প্রশ্ন: প্রতিবর্ত ক্রিয়া কীভাবে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে সাহায্য করে – দুটি উদাহরণের সাহায্যে তা বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: বিজ্ঞানী শেরিংটন (Sherrington – 1789) প্রতিবর্ত ক্রিয়ার যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তা হলাে— “সুষুম্নাকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সংজ্ঞাবহ উদ্দীপনাজাত অনৈচ্ছিক সাড়াকে প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।”
উদাহরণ : 1.চোখে আলাে পড়লে চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়া। 2.গরম বস্তুতে হাত দিলে সঙ্গে সঙ্গে হাত সরে যাওয়া।
প্রতিবর্ত ক্রিয়া দুই প্রকারের : 1. সহজাত বা শর্তনিরপেক্ষ। 2.অর্জিত বা শর্তসাপেক্ষ।
প্রতিবর্ত ক্রিয়ার ব্যাখ্যা : হঠাৎ পায়ে কাটা বিঁধে গেলে সঙ্গে সঙ্গে পা মাটি থেকে উপরে উঠে আসে। এখানে পায়ের চামড়াতে উপস্থিত গ্রাহক প্রথমে স্নায় অনুভূতি (কাটা বিঁধে যাওয়া) গ্রহণ করে এবং অন্তর্বাহী স্নায়ু দিয়ে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে (অর্থাৎ মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ডে) পাঠায়। এখানে সংজ্ঞাবহ উদ্দীপনা চেষ্টীয় উদ্দীপনায় রূপান্তরিত হয় এবং বহির্বাহী স্নায়ু দিয়ে পায়ের পেশিতে পৌছায়। পায়ের পেশি কারকের কাজ করে এবং উদ্দীপিত হয়। ফলে পায়ের পেশি সংকুচিত হয় এবং পা মাটি থেকে তৎক্ষণাৎ উপরে উঠে আসে।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।