ভারত ছাড়াে আন্দোলনের সময় কৃষকরা কী ভূমিকা পালন করেছিল? 4 Marks/Class 10
উত্তর:–
ভূমিকা : মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ৮ আগস্ট ভারত ছাড়াে আন্দোলন শুরু হলেও তা ছিল কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত এবং কৃষকসহ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন।
কৃষকদের যােগদান : ভারত ছাড়াে আন্দোলনের সূচনার পর— প্রথমত, বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, আসাম, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, কেরালা প্রভৃতি স্থানে কৃষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যােগদান করেছিল। দ্বিতীয়ত, জমিদার বিরােধিতা নয়, পুলিশি অত্যাচার ও সাম্রাজ্যবাদের বিরােধিতাই ছিল এই পর্বের কৃষক আন্দোলনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তৃতীয়ত, ধনী কৃষক, খেতমজুর, ভূমিহীন কৃষক এমনকি জমিদাররাও এই আন্দোলনে যােগদান করে।
কয়েকটি আন্দোলন কেন্দ্র : ভারত ছাড়াে আন্দোলনকালে ভারতের সব জায়গায় কৃষক আন্দোলন একইভাবে পরিচালিত হয়নি, যেমন—
১) বিহার : বিহারে কিষান সভার নেতৃত্বে পরিচালিত কৃষক আন্দোলন ছিল উগ্র এবং তা বিহারের সব জেলাতেই ছড়িয়ে পড়েছিল। রেলওয়ে স্টেশন, পৌরভবন ও ডাকঘরে অগ্নিসংযােগ ছিল আন্দোলনের বিভিন্ন দিক।
২) বাংলা : বাংলার কলকাতা, দিনাজপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর ছিল কৃষক আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র। মেদিনীপুরের তমলুক মহকুমা, পটাশপুর থানা, খেজুরি থানা এলাকায় কৃষকেরা জমিদারদের খাজনা দেওয়া বন্ধ করে দেয় এবং তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
৩) গুজরাট : গুজরাটের সুরাট, আমেদাবাদ, রাজকোট, পােরবন্দর, খান্দেশ, ব্রোচ প্রভৃতি স্থানে কৃষকরা গেরিলা কায়দায় আন্দোলন পরিচালনা করেছিল।
৪) সুরাট : সুরাটের কৃষকরা রেল অবরােধ করে, যােগাযােগ ব্যবস্থা ছিন্ন করার পাশাপাশি সরকারি নথিপত্রও পুড়িয়ে দেয়।
উপসংহার : উড়িষ্যার তালচের, পাঞ্জাবের পাতিয়ালা, আসামের তেজপুর ও গােয়ালপাড়া, মধ্যপ্রদেশের নাগপুর, বােম্বাই-এর খান্দেশ প্রভৃতি অঞ্চলের কৃষকদের যােগদান ছিল খুব উল্লেখযােগ্য।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।
Wow