প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আমরা এখানে অভিষেক কবিতার MCQ প্রশ্ন উত্তর গুলো নিয়ে এসেছি। কবিতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ 60 টির ও বেশী MCQ প্রশ্ন উত্তর এখানে তুলে ধরা হল। আশা করি এগুলি ভালো ভাবে পড়লে তোমাদের পরীক্ষায় অনেক সুবিধা হবে।
অভিষেক
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
অভিষেক কবিতার MCQ প্রশ্ন উত্তর
১. ‘অভিষেক’ কবিতাটি কার লেখা?
উ:- মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা।
২. ‘অভিষেক’ কবিতাটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে?
উ:- ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের প্রথম সর্গ থেকে নেওয়া হয়েছে।
৩. ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যটি কত খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়?
উ:- ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে।
৪. ‘মেঘনাদবধ’ কবির কত নম্বর কাব্য?
উ:- দ্বিতীয়।
৫. ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের সর্গ সংখ্যা কত?
উ:- নয়।
৬. ‘অভিষেক’ কবিতাটি কত লাইন বিশিষ্ট কবিতা?
উ:- ১০৬ লাইন বিশিষ্ট কবিতা।
৭. ‘মেঘনাদবধ কাব্যে’ কত দিনের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে?
উ:- তিন দিন এবং দুই রাত্রির ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
৮. ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ কোন ছন্দে রচিত?
উ:- অমিত্রাক্ষর ছন্দে।
৯. ‘অভিষেক’ কবিতাটির সূচনা কাদের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে ঘটেছে?
উ:- ইন্দ্রজিৎ এবং ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশী দেবী লক্ষ্মীর কথোপকথনের মধ্য দিয়ে।
১০. “কনক আসন ত্যজি বীরেন্দ্রকেশরী” – ‘বীরেন্দ্রকেশরী’ কে?
উ:- ইন্দ্রজিৎ।
১১. ‘বীরেন্দ্রকেশরী’ – শব্দের অর্থ কী?
উ:- বীরশ্রেষ্ঠ।
১২. “প্রণমিয়া ধাত্রীর চরণে” – ইন্দ্রজিতের ধাত্রীর নাম কী?
উ:- প্রভাষা।
১৩. রামের হাতে বীরবাহুর যখন মৃত্যু হয় তখন ইন্দ্রজিৎ কোথায় ছিলেন?
উ:- স্ত্রী প্রমীলাকে নিয়ে প্রমোদ উদ্যানে আনন্দ উল্লাসে মগ্ন ছিলেন।
১৪. “কি হেতু, মাতঃ, গতি তব আজি / এ ভবনে? কহ দাসে লঙ্কার কুশল।” – আলোচ্য উক্তিটির বক্তা কে?
উ:- ইন্দ্রজিৎ।
১৫. “শিরঃ চুম্বি, ছদ্মবেশী অম্বুরাশি সুতা / উত্তরিলা” – অম্বুরাশি সুতা কে? তার এই নামকরণের কারণ কী?
উ:- অম্বুরাশি সুতা হলেন দেবী লক্ষ্মী।
উ:- সমুদ্রমন্থন করার সময় দেবী লক্ষ্মীর জন্ম হয়েছিল। তাই তাঁর নাম অম্বুরাশি সুতা।
১৬. “হায়! পুত্র, কি আর কহিব / কনক লঙ্কার দশা!” – ধাত্রী প্রভাষা ইন্দ্রজিৎকে কোন সংবাদ দিয়েছেন?
উ:- রামের হাতে ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যুর সংবাদ দিয়েছেন।
১৭. “কহ দাসে লঙ্কার কুশল।” – কে কাকে দাস বলে অভিহিত করেছেন?
উ:- ইন্দ্রজিৎ নিজেকে দাস বলে অভিহিত করেছেন।
১৮. ‘ঘোরতর রণে’ – বলতে কী বোঝ?
উ:- ভীষণ যুদ্ধে।
১৯. কোন যুদ্ধকে ‘ঘোরতর রণ’ বলা হয়েছে?
উ:- রাম ও বীরবাহুর যুদ্ধকে ‘ঘোরতর রণ’ বলা হয়েছে।
২০. ‘ঘোরতর রণে’ – কী ঘটেছে?
উ:- রামের হাতে বীরবাহুর মৃত্যু ঘটেছে।
২১. “তার শোকে মহাশোকী রাক্ষসাধিপতি” – ‘রাক্ষসাধিপতি’ কে?
উ:- রাজা রাবণ।
২২. রাক্ষসাধিপতি কোন শোকে মহাশোকী হয়েছেন?
উ:- রামের হাতে প্রিয় পুত্র বীরবাহুর মৃত্যুতে রাজা রাবণ মহাশোকী হয়েছেন।
২৩. ‘মহাশোকী’ বলতে কী বোঝ?
উ:- ভীষণভাবে শোকগ্রস্ত হওয়া।
২৪. “সসৈন্যে সাজেন আজি যুঝিতে আপনি।” কে কেন সসৈন্যে যুদ্ধের সাজে সেজে উঠেছিলেন?
উ:- রামের হাতে পুত্র বীরবাহুর মৃত্যু হলে রাজা রাবণ স্বয়ং যুদ্ধের সাজে সেজে উঠেছিলেন।
২৫. “জিজ্ঞাসিলা মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া” – মহাবাহু কে?
উ:- ইন্দ্রজিৎ।
২৬. “জিজ্ঞাসিলা মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া” – মহাবাহুর বিস্ময়ের কারণ কী?
উ:- পরাক্রমশালী বীর ইন্দ্রজিৎ পূর্বেই রামকে রাত্রিকালীন যুদ্ধে খণ্ড খণ্ড করে কেটে হত্যা করেছিলেন। সেই রামের হাতেই ভাই বীরবাহুর মৃত্যু হয়েছে শুনে তিনি বিস্মিত হয়েছিলেন।
২৭. “কী কহিলা, ভগবতি?” – কাকে ‘ভগবতি’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে?
উ:- ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশী দেবী লক্ষ্মীকে।
২৮. “নিশা রণে সংহারিনু আমি” – কে কাকে রাত্রিকালীন যুদ্ধে হত্যা করেছেন?
উ:- ইন্দ্রজিৎ রামকে রাত্রিকালীন যুদ্ধে হত্যা করেছেন।
২৯. ‘সংহারিনু’ – শব্দের অর্থ কী?
উ:- হত্যা করেছি।
৩০. “খণ্ড খণ্ড করিয়া কাটিনু / বরষি প্রচণ্ড শর বৈরি দলে” – ‘বৈরি দল’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
উ:- রাম এবং তাঁর সেনাদের বোঝানো হয়েছে।
৩১. ‘বৈরি দল’ – শব্দের অর্থ কী?
উ:- শত্রু দল।
৩২. ‘বরষি’ – শব্দের অর্থ কী?
উ:- নিক্ষেপ করে।
৩৩. ‘শর’ – শব্দের অর্থ কী?
উ:- তির।
৩৪. “এ অদ্ভুত বার্তা, জননী / কোথা পাইলে তুমি, শীঘ্র কহ দাসে।” – কোন বার্তাকে অদ্ভুত বলা হয়েছে?
উ:- ধাত্রী প্রভাষার মুখে প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যু সংবাদকে অদ্ভুত বার্তা বলা হয়েছে।
৩৫. “এ অদ্ভুত বার্তা” – বার্তাকে অদ্ভুত বলা হয়েছে কেন?
উ:- রাত্রিকালীন যুদ্ধে পূর্বেই ইন্দ্রজিৎ রামকে হত্যা করেছিলেন। সেই মৃত রাম কর্তৃক বীরবাহু হত হয়েছেন, তাই ধাত্রী প্রভাষার বার্তাকে অদ্ভুত বলা হয়েছে।
৩৬. “রত্নাকর রত্নোত্তমা ইন্দিরা সুন্দরী উত্তরিলা” – রত্নাকর রত্নোত্তমা ইন্দিরা সুন্দরী কী উত্তর দিয়েছিলেন?
উ:- সীতার পতি রাম মায়াবী মানব, তাই মারা গিয়েও বেঁচে উঠেছে।
৩৭. ধাত্রী প্রভাষাকে কোন কোন বিশেষণে ভূষিত করা হয়েছে?
উ:- রত্নাকর রত্নোত্তমা ইন্দিরা সুন্দরী – বিশেষণে ভূষিত করা হয়েছে।
৩৮. ‘রত্নোত্তমা’ – শব্দের অর্থ কী?
উ:- রত্ন শ্রেষ্ঠ।
৩৯. ‘ইন্দিরা সুন্দরী’ – শব্দের অর্থ কী?
উ:- সৌন্দর্যের প্রতিমূর্তি।
৪০. “যাও তুমি ত্বরা করি” – কে কাকে তাড়াতাড়ি কোথায় যেতে বলেছেন?
উ:- ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশী দেবী লক্ষ্মী ইন্দ্রজিৎকে তাড়াতাড়ি লঙ্কার উদ্দেশ্যে যেতে বলেছেন।
৪১. “রক্ষ রক্ষঃকুল মান” – বাক্যটির সরলার্থ লেখো।
উ:- রাক্ষস বংশের মান রক্ষা করো।
৪২. ‘রক্ষ’ – শব্দের অর্থ কী?
উ:- রক্ষা করো।
৪৩. ‘রক্ষঃ কুল’ – শব্দের অর্থ কী?
উ:- রাক্ষস বংশ।
৪৪. “এ কালসমরে” – কালসমর বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উ:- যে যুদ্ধে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী তাকে কালসমর বলা হয়। এখানে রামের সাথে যুদ্ধকে কালসমর বলা হয়েছে।
৪৫. “রক্ষঃ চূড়ামণি” – বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উ:- রাক্ষস বংশের চূড়ামণি ইন্দ্রজিৎকে বোঝানো হয়েছে।
৪৬. “ছিঁড়িলা কুসুমদাম রোষে মহাবলী” – কে কেন কুসুমদাম ছিঁড়ে ফেলেছেন?
উ:- রামের সাথে যুদ্ধে প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যু ঘটেছে, অথচ এই দুর্দিনে একজন বীর যোদ্ধা হয়েও ইন্দ্রজিৎ স্ত্রীকে নিয়ে প্রমোদ উদ্যানে আনন্দে মেতে আছেন। এই কথা ভেবে ইন্দ্রজিৎ কুসুমদাম ছিঁড়ে ফেলেছেন।
৪৭. ‘কুসুমদাম’ – কী?
উ:- ফুলের মালা।
৪৮. ‘ফেলাইলা কনক বলয়’ – কনক বলয় কী?
উ:- সোনার বালা।
৪৯. ইন্দ্রজিতের ফেলে দেওয়া ‘কনক বলয়’ দূরে কীসের মতো শোভা পাচ্ছিল?
উ:- কুণ্ডল অর্থাৎ কানের গহনার মতো শোভা পাচ্ছিল। ঠিক যেমন অশোকের ফুল অশোক গাছের তলায় শোভা বিস্তার করে।
৫০. ‘আভাময়’ শব্দটির অর্থ কী?
উ:- বর্ণময়।
৫১. “হা ধিক মোরে” – কে কেন নিজেকে ধিক্কার জানিয়েছেন?
উ:- পরম শত্রু রামের হাতে প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যু ঘটেছে। কিন্তু একজন বীর হয়েও এই দুর্দিনে ইন্দ্রজিৎ স্ত্রীকে নিয়ে প্রমোদ উদ্যানে আনন্দে মত্ত হয়েছেন। তাই ইন্দ্রজিৎ নিজেকে ধিক্কার জানিয়েছেন।
৫২. “বৈরিদল বেড়ে স্বর্ণলঙ্কা, হেথা আমি বামা দল মাঝে?” – কার কখন এমন মনে হয়েছে?
উ:- পরম শত্রু রামের হাতে প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যু ঘটেছে। কিন্তু একজন বীর হয়েও এই দুর্দিনে ইন্দ্রজিৎ স্ত্রীকে নিয়ে প্রমোদ উদ্যানে আনন্দে মত্ত হয়েছেন। ধাত্রী মায়ের মুখে ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ইন্দ্রজিতের এমন মনে হয়েছিল।
৫৩. ‘বৈরি দল বেড়ে’ – অর্থ লেখো।
উ:- শত্রু দল ঘিরে আছে।
৫৪. “হেথা আমি বামা দল মাঝে?” – কার কখন এটা মনে হয়েছিল?
উ:- রামের হাতে প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যু ঘটেছে – এই সংবাদ ধাত্রী প্রভাষার কাছে শুনে ইন্দ্রজিতের এমন মনে হয়েছিল।
৫৫. “এই কী সাজে আমারে, দশাননাত্মজ আমি” – ‘দশাননাত্মজ’ কে? কেন তাঁর এমন শোভা পায় না?
উ:- ‘দশাননাত্মজ’ হলেন রাবণের পুত্র ইন্দ্রজিৎ। রামের হাতে প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যু ঘটেছে, অথচ পরাক্রমশালী বীর হয়েও ইন্দ্রজিৎ আনন্দ উল্লাসে মত্ত হয়েছেন। এই কাজ তাঁর শোভা পায় না।
৫৬. ‘দশাননাত্মজ’ – শব্দের অর্থ কী?
উ:- দশাননের আত্মজ অর্থাৎ রাবণের পুত্র।
৫৭. ‘ত্বরা’ – শব্দটির অর্থ কী?
উ:- তাড়াতাড়ি / দ্রুত।
৫৮. ইন্দ্রজিৎ ত্বরা করে কী আনতে বলেছেন?
উ:- রথ।
৫৯. “ঘূচাব ও অপবাদ, বধি রিপুকুলে।” – কে কোন অপবাদ ঘুচাতে চেয়েছেন?
উ:- রামের হাতে প্রিয় ভাইয়ের মৃত্যু হলেও সেই দুর্দিনে ইন্দ্রজিৎ স্ত্রীকে নিয়ে প্রমোদ উদ্যানে আনন্দে মেতে ছিলেন। ইন্দ্রজিতের এমন কাজে বীরত্বের যে অপবাদ হয়েছে তা তিনি শত্রু রামকে হত্যা করে ঘুচাতে চেয়েছেন।
৬০. ‘সাজিলা রথীন্দ্রর্ষভ বীর আভরণে’ – ‘রথীন্দ্রর্ষভ’ কে?
উ:- ইন্দ্রজিৎ।
আরো পড়ুন
বহুরূপী গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর | Bohurupi MCQ Question Answer
জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর MCQ | Gyanchakshu Golpo MCQ Question Answer
পথের দাবী গল্পের প্রশ্ন উত্তর MCQ | Pother Dabi MCQ Question Answer
অদল বদল গল্পের প্রশ্ন উত্তর MCQ | Adol Bodol MCQ Question Answer
মাধ্যমিক বাংলা MCQ সাজেশন ২০২৬ | Madhyamik Bengali MCQ Suggestion 2026 | Wbbse
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।