মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
সপ্তম শ্রেণি
বাংলা (প্রথম ভাষা)
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
১.১ ‘বাইরের চলাটা আসল নয়। প্রকৃত চলা কোনটি?
উত্তর : লেখকের মতে আসল চলা লেখকের মতে, মানুষের প্রকৃত চলা হল তার মনভূমির মধ্যে। মানুষের মনের গতিবেগ আলোর গতিবেগসম্পন্ন। এই তীব্র গতিবেগসম্পন্ন মনকে সঙ্গে নিয়েই মানুষ বিভিন্ন দিকে তার পদচালনা করেছে। অজানাকে জানতে পেরেছে।
১.২ ‘জবাবটা জেনে নেব মেজদাকে খুঁচিয়ে’।- কোন প্রশ্নের জবাব মেজদার কাছে মিলবে?
উত্তর : ‘নোট বই’ কবিতার লোকটি তার মেজদার কাছ থেকে ঝোলাগুড় কীসে দেয় সাবান না পটকায় এই প্রশ্নের উত্তর জানবেন।
১.৩ ‘আপনি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন। কোন কথার অবতারণাকে বক্তার ‘ঠাট্টা মনে হয়েছে?
উত্তর: এই বিশাল হ্রদের জল যদি মেঘ হয়ে যায়, সেই মেঘ থেকে অন্য জায়গায় বৃষ্টি হবে। একসঙ্গে হঠাৎ বৃষ্টি বেড়ে গেলে পৃথিবীর দারুণ কোনো ক্ষতি হয়ে যাবে না ।
‘কী আর হবে। সাইবেরিয়ায় বড়োজোর এক ইঞ্চি বেশি বরফ জমবে? অসীমা হেসে ফেলে বলল, আপনি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন। এতবড়ো লেক কি শুকিয়ে ফেলা যায়?
১.৪ জেমস এইচ. কাজিস কে ছিলেন?
উত্তর : দক্ষিণ ভারত পরিক্রমায় বেরিয়ে ১৯১৯ সালে রবীন্দ্রনাথ গিয়েছিলেন মদনপল্লী সেখানকার থিয়সফিক্যাল কলেজ এর অধ্যক্ষ এবং রবীন্দ্রনাথের বন্ধু ছিলেন জেমস এইচ, কাজিস |
১.৫ এ ছবি আমি পরেও দেখেছি। কোন দৃশ্যবর্ণনা প্রসঙ্গে একথা এসেছে?
উত্তর: মুখ ভর্তি পান নিয়ে পলায় বাঁধা হারমোনিয়াম বাজাতে বাজাতে কাজী নজরুল গাইছেন-এ ছবি আমি পরেও দেখেছি। এখানে এই দৃশ্যপটের কথা বলা হয়েছে।
১.৬ তাদের রাজত্ব হের অক্ষুণ্ণ কেমন’ কাদের রাজত্ব কেন অক্ষুণ্ণা রয়েছে বলে কবি মনে করেন?
উত্তর: আলোচ্য কবিতায় কবি তাদের রাজত্ব হের অক্ষুন্ন কেমন বলতে যারা ক্ষমতা অর্থের জোরে বিভিন্ন স্মৃতিসৌধ বানিয়ে নিজেদের নাম অক্ষয় করে রাখতে চাই তাদের রাজত্ব-এর কথা বলেছেন। কিন্তু প্রকৃত অর্থে কালস্রোতে ভেসে যাওয়া জীবন-যৌবন ধনমানের মতো তাদের নির্মিত সৌধও একদিন ভেঙ্গে পড়বে, তাদের কথা কেউ মনে রাখবে না। তাই তাদের রাজত্বও অক্ষুন্ন থাকবে না ।
১.৭ নীরব এখানে অমর কিষাণপাড়া। কিযাণপাড়াকে ‘অমর’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর: কিষাণপাড়ার প্রকৃতি এবং মানুষের জীবন শান্ত। কোনোরকম ব্যস্ততা সেখানে নেই নেই কোলাহল। দুর্ভিক্ষের পরেও কিষাণপাড়ায় মানুষ আবার কাজের মধ্য দিয়ে জেগে ওঠে। নিজ নিজ পেশায় কাজ করে চলে। দুর্ভিক্ষের হতাশা বা বিপন্নতা এখানে জীবনকে থামিয়ে দিতে পারে না। তাই কিষাণপাড়াকে কবি অমর বলেছেন।
২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো: (প্রতিটি প্রশ্নের মান ৩)
২.১ ‘জীবনের ৪৪০ তে মানুষ বিশ্বকীর্তি স্থাপনা করেছে।’—- মানুষের সেই কীর্তির কথা কার দৌড় কদ্দুর রচনায় কীভাবে বর্ণিত হয়েছে?
উত্তর: মানুষ এখন নিজে চলেই ক্ষান্ত নয়। সে অন্য সবকিছুকেও চালাতে সমান উৎসুক। জাহাজ, রেল, প্লেন, জেট। এখন মানুষ আকাশটাকে নতুন করে ঘৌড়দৌড়ের মাঠ করে তুলেছে। সেখানে নতুন বাজি ধরেছে যে সে ত্রিভুবনেশ্বর হবে, স্বর্গমর্ত তোলপাড় করবে। তাই জীবনের ৪৪০ তে মানুষ বিশ্বকীর্তি স্থাপন করেছে ।
২.২ ‘তুমি একটা স্পাই’। কোন পরিস্থিতিতে বস্তার একথা মনে হয়েছে?
উত্তর: স্পাই’ শব্দের অর্থ হল ‘চর’ অর্থাৎ গুপ্ত সংবাদ আদানপ্রদান করে, কিন্তু আলোচ্য উক্তিটিতে স্পাই’ বলা হয়েছে অসীমাকে এবং বলেছেন বৃষ্টিবিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরি। যখন পুরন্দর চৌধুরি জানান তার রেকর্ড করার নামের সঙ্গে অসীমার নামটাও থাকবে তখন অসীমা তার নিজের পরিচয় দেয় কারপভের মেয়ে বলে এবং বলে আমার মা বাঙালি মেয়ে।” গল্প পড়ে জানা যায় অসীমা চরবৃত্তি করেনি সে প্রকৃতিকে আসন্ন ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়েছিল।
২.৩ সরলা দেবী তাঁর জীবনের ঝরাপাতা গ্রন্থে রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্পর্কে কোন তথ্য পরিবেশন করেছেন?
উত্তর: সরলা দেবী লিখেছেন তাঁর জীবনের ঝরাপাতায়:
কর্তাদাদামহাশয় চুঁচুড়ায় থাকতে তাঁর ওখানে মাঝে মাঝে থাকবার অবসরে তাঁর বোটের মাঝির কাছ থেকে অনেক বাউলের গান আদায় করেছিলুম। যা কিছু শিখতুম তাই রবিমামাকে শোনাবার জন্য প্রাণ ব্যস্ত থাকত তাঁর মতো সমজদার আর কেউ ছিল না। যেমন যেমন আমি শোনাতুম-অমনি অমনি তিনি সেই সুর ভেঙে, কখনো কখনো তার কথাগুলিরও কাছাকাছি দিয়ে গিয়ে এক একখানি নিজের গান রচনা করতেন। কোন আলোকে প্রাণের প্রদীপ, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে.….…… আমার সোনার বাংলা… প্রভৃতি অনেক গান সেই মাঝির কাছ থেকে আহরিত আমার সুরে বসান।….
২.৪ এই ছিল তখনকার কোনো স্বদেশি মিটিং-এর রীতি। রীতিটি কী?
উত্তর: রামকুমার চট্টোপাধ্যায় কাজী নজরুলের গান শীর্ষক গদ্যাংশে যে সময়ের কথা বলেছেন, সেই সময়ে যে কোনো স্বদেশি মিটিং-এর রীতিই ছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বক্তৃতার আগে কাজী নজরুল ইসলামের সংগীত পরিবেশন।
২.৫ সবুজ ফসলে সুবর্ণ যুগ আসে। উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: কবি সুর্বাস্ত ভট্টাচার্যের লেখা চিরদিনের কবিতা থেকে আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে।
ব্যাখ্যা: উদ্ধৃত অংশে যুগ’ শব্দটির অর্থ হল কাল বা সময়। আর সুবর্ণ শব্দের অর্থ হল সোনা। তা হলে সুবর্ণযুগ’ কথাটির অর্থ হল সোনার যুগ বা ভালো সময়। কবিতাটিতে একটি গ্রামের বৃষ্টিভেজা এক দিনের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। সেই শান্ত গ্রামটিতে বছরখানেক আগেই ঘটে গিয়েছে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। ফলে, খাবারের খোঁজে অনেক মানুষ সেইসময় গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে। আবার কষ্টের সেই দিনগুলো পার করে বেশ কিছু মানুষ আজও সেই গ্রামে বাস করছে। তাদেরই মধ্যে এক কৃষকবধূ জল আনবার পথে ধমকে দাঁড়িয়ে, ঘোমটা সরিয়ে দেখে, খেতে সবুজ ফসল ধরেছে। সবুজ ফসল ফলার অর্থই হল দুর্ভিক্ষের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া কবির বিশ্বাস, ফসল ভালো হওয়ায় গ্রাম থেকে দুর্ভিক্ষ দূর হবে। মানুষ খেয়েপরে ভালোভাবে বাঁচতে পারবে। তাই সেই সময়টিকেই কবি সুবর্ণযুগ বা ভালো সময় বলে মনে করেছেন।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
৩.১ ঋ, র, ষ এই তিন বর্ণের পরের শব্দের মধ্যে ন>ণ হয়। প্রতিক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ দাও।
উত্তর: ঋণ, বর্ণ, স্বর্ণ, তুণ, জীর্ণ, শীর্ণ প্রভৃতি|
৩.২ পিতৃ ও মাতৃ শব্দের সঙ্গে স্বসৃ শব্দের যোগ হলে স্বসৃ শব্দের প্রথম স্ হয় ‘ষ’। উদাহরণ দাও।
উত্তর: মাতুঃস্বসা বা মাতৃস্বসা [ মাতু:+ স্বসৃ, মাতৃ + স্বসৃ] এর বাংলা অর্থ হলো মায়ের ভগিনি, বা তত্সহানীয়া নারী, মাসি।
পিতৃস্বসা[পিতৃ+ স্বসৃ]- এর বাংলা অর্থ হলো- বাবার ভাই- কাকু, জেঠু।
৩.৩ ভাবপ্রকাশক ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রয়োগে একটি বাক্য রচনা করো।
উত্তর: রসগোল্লার রস লেগে হাতটা চট চট করছে।
Class 7 Model Activity Task Part 7 October
Bangla (বাংলা) | Math (গণিত) | ENGLISH (ইংরেজি) | Geography (পরিবেশ ও ভূগোল) | History (ইতিহাস) | Science (পরিবেশ ও বিজ্ঞান) | স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা
Class 7 Model Activity Task Part 6 September
Bangla (বাংলা) | Math (গণিত) | ENGLISH (ইংরেজি) | Geography (পরিবেশ ও ভূগোল) | History (ইতিহাস) | Science (পরিবেশ ও বিজ্ঞান) | স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।