পুন্না-ভায়লার গণসংগ্রাম (১৯৪৬ খ্রি.) – টীকা লেখাে।

টীকা লেখাে : পুন্না-ভায়লার গণসংগ্রাম (১৯৪৬ খ্রি.)।   4 Marks/Class 10

উত্তর:-

ভূমিকা : ত্রিবাঙ্কুর রাজ্যের পুন্নাপ্রা-ভায়লার অঞ্চলের কৃষক ও শ্রমিকরা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে তীব্র আন্দোলন শুরু করে যা পুন্নাপ্রা-ভায়লার গণসংগ্রাম নামে পরিচিত।

আন্দোলনের কারণ : একদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর খাদ্যাভাব ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং রাজার স্বৈরাচারী শাসন ও শােষণে কৃষক ও শ্রমিকদের চরম দুর্দশা, অপরদিকে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর, ত্রিবাঙ্কুর রাজ্যের দেওয়ান কর্তৃক ত্রিবাঙ্কুরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত না করে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে রাখার বাসনা — সেখানকার ত্রিবাঙ্কুরেন হতদরিদ্র কৃষক ও শ্রমিকদের গণসংগ্রামে শামিল করেছিল। জনগণ স্বাধীন ভারতের নাগরিক হতে চাইলেও দেওয়ান সি পি রামস্বামী আয়ার রাজ্যটিকে স্বাধীন রাখার জন্য মার্কিন ধাঁচে এক সংবিধান রচনা করেন।

আন্দোলনের নেতৃবর্গ : পুন্নাপ্রা-ভায়লার গণ সংগ্রামের বামপন্থী নেতা কে সি জর্জ ও টি ভি টমাস-এর নেতৃত্বে স্লোগান ওঠে—দেওয়ানের শাসন খতম করাে; স্বাধীন ত্রিবাঙ্কুর ও মার্কিন মডেল আরব সাগরে ছুঁড়ে ফেলে দাও।

পুন্নাপ্রার যুদ্ধ : কমিউনিস্টরা ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন রডেলের সংবিধানের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার শুরু করলে তীব্র কমিউনিস্ট-বিরােধী ত্রিবাঙ্কুর সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে। কমিউনিস্ট নেতৃত্বে কৃষকরা আত্মরক্ষার লগিদে বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নিয়ে প্রতিরােধ শুরু করে, আলেপ্পে শেরতেলিতে একটি সাধারণ রাজনৈতিক ধর্মঘট শুরু হয়। পুন্নাপ্রার ‘পলিশ ফাড়ি’ আক্রান্ত হয়, পুলিশি অত্যাচারও চরমে ওঠে।

ভায়লারের যুদ্ধ : আলেপ্পে শেরতেলিতে রাজনৈতিক ধর্মঘটের কারণে—সমগ্র রাজ্যে সামরিক আইন জারি করে ২৭ অক্টোবর সেনাবাহিনি প্রায় ৮০০ কমিউনিস্টকে নিধন করে তাদের সদর দপ্তর ভায়লার দখল করে। 

ফলাফল : এক অজ্ঞাত আততায়ীর দ্বারা ছুরিকাহত হয়ে দেওয়ান রামস্বামী আয়ার ত্রিবাঙ্কুরের ভারতভুক্তিতে সই করেন।

Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment