দশম শ্রেনী (মাধ্যমিক) Class 10 Physical Science Madhyamik Physical Science Suggestion 2022 PDF Chapter 1 | মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন ২০২২ | পরিবেশের জন্য ভাবনা MCQ, অতিসংক্ষিপ্ত, শূন্যস্থান পূরণ, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

Madhyamik Physical Science Suggestion 2022 PDF Chapter 1 | মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন ২০২২ | পরিবেশের জন্য ভাবনা MCQ, অতিসংক্ষিপ্ত, শূন্যস্থান পূরণ, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

Madhyamik Physical Science Suggestion 2022 PDF Chapter 1 will be discussed here. এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন ২০২২ এর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় পরিবেশের জন্য ভাবনা থেকে MCQ, অতিসংক্ষিপ্ত, শূন্যস্থান পূরণ, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করব। 2022 (Madhyamik / WB Madhyamik / MP Exam / Class 10 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WBBSE Madhyamik Exam / Madhyamik Class 10th / Class X / Madhyamik Pariksha) Physical Science Exam (ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষায়) আশা করি এখান থেকেই তোমরা 80% কমন পেয়ে যাবে। Madhyamik Physical Science (মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান) এর অন্যান্য সমস্ত অধ্যায় থেকে সাজেশন পেতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন ২০২২

সাধারণ অংশ – পরিবেশের জন্য ভাবনা

MCQ, অতিসংক্ষিপ্ত, শূন্যস্থান পূরণ, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (মান ১, ২)

Madhyamik Physical Science Suggestion 2022 PDF Chapter 1

PDF Download করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

MCQ Questions and Answers (বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর) : প্রতিটি প্রশ্নের মান ১

১) গ্রিনহাউস এফেক্ট-এ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের উত্তর অবদান মােট – 

ক) 30% 

খ) 20% 

গ) 50% 

ঘ) 60% 

উত্তর: গ) 50% 

২) কোনটি বায়ােগ্যাসের উপাদান নয়?

ক) নাইট্রোজেন

খ) অক্সিজেন 

গ) কার্বন ডাই-অক্সাইড 

গ) হাইড্রোজেন 

উত্তর: খ) অক্সিজেন 

৩) কোনটির তাপন মূল্য সবচেয়ে বেশি ?

ক) কাঠ 

খ) এলপিজি 

গ) কয়লা 

ঘ) ডিজেল 

উত্তর: খ) এলপিজি 

৪) বিশ্ব উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দায়ী রশ্মি তির কোনটি? 

ক) অবলােহিত রশ্মি 

খ) অতিবেগুনি রশ্মি 

গ) গামা রশ্মি 

ঘ) এক্স রশ্মি

উত্তর: ক) অবলােহিত রশ্মি 

৫) বায়ােগ্যাসের প্রধান উপাদান কোনটি?

ক) মিথেন 

খ) হাইড্রোজেন 

গ) অক্সিজেন

ঘ) অ্যাসিটিলিন

উত্তর: ক) মিথেন 

৬) বায়ুমণ্ডলের যে স্তর বেতার যােগাযােগে সাহায্য করে সেটি হলাে – 

ক) স্ট্রাটোস্ফিয়ার 

খ) ট্রপােস্ফিয়ার

গ) আয়নােস্ফিয়ার 

ঘ) ওজোনােস্ফিয়ার

উত্তর: গ) আয়নােস্ফিয়ার 

৭) বায়োফুয়েল এর একটি উদাহরণ হলাে – 

ক) কয়লা

খ) গ্যাসোলিন

গ) ডিজেল

ঘ) গোবর গ্যাস

উত্তর: ঘ) গোবর গ্যাস

৮) এলপিজির  প্রধান উপাদান কোনটি?

ক) মিথেন 

খ) ইথেন 

গ) বিউটেন 

ঘ) প্রলেন

উত্তর: গ) বিউটেন 

৯) প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাস হলাে –

ক) CFC

খ) CO2

গ) CH4

ঘ) N2O

উত্তর: খ) CO2

১০) বায়ুমণ্ডলের কোন স্তর ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি কে শোষণ করে? 

ক) থার্মোস্ফিয়ার

খ) ট্রপােস্ফিয়ার

গ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার 

ঘ) মেসোস্ফিয়ার 

উত্তর: গ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার

১১) বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রধান কারন কোনটি? 

ক) ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন নির্গমন 

খ) মিথেন গ্যাস নির্গমন 

গ) জীবাশ্ম জ্বালানির দহন 

ঘ) নাইট্রাস অক্সাইড নির্গমন 

উত্তর: গ) জীবাশ্ম জ্বালানির দহন 

১২) সােলার কুকার-এর বাক্সটির ঢাকনা কী দিয়ে তৈরি হয়?

ক) প্লাস্টিক 

খ) অ্যালুমিনিয়াম 

গ) কাচ 

ঘ) কাগজ 

উত্তর: গ) কাচ 

১৩) জ্বালানির তাপন মুল্য-এর একক – 

ক) জুল/মিটার 

খ) কিলাে জুল/গ্রাম 

গ) নিউটন

ঘ) ওয়াট

উত্তর: খ) কিলাে জুল/গ্রাম 

১৪) বায়ুমণ্ডলের উচ্চতম স্তরটি হলাে –

ক) থার্মোস্ফিয়ার 

খ) এক্সোস্ফিয়ার

গ) মেসােফিয়ার 

ঘ) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার 

উত্তর: ঘ) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার 

১৫) নীচের কোনটি গ্রিনহাউস গ্যাস?

ক) O2

খ) N2

গ) CO2

ঘ) CL2

উত্তর: গ) CO2

১৬) বায়ুমণ্ডলের শীতলতম অঞ্চল কোনটি?

ক) থার্মোস্ফিয়ার 

খ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার 

গ) মেসােস্ফিয়ার 

ঘ) এক্সোস্ফিয়ার

উত্তর: গ) মেসােস্ফিয়ার

১৭) কোন গ্যাসকে ফ্রেয়ন গ্যাস বলে?

ক) ওজোন 

খ) মিথেন 

গ) কার্বন ডাই-অক্সাইড

ঘ) CFC 

উত্তর: ঘ) CFC 

১৮) সৌরচুল্লিতে সূর্যালােকের কোন রশ্মিটি ব্যবহৃত হয়?

ক) দৃশ্যমান রশ্মি 

খ) অতিবেগুনি রশ্মি

গ) অবলােহিত তরঙ্গ

ঘ) রেডিও তরঙ্গ

উত্তর: গ) অবলােহিত তরঙ্গ

১৯) কোন জ্বালানির তাপন মূল্য সর্বোচ্চ?

ক) পেট্রোল 

খ) LPG

গ) হাইড্রোজেন 

ঘ) কয়লা 

উত্তর: গ) হাইড্রোজেন 

২০) একটি জৈব প্রিনহাউস গ্যাস হলাে –

ক) মিথেন 

খ) নাইট্রোজেন 

গ) কার্বন ডাই-অক্সাইড

ঘ) নাইট্রাস অক্সাইড

উত্তর: ক) মিথেন

২১) ভূপৃষ্ঠের নিকটবর্তী বায়ুমণ্ডলীয় স্তর কোনটি? 

ক) আয়নােস্ফিয়ার 

খ) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার

গ) ট্রপােস্ফিয়ার 

ঘ) ওজোনােস্ফিয়ার 

উত্তর: গ) ট্রপােস্ফিয়ার 

২২) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার -এর সর্বোচ্চ অংশের উষ্ণতা প্রায় –

ক) 15°C

খ) 0°C

গ) 50°C

ঘ) কোনােটিই নয় 

উত্তর: খ) 0°C

২৩) নীচের কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয়?

ক) মিথেন 

খ) গ্যাসােলিন 

গ) তরল হাইড্রোজেন 

ঘ) কেরােসিন 

উত্তর: গ) তরল হাইড্রোজেন 

২৪) ওজোন গ্যাস ধ্বংসে কোনটি অনুঘটকের কাজ করে?

ক) NO

খ) NO2

গ) N2O5

ঘ) CFC

উত্তর: ঘ) CFC

২৫) সৌরকোশ কোনটি দিয়ে বানানাে হয় ? 

ক) অপরিবাহী 

খ) অর্ধপরিবাহী পদার্থ 

গ) পরিবাহী পদার্থ 

ঘ) কোনােটিই নয়

উত্তর: খ) অর্ধপরিবাহী পদার্থ 

২৬) বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরটির উষ্ণতা সর্বোচ্চ ?

ক) থার্মোস্ফিয়ার 

খ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার

গ) মেসােস্ফিয়ার 

ঘ) ট্রপােস্ফিয়ার 

উত্তর: ক) থার্মোস্ফিয়ার 

২৭) রেফ্রিজারেটর থেকে নির্গত ওজোন স্তর বিনষ্টকারী মূল গ্যাসটি হলো –

ক) O2

খ) CFC

গ) CO2

ঘ) CH4

উত্তর: খ) CFC

২৮) একটি অপ্রচলিত শক্তি হলাে –

ক) তড়িৎ শক্তি

খ) রাসায়নিক শক্তি

গ) ভূতাপ শক্তি

ঘ) চৌম্বক শক্তি

উত্তর: গ) ভূতাপ শক্তি

২৯) মেরুজ্যোতি বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে দেখা যায় – 

ক) ট্রপােস্ফিয়ার 

খ) আয়নােস্ফিয়ার

গ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার

ঘ) এক্সোস্ফিয়ার 

উত্তর: ঘ) এক্সোস্ফিয়ার 

৩০) প্রতি কিলােমিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে বায়ুর উষ্ণতা প্রায় –

ক) 10° সেন্টিগ্রেড বাড়ে

খ) 10° সেন্টিগ্রেড কমে 

গ) 6.5° সেন্টিগ্রেড বাড়ে

ঘ) 6.5° সেন্টিগ্রেড কমে

উত্তর: ঘ) 6.5° সেন্টিগ্রেড কমে

৩১) কোন স্তর থেকে বেশিরভাগ কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশ স্টেশন পৃথিবীকে আবর্তন করে ? 

ক) ট্রপােস্ফিয়ার 

খ) মেসােস্ফিয়ার

গ) থার্মোস্ফিয়ার 

ঘ) এক্সোস্ফিয়ার 

উত্তর: ঘ) এক্সোস্ফিয়ার

৩২) CFC ব্যবহৃত হয় –

ক) মাইক্রোওয়েভ ওভেনে 

খ) ফ্রিজে

গ) মিক্সার গ্রাইন্ডারে 

ঘ) টোস্টারে 

উত্তর: খ) ফ্রিজে

৩৩) CNG-এর তাপন মুল্য –

ক) 55 kJ/g 

খ) 50 kJ/g 

গ) 45 kJ/g

ঘ) 17 kJ/g 

উত্তর: গ) 45 kJ/g

৩৪) কোন স্তরকে শান্তমণ্ডল বলা হয়? 

ক) থার্মোস্ফিয়ার 

খ) ট্রপােস্ফিয়ার

গ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার 

ঘ) মেসােস্ফিয়ার 

উত্তর: গ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার 

৩৫) জীবাশ্ম জ্বালানির মধ্যে সবচেয়ে কম দূষণ ঘটায় – 

ক) ডিজেল 

খ) কেরােসিন 

গ) প্রাকৃতিক গ্যাস

ঘ) কয়লা

উত্তর: গ) প্রাকৃতিক গ্যাস

৩৬) কয়লা খনিতে জমে থাকা কোন গ্যাসকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ?

ক) ওজোন 

খ) মিথেন 

গ) অক্সিজেন 

ঘ) নাইট্রোজেন 

উত্তর: খ) মিথেন 

৩৭) বায়ুশক্তি জেনারেটর-এর যথাযথ কার্যকারিতার জন্য বায়ুপ্রবাহের ন্যূনতম বেগ হওয়া উচিত – 

ক) 15 km/h 

খ) 25 km/h 

গ) 35 km/h 

ঘ) 45 km/h

উত্তর: ক) 15 km/h 

Short Question and Answers (অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর) : প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ 

১) বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য দায়ী একটি অজৈব গ্যাসের নাম লেখাে। 

উত্তর: কার্বন ডাই-অক্সাইড।

২) কোন জ্বালানির তাপন মূল্য সবচেয়ে বেশি?

উত্তর: হাইড্রোজেনের তাপন মূল্য (150 kJ/g) সবচেয়ে বেশি।

৩) ওজোন হােল গঠনে CFC-এর ভূমিকা কী?

উত্তর: ওজোন হােল গঠনে CFC থেকে উৎপন্ন জায়মান ক্লোরিন ওজোন গ্যাসকে ভেঙে অক্সিজেন-এ পরিণত করে। এইভাবে ওজোন স্তরে ওজোন হােল গঠিত হয়। 

৪) একটি পুনর্নবীকরণযােগ্য শক্তির উৎসের নাম লেখাে।

উত্তর: বায়ুশক্তি।

৫) পাওয়ার অ্যালকোহল কী?

উত্তর: পেট্রোল-এর সাথে 23% ইথানল মিশিয়ে যে জ্বালানি তৈরি করা হয় তা হলাে পাওয়ার অ্যালকোহল।

৬) আয়নােস্ফিয়ার-এর অপর নাম কী ?

উত্তর: থার্মোস্ফিয়ার।

৭) ক্ষুদ্ধমণ্ডল কোন স্তরকে বলা হয় ? 

উত্তর: ট্রপােস্ফিয়ারকে।

৮) তাপন মূল্যের একক কী?

উত্তর: কিলাে জুল / গ্রাম। 

৯) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার-এর এরূপ নামকরণের কারণ কী?

উত্তর: চৌম্বক ক্ষেত্রের উপস্থিতির জন্য এই অঞ্চলকে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার বলা হয়। 

১০) CFC-এর পুরাে নাম কী?

উত্তর: ক্লোরোফ্লোরো কার্বন।

১১) গ্রিনহাউস কথাটির অর্থ কী?

উত্তর: এর অর্থ হলাে গাছপালা পরিচর্যার কাচের ঘর। 

১২) গ্রিনহাউস প্রভাবের জন্য দায়ী প্রধান গ্যাস কোনটি?

উত্তর: কার্বন ডাই-অক্সাইড। 

১৩) স্থিতিশীল উন্নয়ন কাকে বলে?

উত্তর: যে উন্নয়ন ব্যাবস্থায় প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট না করে দেশের মঙ্গল করা যায়, তাকেই স্থিতিশীল উন্নয়ন বলে।

১৪) গােবর গ্যাস-এ কত শতাংশ মিথেন থাকে?

উত্তর: গােবর গ্যাসে প্রায় 600 শতাংশ মিথেন থাকে।

১৫) মেথানােজেনিক ব্যাকটেরিয়া কাকে বলে?

উত্তর: মিথেন গ্যাস উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেথানােজেনিক ব্যাকটেরিয়া বলে। 

১৬) একটি মেথানােজেনিক ব্যাকটেরিয়ার নাম লেখাে।

উত্তর: মিথানকক্কাস

১৭) সুইট গ্যাস কাকে বলে?

উত্তর: কোল বেড মিথেনকে সুইট গ্যাস বলে। কারণ এর মধ্যে H2S গ্যাস থাকে না। 

১৮) ফায়ার আইস কাকে বলা হয় ?

উত্তর: মিথেন হাইড্রেটকে ফায়ার আইস বলা হয়। 

১৯) মিথেন হাইড্রেট-এর রাসায়নিক সংকেত লেখাে।

উত্তর: 4CH4, 23H2O

২০) জেট প্লেন চলাচল করে বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে ? 

উত্তর: জেট প্লেন চলাচল করে শান্তমণ্ডল স্তরে।

২১) থার্মোস্ফিয়ার-এর সর্বাধিক উষ্ণতা কত?

উত্তর: থার্মোস্ফিয়ার-এর সর্বাধিক উষ্মতা 1200° সেন্টিগ্রেড। 

২২) ODS কথাটির সম্পূর্ণ রূপ লেখাে।

উত্তর: ওজোন ডিপ্লেটিং সাবস্টেন্স। 

২৩) ভূতাপ শক্তির প্রধান উৎস কী? 

উত্তর: আগ্নেয়গিরি ও উষ্ণ প্রস্রবণ হলাে ভূতাপ শক্তির প্রধান উৎস। 

২৪) এলপিজি ও হাইড্রোজেন-এর মধ্যে কোনটির তাপন মূল্য সর্বোচ্চ? 

উত্তর: হাইড্রোজেন। 

২৫) ক্রমবর্ধমান তাপন মূল্য হিসেবে সাজাও।

কেরােসিন, পেট্রোল, কয়লা।

উত্তর: কয়লা < কেরােসিন < পেট্রোল। 

২৬) ভূউষ্ণতা বৃদ্ধির একটি ক্ষতিকারক প্রভাব উল্লেখ করাে।

উত্তর: মেরুপ্রদেশের বরফ গলন ও সমুদ্রের জলের উচ্চতা বৃদ্ধি।

২৭) বায়ােগ্যাসের মুখ্য উপাদান কী? 

উত্তর: মিথেন।

২৮) ভারতবর্ষে পেট্রোল-এর সাথে কোন জৈব জ্বালানি মেশানাে হয়?

উত্তর: ইথানল।

২৯) বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে এমন দু’টি গ্যাসের নাম লেখাে।

উত্তর: CO2 CH4

৩০) ওজোন গহ্বর তৈরির একটি ক্ষতিকারক প্রভাব উল্লেখ করাে।

উত্তর: অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বকের ক্যানসার জাতীয় রােগ হয়। 

৩১) তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের কোনটি বায়ুমণ্ডলে ওজোন গ্যাস তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে? 

উত্তর: অতিবেগুনি রশ্মি। 

৩২) রান্নার গ্যাস এলপিজি-এর তাপন মূল্য কত? 

উত্তর: 50 কিলাে জুল প্রতি গ্রাম।

৩৩) বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে বেশি ঘনত্ববিশিষ্ট স্তর কোনটি ?

উত্তর: ট্রপােস্ফিয়ার

৩৪) জীবাশ্ম জ্বালানির দহনে কোন গ্যাস উৎপন্ন হয়? 

উত্তর: কার্বন ডাই অক্সাইজ। 

৩৫) বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয় ? 

উত্তর: আয়নােস্ফিয়ার।

Fill in the blanks (শূন্যস্থান পূরণ করাে) : প্রতিটি প্রশ্নের মান ১

১) পৃথিবীর ছাতা বলা হয় বায়ুমণ্ডলের ____________ স্তরকে।

উত্তর: ওজোন

২) তাপ সঞ্চালনের ফলে বায়ুর মধ্যে যে চক্রাকার স্রোতের সৃষ্টি হয় ____________ তাকে বলে।

উত্তর: পরিচলন স্ত্রোত 

৩) ____________ হলো কারণ, বিশ্ব উষ্ণায়ন হলাে তার ফল।

উত্তর: গ্রিনহাউস এফেক্ট

৪) গুজেন গ্যাসের ঘনত্ব ____________ একক-এর কম হলে তাকেই ওজোন গহ্বর বলে।

উত্তর: 200

৫) সুপারসনিক বিমান নির্গত যে গ্যাস ওজোন স্তরকে ভেঙে দেয় সেই গ্যাসটি হলো ____________ ।

উত্তর: নাইট্রিক অক্সাইড

৬) সােলার প্যানেলে সৌরকোশগুলি ____________ সমবায়ে যুক্ত থাকে।

উত্তর: শ্রেণি

৭) বায়োমাসে অন্তর্নিহিত শক্তি আসলে ____________ 

উত্তর: সৌরশক্তি

৮) ____________ শক্তি প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে সূর্য থেকে পাওয়া যায় না।

উত্তর: ভূতাপীয়

৯) অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বকের __________ হতে পারে।

উত্তর: ক্যানসার। 

১০) __________ গাছের তেল বায়ােডিজেল উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। 

উত্তর: মহুয়া / জ্যাট্রোফা 

১১) __________ যৌগে মিথেন বহুসংখ্যক জল অণু দিয়ে গঠিত খাচায় আবদ্ধ থাকে। 

উত্তর: মিথেন হাইড্রেট

১২) প্রাকৃতিক সৌরপর্দা হলাে __________।

উত্তর: ওজোন স্তর। 

১৩) একটি অপ্রচলিত শক্তির উৎস হলাে __________ ।

উত্তর: বায়ােগ্যাস 

১৪) CFC-এর পুরাে নাম __________ ।

উত্তর: ক্লোরোফ্লোরো-কার্বন  

১৫) বায়ােগ্যাসের প্রধান উপাদান __________ ।

উত্তর: মিথেন 

১৬) শক্তির প্রধান উৎস __________ ।

উত্তর: সূর্য 

১৭) একটি জীবাশ্ম জ্বালানি হলাে __________ ।

উত্তর: কয়লা

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (মান ২)

Brief Question and Answers (সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর) : প্রতিটি প্রশ্নের মান ২

১) নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ কীভাবে ওজোন স্তরের ক্ষতি করে?

উত্তর: নাইট্রোজেনের অক্সাইড যথা— নাইট্রিক অক্সাইড ওজোন স্তরের অণুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড এবং অক্সিজেন উৎপন্ন করে। উৎপন্ন এই নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড পুনরায় অক্সিজেন পরমাণুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে নাইট্রিক অক্সাইড ও ওজোনে পরিণত হয়। এভাবে উৎপন্ন নাইট্রিক অক্সাইড পুনরায় আরেকটি ওজোনকে ভেঙে দেয়। এই পদ্ধতি ক্রমাগত চলে এবং ওজন স্তরের বিনাশ ঘটে।

২) বিশ্ব উষ্ণায়ন বলতে কী বােঝো? এর দু’টি ক্ষতিকারক প্রভাব উল্লেখ করে।

উত্তর: গ্রিনহাউস প্রভাব-এর ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনাকে বিশ্ব উষ্ণায়ন বলে।

এর দুটি ক্ষতিকারক প্রভাব –

(১) মেরুপ্রদেশের বরফ গলে সমুদ্রের জলের উচ্চতা বেড়ে যাবে এবং উপকূলবর্তী এলাকা ডুবে যাবে।

(খ) ঝড়-বৃষ্টির পরিমাণে পরিবর্তন ও অনিয়মিত হবে। 

৩) গ্রিনহাউস প্রভাব কমানাের দু’টি উপায় লেখাে।

উত্তর: (১) জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে যাতে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমে যায়।

(২) বনভূমি রক্ষা করতে হবে এবং বনসৃজনের ওপর জোর দিতে হবে। 

৪) মিথেন হাইড্রেটকে ফায়ার আইস বলে কেন? এটি কোথায় পাওয়া যায় ? 

উত্তর: মিথেন হাইড্রেট হলাে একপ্রকার কেলাসাকার কঠিন পদার্থ। জলের অণর সমন্বয়ে গঠিত বরফ সদৃশ এই কেলাসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস আবহ অবস্থায় থাকে। এই গ্যাস দাহ্য প্রকৃতির হওয়ায় এটি আগুনের সংস্পর্শে এলেই জ্বলতে থাকে, তাই একে ফায়ার আইস বলে।

সমুদ্রের তলদেশে 100 মিটার গভীরে পাললিক শিলাস্তর-এর নীচে মিথেন হাইড্রেট পাওয়া যায়।

৫) ক্লোরােফ্লোরাে কার্বন কীভাবে ওজোন স্তরকে ধ্বংস করে? 

অথবা, ওজোন স্তর ধ্বংসের কারণগুলি লেখাে।

উত্তর: রেফ্রিজারেটর, বাতানুকূল যন্ত্র, এরােসল স্প্রে-তে CFC ব্যবহৃত হয়। এই CFC গ্যাস স্ট্রাটোস্ফিয়ারে পৌঁছায় এবং অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ক্লোরিন পরমাণু গঠন করে। এই সক্রিয় ক্লোরিন পরমাণু লক্ষ লক্ষ ওজোন অণুকে অক্সিজেনে পরিণত করে।

CL + O3 = ClO + O2, CIO + O3 = 2O2 + Cl 

৬) ওজোন স্তর কীভাবে সৃষ্টি হয়? 

উত্তর: স্ট্রাটোস্ফিয়ারে উপস্থিত অক্সিজেন অণু অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে অক্সিজেন পরমাণুতে বিয়ােজিত হয়।

এই পারমাণবিক অক্সিজেন আণবিক অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে ওজোন অণু তৈরি করে। এইভাবে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার-এর 16 কিলােমিটার থেকে 30 কিলােমিটার-এর মধ্যে একটি ওজোন স্তর সৃষ্টি হয়।

O2 + অতিবেগুনি রশ্মি = O + O; O2 + O = O3 

৭) গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব কমানাের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় লেখাে? 

অথবা, গ্রিনহাউস প্রভাব কমানোর দুটি উপায় লেখাে।

উত্তর: গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর প্রভাব থেকে পথিবীকে রক্ষা করতে নিম্নলিখিত কাজ দু’টি করা আবশ্যক। 

(ক) কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপাদনকারী জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে, যথা—কাঠকয়লা, ডিজেল-পেট্রোল ইত্যাদির ব্যবহার কমাতে হবে। 

(খ) প্রচুর বনসৃজন ও বন সংরক্ষণ করতে হবে, এতে বায়ুমণ্ডলের অতিরিক্ত কাবন ডাই-অক্সাইড গ্যাস গাছপালা দ্বারা শােষিত হবে।

৮) স্থিতিশীল উন্নয়ন বলতে কী বােঝায়? 

অথবা, স্থিতিশীল উন্নয়নের ধারণাটি কী? 

উত্তর: যে উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমিত ও যথাযথ ব্যবহার, বর্তমান জীবনযাত্রার মানােন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদকে সুরক্ষিত করে মানবজাতির সার্বিক মঙ্গলসাধন করা যায়, তাকে স্থিতিশীল উন্নয়ন বলে। 

৯) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারকে শান্তমণ্ডল কেন বলা হয়? 

অথবা, স্ট্রাটোস্ফিয়ার অঞ্চলে জেট বিমান চলাচল করতে পারে কেন? 

উত্তর: স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার অঞলে খুব কম পরিমাণে বায়ু, ধুলিকণা ও জলকণা থাকায় ঝড়-বৃষ্টি প্রায় কিছুই হয় না। তাই জেট বিমানগুলি ঝড়-বৃষ্টি এড়িয়ে চলার জন্য এই স্তরে চলাচল করে। তাই একে শান্তমণ্ডল বলা হয়।

১০) চিরাচরিত শক্তির উৎস বা অনবীকরণযােগ্য শক্তির উৎস বলতে কী বােঝাে? উদাহরণ দাও।

উত্তর: যেসব শক্তির উৎসকে অনেক দিন ধরে ব্যবহার করার ফলে তাদের ভাণ্ডার বর্তমানে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবং যেগুলি একবার শেষ হয়ে গেলে পুনরায় ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই তাদের চিরাচরিত বা অনবীকরণযােগ্য শক্তির উৎস বলে।

যেমন—কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি জীবাশ্ম জ্বালানি হলাে চিরাচরিত বা অনবীকরণযােগ্য শক্তির উৎস।

১১) মেরুপ্রভা কাকে বলে এবং কোন স্তরে এটি দেখা যায় ? 

উত্তর: আয়নােস্ফিয়ার স্তরে বায়ু থাকে না। এখানে তড়িদাহত কণা থাকে। এই তড়িদাহত কণার চৌম্বক বিক্ষেপের কারণে সুমের ও কুমেরু অঞ্চলে এক ধরনের আলাের বিচ্ছুরণ দেখা যায়। এই ঘটনাকে মেরুজ্যোতি বা মেরুপ্রভা বলে।

বায়ুমণ্ডলের আয়নােস্ফিয়ারে মেরুপ্রভা দেখা যায়। 

১২) ক্ষুব্ধমণ্ডল কাকে ও কেন বলা হয় ? 

উত্তর: ট্রপােস্ফিয়ারকে ক্ষুব্ধমণ্ডল বলা হয়। কেননা ট্রপােস্ফিয়ারে ধূলিকণা, জলীয় বাষ্প, মেঘ ইত্যাদি থাকে। এখানে আবহাওয়ার প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয় এবং ঝড় বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাত ঘটে থাকে। তাই এই অঞ্চলকে ক্ষুন্ধমণ্ডল বলা হয়।

মিথেন হাইড্রেট কী? এটি কোথায় পাওয়া যায় ?

মিথেন হাইড্রেট হলাে 4 CH4, 23 H2O সংকেত বিশিষ্ট বরফের ন্যায় কেলাসাকার সাদা কঠিন পদার্থ। এর মধ্যে 13.4% মিথেন থাকে।

সমুদ্রের তলদেশে 1100 মিটার গভীরে পাললিক শিলাস্তরের নীচে মিথেন হাইড্রেট পাওয়া যায়।

১৩) ট্রপোপজ কী?

উত্তর: যে অঞলে ট্রপােস্ফিয়ার শেষ হয়েছে এবং স্ট্রাটোস্ফিয়ার শুরু হয়েছে সেই অঞলে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে উষ্ণতার পরিবর্তন হয় না, তাকে ট্রপােপজ বলে।

১৪) সৌরশক্তি ও বায়ুশক্তির একটি করে অসুবিধা লেখাে। 

উত্তর: সৌরশক্তির অসুবিধা : রৌদ্রোজ্জ্বল দিন না হলে অর্থাৎ মেঘলা দিনে বা রাতের বেলা সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন অসম্ভব।

বায়ুশক্তির অসুবিধা : বায়ুশক্তির একটি অসুবিধা হলাে কেবলমাত্র উপকুল ও মরু অঞ্চলে যেখানে বাতাসের বেগ বেশি সেখানে বায়ুকল স্থাপন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।

১৫) ওজোন মণ্ডল কী?

উত্তর: ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 20-50 কিমি উচ্চতায় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে পৃথিবীকে ঘিরে বায়ুমণ্ডলের ওজোন গ্যাস (O3) সমৃদ্ধ যে স্তর থাকে তাকে ওজোন মণ্ডল বলে।

১৬) কয়েকটি গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম লেখাে। পরিবেশে এই গ্যাসগুলির ভূমিকা লেখাে।

উত্তর: CO, NO, CFC, CH4 ও জলীয় বাষ্প। এই গ্যাসগুলি বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধি করে, যার ফল বিশ্ব উষ্ণায়ন।

১৭) জ্বালানির স্থিতিশীল ব্যবহার কাকে বলে? 

উত্তর: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নয়নের ধারাকে বজায় রাখতে বর্তমান প্রজন্মের জ্বালানি চাহিদা মিটিয়ে ভবিষ্যতের জন্য জ্বালানি সংরক্ষণ ও বিকল্প জ্বালানির উৎস সন্ধান ও ব্যবহারকে বলে জ্বালানির স্থিতিশীল ব্যবহার।

১৮) জীবাশ্ম জ্বালানি সংরক্ষণের প্রয়ােজনীয়তা কী? 

উত্তর: জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও সভ্যতার উন্নতির ফলে কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় বিভিন্ন অনবীকরণযােগ্য চিরাচরিত শক্তির ব্যবহার বেড়ে গেছে। তাই এদের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, একবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এই শক্তির উৎসগুলি একদম শেষ হয়ে যাবে। এর ফলে শক্তি সংকটের সৃষ্টি হবে। তাই এই জ্বালানির প্রয়ােজনীয়তার দিকে লক্ষ রেখে এদের সংরক্ষণের প্রয়ােজন। 

১৯) অতিবেগুনি রশ্মির দু’টি ক্ষতিকারক প্রভাব লেখাে। 

উত্তর: ১) মানুষের চামড়ায় ক্যানসার, সানবার্ন ও বিভিন্ন চর্মরােগ সৃষ্টি করে। 

২) প্রজনন ক্ষমতা ও রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা হ্রাস পায়।

২০) সভ্যতার উন্নতিসাধনে বিকল্প শক্তির ব্যবহার প্রয়ােজন কেন? 

উত্তর: বর্তমানে আমরা যে-সমস্ত জীবাশ্ম জ্বালানি শক্তি উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করছি সেগুলির ভাণ্ডার সীমিত। সেগুলি একদিন না একদিন শেষ হয়ে যাবে। ফলে জ্বালানির অভাবে সভ্যতার উন্নয়ন থমকে যাবে। তাই সভ্যতার উন্নয়নের ধারাকে বজায় রাখতে হলে বিকল্প শক্তির সন্ধান ও ব্যবহার প্রয়ােজন।

২১) ফটোভােল্টিক কোশ কী? 

উত্তর: এই কোশের সাহায্যে সৌরশক্তিকে তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরিত করা হয়। এই কোশ অর্ধপরিবাহী সিলিকন (Si) দিয়ে তৈরি করা হয়। এতে সিলিকন-বােরনের একটি স্তর এবং সিলিকন-আর্সেনিকের একটি স্তরকে পাশাপাশি রেখে তার দিয়ে যুক্ত করা হয়। এর ওপর সূর্যালােক পড়লে অর্ধ-পরিবাহী সিলিকনের ইলেকট্রনগুলি উত্তেজিত হয়ে গতিশীল হয়। এই কোশকে ফটোভােল্টিক কোশ বা সৌরকোশ বলে।

২২) গ্রিনহাউস কী? 

উত্তর: শীতপ্রধান অঞ্চলে প্রচণ্ড ঠান্ডার হাত থেকে উদ্ভিদকে বাঁচিয়ে রাখতে কাচ বা পলিথিনের ঘর তৈরি করা হয়। এর মধ্যে গাছপালা সবুজ ও সতেজ থাকে। এই ঘরকে গ্রিনহাউস বলে। 

২৩) গ্রিনহাউস এফেক্ট কী? 

শীতপ্রধান অঞ্চলে প্রবল ঠান্ডার হাত থেকে উদ্ভিদকে রক্ষা করার জন্য কাচ বা পলিথিনের ঘর তৈরি করে গাছপালা লাগানাে হয়। এই কাচ বা পলিথিন ভেদ করে ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যবিশিষ্ট আলােকরশ্মি প্রবেশ করে কিন্তু উদ্ভিদ কর্তৃক শােষণের পর বড়াে তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ইনফ্রারেড রশ্মিতে পরিণত হয় যা ঐ কাচ বা পলিথিন ভেদ করে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে না। ফলে গ্রিনহাউসের ভেতরটা গরম থাকে।

তেমনই সূর্য থেকে আগত আলােকরশ্মি ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ে এবং তার কিছু অংশ পুনরায় বিকিরিত হয়ে ফিরে যায়। কিন্তু বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত N2O, CH4, CFC ও জলীয় বাষ্প দ্বারা শােষিত হয়ে তা পুনরায় মহাশূন্যে ফিরে যেতে পারে না। ফলে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বাড়ে। এই ঘটনাটি গ্রিনহাউসের অনুরূপ বলে একে বলা হয় গ্রিনহাউস এফেক্ট।

২৪) এলপিজি-র তাপনমূল্য 2800 কিলােক্যালােরি প্রতি মিটার3 -এর অর্থ কী? 

উত্তর: 1 ঘনমিটার আয়তনের এলপিজি-কে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে সম্পূর্ণ দহন করলে 2800 কিলােক্যালােরি তাপ উৎপন্ন হয়।

২৫) বায়ুমণ্ডলে ওজোন স্তরের গুরুত্ব কী?

অথবা, ওজোন স্তরকে প্রাকৃতিক সৌরপর্দা বা পৃথিবীর ছাদ বলা হয় কেন? 

উত্তর: ওজোন স্তর সূর্যরশ্মির ক্ষতিকর UV-B, UV-V অতিবেগুনি রশ্মিকে শােষণ করে। ফলে ওই ক্ষতিকর রশ্মি পৃথিবীতে পৌছাতে পারে না এবং পরিবেশ এই রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পায়। 

২৬) উৎকৃষ্ট জ্বালানির শর্তগুলি কী?

উত্তর: উৎকৃষ্ট জ্বালানির শর্তগুলি হলাে —

১) তাপনমূল্য বেশি হবে। 

২) জ্বালানির দহনে ধোঁয়া বা কোনাে বিষাক্ত গ্যাস উৎপন্ন হবে না। 

৩) জ্বালানি সস্তা ও সহজলভ্য হবে।

২৭) বায়ােফুয়েল কী? 

উত্তর: কাঠ, গাছের শুকনাে ডালপালা, কৃষিজ বর্জ্য, গােবর, মৃত প্রাণীর দেহাবশেষ ইত্যাদি কার্বনঘটিত পদার্থকে একত্রে বলা হয় বায়ােমাস। এই বায়ােমাসকে সরাসরি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে বা এই বায়ােমাসকে পচিয়ে তা থেকে বায়ােগ্যাস উৎপন্ন করে সেটাকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বায়ােমাসের এই রাসায়নিক শক্তিকে বলা হয় বায়ােফুয়েল।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

1 thought on “Madhyamik Physical Science Suggestion 2022 PDF Chapter 1 | মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান সাজেশন ২০২২ | পরিবেশের জন্য ভাবনা MCQ, অতিসংক্ষিপ্ত, শূন্যস্থান পূরণ, সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর”

Leave a Comment