Class 11 Class 11 Bengali ‘কর্তার ভূত’ অবলম্বনে ‘স্বভাবদোষে যারা নিজে ভাবতে যায়’ তাদের চরিত্র বিশ্লেষণ করাে।

‘কর্তার ভূত’ অবলম্বনে ‘স্বভাবদোষে যারা নিজে ভাবতে যায়’ তাদের চরিত্র বিশ্লেষণ করাে।

‘কর্তার ভূত’ অবলম্বনে ‘স্বভাবদোষে যারা নিজে ভাবতে যায়’ তাদের চরিত্র বিশ্লেষণ করাে। Mark 5 Question

উত্তর:- ‘কর্তার ভূত’ রচনায় লেখক ধর্মতন্ত্রের দ্বারা শাসিত জনসাধারণের সেই বেশিরভাগ অংশ, যারা ভীরু ও উদ্যমহীন, তাদেরই ‘দেশসুদ্ধ সবাই’ বলে উল্লেখ করেছেন আর যারা যুক্তির আলােকে দেশের প্রাচীন সংস্কারের মায়াজাল থেকে নিজেদেরকে এবং দেশবাসীকে বের করে আনতে চাইছে, তাদের ‘স্বভাবদোষে যারা নিজে ভাবতে যায়’-এর পর্যায়ভুক্ত করেছেন। মৌলিক চিন্তার অধিকারী এইসব হুঁশিয়ার মানুষ কখনােই গড্ডলিকাপ্রবাহে গা ভাসায় না বলে তাদের ভাগ্যে জোটে ভূতের কানমলা। আর এই ভূতের কানমলা যেহেতু খালি চোখে দেখা যায় না, তাই তা থেকে নিজেকে যেমন ছাড়ানাে যায় না, তেমনি সেখান থেকে পালানােও সম্ভব হয় না হুঁশিয়ারদের। তা ছাড়া, ভুতুড়ে জেলখানার অধিবাসী এইসব মানুষরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলেও তার পাঁচিল যেহেতু চোখে দেখা যায় না, তাই বােঝাও যায় না কীভাবে সেই পাচিল ভেঙে বাইরে বেরােনাে সম্ভব। অর্থাৎ, ধর্মতন্ত্র বা সংস্কারের বেড়িকে যারা অক্ষয় আশীর্বাদ বলে মানতে পারে না, সেইসব চিন্তাশীল মানুষের ওপর ধর্মতন্ত্রের শাস্তি চিরকালই বর্ষিত হতে থাকে।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

error: Content is protected !!