আজাদ হিন্দ ফৌজের কার্যক্রমে নারীদের ভূমিকা কী ছিল? 4 Marks/Class 10
উত্তর:-
আজাদ হিন্দ ফৌজে নারী : ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ২৫ আগস্ট সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজের কার্যভার গ্রহণ করেন এবং আজাদ সেনাদলের পুনর্বিন্যাস ঘটান। তিনি নারী সৈন্যদের জন্য একটি আলাদা ব্রিগেড’ তৈরি করেন এবং ১৮৫৭-র বিদ্রোহের নেত্রী কঁসির রানির স্মৃতিতে নাম দেন ঝাসির রানি’ ব্রিগেড।
১ ক্যাপ্টেন : এই নারীবাহিনীর সদস্যরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে যােগ দেন এবং এই বাহিনীর পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক লক্ষ্মী স্বামীনাথন যিনি আজাদ হিন্দ সরকারে নারী সংগঠনের দায়িত্বও পান।
২. বিভাগ : ১৫০০ সৈন্যের এই বাহিনীর আবার দুটি ভাগ ছিল—যােদ্ধা বিভাগ ও সেবা বিভাগ। ছ’মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ ছাড়াও এদের বিভিন্ন বিদ্যায় শিক্ষা দেওয়া হত।
৩. আত্মাহুতি শাখা : এঁদের একদল যুদ্ধে আত্মবলিদানের (selfsacrifice) জন্য প্রস্তুত হয়েই আসতেন। এঁরা পরস্পর নিজেদের ‘রানি’ বলে সম্বােধন করতেন।
৪. বাছাই সৈনিক : সুভাষচন্দ্র বসু ভারত অভিযানের শেষপর্বে ৮০ জন বাছাই করা নারী সৈনিক নিয়ে যুদ্ধ করেন। শিপ্রা সেন, রাণু ভট্টাচার্য, মীরা গাঙ্গুলি প্রমুখ ছিলেন এই বাহিনীর কয়েকজন বাঙালি মহিলা সৈনিক।
উপসংহার : ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে আজাদ হিন্দ বাহিনীর ইম্ফল অভিযানে ঝাসির রানি’ বিগ্রেডের একাংশকে পাঠানাে হয়েছিল। এভাবে বিদেশের মাটি থেকে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের অনন্য নজির রেখেছিল এই বাহিনী।
Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।