Model Activity Task September 2021 Model Activity Task Part 6 Class 9 Bangla (বাংলা) Model Activity Task Part 6 September 2021 Answer PDF Download

Class 9 Bangla (বাংলা) Model Activity Task Part 6 September 2021 Answer PDF Download

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক

নবম শ্রেণি

বাংলা (প্রথম ভাষা)


১.নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

১.১ বর্তমান যুগের ইংরেজি ও বাংলা আত্মনির্ভরশীল নয়।’

– প্রাবন্ধিক কোন্ অর্থে ‘আত্মনির্ভরশীল’ শব্দের প্রয়োগ ঘটিয়েছেন? বর্তমান যুগের ইংরেজি ও বাংলাকে কেন তিনি  আত্মনির্ভরশীল মনে করেননি?

উত্তর : মনের কোনো নতুন চিন্তা বা অনুভূতি প্রকাশের জন্য নতুন শব্দের প্রয়োজন হলে সংস্কৃত ভাষার মতো নিজস্ব শব্দভাণ্ডাঁবে অনুসন্ধান না কবে বাংলা ও ইংরেজি অন্য ভাষা থেকে শব্দ গ্রহণ করে। এই প্রসঙ্গেই লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।

নতুন কোনো ভাবনা-চিন্তা বা অনুভূতি প্রকাশের জন্য নতুন কোনো শব্দের প্রয়োজন দেখা দিলে ইংরেজি বা বাংলা ভাষা তাদের নিজের শব্দভাণ্ডারে অনুসন্ধান না কবে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা থেকে শব্দ ধার করেছে এবং বর্তমানেও করছে। পাঠান মোগল যুগে আইন আদালত, থাজনা -থারিজ নতুনরূপে দেখা দেওয়ায় বাংলা ভাষা ও ইংরেজি ভাষা, আরবি এবং ফারসি থেকে অনেক শব্দ গ্রহণ করেছে। ফলে ইংরেজি ও বাংলা ভাষাকে লেখক আত্মনির্ভরশীল ভাষা বলে গণ্য করেননি।

১.২ ‘আমি এই ঘাসে বসে থাকি’

— কোন্ সময়ে কবি ঘাসে বসে থাকেন? তখন প্রকৃতির কেমন রূপ তাঁর চোখে ধরা পড়ে?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশের লেখা আকাশের সাতটি তারা কবিতায় যখন আকাশে সাতটি তারা ফুটে ওঠে তখন কবি ঘাসের উপর বসে থাকেন।

যখন সন্ধ্যা বাংলার বুকে নেমে আসে, তখন কবি টের পান তথা বুঝতে পারেন এক কেশবতী কন্যার আগমন বার্তা। সেই নারী যেন চুল দিয়ে জাম কাঠাল-হিজলের বনে চুম্বনরত। তিনি টের পেয়ে যান নরম ধানের গন্ধ বা কলমির ঘ্রাণে, পুকুরের জলে বা হাঁসের পালকে পল্লিবাংলার আসল রূপ ।

১.৩ ‘কিন্তু বিঘ্নও আছে বহু।

– পত্রলেখক স্বামী বিবেকানন্দ ভগিনী নিবেদিতাকে কীরূপ বিঘ্নের কথা জানিয়েছেন ?

উত্তর : আলোচ্য উক্তিটি স্বামী বিবেকানন্দের চিঠি রচনা থেকে নেওয়া। চিঠি থেকে জানা যায় যে ভগিনি নিবেদিতা ভারত বর্ষের নারী সমাজের কল্যাণ সাধনের জন্য তার দেশ থেকে ভারতবর্ষে আসতে চান। স্বামীজি তাই তাকে নানা বিঘ্নের কথা জানান ।

১. শ্বেতাঙ্গ সম্পর্কে ভারতীয়দের বিরূপ ধারণা।

২.আমাদের দেশের আবহাওয়া তার প্রতিকূল।

৩.ইউরোপীয় সুখ স্বাচ্ছন্দ্য তিনি এই দেশে পাবেন না।

১.৪ ‘নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না।”

— উদ্ধৃতাংশে নটেগাছের প্রসঙ্গ উত্থাপনে ‘আবহমান’ কবিতায় ‘রুপকথা’র আবেশ কীভাবে রচিত হয়েছে, বিশ্লেষণ করো।

উত্তর : নটেগাছ মুড়ানোর প্রসঙ্গ বাংলার এক বিখ্যাত প্রবাদ থেকেই গৃহীত—‘নটেগাছটি মুড়োলো/ আমার কথা ফুরোলো’। কিন্তু কবি বলছেন-না, নটেগাছটি মুড়য়নি, কারণ কথা অনুযায়ী চিরায়ত সত্যের বাণী-মাতৃভূমির প্রতি ফেলে আসা স্মৃতির কথা কোনোদিন ফুরায় না। কবি কল্পনার সাঁকো বেয়ে স্মৃতির হাত ধবে পৌঁছে যান গ্রামজীবনের শৈশবের বেলাভূমিতে।

ঘরের কাছেই উঠান, তার পাশে থাকা লাউমাচা চিরন্তন সত্যের প্রতীক হিসেবে বিদ্যমান। নটেগাছ বুড়য় অর্থাৎ আমাদের বয়স বাড়ে, স্মৃতির ভাণ্ডার বাড়তেই থাকে, কিন্তু তা শেষ হয়ে যায় না, তথা ফুরিয়ে যায় না কখনোই। তেমনিভাবে ফুরিয়ে যায় যাওয়া-আসা বা আসা-যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। বরং দুবন্ত পিপাসা বাড়িয়ে দেয় এই নস্ট্যালজিক স্মৃতিকাতরতা। ঘাসের গন্ধ গায়ে মাখা, আকাশের তারায় তারায় স্বপ্ন এঁকে রাখা, যন্ত্রণার আগুন না-নেভা, দুঃখের বাসি না-হয়ে যাওয়া, সূর্যের ওঠা ও নামা এ সমস্ত কিছুর কিছুই ফুরায় না। কারণ ফুরাতে পারে না চিরন্তন সত্যের রীতি অনুযায়ী। নটেগাছ সেই কারণেই কবির কল্পনায় মুড়িযে যায়নি।

১.৫ ‘….আর আহারের সংস্থান রহিল না।’

– রাধারাণী ও তার মায়ের দুর্গতির চিত্র ‘রাধারাণী’ পাঠ্যাংশে কীভাবে চিত্রিত হয়েছে, তা উদ্ধৃতাংশের আলোকে আলোচনা করো।

উত্তর : জনৈক মামলাবাজ জ্ঞাতির কারণে স্বামীর বাড়ি ভদ্রাসন থেকে বিতাড়িত সম্পূর্ণ সহায়সম্বলহীন রাধারাণীর মা ও রাধারাণীর কথাই উদ্ধৃতিটিতে বলা হয়েছে। রথযাত্রার আগে রাধারাণীর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ল, একেবারেই শয্যাশায়ী। এই অবস্থায় কাজ করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে রাধারাণী ছোটো, তার পক্ষেও উপার্জন অসম্ভব। ঘৰেও সঞ্চিত আহার্য নেই, তাই তাদের আর আহার চলে না।

১.৬ কর্ভাস যে এখন সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়, তার স্পষ্ট প্রমাণ আজকে পেলাম।’ – প্রোফেসর শঙ্কু কীভাবে সেই প্রমাণ পেয়েছেন?

উত্তর : সত্যজিৎ রায়ের লেখা ‘কর্ভাস’ গল্পে প্রফেসার শঙ্কু তার ‘অরনিথন’ যন্ত্র প্রযোগ করার পর লক্ষ করেছিলেন কর্ভাস অন্য কাকের থেকে আলাদা থাকতে চায়,এর প্রমান হিসাবে তিনি লিখেছেন বজ্র-বিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতে একটি কাক মারা গেলে, সেখানে বহু কাকের সমাগম হলেও কর্ভাস তাদের সঙ্গে শামিল হয়নি। সে একমনে পেনসিল মুখে দিয়ে মৌলিক সংখ্যা লিখে চলেছে 2, 3, 5, 7, 11, 13 প্রভৃতি।

২. নীচের ব্যাকরণগত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

২.১ মৌলিক শব্দ বলতে কী বোঝ?

উত্তর : যেসব শব্দকে ভাঙা বা বিশ্লেষণ করা যায় না এবং যার সঙ্গে কোনো প্রত্যয়, বিভক্তি বা উপসর্গ যুক্ত থাকে না, তাদের মৌলিক শব্দ বলে।

উদাহরণ: মা, বাবা, বই ইত্যাদি।

২.২ নবগঠিত শব্দকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় এবং কী কী?

উত্তর : নবগঠিত শব্দকে সাধারণত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলোর মধ্যে কিছু হলো অবিমিশ্র শব্দ যেমন অনিকেত, অতিবেক ইত্যাদি। আবার কিছু শব্দ ভিন্ন ভিন্ন ভাষার উপাদানের সংযোগে গঠিত। এগুলোকে মিশ্র শব্দ বা সঙ্কর শব্দ বলে।

যেমন : হেড [ ইংরেজি] + পণ্ডিত [ বাংলা ] = হেডপণ্ডিত।

            হেড [ ইংরেজি ] + মৌলবী [ আরবী] = হেডমৌলবী।

             ফি [ ফারসী ] + বছর [ বাংলা ] =ফি-বছর।

২.৩ তদ্ভব শব্দের দুটি উদাহরণ দাও।

উত্তর : বৌ < বউ < বহু < বধূ,

            দই < দহি < দধি ,

২.৪ ‘দেশি শব্দ’ কে ‘অজ্ঞাতমূল শব্দ’ বলা হয় কেন?

উত্তর : দেশি শব্দ দেশের প্রাচীনতর আদিবাসী দ্রাবিড় গোষ্ঠীর ভাষা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই শব্দের মূল পাওয়া যায় না বলে একে অজ্ঞাতমূল শব্দ বলা হয়।

২.৫ তুর্কি এবং ওলন্দাজ শব্দভাণ্ডার থেকে বাংলায় গৃহীত হয়েছে এমন দুটি করে শব্দের উদাহরণ দাও।

উত্তর : তুর্কি :- দারোগা, মুচলেকা

         ওলন্দাজ :- তুরুপ, হরতন।

২.৬ তামিল শব্দভাণ্ডার থেকে বাংলায় এসেছে এমন দুটি শব্দ লেখো।

উত্তর : চুরুট, পিলে ইত্যাদি

২.৭ নির্দেশ অনুযায়ী মিশ্র বা সংকর শব্দ তৈরি করো :

ইংরেজি + বাংলা হেড + কেরানি = হেডকেরানি।
পোর্তুগিজ  + হিন্দি পাউ+রুটি=পাউরুটি
তৎসম শব্দ + বিদেশি প্রত্যয় ধূপ+দানি=ধূপদানি

 

২.৮ ইংরেজি থেকে অনুবাদের মাধ্যমে বাংলায় গৃহীত হয়েছে এমন দুটি শব্দ উল্লেখ করো।

উত্তর : Wrist Watch = হাত ঘড়ি,

          News paper= সংবাদ পত্র

২.৯ যোগরূঢ় শব্দের দু’টি উদাহরণ দাও।

উত্তর : ‘তুরঙ্গম’- যা তাড়াতাড়ি যায়৷ ঘোড়া,

         বীণাপানি- বীণা ধারণকারী/ সরস্বতী ইত্যাদি।

 

২.১০ গুণবাচক বিশেষ্যযোগে একটি বাক্য রচনা করো।

উত্তর : সাহস – ছেলেটির সাহস তো কম নয়।

২.১১ ক্রিয়াবিশেষণের দু’টি গঠনরীতি নির্দেশ করো।

উত্তর :

বিভক্তিযুক্ত পদের প্রয়োগ – সে অনায়াসে সমস্যার সমাধান করল।

অসমাপিকা ক্রিয়ার প্রয়োগ – ভালো করে বই পড়া উচিত।

২.১২ কাছের ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করতে কোন সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হয়?

উত্তর: সামীপ্যবাচক সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন- ইনি উনি, এটা সেটা, এই ওই ইত্যাদি।

২.১৩ একটি তৎসম অব্যয় এবং একটি খাঁটি বাংলা অব্যয়ের উদাহরণ দাও।

উত্তর : তৎসম অব্যয় – যদি / যথা/ হঠাৎ

          খাঁটি বাংলা অব্যয়- আচ্ছা / আবার / তবু 

২.১৪ ধাতুর গঠন অনুযায়ী ক্রিয়াপদ কত ধরনের হয়ে থাকে?

উত্তর : ধাতুর গঠন অনুযায়ী ক্রিয়াপদ চার প্রকার

i) মৌলিক ক্রিয়াপদ  ii) সাধিত ক্রিয়াপদ  iii) যৌগিক ক্রিয়াপদ  iv) সংযোগমূলক ক্রিয়াপদ।

 

 

Class 9 Model Activity Task Part 7 October 

Bangla (বাংলা) | Math (গণিত) | ENGLISH (ইংরেজি) | Geography (পরিবেশ ও ভূগোল) | History (ইতিহাস) | Life Science (জীবনবিজ্ঞান) | Physical Science (ভৌতবিজ্ঞান)

 

Class 9 Model Activity Task Part 6 September

Bangla (বাংলা) | Math (গণিত) | ENGLISH (ইংরেজি) | Geography (পরিবেশ ও ভূগোল) | History (ইতিহাস) | Life Science (জীবনবিজ্ঞান) | Physical Science (ভৌতবিজ্ঞান)

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!