২.৫.২) বিবৃতি: স্বামী বিবেকানন্দ বর্তমান ভারত বইটি লিখেছিলেন।
ব্যাখ্যা-১: ভারতবাসীকে দেশের অতীত সম্বন্ধে সচেতন করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল।
ব্যাখ্যা-২: ভারতবাসীর সামনে ইংরেজ শাসনের নেতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল।
ব্যাখ্যা-৩: উপনিবেশ-বিরোধী আন্দোলনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা তাঁর উদ্দেশ্য পক্ষে ধরান। ছিল।
উত্তর: সঠিক ব্যাখ্যা: ব্যাখ্যা-২: ভারতবাসীর সামনে ইংরেজ শাসনের নেতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল।

(২.৫.৩) বিবৃতি: স্বদেশী আন্দোলনে কৃষকরা যোগদান করেনি।
ব্যাখ্যা-১: কৃষকরা বঙ্গভঙ্গের সমর্থক ছিলেন।
ব্যাখ্যা-২: কৃষকরা এই আন্দোলনকে ভালোভাবে গ্রহণ করেনি।
ব্যাখ্যা-৩: আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ কৃষক স্বার্থ সম্পর্কে উদাসীন ছিলেন।
উত্তর: সঠিক ব্যাখ্যা: ব্যাখ্যা-৩: আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ কৃষক স্বার্থ সম্পর্কে উদাসীন ছিলেন।

(২.৫.৪) বিবৃতি: বাংলায় উদ্বাস্তু সমস্যা ছিল পাঞ্জাবের তুলনায় দীর্ঘস্থায়ী।
ব্যাখ্যা-১: বাংলায় উদ্বাস্তুদের আগমন ছিল একটি দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া।
ব্যাখ্যা-২: পশ্চিমবঙ্গের মানুষ উদ্বাস্তুদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করেনি।
ব্যাখ্যা-৩: পশ্চিমবাংলায় আগত পূৰ্ব পাকিস্তানের মানুষেরা ভাষাগত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল।
উত্তর: সঠিক ব্যাখ্যা: ব্যাখ্যা-১: বাংলায় উদ্বাস্তুদের আগমন ছিল একটি দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া।

বিভাগ-‘গ’

৩। দুটি অথবা তিনটি বাক্যে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যেকোনো ১১টি): ২x১১=২২

১. আধুনিক ইতিহাস চর্চায় সাধারণ মানুষের কর্মধারার উপর বেশি জোর দেওয়া হয় কেন?
উত্তর: আধুনিক ইতিহাস চর্চায় সাধারণ মানুষের কর্মধারার উপর বেশি জোর দেওয়ার মূল কারণগুলি হলো:
ইতিহাসের সামগ্রিকতা: পুরোনো ইতিহাস চর্চা মূলত রাজা, শাসক বা অভিজাত শ্রেণির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষের (যেমন: কৃষক, শ্রমিক, নিম্নবিত্ত নারী) জীবনযাত্রা, সংগ্রাম, ও ভূমিকা বাদ দিয়ে ইতিহাসের সামগ্রিক ও পূর্ণাঙ্গ ধারণা তৈরি করা সম্ভব নয়।
ঐতিহাসিক গতিপথের নির্মাতা: বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন বা বিদ্রোহের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ভূমিকা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ চালিকাশক্তি। সাঁওতাল বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ বা মহাবিদ্রোহ—এসবের আসল নির্মাতা ছিলেন সাধারণ মানুষ।
নতুন দৃষ্টিকোণ: সাব-অল্টার্ন (নিম্নবর্গীয়) ইতিহাস চর্চার প্রভাবে ইতিহাস লেখার ক্ষেত্রে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে, যেখানে ক্ষমতাহীন শ্রেণির অভিজ্ঞতা ও কন্ঠস্বরকে সামনে আনা হয়।
জীবন্ত সমাজের প্রতিচ্ছবি: সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন, খাদ্য, পোশাক, সামাজিক প্রথা, লোকসংস্কৃতি ইত্যাদি চর্চার মাধ্যমে তৎকালীন সমাজের একটি জীবন্ত ও বাস্তব প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়।

৩.২ সোমপ্রকাশকে বাংলার প্রথম রাজনৈতিক সংবাদপত্র বলার কারণ কি ?
উত্তর:
সোমপ্রকাশ (১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণের সম্পাদনায় প্রকাশিত) পত্রিকাটিকে বাংলার প্রথম রাজনৈতিক সংবাদপত্র বলার কারণগুলি হলো:
রাজনৈতিক আলোচনা: এই পত্রিকাটিই প্রথম বাংলার অন্য সব পত্রিকার মতো কেবল সাহিত্য বা সমাজ সংস্কারের আলোচনায় সীমাবদ্ধ না থেকে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা শুরু করে।
সরকারি নীতির সমালোচনা: এটি নিয়মিতভাবে ব্রিটিশ সরকারের জনস্বার্থ বিরোধী নীতির কঠোর সমালোচনা করত। যেমন: এটি দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act)-এর বিরুদ্ধে এবং ইলবাটি বিলের সমর্থনে সোচ্চার হয়েছিল।
জনমত গঠনে ভূমিকা: পত্রিকাটি রাজনৈতিক চেতনা প্রচারের মাধ্যমে বাংলার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজে একটি রাজনৈতিক জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
কৃষক বিদ্রোহের সমর্থন: নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে এটি নীল বিদ্রোহের কৃষকদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায়, যা এর রাজনৈতিক চরিত্রকে স্পষ্ট করে।

৩.০ আলেকজান্ডার ডাফ সারণীয় কেন?
উত্তর:
রেভারেন্ড আলেকজান্ডার ডাফ (Alexander Dull) ভারতে শিক্ষাবিস্তার ও ধর্মপ্রচারের ইতিহাসে একজন স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি স্মরণীয় মূলত এই কারণগুলির জন্য:
স্কটিশ চার্চ কলেজ প্রতিষ্ঠা: ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতায় জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠা করেন, যা বর্তমানে স্কটিশ চার্চ কলেজ নামে পরিচিত। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি বাংলার পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।
শিক্ষানীতি বিতর্ক: তিনি ভারতে উচ্চশিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ভাষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। চার্লস গ্র্যান্ট, মেকলে প্রমুখের সঙ্গে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
খ্রিস্টধর্ম প্রচার: তিনি ছিলেন স্কটল্যান্ডের চার্চের পক্ষ থেকে বাংলায় প্রেরিত প্রথম ধর্মপ্রচারক। শিক্ষার মাধ্যমেই তিনি খ্রিস্টধর্ম প্রচারের পথ প্রশস্ত করেন।
সমাজ সচেতনতা: ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের পরবর্তীকালে ব্রিটিশ সরকারের নৃশংস পদক্ষেপের এবং নীলচাষিদের উপর অত্যাচারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি একজন মানবতাবাদী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

৩.৪ স্বামী বিবেকানন্দের বেদান্তবাদকে কেন “নব্য” বলা হয়?
উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দের ধর্মীয় দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল নব্য বেদান্তবাদ।

নব্য বেদান্ত: রামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন, “যত মত তত পথ” এবং “শিবজ্ঞানে জীবসেবা”। গুরুদেবের বাণীকে বাস্তবায়িত করার জন্য বিবেকানন্দ বলেন, “বনের বেদান্তকে ঘরে আনতে হবে।” এর অর্থ ভারতের আধ্যাত্মিক শক্তির সঙ্গে পাশ্চাত্যের কর্মযোগকে যুক্ত করতে হবে। ফলে এক নতুন ভারত গড়ে উঠবে।

৩.৫ কোল বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ছিল?
উত্তর:
কোল সম্প্রদায় অমিতবিক্রমে ইংরেজদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরলেও শেষপর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। ব্যর্থ হলেও কোল বিদ্রোহের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম।
কোল বিদ্রোহের গুরুত্ব :
1. কোল বিদ্রোহের শেষে সরকার ছোটোনাগপুর অঞ্চলকে পৃথক দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত এজেন্সি বলে ঘোষণা করে সেখানে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
2. কোল অধ্যুষিত অঞ্চলে জমি জরিপ করে ভূমি বন্দোবস্ত করা হয়।

৩.৬ “খুঁৎকাঠি প্রথা” বলতে কী বোঝ?
উত্তর:
খুংকাঠি প্রথা: ‘খুংকাঠি প্রথা কথার অর্থ হল যৌথ কৃষিব্যবস্থা। মুন্ডারা বহুকাল ধরে জঙ্গল পরিষ্কার করে কৃষিকাজ করত এবং জমির যৌথ মালিকানা ভোগ করত। ব্রিটিশ আমলে তাদের যৌথ কৃষিব্যবস্থা বা ‘খুংকাঠি প্রথা-র অবসান ঘটিয়ে ব্যক্তিগত মালিকানা ব্যবস্থা চালু করায় মুন্ডারা ক্ষুব্ধ হয়।

৩.৭ উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধকে “সভা-সমিতির যুগ” বলার যৌক্তিকতা উল্লেখ করো।
উত্তর:
“সভাসমিতির যুগ’ বলার কারণ: উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধকে ‘সভাসমিতির যুগ বলার কারণগুলি হল-
বিভিন্ন সভাসমিতি: পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার এবং রাজনৈতিক চেতনাবৃদ্ধির ফলশ্রুতি হিসেবে উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ভারতে বিভিন্ন প্রেসিডেন্সি শহরে বহু সভাসমিতি গড়ে ওঠে। কলকাতার বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা, ভারতসভা; বোম্বাই-এর বোম্বাই নেটিভ অ্যাসোসিয়েশন; মাদ্রাজের মাদ্রাজ মহাজন সভা এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। সমিতির প্রয়োজনীয়তা: ইংরেজ সরকারের শাসন, কর ও শুল্কনীতি, শোষণ এবং বৈষম্য ক্রমশ প্রকট হতে থাকলে সভাসমিতিগুলি ক্রমশ শ্রেণিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থের বাহক হয়ে ও

এইভাবে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সভাসমিতি ও তার শাখা প্রতিষ্ঠার জন্য ড, অনিল শীল উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধকে সভাসমিতির যুগ বলে অভিহিত করেছেন।

৩.৮ “গোরা” উপন্যাসের মধ্য দিয়ে কোন দ্বন্দ্বের প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়? cademy
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গোরা হল একটি জাতীয়তাবাদী উপন্যাস।
পটভূমি: ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতে বঙ্গভঙ্গ কার্যকরী হয়। এই ঘটনার বিরুদ্ধে স্বদেশি আন্দোলনের সূচনা হয়, যা ছিল হিন্দু বাঙালিদের প্রথম রাজনৈতিক আন্দোলন। বিক্ষোভ- প্রতিবাদ আন্দোলনের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষ যুক্ত হয়। এই রাজনৈতিক আন্দোলন ও হানাহানির পটভূমিতে গোরা উপন্যাসটি রচিত (১৯১০ খ্রি.)। আইরিশ যুবক খোরা এই উপন্যাসের মূল প্রতীকী চরিত্র।

৩.৯ মুদ্রণের ইতিহাসে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর: ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ ছিল বাংলা মুদ্রণ শিল্পের ইতিহাসে এক স্মরণীয় বছর।
কারণ :
• শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশনের প্রতিষ্ঠা: এই বছর ব্যাপটিস্ট মিশনারি সম্প্রদায় বাংলার শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশনের প্রতিষ্ঠা করেন।

• ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ প্রতিষ্ঠা: অপরদিকে লর্ড ওয়েলেসলি কলকাতায় আগত ব্রিটিশ সিভিলিয়ানদের এদেশের ভাষা, আদবকায়দা ইত্যাদি শেখানোর জন্য ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ স্থাপন করেন।

• পারস্পরিক সম্পর্ক: এই দুটি প্রতিষ্ঠান ভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হয়, যার ফলশ্রুতি হিসেবে একাধারে বাংলা গদ্যের শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছিল ও অন্যদিকে বাংলার মুদ্রণের গতি ত্বরান্বিত হয়েছিল।

৩.১০ রাজেন্দ্রনাথ মুখার্জিকে স্মরণ করার কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর: ঊনবিংশ-বিংশ শতকে বাঙালি ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন স্যার রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।

বিখ্যাত হওয়ার কারণ :
1.ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল, পলতা ওয়াটার ওয়ার্কস ইত্যাদি তাঁর তত্ত্বাবধানে নির্মিত।
2.এ ছাড়া মার্টিন কোম্পানির রেলপথ স্থাপনের কৃতিত্ব স্যার রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়েরই প্রাপ্য।
3. ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতার শেরিফ’ হন।

৩.১১ “মাদারি পাসি” কে ছিলেন?
উত্তর: অসহযোগ-খিলাফৎ আন্দোলনের সময় উত্তরপ্রদেশে (তখনকার যুক্তপ্রদেশ) একটি কৃষক আন্দোলন গড়ে ওঠে, যা একতা বা একা আন্দোলন নামে পরিচিত।
মাদারি পাসি: সমাজের নিম্নবর্গের কৃষকদের দ্বারা সংঘঠিত একা আন্দোলনের নেতা ছিলেন মাদারি পাসি। আন্দোলনের চরিত্র উগ্র প্রকৃতির ছিল। মাদারি পাসি জেলাশাসককে হত্যা এবং ইংরেজ শাসকদের বিতাড়িত করার ডাক দেন।

৩.১২ কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল গড়ে তোলার উদ্দেশ্য কি ছিল?
উত্তর: আইন অমান্য আন্দোলনের সময় নাসিক জেলে বন্দি জয়প্রকাশ নারায়ণ, অচ্যুত পট্টবর্ধন, ইউসুফ মেহের আলি, মিনু মাসানি, আচার্য নরেন্দ্র দেব-এর সভাপতিত্বে কংগ্রেস সমাজতন্ত্রী দল প্রতিষ্ঠিত হয় (১৯৩৪ খ্রি.)।

মূল উদ্দেশ্য: 1. জমিদারি প্রথার বিলোপ, 2. বেগার প্রথার অবসান, 3. ভূমিরাজস্বের হার কমানো, 4. ঋণ মকুব, 5. কৃষকদের মধ্যে জমিবণ্টন, 6. কাজের অধিকার ও ন্যায্য মজুরির ব্যবস্থা, 7. শিল্প-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কারণে এই দল গড়ে ওঠে।

ইতিপূর্বে কমিউনিস্ট পার্টির তোলা দাবিগুলি এই দলের মূল উদ্দেশ্যে পরিণত হয়। তবে স্বল্প স্থায়িত্বের জন্য এই দল তার উদ্দেশ্যগুলি পূরণ করতে পারেনি।

৩.১৩ “রশিদ আলি দিবস” কেন পালিত হয়?
উত্তর: ‘রশিদ আলি দিবস’ পালনের কারণ:
সহানুভূতি: আজাদ হিন্দ ফৌজের বন্দি সৈন্য ও সেনাপতিদের লালকেল্লায় বিচার শুরু হয়। দেশবাসীর মনে তাদের প্রতি সহানুভূতির সৃষ্টি হয়। বিচারে ক্যাপটেন রশিদ আলির ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষিত হয়।

যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতি: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক সংকটে উদ্বিগ্ন ভারতীয় জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদরা রশিদ আলির শাস্তি ঘোষিত হলে রশিদ আলি দিবস পালনের ডাক দেন ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি। মুসলিম লিগ, কমিউনিস্ট পার্টি, কংগ্রেস দলের ছাত্রশাখা কলকাতায় ধর্মঘটের ডাক দেয়।

৩.১৪ আইন অমান্য আন্দোলনে নারী সমাজ কীরূপ ভূমিকা নিয়েছিল?
উত্তর: আইন অমান্য আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণ করার জন্য মহাত্মা গান্ধি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১০ এপ্রিল ইয়ং ইন্ডিয়া (Young India) পত্রিকায় আহ্বান জানান।
নারীদের ভূমিকা :
1. লবণ আহিল ভঙ্গ : আইন অমান্য আন্দোলনে হাজার হাজার নারী নিজের হাতে লবণ তৈরি করে আইন অমান্য করেন।

2.সরোজিনী নাইডু-র ভূমিকা: মহাত্মা গান্ধির গ্রেফতারের পর সরোজিনী নাইডু ২৫০০ জন সত্যাগ্রহীকে সঙ্গে নিয়ে ধসানা লবনগোলা অভিযান করেন।

৩.১৫ “বি-বাদী” কারা?
উত্তর: বাংলার বিপ্লবী আন্দোলনের অগ্নিযুগের তিন জন বিখ্যাত বিপ্লবী হলেন বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত এবং দীনেশ গুপ্ত। এঁরা বিনয়-বাদল-দীনেশ বা সংক্ষেপে বি-বা-দী নামে বিখ্যাত। এঁদের বিখ্যাত বৈপ্লবিক কার্যকলাপ ছিল মহাকরণ বা রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান, যা ইতিহাসে অলিন্দ যুদ্ধ নামে পরিচিত।

৩.১৬ স্বাধীন ভারতের পক্ষে দেশীয় রাজ্যগুলির স্বাধীন অস্তিত্ব মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না কেন?
উত্তর: স্বাধীনতার সময় ব্রিটিশ সরকার দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারত বা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অথবা স্বাধীন থাকার অধিকার দিয়েছিল। কিন্তু স্বাধীন ভারতের পক্ষে এই দেশীয় রাজ্যগুলির স্বাধীন অস্তিত্ব মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না, কারণ:

জাতীয় সংহতি ও অগগুতা: ভারতের মানচিত্রে দেশীয় রাজ্যগুলি বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। তাদের স্বাধীন অস্তিত্ব মেনে নিলে ভারত অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে যেত, যা জাতীয় ঐক্য ও অগগুতাকে চরমভাবে বিঘ্নিত করত।

অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা: স্বাধীন দেশীয় রাজ্যগুলি ভবিষ্যতে বিদেশী শক্তি বা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর প্ররোচনায় ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারত।

যোগাযোগ ও প্রশাসন: দেশীয় রাজ্যগুলি স্বাধীন থাকলে ভারতের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যোগাযোগ ও সুষ্ঠু প্রশাসনিক ব্যবস্থা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ত।

অর্থনৈতিক বিকাশ: এই রাজ্যগুলিতে থাকা প্রাকৃতিক সম্পদ এবং আর্থিক উৎসগুলি স্বাধীন ভারতের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার জন্য অপরিহার্য ছিল। তাদের স্বাধীন অস্তিত্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাধা দিত।

আরো পড়ুন

মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৬ | Madhyamik Bengali Suggestion 2026 | Wbbse

Madhyamik English Suggestion 2026 | মাধ্যমিক ইংরেজি সাজেশন ২০২৬ | Wbbse

মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন ২০২৬ | Madhyamik History Suggestion 2026 | Wbbse

মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন ২০২৬ | Madhyamik Geography Suggestion 2026 | Wbbse

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment