নীলবিদ্রোহে বাংলার মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভূমিকা কী ছিল?

নীলবিদ্রোহে বাংলার মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভূমিকা কী ছিল?
অথবা, নীল বিদ্রোহের বিষয়ে শিক্ষিত বাঙালি বুদ্ধিজীবী শ্রেণির প্রতিক্রিয়া কী ছিল?   4 Marks/Class 10

উত্তর:

ভূমিকা : বাংলায় নীলবিদ্রোহের বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য ছিল বাংলার মধ্যবিত্ত শ্রেণির একাংশের যােগদান ও নীলবিদ্রোহের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন। 

বুদ্ধিজীবি শ্রেণির প্রতিক্রিয়া : মধ্যবিত্ত বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যাঁরা নীল আন্দোলনকে সমর্থন জানান, তাঁদের মধ্যে (পরে ‘অমৃতবাজার পত্রিকার সম্পাদক) শিশির কুমার ঘােষ ও ‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ পত্রিকার সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখােপাধ্যায়ের নাম সর্বাগ্রগণ্য। 

১) হিন্দু প্যাট্রিয়ট : হরিশচন্দ্র মুখােপাধ্যায়ের ভবানীপুরের বসতবাড়িটি নীলচাষিদের আদালতে পরিণত হয়। তিনি নীলচাষিদের দুর্দশার কাহিনি তার পত্রিকার পাতায় দিনের পর দিন প্রকাশ করতে থাকেন।

২) শিশির কুমার ঘােষ : গ্রামীণ সাংবাদিক শিশির কুমার গ্রামাঞলে ঘুরে ঘুরে নীলচাষিদের জ্বলন্ত সংবাদ সংগ্রহ করেন। ব্যারিস্টার মনমােহন ঘােষ এই পত্রিকার মাধ্যমে নীলচাষিদের সমর্থন জানান। 

৩) খ্রিস্টান মিশনারি : ১৮৬০ সালে দীনবন্ধু মিত্র এই বিদ্রোহকে কেন্দ্র করে ‘নীলদর্পণ’ নাটকটি রচনা করেন। এর ইংরেজি অনুবাদ ‘Indigo Planting Mirror’-এ ভারতহিতৈষী রেভারেন্ড জেমস লঙের নাম প্রকাশিত হলে, বিচারে তাঁর ওপর হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাঁর এই জরিমানার টাকা ‘মহাভারত’-এর বিখ্যাত অনুবাদক কালীপ্রসন্ন সিংহ আদালত প্রাঙ্গণেই মিটিয়ে দেন। 

৪) আইনজীবীদের অংশগ্রহণ : বিশিষ্ট আইনজীবী শম্ভুনাথ পণ্ডিত, প্রসন্নকুমার ঠাকুর প্রমুখ নীলবিদ্রোহীদের পক্ষ নিয়ে ওকালতি করেছিলেন। তবে অধিকাংশ আইনজীবী নীল বিদ্রোহকে সমর্থন করেননি। 

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment