প্রশ্ন: মিয়ােসিস কোশ বিভাজন কাকে বলে ? এটি কোথায় সম্পন্ন হয় ? এর তাৎপর্য উল্লেখ করাে।
উত্তর:
যে কোশ বিভাজন পদ্ধতিতে জনন মাতৃকোশের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম পরপর দুই বার (প্রথমে হ্রাস বিভাজন ও পরে সমবিভাজন) বিভাজিত হয়ে অর্ধেক সংখ্যক ক্রোমােজোমযুক্ত চারটি অপত্য কোশ উৎপন্ন করে তাকে মিয়ােসিস কোশ বিভাজন বলে।
স্থান : মিয়ােসিস কোশ বিভাজন জনন মাতৃকোশে সম্পন্ন হয়। যেমন—মস, ফান ইত্যাদি উদ্ভিদের রেণু মাতৃকোশে, উন্নত উদ্ভিদের পরাগধানী ও ডিম্বাশয়ে এবং প্রাণীদের শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয়ে।
মিয়ােসিসের তাৎপর্য :
1. ক্রোমােজোম সংখ্যা ধ্রুবক রাখা : মিয়ােসিস কোশ বিভাজনে হ্যাপ্লয়েড (n) সংখ্যক ক্রোমােজোমযুক্ত গ্যামেট উৎপন্ন হয়। হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট মিলিত হয়ে ডিপ্লয়েড (2n) কোশ সৃষ্টি হয়। ক্রোমােজোম সংখ্যা হাস না পেলে গাণিতিক হারে বৃদ্ধি পেত। তাই ক্রোমােজোম সংখ্যা ধ্রুবক রাখতে মিয়ােসিস সাহায্য করে।
2. জিনের পুনর্বিন্যাস : মিয়ােসিস কোষ বিভাজনে ক্রসিং ওভার সম্পন্ন হওয়ায় ক্রোমােজোমের দেহাংশের বিনিময় ঘটে, ফলে জিনের পুনর্বিন্যাস হয়।
3. জিনগত ভেদ সৃষ্টি : ক্রসিং ওভারের ফলে জিনের পুনর্বিন্যাস সম্পন্ন হওয়ায় প্রজাতির মধ্যে জিনগত ভেদ দেখা যায়।
4. জনুক্রম নিয়ন্ত্রণ : মিয়ােসিস কোশ বিভাজন সম্পন্ন হওয়ায় জীবদেহে হ্যাপ্লয়েড ও ডিপ্লয়েড দশার আবর্তন ঘটে। তাই এটি জনুক্রম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।