Madhyamik Bengali Suggestion 2022 ” মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২২ | অসুখী একজন (কবিতা) – পাবলাে নেরুদা | MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik / WB Madhyamik / MP Exam Class 10 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WBBSE Madhyamik Exam / Madhyamik Class 10th / Class X / Madhyamik Pariksha) পরীক্ষায় এখান থেকে কিছু প্রশ্ন অবশ্যই থাকবে । সে কথা মাথায় রেখে Wbshiksha.com এর পক্ষ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের দের জন্য় মাধ্যমিক বাংলা – অসুখী একজন (কবিতা) পাবলো নেরুদা অতি আবশ্যক কিছু প্রশ্নোত্তর এবং সাজেশন
কবিতা
অসুখী একজন
পাবলাে নেরুদা
Madhyamik Bengali Suggestion 2022 | অসুখী একজন – পাবলাে নেরুদা | সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর | Class 10 Bengali Suggestion 2022
সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে – প্রশ্নের মান ১
১। ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি বাংলায় অনুবাদ করেন –
(ক) লিও তলস্টয়
(খ) নবারুন ভট্টাচার্য
(গ) মহাশ্বেতা দেবী
(ঘ) বিজন ভট্টাচার্য ।
উত্তর – (খ) নবারুন ভট্টাচার্য
২। পাবলাে নেরুদা কোন্ দেশের কবি –
(ক) কিউবা
(খ) ফ্রান্স
(গ) রাশিয়া
(ঘ) চিলি
উত্তর – (ঘ) চিলি
৩। ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কবি কার অসুখী হওয়ার কথা বলেছেন –
(ক) যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের
(খ) শ্রমিকের
(গ) ছাত্রের ।
উত্তর – (ঘ) কবির নিজের
৪। কবিতার কথকের চলে যাওয়ার পর কত বছর কেটে যায় –
(ক) এক বছর
(খ) দুই বছর।
(গ) তিন বছর
(ঘ) চার বছর
উত্তর – (ক) এক বছর
৫। ‘তারপর যুদ্ধ হল
(ক) পাহাড়ের আগুনের মতাে
(খ) রক্তের সমুদ্রের মতাে
(গ) আগ্নেয় পাহাড়ের মতাে
(ঘ) রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতাে
উত্তর – (ঘ) রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতাে
৬। ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কারা খুন হল –
(ক) শিশু আর বাড়ি
(খ) বৃদ্ধ আর বাড়ি
(গ) মহিলা আর বাড়ি
(ঘ) ছাত্র আর বিদ্যালয়।
উত্তর – (ক) শিশু আর বাড়ি
৭। দেবতাদের যে বিশেষণ ব্যবহৃত হয়েছে কবিতায় —
(ক) শান্ত সবুজ
(খ) শান্ত হলুদ
(গ) শান্ত করুণ
(ঘ) স্তাবকতায়
উত্তর – (খ) শান্ত হলুদ
৮। অপেক্ষারত মেয়েটির ওপর বছরগুলাে কীভাবে নেমে আসে –
(ক) বৃষ্টির মতাে
(খ) তুষারপাতের মতাে |
(গ) পরীর মতাে । |
(ঘ) পাথরের মতাে
উত্তর – (ঘ) পাথরের মতাে
৯। ‘তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না’—কারা স্বপ্ন দেখতে পারল না।
(ক) দেবতারা
(খ) সন্ন্যাসীরা।
(গ) মানুষেরা
(ঘ) পুরােহিতরা।
উত্তর – (ক) দেবতারা
Madhyamik Bengali Suggestion 2022 | অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক বাংলা – অসুখী একজন (কবিতা) পাবলো নেরুদা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali Suggestion 2022
অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর – প্রশ্নের মান ১
১,“ শিশু আর বাড়িরা খুন হলো ” ‘ শিশু আর বাড়িরা ‘ খুন হয়েছিল কেন ?
Ans: বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণে শিশু আর বাড়িরা ‘ খুন হয়েছিল । ‘
২। অসুখী একজন ‘ কবিতায় কবি চলে যাওয়ার আগে ‘ তাকে ‘ কী অবস্থায় ছেড়ে
Ans: পাবলো নেরুদা ‘ তাকে ‘ তথা এক নারীকল্প দেশমাতৃকাকে দরজায় পরম অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে চলে গিয়েছিলেন দুর থেকে দুরে ।
৩।‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যুদ্ধ আসাকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ?
Ans: কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় যুদ্ধ আসাকে রক্তের এক আমেয়পাহাড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ।
৪। ” তারপর যুদ্ধ এল ” — যুদ্ধ এলে কী ঘটল ?
Ans: পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় দেখা যায় যুদ্ধে শিশু আর বাড়িগুলি খুন হয় , কিন্তু কবির ছেড়ে যাওয়া মেয়েটির মৃত্যু হয় না ।
৫। ” বৃষ্টিতে ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ ” – এর অর্থ কী ?
Ans: উদ্ধৃতিটির অর্থ প্রকৃতির নিয়মে প্রকৃতির বুকে মানুষের স্মৃতি মুছে দেওয়া ।
৬। “ রত্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো । ” এটি কীসের উপমা ?
Ans: পাবলো নেরুদা প্রণীত ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় এটি স্পেনের গৃহযুদ্ধের উপমা ।
৭। “ সেই মেয়েটির মৃত্যু হলো না । ” কেন মৃত্যু হলো না ?
Ans: কবি পাবলো নেরুদার ‘ অসুখী একজন ‘ কবিতায় কালান্তক যুদ্ধে বহু শিশু ও গৃহস্থের মৃত্যু হলেও কথকের অপেক্ষায় থাকা মেয়েটির মৃত্যু হলো না ।
৮। “ রক্তের একটা কালো দাগ । ” কী কারণে এই রক্তপাত ?
Ans: স্পেনের গৃহযুদ্ধে ( ১৯৩৬-৩৯ ) বহু মানুষ হতাহত হয় , তাই এই রক্তপাত ।
৯। “ সব চূর্ণ হয়ে গেল , জ্বলে গেল আগুনে । ” সব কী কী ?
Ans: ‘ সব ’ বলতে গোলাপি গাছ , চিমনি , প্রাচীন জলতরঙ্গ প্রভৃতির কথা বলা হয় ।
১০।“ আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায় । ” বক্তার জন্য মেয়েটির অপেক্ষার কারণ কী ?
Ans: কারণ বক্তার সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক প্রেমিক – প্রেমিকার , তাই সে বক্তার অপেক্ষায় থাকে ।
১১।“ সেই মিষ্টি বাড়ি ” — বাড়িটিকে বক্তা মিষ্টি বলেছেন কেন ?
Ans: বাড়িটির সঙ্গে কবির অনেক প্রিয় স্মৃতি যুক্ত হয়ে থাকায় বাড়িটি মিষ্টি ।
১২।“ সে জানত না ” – কে , কী জানত না ?
Ans: ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় কথক যে মেয়েটিকে দরজায় দাঁড় করিয়ে অপেক্ষায় রেখে চলে গেল সেই মেয়েটি জানত না যে কথক আর কখনো ফিরে আসবে না ।
১৩। কবি পাবলো নেরুদার পরিচয় কী ?
Ans: ল্যাটিন আমেরিকার ‘ চিলি ’ – র কবি পাবলো নেরুদা ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দের ১২ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন । তিনি নোবেল সাহিত্য পুরস্কার প্রাপক কবি ।
Madhyamik Bengali Suggestion 2022 | কমবেশি ৬০টি শব্দে উত্তর লেখাে প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক বাংলা – অসুখী একজন (কবিতা) পাবলো নেরুদা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali Suggestion 2022
কমবেশি ৬০টি শব্দে উত্তর লেখাে – প্রশ্নের মান – ৩
১।“নেমে এল তার মাথার ওপর”— কার মাথার উপর নেমে এল ? ঐ এ কীভাবে এবং কেন নেমে এল ?
উত্তর – ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কথকের অপেক্ষারত সেই জনৈক নারীটির মাথার উপর একটার পর একটা পাথরের মত বছরগুলি নেমে আসে।
এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে শেষপর্যন্ত কথক অজানা উদ্দেশ্যে পা বাড়ায় প্রিয় নারীকে অপেক্ষায় দরজায় দাঁড় করিয়ে রেখে – সে নারী হয়ত তার স্বদেশের প্রতিমূর্তি। যেহেতু কথক আর ফিরে আসে নি তাই পাহাড়ে ধস নামলে যেমন একটার পর একটা পাথর নেমে আসে সেভাবেই কথকের ফেরার অপেক্ষায় বছরগুলি নেমে এল সেই রমনীর জীবনে। ফলে সেই মেয়েটি তথা মাতভমি বিচ্ছেদ বেদনায় আর অন্তহীন প্রতীক্ষায় ভারাক্রান্ত হল। তাই বছরগুলি পাথরের মত নেমে এল বলা হয়েছে।
২। “তারপর যুদ্ধ এল” – তারপর বলতে কী বােঝাতে চেয়েছেন? এই যুদ্ধের ফল কী হয়েছিল?
উত্তর – ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কবি পাবলাে নেরুদা কথকের জবানীতে নিজের দেশের যুদ্ধের কথা প্রসঙ্গে ‘তারপর’ কথাটি ব্যবহার করেছেন। তারপর বলতে তিনি বলেছেন – (১) প্রিয়তমাকে রেখে কবির ঘর ছেড়ে চলে যাওয়া। (২) বৃষ্টিতে কবির পায়ের দাগ মুছে যাওয়া। (৩) রাস্তায় ঘাস জন্মাননা।
(৪) বছরের পর বছর গুলাে পাথরের মতাে মাথার উপর দিয়ে কেটে যাওয়ার পরক্ষণকেই বুঝিয়েছেন।
এই যুদ্ধের ফলাফল হিসাবে কবি দেখেছেন ——–
(১) আগ্নেয় পাহাড়ের গলিত লাভার মতাে দেশের বুকে রক্তের ধারা বয়ে যায়। (২) শিশুরা খুন হয় আর ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়। (৩) সমস্ত সমতলে আগুন ধরে যায়। পুড়ে যায় সবকিছু। (৪) কবির বাড়ি, চিমনি, জলতরঙ্গ, গােলাপী গাছ সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। (৫) শহরে শুধু ছড়িয়ে পড়ে থাকে কাঠকয়লা, দোমড়ানাে লােহা, মূর্তির বীভৎস মাথা, রক্তের কালাে দাগ। (৬) এত কিছুর মধ্যে একটাই মাত্র সুখস্মৃতি কবির জন্য অপেক্ষমান মেয়েটির শুধু মৃত্যু হয়নি।
৩। “আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায়” – সেই মেয়েটি বলতে কবি কার কথা বলেছেন? সে কার অপেক্ষা, কেন করছিল?
উত্তর – পাবলাে নেরুদার ‘অসুখী একজন’ কবিতায় উল্লিখিত সেই মেয়েটি হল কবির প্রিয়তমা, কবি যাকে রেখে বহু দূরে চলে যান।
দরজায় অপেক্ষারত মেয়েটি কবি চলে যাওয়ার পরেও লক্ষ্যে অবিচল থেকেছে। সে কখনােই বুঝতে পারেনি কবির ফিরে না আসার মনােভাব। তাই তার অপেক্ষায় বছরের পর বছর পাথরের মতাে গুরুভার বােঝায় পরিণত হয়। দেশে যুদ্ধ আসে, সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। যুদ্ধ-ধ্বংস-মৃত্যু সবকিছু অতিক্রম করে গেছে মেয়েটির অসীম অপেক্ষা, কঠিন ধৈৰ্য্য কারণ ভালােবাসার কখনাে মৃত্যু হয় না, তা কাল থেকে কালান্তরে, যুগ থেকে যুগান্তরে চির বহমান। তাই সে তার ভালােবাসার মানুষের ফিরে আসার অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসেছিল।
৪। “ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ” – কে কী ধুয়ে দিয়েছিল? উদ্ধৃতাংশটি ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর – পাবলাে নেরুদা ‘অসুখী একজন’ কবিতার কবি তাঁর প্রিয়তমাকে দরজায় অপেক্ষায় রেখে দূর দেশে চলে যান। সময়ের সরণি বেয়ে বৃষ্টি এসে কবির পায়ের দাগ ধুয়ে মুছে দিয়ে যায়।
কবি দেশের মুক্তি সংগ্রামে নিজেকে নিয়ােজিত করে দেশের স্বাধীনতা লাভের প্রয়াসে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। তিনি নিজরে ঘিরে আসা সম্পর্কে ছিলেন সন্দিহান। কবি চলে যাওয়ার পর একটা কুকুর ও একজন নান রাস্তা দিয়ে চলে যায়। ক্রমে সপ্তাহ-মাস-বছর কেটে যায়। দেশের মাটিতে কবির রেখে যাওয়া পদচিহ্ন কালের নিয়মে মুছে যায়। ব্যক্তি চোখের আড়াল হলেই মনেরও আড়াল হয়ে যায় অর্থাৎ তার এক সময়ের উপস্থিতি শুধু স্মৃতিতেই পর্যবসিত
Madhyamik Bengali Suggestion 2022 | রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক বাংলা – অসুখী একজন (কবিতা) পাবলো নেরুদা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali Suggestion 2022
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর – প্রশ্নের মান – ৫
১। “যেখানে ছিল শহর/ সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা”- অসুখী
একজন’ কবিতা অবলম্বনে শহরের এই পরিণতি কীভাবে হল লেখাে। অথবা, অসুখী একজন’ কবিতায় কে, কেন অসুখী তা যেভাবে ফুটে উঠেছে কবিতা অবলম্বনে লেখাে। অথবা, “সেই মেয়েটির মৃত্যু হল না।”— কোন্ মেয়েটির কথা বলা হয়েছে? তার মৃত্যু না হওয়ার কারণ সম্পর্কে কবিতায় কীভাবে বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে আলােচনা করাে।
উত্তর – নােবেলজয়ী সাম্যবাদী কবি পাবলাে নেরুদার ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কথকের জবানিতে কবিতাটি বিবৃত হয়েছে। আর কথকের জবানিতেই ভয়াবহ যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে স্বজনের ফেরার অপেক্ষায় বসে থাকা বিপন্ন এক মেয়ের কথা উল্লিখিত হয়েছে যে কিনা তাঁর একান্ত প্রিয়ােজন। সে নারী হয়তাে বা তাঁর। স্বদেশের প্রতিমূর্তি।
আলােচ্যমান মেয়েটিকে বক্তা একলা ঘরে রেখে দূর দেশে যেতে বাধ্য হন। দরজার পাশে দাঁড়িয়ে মেয়েটি তার প্রিয়জনের আগমন প্রত্যাশা করে দিন-সপ্তাহ-মাস-বছর পেরিয়ে গেলেও সে জানত না আমি আর কখনাে ফিরে আসব না।
সময়ের সারণি বেয়ে বৃষ্টিতে একসময় ধুয়ে যায় পায়ের দাগ অর্থাৎ জন্মভূমির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয়। মেয়েটির জীবনে নামে আর এক দুর্যোগ, ভয়ংকরতম যুদ্ধের ঘাের অমাবস্যা। —
‘পাথরের মতাে পর পর পাথরের মতাে, বছর গুলাে নেমে এল তার মাথার উপর।
যুদ্ধের করালগ্রাসে অগণিত আবালবৃদ্ধবণিতার মৃত্যু হয়। সর্বত্র বাড়িঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সাজানাে বাগান সমাজ-সভ্যতার যা কিছু মানুষ ও প্রকৃতির দান। সবই ধ্বংস হয়ে যায়।।
‘যেখানে ছিল শহর “সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা দোমড়ানাে লােহা, মৃত পাথরের মূতির বীভৎস মাথা।”
এরূপ বিভীষিকাময় পরিবেশে প্রিয়জনের ঘরে ফেরার একরাশ আশা নিয়ে বেঁচে থাকল শুধু মেয়েটি। অনন্ত অপেক্ষার অমােঘ নিয়তি তাকে বাঁচিয়ে রাখল।
২। “আমি তাকে ছেড়ে দিলাম” – উদ্ধৃতাংশটির বক্তা কে? তিনি কাকে
ছেড়ে দেন? তিনি চলে যাওয়ার পরবর্তী ঘটনার ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর – পাবলাে নেরুদার লেখা ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কথকের জবানিতেই কবি এই উক্তি করেছেন।
দেশের মুক্তিযুদ্ধে যােগ দেওয়ার জন্য কবি তার প্রিয়তমাকে দরজায় অপেক্ষমান রেখে বহুদূরে চলে যায়।।
সময়ের সারণি বেয়ে সপ্তাহ, বছর, তারপর বছরের পর বছর অতিবাহিত হয়ে যায়। কবির ফিরে আসার পথ ধোঁয়াশায় ঢাকা। দেশে প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে কবি সন্দিহান হয়ে বলেছেন – “সে জানত না আমি আর কখনাে ফিরে আসব না।”
কবি চলে যাওয়ার পর কালের নিয়মে বৃষ্টি সে ধুয়ে দিয়ে যায় পদচিহ্ন। ক্রমে সবুজ ঘাসে ঢেকে যায় আনাগােনার পথ। নেমে আসা গুরুভার নিয়ে একের পর এক বছর সময় গুনতে থাকা তার প্রিয়তমার ওপর। তারপর দেশে যুদ্ধ এলাে ভয়ঙ্কর রূপে। কবির জবানিতে যা — রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতাে। যুদ্ধে অসহায় শিশুরা খুন হল, ঘরবাড়ি ধ্বংস হল। সমস্ত সমতল জুড়ে অগ্নিসংযােগ ঘটে। দেবতাসহ মন্দির চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখায় কবির মিষ্টি বাড়ি, বারান্দার ঝুলন্ত বিছানা, গােলাপী গাছ, চিমনি, জলতরঙ্গ সবই ভষ্মীভূত হয়।
যেখানে শহর ছিল আজ সেখানে বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে রয়েছে। – (ক) কাঠকয়লা, (খ) দোমড়ানাে লােহা, (৩) মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা, (৪) রক্তের একটা কালাে দাগ যেগুলি ভয়াবহতার প্রকৃত চিত্র। তবুও দেখা যায় সবকিছুকে উপেক্ষা করে সদাজারুক দুটি অপেক্ষমান চোখ। সেই মেয়েটি সুগভীর বিশ্বাসে অসম্ভব প্রাণশক্তি নিয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত পরিস্থিতি অতিক্রম করে ভালােবাসার অমরত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। তাই কবি বলেছেন – সেই মেয়েটির মৃত্যু হল না।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।