দ্বিতীয় পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহের ব্যাপ্তি ও গুরুত্ব আলােচনা করাে। 4 Marks/Class 10
উত্তর:–
ভূমিকা : মেদিনীপুর, ঘাটশিলা ও বাঁকুড়ার চুয়াড় উপজাতির কৃষকরা ১৭৯৮-১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে যে বিদ্রোহ করে তা দ্বিতীয় পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহ নামে পরিচিত।
বিদ্রোহের ব্যাপ্তি : দ্বিতীয় পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহ শুরু হলে রায়পুরের পূর্বতন জমিদার দুর্জন সিংহ, মেদিনীপুরের জমিদার রাণি শিরােমণি এই বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসেন। এই বিদ্রোহ রায়পুর, তমলুক, রামগড়, শালবনী, বাসুদেবপুর প্রভৃতি অণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। দুর্জন সিং-এর নেতৃত্বে অন্ততঃ ৩০টি গ্রামের সর্দার ও পাইকরা দল বেঁধে লুটপাট চালায় ও হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে। এই বিদ্রোহের উল্লেখযােগ্য নেতা ছিলেন গােবর্ধন দিকপতি, লাল সিং মােহনলাল প্রমুখ।
১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে দুর্জন সিংহের নেতৃত্বে চুয়াড় বিদ্রোহ চরম আকার ধারণ করলে — লর্ড ওয়েলেসলি দুটি সেনাদলের সাহায্যে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহীদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত করেন।
বিদ্রোহের গুরুত্ব : চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্বগুলি হল—
১) কৃষক বিদ্রোহ : ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জমিদার, তার অনুচরবর্গ, কৃষকদের বিদ্রোহ হলেও এই বিদ্রোহের প্রাণশক্তি ছিল নিপীড়িত কৃষক।
২) ব্রিটিশ বিরােধিতা : এই বিদ্রোহের মাধ্যমে চুয়াড়রা জমিদারদের নিপীড়নের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া অপেক্ষা ব্রিটিশ শাসনের অবসান বেশি জরুরি বলে মনে করেছিল।
৩) আন্দোলনের অনুপ্রেরণাঙ্খল : এই বিদ্রোহের ন্যায্য অধিকার রক্ষার সংগ্রামকে অনুপ্রেরণা দেয়—যা পরবর্তীকালে অনেক আন্দোলনের দিশারি হয়ে দাঁড়ায়।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।